২৬
বৎসর অতিক্রান্ত বয়স
নজরুলের বয়স: ২৬ বৎসর ১ মাস। প্রথম প্রকাশ: চিত্তনামা
প্রথম সংস্করণে [৪
নভেম্বর ১৯২৫ (১৮ কর্তিক ১৩৩২)। শিরোনাম 'অকালসন্ধ্যা']
নজরুলের বয়স: ২৬ বৎসর ১ মাস। ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৩২)
মাসে, নজরুলের রচিত গানের প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল।
রেকর্ডটি প্রকাশ করেছিল
এইচএমভি।
রেকর্ড নম্বর পি ৬৯৪৫। শিল্পী ছিলেন
হরেন্দ্রনাথ দত্ত
। প্রথম প্রকাশ:
ফণী
মনসা। প্রথম সংস্করণ [শ্রাবণ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ। শ্রাবণ মাসে (জুলাই-আগষ্ট ১৯২৭) শিরোনাম:
হেমপ্রভা। পৃষ্ঠ: ২]
নজরুল ইসলামের ২৬ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়স শুরু হয়েছিল ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩২ বঙ্গাব্দ (সোমবার ২৫ মে ১৯২৫
খ্রিষ্টাব্দ) থেকে। শেষ হয়েছিল ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৩ (সোমবার, ২৪ মে ১৯২৬)
।
এই বছরের শুরু থেকেই নজরুল হুগলীতে সপরিবারে অবস্থান করছিলেন। অন্যান্য রচনার
পাশাপাশি এই সময় তিনি গানও রচনা করেছেন। এ সকল গানের পিছনে ছিল নানা ধরণের
আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এ ছাড়া ছিল তাঁর কিছু শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিবর্গের
উদ্দেশ্য রচিত শ্রদ্ধার্ঘ। এ গানগুলোর উপলক্ষ ছিল, মহাত্মা গান্ধীর হুগলি আগমন
উপলক্ষে রচিত গান, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস মৃত্যুর পর তাঁর স্মরণে রচিত গান, অমর
নামক এক স্বেচ্ছাসেবকের স্মরণে রচিত গান। এছাড়া ছিল কৃষকদের জন্য গান,
হিন্দু-মুসলামানের জাতি-ভেদের উপর গান। এই বছরেই তাঁর গান প্রথম গ্রামোফোন রেকর্ডে
প্রকাশিত হয়। প্রকাশক ছিল এইচএমভি। গানটির শিল্পী ছিলেন হরেন্দ্রনাথ দত্ত।
এই বছরে রচিত নতুন গান ছিল ১৬টি। ২৬ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স শেষে
মোট গানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৮৫টি।
রচনার স্থান ও কাল: হুগলি/৩রা আষাঢ়,
১৩৩২ (বুধবার ১৭ জুন ১৯২৫)
প্রথম প্রকাশ: চিত্তনামা
প্রথম সংস্করণে [৪
নভেম্বর ১৯২৫ (১৮ কর্তিক ১৩৩২)। শিরোনাম: 'অর্ঘ্য'।
চিত্তরঞ্জন দাশের মৃত্য সংবাদ শুনে নজরুল গানটি রচনা
করেছিলেন। এই সম্পর্কে প্রাণতোষ
চট্টোপাধ্যায় তাঁর 'কাজী
নজরুল' গ্রন্থে লিখেছেন- [পৃষ্ঠা:
৬৯]'দেশবন্ধু
যখন মারা যান তখন কবি এই বাড়িতেই ছিলেন। দেশবন্ধুর
মৃত্যু সংবাদ শুনে কৰি কয়েক মুহূর্ত নিশ্চল
থেকে দশ মিনিটের মধ্যে একটা 'অর্ঘ্য'
বলে গান লিখে সুর দিয়ে
বিদ্যামন্দিরে এলেন-
উল্লেখ্য, ১৮ই জুন (বৃহস্পতিবার ৪ আষাঢ় ১৩৩২) চিত্তরঞ্জন দাশের মরদেহ দার্জিলিং থেকে ট্রেনযোগে নৈহাটি আসে।
নজরুল
দেশবন্ধুর শবাধারে রচনাটি মালার সঙ্গে অর্ঘ্যস্বরূপ
জুড়ে দিয়েছিলেন।
গানটি এই-
"হায় চির ভোলা;
হিমালয় হতে
অমৃত আনিতে গিয়া..."
