বরাটী রাগ
উত্তর
ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে
মারবা
ঠাটের একটি রাগ।
ধারণা করা হয়, বিরাট নগর বা দেশের এই রাগের প্রচলন ছিল।
এই সূত্রে এর নাম বরাটী। এর অন্যান্য নাম- বৈরারী, বিহারী, বরালী, বরাড়ী।
প্রাচীনকালে এই রাগটি উৎপত্তি হয়েছিল মধ্যম গ্রামের 'পৌরবী' মূর্ছনা থেকে
ঊ৭পন্ন হয়েছিল। এই মূর্ছনার স্বরগুলো ছিল -ধ্ ন্ স র গ ম প।
অহবোলের সঙ্গীত পারিজাত গ্রন্থে বলা হয়েছে- বরাটী রাগে ঋষভ ও ধৈবত কোমল ছিল।
শারঙ্গদেবের সঙ্গীতরত্নাকরে এই রাগকে ১৩টি রাগাঙ্গের একটি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরোহণ:
স ঋ গ প হ্ম গ প ধ ন র্স
অবরোহণ:
র্স ন ধ প হ্ম গ ঋ স
ঠাট:
মারবা
জাতি:
সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ
বাদীস্বর: গান্ধার
সমবাদী স্বর: ধৈবত
অঙ্গ: পূর্বাঙ্গ।
সময়: সন্ধ্যা
বাংলা গানে এর প্রথম নমুনা পাওয়া যায়-
চর্যাগীতি-তে। চর্যাগীতিতে এই রাগের অপর নাম হিসেবে বলাড্ডী ব্যবহার করা হয়েছে। এই রাগে
নিবদ্ধ গানের সংখ্যা ৪টি। এই গানগুলো হলো
- নিসিত আন্ধারী মুসার চারা [তথ্য] [পদ সংখ্যা ২১]
- জই তুম্হে ভুসূকু অহেরি [তথ্য] [পদ সংখ্যা ২৩]
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী-কর্তৃক উদ্ধারকৃত গ্রন্থে এই গানের শেষাংশ ছিল না।
- উষ্ণা উষ্ণা পাবত তহিঁ বসই সবরী বালী [তথ্য]
[পদ সংখ্যা ২৮]
- সূনকরুণরে অভিন চারেঁ কাঅবাক্ চিএ [তথ্য] [পদসংখ্যা ৩৪]
ও ৩৪।
তথ্যসূত্র:
- সঙ্গীতরত্নাকর। শার্ঙ্গদেব। অনুবাদক
সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ২২ শ্রাবণ ১৪০৮।
পৃষ্ঠা: ৭৯।
- সঙ্গীত পারিজাত। অহোবল। পৃষ্ঠা: ১২৪।
- রাগ বিজ্ঞান অভিধান। নিত্যানন্দ কর্মকার।
প্রগেরসিভ পাবলিশাসর্স। কলকাতা। রাগ: ৫২। পৃষ্ঠা: ৩।
- হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা বৌদ্ধ গান ও দোঁহা, হরপ্রসাদ
শাস্ত্রী, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, কলকাতা, ১৩২৩
- চর্যাগীতি
পদাবলী, সুকুমার
সেন, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা,
১৯৯৫
- Materials for a Critical Edition of the
Old Bengali Charyapadas (A comparative study of
the text and the Tibetan translation), Part I,
প্রবোধচন্দ্র বাগচী,
Journal of the Department of Letters, Vol. XXX,
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা, ১৯৩৮
Development of the
Bengali LanguageSuniti
Kumar Chatterji. London.
George Allen & Unwin Ltd, 1970
বাংলা
ভাষার ইতিবৃত্ত। ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। মাওলা ব্রাদ্রাস। ঢাকা। জুলাই
১৯৯৮।
বাংলা সাহিত্যের সমগ্র ইতিহাস,
ক্ষেত্র গুপ্ত, গ্রন্থনিলয়, কলকাতা।কলকাতা ২০০১।
চর্যাগীতিকা। সম্পাদনায় মুহম্মদ
আবদুল হাই ও আনোয়ার পাশা। স্টুডেন্ট ওয়েজ। অগ্রহায়ণ ১৪০২।
চর্যাগীতি পাঠ। ড. মাহবুবুল হক।
পাঞ্জেরী পাবলিকেশান লি.। ঢাকা। জুলাই ২০০৯।
চর্যাগীতি পরিক্রমা। দে'জ সংস্করণ।
জানুয়ারি ২০০৫।
চর্যাগীতিকোষ। নীলরতন সেন সম্পাদিত।
সাহিত্যলোক। কলকাতা। জানুয়ারি ২০০১।