সেসবানিয়াগণের একটি অত্যন্ত দ্রুত
বর্ধনশীল এবং গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ।
সেসবানিয়া
গণের বৃক্ষ
বিশেষ। প্রায়
৬.৬-৫.৬
কোটি
খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে
ফ্যাবালেস
বর্গের সেসবানিয়া
গণ থেকে এই প্রজাতির উদ্ভিদের উদ্ভব হয়েছিল।
সাধারণত ৩ থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। তবে অনুকূল পরিবেশে এটি ৬-৭ মিটার পর্যন্তও উঁচু হতে সক্ষম।
এর কাণ্ড খুব একটা শাখা-প্রশাখাযুক্ত হয় না। পাতাগুলো লম্বাটে এবং একটি ডাটায় ১৫-৪০ জোড়া ছোট ছোট লিফলেট থাকে।
ফুল ও ফল
ফুল: এর ফুলগুলো উজ্জ্বল হলুদ রঙের এবং পাপড়িতে অনেকগুলো সূক্ষ্ম বেগুনি রঙের রেখা বা ছোপ দেখা যায়। এটি দেখতে আমাদের সাধারণ ধঞ্চে ফুলের
(ধঞ্চে গাছ)
মতোই।
ফল: ফলগুলো লম্বা পড বা মটরশুঁটির মতো, যা প্রায় ১৫-২৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। ফল পাকলে ঘিয়া বা হালকা বাদামী রঙ ধারণ করে।
বীজ: বীজের গায়ের রঙ সাধারণত কালো ছোপযুক্ত হয়।
এটি একটি একবর্ষজীবী গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ।
অনুকূল পরিবেশে এর উচ্চতা ১ থেকে ৭ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। তবে সাধারণত এটি ২-৩ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়।
শিকড় ও নডিউল: ধঞ্চে গাছের শিকড়ে প্রচুর পরিমাণে ছোট ছোট গুটি বা নডিউল থাকে। এই নডিউলে রাইজোবিয়াম নামক ব্যাকটেরিয়া বসবাস করে,
যা সরাসরি বাতাস থেকে নাইট্রোজেন সংগ্রহ করে মাটিতে জমা করে।
কাণ্ড ও পাতা:এদের কাণ্ড বলিষ্ঠ, শাখা-প্রশাখাযুক্ত এবং কাষ্ঠল প্রকৃতির। কাণ্ডের ভেতরে সাদা শাঁস থাকে।
এর পাতাগুলো পক্ষল এবং লম্বাটে। দেখতে অনেকটা তেঁতুল পাতার মতো। একেকটি পাতায় ১০ থেকে ৩০ জোড়া পর্যন্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লিফলেট বা পত্রক থাকতে পারে।
অন্যান্য ধঞ্চে প্রজাতির মতো এটিও মাটির নাইট্রোজেন বৃদ্ধি করে উর্বরতা বাড়ায়।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এর ফুলগুলো অনেক সময় হালকা ভাজি বা স্টার-ফ্রাই করে খাওয়ার প্রচলন আছে।
কাঠ: এর শুকনো কাণ্ড বেশ হালকা কিন্তু মজবুত হওয়ায় অনেক সময় বাগানের খুঁটি বা মাছ ধরার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।