... এই গানটি লেখেন ১৩৩২ সালের ৩রা
আষাঢ়। দেশবন্ধুর শবাধারে রচনাটি মালার সঙ্গে অর্ঘ্যস্বরূপ জুড়ে দেওয়া
হয়েছিল নৈহাটি স্টেশনে।'
রচনার স্থান ও কাল: আড়িয়াদহ, ৬ আষাঢ় ১৩৩২
(শনিবার ২০ জুন ১৯২৫)।
১৮ জুন ১৯২৫ (বৃহস্পতিবার ৪ আষাঢ় ১৩৩২), নজরুল বিশেষ একটি কারণে আড়দহে যান। সেখানে তিনি
চিত্তরঞ্জন দাসের স্মরণে
এই গানট রচনা করেন। এই গানটির রচনার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে প্রাণতোষ চট্টোপাধ্যায় তাঁর 'কাজী নজরুল' গ্রন্থে লিখেছেন-[
পৃষ্ঠা:
৭০]
'....ঐদিনই বিশেষ কারণে আড়িয়াদহের একটি
উৎসবে যোগদানের জন্য রওনা হন। শ্রীফণিভূষণের সঙ্গে পরে আরও একটি গান লেখেন
"অকাল সন্ধ্যা" নাম দিয়ে ৬ই আষাঢ়। ওখান থেকে ফিরেই দেখেন হুগলীর
নেতৃতস্থানীয় ও স্বেচ্ছাসেবকরা শোকে স্তব্ধ হয়ে আছেন। কবি খালি পায়ে ঢুকে
আবেগের সঙ্গে গানটি গাইতে লাগলেন খালি গলায়-
" খোলো মা দুয়ার খোলো
প্রভাত সন্ধ্যা হলো,
দুপুরেই ডুবলো দিবাকর
গো।"...'
নজরুলের বয়স: ২৬ বৎসর ১ মাস।
রচনার স্থান ও কাল: আড়িয়াদহ, ১৭ আষাঢ় ১৩৩২
(রবিবার ১ জুলাই ১৯২৫)।
প্রথম প্রকাশ: চিত্তনামা
প্রথম সংস্করণে [৪
নভেম্বর ১৯২৫ (১৮ কর্তিক ১৩৩২)। শিরোনাম:
রাজ-ভিখারি।
১৮ আষাঢ় (বৃহস্পতিবার
২ জুলাই ১৯২৫),চুঁচূড়া এবং হুগলিবাসীরা একত্রে
চিত্তরঞ্জন দাশের মৃত্যু উপলক্ষে একটি বৃহৎ শোকসভার আয়োজন করেন। এই সভার প্রধান
উৎসাহদাতা ছিলেন- রমেশচন্দ্র মণ্ডল। আর যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন ইমামবাড়ির
মুতত্তলী ও মহম্মদ জাফরী। শোকসভার ব্যবস্থা করা হয়েছিল চুঁচুড়ার কৈরী টকী
হাউসে। অনুষ্ঠানের সভাপতি হয়েছিলেন রমেশচন্দ্র মণ্ডল এবং প্রধান অতিথি ছিলেন
মুতত্তলী। প্রাণতোষ চট্টোপাধ্যায় তাঁর 'কাজী নজরুল' গ্রন্থে লিখেছেন যে, এই
অনুষ্ঠানের জন্য নজরুল ১১ই আষাঢ় ১৩৩২ বঙ্গাব্দে (বৃহস্পতিবার ২৫ জুন ১৯২৫) এই
ইন্দ্রপতন'
কবিতা রচনা করেছিলেন। এ্ছাড়া '
রাজ-ভিখারি'
শিরোনামের গানটিও ১৭ই আষাঢ় (বুধবার, ১ জুলাই ১৯২৫)
রচনা করেছিলেন। নজরুলের স্বকণ্ঠে '
ইন্দ্রপতন'
কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়েছিল। এরপর কয়েকজন বক্তৃতা দেওয়ার পর,
নজরুল পরিবেশন করেছিলেন '
রাজ-ভিখারি'
শিরোনামের গানটি।
