ইনসেক্টা
Insecta
 
প্রাণিজগতের আর্থ্রোপোডা পর্বের একটি উপপর্ব বিশেষ খ্রিষ্টাব্দে এর নামকরণ করেছিলেন ফরাসি  বিজ্ঞানী Linnaeus

এদের দেহ তিনটি প্রধান অংশর বিভক্ত। এই অংশ তিনটি হলো- মস্তক, বক্ষ ও উদর। বক্ষদেশে তিন জোড়া পা এবং পৃষ্ঠদেশে এক জোড়া পাখা থাকে। এছাড়া মস্তকে থাকে একজোড়া এন্টেনা এবং এক জোড়া পুঞ্জাক্ষি। এরা ট্রাকিয়া নামক নালীর মতো অংশের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়। এই শ্রেণির উল্লেখযোগ্য প্রাণীগুলো হলো- আরশোলা, নানা ধরনের মাছি ও মশা।
 

ক্রমবিবর্তনের ধারা
ক্যাম্ব্রিয়ান অধিযুগের ৫৪ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে প্রাণিজগতের ট্যাক্টোপোডা থাক থেকে আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীর আবির্ভাব হয়েছিল। এই পর্বের প্রজাতিসমূহ পরবর্তী ৫৪ থেকে ৪১.৯২ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই সূত্রে প্যানক্রুস্টাসিয়া থাকের উদ্ভব হয়েছিল ৫৪-৫০.৮ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে। ৫১.১ থেকে ৪১.১ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে এই থাকটি ২ ভাগে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। ভাগ দুটি হলো

  • ক্রুস্টাসিয়া উপপর্ব: আবির্ভাব কাল ৫১.১ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
  • হেক্সাপোডা উপপর্ব: আবির্ভাব কাল ৪১.১ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।

হেক্সাপোডা উপপর্বের প্রাণিগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো- তিনটি জোড়া হিসেবে মোট ছয়টি পা রয়েছে। ৪১.১ থেকে ৩৯.৬ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে এই উপপর্বের প্রাণিসমূহ দুটি শ্রেণিতে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই শ্রেণি দুটি হলো-এন্টোগ্‌ন্যাথাইনসেক্টা। এর ভিতরে ইনসেক্টা শ্রেণির আবির্ভাব হয়েছিল ৩৯.৬ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দে। এরপর এই শ্রেণিটি নানা ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এই ভাগগুলো হলো- মোনোকোন্ডিলিয়া উপশ্রেণি ও ডাইকোন্ডাইলিয়া থাক।


সূত্র: