|
মানবদেহের বাহ্যিক অংশের পরিচয় |
উপশ্রেণি হিসেবে নারী'র পরিচয় দৈহিক বৈশিষ্ট্যই প্রাধান্য পায়। শৈশব দশায়
শিশুকন্যার দৈহিক বৈশিষ্ট্যের পূর্ণরূপ পাওয়া যায় না, আবার বৃদ্ধাবস্থায় নারীর সকল
দৈহিক কার্যক্রম পাওয়া যায় না। নারীয় দৈহিক বৈশিষ্ট্যের বিচার করা হয়, বাহ্যিক ও
অভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্যের বিচারে। শিশু অবস্থায় কন্যাসন্তানকে দৃশ্যত যৌনাঙ্গের (যোনী)
বিচারে চিহ্নিত করা হয়। প্রাপ্তবয়স্কা নারীর ক্ষেত্রে এই তালিকায় যুক্ত হয়- স্ফীত
স্তন। আদিম জনসমাজে নগ্ননারীর পরিচিত বহন করতো মূলত বিকশিত স্তন। পোশাকে ঢাকা নারী
শরীরে বিকশিত স্তন আবরিত থাকলেও নারীর কমনীয় মুখাবয়ব, দৈহিক রূপরেখা (অপেক্ষাকৃত সরু
কোমর, গুরু নিতম্ব), দীর্ঘ কেশরাশি ইত্যাদিকে নারীকে পৃথকভাবে চিহ্নিত করা যায়। বিশেষার্থাক সমার্থক শব্দাবলি
প্রাপ্তবয়স্কা
সাবালিকা (woman,
adult female):
প্রাপ্তবয়স্কা নারী।
প্রাপ্তবয়স্কা, বালিকা, সাবালিকা
নাবালিকা
কন্যাসন্তান যখন প্রাপ্ত বয়ষ্ক হয়ে ওঠে, তখন তার শরীরের গঠন এবং শারীরীক কার্যক্রম
পুরুষদের চেয়ে ভিন্নতর হয়ে যায়। যেমন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের পেলভিস ও নিতম্ব চওড়া এবং স্তন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের তুলনায় বড় হয়ে থাকে। মহিলাদের মুখের এবং অন্যান্য শরীরের লোম উল্লেখযোগ্যভাবে কম হয়, শরীরে চর্বি বেশি থাকে এবং পুরুষদের তুলনায় গড় উচ্চতা কম হয় এবং শরীররে পেশি কম থাকে।
নারীত্ব: এই শব্দের দ্বারা মূলত নৃজাতির উপশ্রেণীর হিসেবে নারী পূর্ণরূপকে
বুঝানো হয়। প্রাপ্ত বয়স্ক নারীর দৈহিক ও মানিসিক স্থিতিশীল দশায় যে আদর্শিক
ব্যক্তিত্ব প্রকাশিত হয়, তাই নারীত্ব। একে সাধারণভাবে নারীর প্রাপ্তবয়স্কতা বুঝানো।
মূলত নারীত্ব হলো প্রাপ্তবয়স্ক এবং প্রাপ্তমনস্কের সমন্বিত রূপ। ভৌগোলিক
পরিবেশ ও নৃগোষ্ঠীর ভিন্নতার কারণে নারীত্বের স্থিতিশীল দশা একই বয়সে হয় না।
বিভিন্ন দেশে আইন করে নারীত্বের বয়স ধরা হয়েছে ১৮ বৎসর। মূলত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে
৯-১০ বৎসরের দিকে মেয়েদের আদ্য-ঋতু দর্শনের মধ্য দিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার যাত্রা
শুরু করে। এই সময় নারী সন্তন ধারণের উপযোগী হয়ে উঠলেও শরীরে অন্যান্য অংশের
পূর্ণাঙ্গ বিকাশ ঘটে না। মানসিকভাবে সে সন্ধান ধারণ, প্রসব এবং সন্তান লালনের মতো
বিষয়গুলো সম্পর্কে প্রস্তুত থাকে। শারীর বিজ্ঞানীদের মতে সার্বিকভাবে সে উপযুক্ত হয়ে
ওঠে ১৮ বৎসর থেকে। নারীদেহ স্থিতশীল দশায় পৌঁছানোর আগে
পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসরণের ফলে শরীরের পরিপক্কতার
দিক অগ্রসর হয়। এর ফলে নারীয় প্রজনতন্ত্রে অঙ্গ (যোনী, জরায়ু, স্তন) উপযুক্ত হয়ে ওঠে।
এই সময় নারীর উচ্চতা, ওজন শক্তি বৃদ্ধি পায়। সব মিলিয়ে নারী তার কাজের জন্য
দৈহিক সক্ষমতা অর্জন করে। মস্তিষ্কের পূর্ণবিকাশের মাধ্যমে তার মধ্যে বুদ্ধিমত্তা
সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটে।
এই সময় নারী বিপরীত লিঙ্গ তথা পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং পুরুষকে আকৃষ্ট করতে
সক্ষম হয়। প্রাকৃতিক বিধিতে প্রজননের মাধ্যমে প্রজাতিকে রক্ষা করার একটি কৌশল হলো
সঙ্গম। তাই সহজাত আকর্ষণ এবং মিলনের ফাঁদের ফেলে প্রকৃতি তার প্রজাতিকে রক্ষা করার
লক্ষ পূরণ করে নেয়।
নারীর নামগত শ্রেণিকরণ
নারীর বয়স, সামাজিক সম্পর্ক, পেশাগত অবস্থান ইত্যাদির বিচারে নারীকে নানা উপনামে
অভিহিত করা হয়। অভিধানে সাধারণভাবে নারী শব্দের সমার্থক শব্দ পাওয়া যায়। কিন্তু
বিশেষার্থে এই নামগুলো যথার্থ সমার্থক নয়।
এই বিচারে এই শব্দটির শ্রেণিকরণে প্রাথমিকভাবে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। ভাগ দুটি হলো-
সাধারণ সমার্থক শব্দাবলি এবং বিশেষার্থক সমার্থক শব্দাবলি।
অওরত.
অওরৎ,
অঙ্গনা,
অঙ্গনাজন,
অন্তঃপুরচারিণী,
অন্তঃপুরবাসিনী,
অন্তঃপুরিকা,
অবলা,
অবলাজাতি,
আউরত,
আওরত,
আওরৎ,
ঔরৎ,
কামিনী,
জানানা,
জেনানা,
নারী,
বনিতা,
বামা,
মহিলা,
মানবী,
মাইয়া,
মানুষী,
মেয়ে,
মেয়েছেল,
মেয়েমানুষ,
মেয়েলোক,
যোষা,
যোষিৎ,
যোষিতা,
ললনা,
শর্বরী,
স্ত্রী
স্ত্রীজন,
স্ত্রীলোক
ইংরেজি: female, female person
যৌন সঙ্গিনী:
ধর্ম ও সামাজিক বিধিতে বৈধ:
বৈবাহিক অবস্থা
অবিবাহিতা (bachelor, unmarried woman): বিবাহ করে নি এমন নারী।
অবিবাহিতা, কুমারী।
বিবাহিতা (wife, married woman): বিবাহ হয়েছে এমন নারী।
সধবা (a married woman whose husband is still alive): স্বামী জীবিত আছে এমন নারী।
তালাকপ্রাপ্তা (divorcee, grass widow): যে নারীকে স্বামী তালাক দিয়েছে বা নারী নিজেই স্বামীকে তালাক দিয়েছে।
বিধবা:
বিবাহের জন্য নির্বাচিত নারী: কনে, পাত্রী
স্ত্রী: অওরত. অওরৎ, আউরত, আওরত, আওরৎ, ঔরৎ, জানানা, জেনানা, পত্নী, বউ, বধূ, বহু, বামা, বৌ, ভার্যা , সহধর্মচারিণী, সহধর্মিণী, সীমন্তিনী, স্ত্রী
মা বা মাতৃসমা: মা, মাতা, খালা, খালাম্মা, মাসি, মাসিমা, ফুফু. ফুফু-আম্মা, পিসি, পিসিমা।
অবৈধ সম্পর্ক অর্থে: উপপত্নী, কসবী, কুচনী, কুটুনী, খানকি গণিকা, গণেরু, গণেরুকা, ছিনাল, ছেনাল, দেহোপজীবিনী, নগরনটী, নগরনটিনী, নটী, নটিনী, পতিতা, পণ্যাঙ্গনা, বারনারী, বারবণিতা, বারবধূ, বারবিলাসিনী, বারযোষিৎ, বারস্ত্রী, বেশ্যা, রক্ষিতা, রূপোপজীবিনী, রূপজীবা, হট্টবিলাসিনী।
কল্যাণী অর্থে: অঙ্গনা অঙ্গনাজন।
অঙ্গসৌষ্ঠববতী নারী, সুদর্শনা নারী অর্থে: কামিনী,সুন্দরী।
যৌনকামনা আগ্রহী:
কামিনী,
সামাজিক সম্পর্কগত নাম: খালা. পিসি, মা,
যৌনাচারের উপযুক্ত: রমণী