রচনার স্থান ও কাল: আড়িয়াদহ, ১৭ আষাঢ় ১৩৩২
(রবিবার ১ জুলাই ১৯২৫)।
উল্লেখ্য, ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ই জুলাই (সোমবার ২৯
আষাঢ় ১৩৩২) নজরুল 'বাঁকুড়া যুব ও ছাত্র সমাজ' এবং 'গঙ্গাজল ঘাটী জাতীয়
বিদ্যালয়' কমিটির পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে বাঁকুড়া
সফরে যান। তিনি নজরুল প্রথমে গঙ্গাজল ঘাটি জাতীয় বিদ্যালয়টির উদ্বোধন করেন। এই বিদ্যালয়টি
গড়ে উঠেছিল স্থানীয়
অমর নামক এক স্বেচ্ছাসেবকের অক্লান্ত পরিশ্রমে। স্কুল
প্রতিষ্ঠার পর তিনি বিদ্যালয়ের আশ্রমেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। প্রতিষ্ঠাতা অমরের
নামানুযায়ী বিদ্যালয়টির নাম হয় 'অমর কানন'। বীর অমরের কীর্তিকলাপ শুনে কবি খুবই
অনুপ্রাণিত এবং অভিভূত হয়ে পড়েন। এই বিদ্যালয়ের উদ্বোধন-সঙ্গীত হিসেবে নজরুল রচনা
করেছিলেন 'অমর কানন মোদের অমর কানন' গানটি। তিনি এই অনুষ্ঠানে গানটি নিজেই গেয়েছিল।
প্রথম প্রকাশ: সাপ্তাহিক
'বিজলী'
[শ্রাবণ ১৩৩২ বঙ্গাব্দ
(জুলাই-আগষ্ট ১৯২৫)
।
নজরুলের বয়স: ২৬ বৎসর ১ মাস।
১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দের ২২ সেপ্টেম্বর
(সোমবার, ৬ আশ্বিন ১৩৩২) মাসে প্রকাশিত হয়েছিল নজরুলের
ষষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ 'ছায়ানট। প্রথম সংস্করণে প্রকাশকাল মুদ্রিত হয় নি। বেঙ্গল লাইব্রেরির তালিকা থেকে জানা যায়
গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছিল- ২২ সেপ্টেম্বর ১৯২৫। প্রকাশক শ্রীব্রজবিহারী বর্ম্মণ রায়/বর্ম্মণ পাবলিশিং হাউস/১৩৯ কর্ণওয়ালিশ
ষ্ট্রীট-কলিকাতা। গ্রন্থটি প্রিন্টার হিসেবে উল্লেখ ছিল-' শ্রীশশিভূষণ পাল-মেট্কাফ্-প্রেস্
১৫ নং নয়নচাঁদ দত্তের ষ্ট্রীট, কলিকাতা'। মূল্য ছিল পাঁচ সিকা। পৃষ্ঠা সংখ্যা ১০০।
গ্রন্থটিতে মোট ৫০টি কবিতা ও স্থান পেয়েছিল। এই গ্রন্থের
অন্তর্গত সকল গান পূর্বেই পত্রিকান্তরে প্রকাশিত হয়েছিল।
১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দের
অক্টোবর
(আশ্বিন ১৩৩২)
মাসে নজরুলের সপ্তম কাব্যগ্রন্থ
পূবের হাওয়া
প্রকাশিত হয়েছিল। প্রকাশক মজিবল হক, বি,কম্, ভোলা বরিশাল। প্রিন্টার্স: মজিবল হক, বি,কম্। ওরিয়েন্টাল প্রিন্টার্স
