ইনসেক্টা
Insecta
প্রাণিজগতের
আর্থ্রোপোডা
পর্বের একটি উপপর্ব বিশেষ।
১৭৫৮
খ্রিষ্টাব্দে এর নামকরণ করেছিলেন ফরাসি বিজ্ঞানী
Linnaeus।
এদের দেহ তিনটি প্রধান অংশর বিভক্ত। এই অংশ তিনটি হলো-
মস্তক, বক্ষ ও উদর। বক্ষদেশে তিন জোড়া পা এবং পৃষ্ঠদেশে এক জোড়া পাখা থাকে। এছাড়া
মস্তকে থাকে একজোড়া এন্টেনা এবং এক জোড়া পুঞ্জাক্ষি। এরা ট্রাকিয়া নামক নালীর মতো
অংশের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়। এই শ্রেণির উল্লেখযোগ্য প্রাণীগুলো হলো- আরশোলা,
নানা ধরনের মাছি ও মশা।
ক্রমবিবর্তনের ধারা
ক্যাম্ব্রিয়ান অধিযুগের
৫৪
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে
প্রাণিজগতের
ট্যাক্টোপোডা থাক
থেকে
আর্থ্রোপোডা পর্বের
প্রাণীর আবির্ভাব হয়েছিল। এই পর্বের প্রজাতিসমূহ পরবর্তী ৫৪ থেকে ৪১.৯২ কোটি
খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই সূত্রে
প্যানক্রুস্টাসিয়া থাকের
উদ্ভব হয়েছিল ৫৪-৫০.৮
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের
ভিতরে। ৫১.১ থেকে ৪১.১ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে এই
থাকটি ২ ভাগে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। ভাগ দুটি হলো
- ক্রুস্টাসিয়া উপপর্ব: আবির্ভাব কাল ৫১.১
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
- হেক্সাপোডা
উপপর্ব:
আবির্ভাব কাল
৪১.১
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
হেক্সাপোডা উপপর্বের প্রাণিগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো- তিনটি জোড়া হিসেবে মোট
ছয়টি পা রয়েছে। ৪১.১
থেকে ৩৯.৬ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে এই উপপর্বের প্রাণিসমূহ দুটি
শ্রেণিতে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই শ্রেণি দুটি হলো-এন্টোগ্ন্যাথা
ও ইনসেক্টা। এর ভিতরে ইনসেক্টা
শ্রেণির আবির্ভাব হয়েছিল ৩৯.৬ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দে।
এরপর এই শ্রেণিটি নানা ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এই ভাগগুলো হলো- মোনোকোন্ডিলিয়া উপশ্রেণি
ও ডাইকোন্ডাইলিয়া থাক।
- মোনোকোন্ডিলিয়া উপশ্রেণি: আবির্ভাব কাল
৪১
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। এই উপশ্রেণি থেকে
উদ্ভব হয়েছিল জঙ্গলে লাফানো বিস্টলেটেইলস।
- আর্কিয়োগ্নাথা বর্গ: আবির্ভাব কাল
৪১
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
- ম্যাকিলিডি গোত্র: আবির্ভাব কাল
৪১
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
- মেইনের্টেলিডি গোত্র: আবির্ভাব কাল
৪১
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
- ডাইকোন্ডাইলিয়া থাক : আবির্ভাব কাল ৩৯.৬
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
- এপ্টেরিগোটা উপশ্রেণি: আবির্ভাব কাল ৩৫
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
- জাইগেন্টোমা বর্গ: আবির্ভাব কাল ৩৫
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
- মোনুরা বর্গ: আবির্ভাব কাল ৩৫
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
- টেরিগোটা উপশ্রেণি: আবির্ভাব কাল ৩৫
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
- এফেমেরোপ্টেরোইডিয়া ঊর্ধবর্গ: আবির্ভাব কাল
৩৫কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
- নিয়োপ্টেরা বিভাগ: আবির্ভাব কাল
৩৫কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
- পোলিনিয়োপ্টেরা উপবিভাগ: আবির্ভাব কাল
৩৫কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
- অর্থোপ্টেরিডা: আবির্ভাব কাল
৩৫কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
- প্যালিয়োপ্টেরা বিভাগ: আবির্ভাব কাল
২৯.৮৯ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
- মেটাপ্টেরিগোটা শাখা: আবির্ভাব কাল
২৯.৮৯ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
- ওডোননাটোপ্টেরা উপবর্গ: আবির্ভাব কাল
২৯.৮৯ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
- ওডোনাটা বর্গ: আবির্ভাব কাল
২৯
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
- এপিপ্রোক্টা উপর্গ: আবির্ভাব কাল
২৯
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
- এপিফ্লেবায়োপ্টেরা ক্ষুদ্রবর্গ: আবির্ভাব কাল ২৯
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
এই গণের
প্রজাতিসমূহকে সাধারণভাবে ফড়িং বলা হয়।
- এপিয়োফ্লেবিডি গোত্র: আবির্ভাব কাল ২৯
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
এর গণ হলো-
Epiophlebia।
এই গণের প্রজাতিসমূহকে সাধারণভাবে ফড়িং বলা হয়।
- Epiophlebia diana
- Epiophlebia laidlawi
- Epiophlebia superstes
- Epiophlebia sinensis
নিয়োপটেরা ক্ষুদ্র
শ্রেণি: আবির্ভাব কাল ৩৫
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
-
ইউমেটাবোলা থাক:
আবির্ভাব কাল ২৯
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
-
এন্ডোপটেরিগোটা থাক:
আবির্ভাব কাল ২৯
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
-
হাইমেনোপটেরিডা থাক:
আবির্ভাব কাল ২৩
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
-
হাইমেনোপটেরা বর্গ:
আবির্ভাব কাল ২৩
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
-
ইউনিক্যালক্যারিডা থাক:
আবির্ভাব কাল ২৩
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
-
এ্যাপোক্রিটা: উপবরগ
-
এ্যাকুলিয়াটা ক্ষুদ্রবর্গ:
-
এ্যাপোইডিয়া ঊর্ধগোত্র:
-
এ্যান্থোফিলা থাক
-
এ্যান্ড্রেনিডি, এ্যাপিডি,
কোল্লেটিডি, হালিক্টিডি, মেগতাচিলিডি, মেটালিট্টিডি, স্টেনোট্রিটিড গোত্র।
এ্যানিসোপ্টেরা ক্ষুদ্রবর্গ: আবির্ভাব কাল ২৯
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
এই ক্ষুদ্রবর্গের প্রজাতিসমূহের
সাধারণ নাম ড্রাগন ফড়িং।
- ইশনোইডিয়া ঊর্ধ্ববর্গ: আবির্ভাব কাল ২৯
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
- Petalura
Leach, 1815
- Phenes
Rambur, 1842
- Tachopteryx
Uhler in Selys, 1859
- Tanypteryx
Kennedy, 1917
- Uropetala
Selys, 1858
ইশনিডি গোত্র
গোম্ফিডি গোত্র
অস্ট্রোপেটালিডি গোত্র
সূত্র: