শনি
বানান বিশ্লেষণ: শ+অ+ন্+ই
উচ্চারণ:
ʃo.ni
(শো.নি)
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত শনি>
বাংলা শনি
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ:
√শো
(বিদারণ করা) +অনি
পদ:
বিশেষ্য
১. ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৃথিবীসদৃশ গ্রহ |
সৌরগ্রহ |
গ্রহ |
|
মহাকাশীয় বস্তু |
প্রাকৃতিক লক্ষ্যবস্তু |
এককঅংশ |
দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু |
দৈহিক সত্তা |
সত্তা |}
অর্থ: সৌরজগতের গ্রহ বিশেষ। [
শনি
: গ্রহ]
২.
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {|
হিন্দু
দেবতা |
হিন্দু
দৈবসত্তা |
দৈবসত্তা |
অতিপ্রাকৃতিক সত্তা |
অতিপ্রাকৃতিক বিশ্বাস |
বিশ্বাস |
প্রজ্ঞা |
জ্ঞান |
অভিজ্ঞা |
মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা |
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত সত্তা |
সত্তা | }
অর্থ: হিন্দু পৌরাণিক দেবতা বিশেষ।
[শনি: দেবতা]
৩.
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{ |
সময় একক|
পরিমাপ|
বিমূর্তন |
বিমূর্ত সত্তা|
সত্তা|}
অর্থ: সপ্তাহের বিশেষ দিনের নাম। হিন্দু পৌরাণিক দেবতা-
শনি-এর
নামানুসারে এই গ্রহের নামকরণ করা হয়েছে।
৪. অর্থ: হিন্দু পৌরাণিক দেবতা
শনি- কে
অশুভ হিসেবে অভিহিত করা হয়। এই কারণে অশুভ অর্থে অনেক সময় শনি শব্দ ব্যবহার করা হয়।
যেমন-
- শনির দশা (অশুভ দশা,
অশুভ কাল)
- শনির দৃষ্টি (অশুভ
দৃষ্টি)
সূত্র:
- চলন্তিকা। রাজশেখর বসু। এমসি
সরকার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিঃ। ১৪০৮। পৃষ্ঠা: ৪৩৬।
- বঙ্গীয় শব্দকোষ
(দ্বিতীয় খণ্ড)। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহিত্য অকাদেমী। ২০০১। পৃষ্ঠা: ১৩৫৬।
- বাংলা একাডেমী
ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। মার্চ ২০০৫। পৃষ্ঠা: ৭৬৬।
- সংস্কৃত বাংলা অভিধান। শ্রীঅশোক কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। সৃষ্টি, হুগলী। ১৪০৮ বঙ্গাব্দ। পৃষ্ঠা:
২৭৪।
- বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (প্রথম খণ্ড)। জ্ঞানেন্দ্রমোহন
দাস। সাহিত্য সংসদ। নভেম্বর ২০০০। পৃষ্ঠা: ১৩৭২।
- ভারতী বাঙলা অভিধান। বিশিষ্ট পণ্ডিত ও অধ্যাপকমণ্ডলী কর্তৃক সম্পাদিত।
ভারতী বুক স্টল। ১৯৫৯। পৃষ্ঠা: ৫৬৪।
- রামায়ণী বাঙলা অভিধান।
শুধাংশুশেখর গুপ্ত। রামায়ণী প্রকাশ ভবন। ১৯৬০। পৃষ্ঠা: ৫৬৪।
- শব্দবোধ অভিধান। আশুতোষ দেব। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ
২০০০। পৃষ্ঠা: ৫৭৬।
- শব্দসঞ্চয়িতা। ডঃ অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায়। নিউ
সেন্ট্রাল বুক এজেন্সি প্রাঃ লিমিটেড। ২৩শে জানুয়ারি, ১৯৯৫। পৃষ্ঠা: ৫৫৪।
- শব্দার্থ প্রকাশিকা।
কেশবচন্দ্র রায় কর্মকার। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০। পৃষ্ঠা: ৩৭৪।
- শব্দার্থমুক্তাবলী। বেণীমাধব দে। ১৭৮৮ শকাব্দ। পৃষ্ঠা: ৮৭২।
- সংসদ বাংলা অভিধান।
সাহিত্য সংসদ। শৈলেন্দ্র বিশ্বাস। মার্চ ২০০২। পৃষ্ঠা: ৫৩০।
- সচিত্র প্রকৃতিবাদ অভিধান (চতুর্থ
সংস্করণ)। রামকমল বিদ্যালঙ্কার। ১২৯৫। পৃষ্ঠা: ১০৮৯-১০৯০।
- সরল বাঙ্গালা অভিধান (সপ্তম সংস্করণ, নিউবেঙ্গল প্রেস ১৯৩৬)।
সুবলচন্দ্র মিত্র। পৃষ্ঠা: ৮২০ ।
- wordnet 2.1