লিমিটেড, ২৬/৯/১এ, হ্যারিসন রোড, কলিকাতা। পৃষ্ঠা: ৮+৫০। দাম পাঁচ সিকা।
এই গ্রন্থে মোট ১১টি গান অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এর ভিতরে নতুন গান ছিল ৫টি।
রচনার স্থান ও কাল: অজ্ঞাত।
প্রথম প্রকাশ:
পূবের হাওয়া। অক্টোবর ১৯২৫
(আশ্বিন ১৩৩২)।
শিরোনাম: হোলি
নজরুলের বয়স: ২৬ বৎসর ৪ মাস।
রচনার স্থান ও কাল: অজ্ঞাত।
প্রথম প্রকাশ:
পূবের হাওয়া। অক্টোবর ১৯২৫
(আশ্বিন ১৩৩২)।
শিরোনাম:
বে-শরম
নজরুলের বয়স: ২৬ বৎসর ৪ মাস।
রচনার স্থান ও কাল: অজ্ঞাত।
প্রথম প্রকাশ:
পূবের হাওয়া। অক্টোবর ১৯২৫
(আশ্বিন ১৩৩২)।
শিরোনাম:
সোহাগ
নজরুলের বয়স: ২৬ বৎসর ৪ মাস।
রচনার স্থান ও কাল: অজ্ঞাত।
প্রথম প্রকাশ:
পূবের হাওয়া। অক্টোবর ১৯২৫
(আশ্বিন ১৩৩২)।
শিরোনাম:
শরাবন তহুরা
নজরুলের বয়স: ২৬ বৎসর ৪ মাস।
রচনার স্থান ও কাল: হুগলি।
কার্তিক ১৩৩২
প্রথম প্রকাশ:
সিন্ধু-হিন্দোল। প্রথম সংস্করণ [ জুলাই
১৯২৭ (শ্রাবণ ১৩৩৪) শিরোনাম:
পথের স্মৃতি।
নজরুলের বয়স: ২৬ বৎসর ৫ মাস।
রচনার স্থান ও কাল: হুগলি।
অগ্রহায়ণ ১৩৩২।
প্রথম প্রকাশ:
সর্বহারা।
প্রথম সংস্করণ
[২৫ অক্টোবর ১৯২৬
(৮ কার্তিক ১৩৩৩)। শিরোনাম 'কৃষাণের গান'
নজরুলের বয়স: ২৬ বৎসর ৬ মাস।
রচনার স্থান ও কাল: কৃষ্ণনগর/২০শে মাঘ ১৩৩২।
উল্লেখ্য, ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দের
৬-৭
ফেব্রুয়ারি (২৩-২৪ মাঘ ১৩৩২), কৃষ্ণনগরে অনুষ্ঠিত নিখিল বঙ্গীয় প্রজা সম্মেলন
অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানের জন্য নজরুল একটি গান রচনা করেছিলেন। গানটি হলো-
প্রথম প্রকাশ:
লাঙল
[৬ই ফাল্গুন ১৩৩২।
বৃহস্পতিবার ১৮ ই ফেব্রুয়ারি
১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দ। শ্রমিকের গান। পৃষ্ঠা: ৩-৪।]
নজরুলের বয়স: ২৬ বৎসর
৯ মাস
রচনার স্থান ও কাল:
কৃষ্ণনগর। ২৪শে ফাল্গুন ১৩৩২ (৮ মার্চ
১৯২৬)। গানটি মাদারীপুরে আয়োজিত
'নিখিল বঙ্গীয় প্রজা সম্মেলন'-এর অনুষ্ঠানের আগেই এই অনুষ্ঠানের জন্য কৃষ্ণনগরে রচনা করেছিলেন।
প্রথম প্রকাশ: লাঙল।
প্রথম খণ্ড। দ্বাদশ সংখ্যা। ৪ঠা চৈত্র ১৩৩২ বঙ্গাব্দ (বৃহস্পতিবার,
১৮ মার্চ ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে)
নজরুলের বয়স: ২৬ বৎসর
১০ মাস
রচনার স্থান ও কাল:
মাদারিপুর ২৯শে ফাল্গুন ১৩৩২। উল্লেখ্য,
১৩৩২ বঙ্গাব্দের
২৯ শে ফাল্গুন [শনিবার, ১৩ই মার্চ ১৩৩২] মাদারীপুরে আয়োজিত "নিখিল বঙ্গীয় ও আসাম প্রদেশীয় মৎসজীবী সম্মিলনী'-এ
নজরুল যোগদান করেন। মাদারিপুরে অবস্থানকালে, নজরুল কুমিল্লার রাজনৈতিক নেতা বসন্তকুমারের স্ত্রী হেমপ্রভা মজুমদারের
উদ্দেশ্যে এই গানটি রচনা করেছিলেন।
এই গানটিতে তিনি হেমপ্রভা মজুমদারকে'-কে জ্যোতির্ময়ী
মাতৃরূপে বন্দনা করেছেন। এই গানে কবির এই প্রত্যাশা রেখেছেন- হেমপ্রভা যেন চাঁদ
সুলতানার মতো আবির্ভূত হয়ে স্বদেশকে মুক্ত করেন।
নজরুলের বয়স: ২৬ বৎসর
১০ মাস
রচনার স্থান ও কাল:
অজ্ঞাত
প্রথম প্রকাশ:
ঝিঙেফুল। এপ্রিল ১৯২৬
(চৈত্র-বৈশাখ ১৩৩৩)। শিরোনাম:
খাঁদু দাদু
নজরুলের বয়স: ২৬ বৎসর
১০-১১ মাস
রচনার স্থান ও কাল:
কৃষ্ণনগর, ১৯ মে ১৯২৬ (বুধবার ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৩)।
উল্লেখ্য'
১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দের ২২ ও ২৩ মে (৭ ও ৮ জ্যৈষ্ঠ)
নদীয়ার কৃষ্ণনগরে 'ছাত্র ও যুব-সম্মলেনের' অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী সঙ্গীত হিসেবে কবি স্বকণ্ঠে এই গানটি পরিবেশন করেন। ধারণা করা হয়, 'ছাত্র ও যুব-সম্মলেনের' জন্য কবি এই গানটি রচনা করেছিলেন।
এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ২৬ বৎসর ১১ মাস।
প্রথম প্রকাশ:
সর্বহারা।
প্রথম সংস্করণ [২৫ অক্টোবর ১৯২৬ (৮ কার্তিক ১৩৩৩)। শিরোনাম:
ছাত্রদলের গান
নজরুলের বয়স: ২৬ বৎসর
১১ মাস
রচনার স্থান ও কাল:
কৃষ্ণনগর, ২০ মে ১৯২৬ (বৃহস্পতিবার
৬ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৩)।
উল্লেখ্য, কলকাতায় সংঘটিত হিন্দু-মুসলমানের দাঙ্গায় শঙ্কিত হয়ে এবং এর কুফল নিয়ে কাণ্ডারী
হুঁসিয়ারী শিরোনামে এই গানটি রচনা করেছিলেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া
যায়- মুজফ্ফর আহমেদের রচিত 'কাজী নজরুল প্রসঙ্গ', প্রাণতোষ চট্টোপাধ্যায়ের 'কাজী
নজরুল' সৌমেন্দ্র ঠাকুরের 'যাত্রী' গ্রন্থে।
প্রথম প্রকাশ: ভারতী [৫০ বর্ষ ২য় সংখ্যা, জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ। সাময়িক প্রসঙ্গ, কাজী নজরুল ইসলাম। কাণ্ডারী হুসিয়ার। পৃষ্ঠা: ৩৬৬]
[নমুনা]
নজরুলের বয়স: ২৬ বৎসর
১১ মাস
সূত্র: