রত্ন
ইংরেজি :
gemstone, gem, precious stone, jewel।
রত্ন হলো এমন এক ধরনের কঠিন পদার্থ, যার ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধির জন্য কাটা হয় বা পালিশ
করা হয়। প্রকৃতিতে এই জাতীয় পদার্থ চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত কম থাকায় এগুলো মূল্যবান
উপকরণ হিসাবে পরিচিত। রত্ন কোনো কোনো ধাতব উপকরণের সাথে শরীরে ধারণ করা হয়।
অলঙ্কারের সাথে রত্ন ধারণের জন্য স্বর্ণ বা রৌপ্য ব্যবহার করা হয়। কিন্তু
জ্যোতিষশাস্ত্রে রত্ন ধারণের জন্য লোহা, তামা অষ্টধাতু প্রভৃতি ব্যবহার করা হয়।
রত্নের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে, হাতের আঙুলে ব্যবহৃত আংটির সাথে। ব্যবহারের
বিচারে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কণ্ঠহার। কণ্ঠদেশে বেষ্টনকারী ঝুলন্ত অলঙ্কারে লকেটে
রত্ন ব্যবহারের চলও আছে। অতি মূল্যবান উপকরণ হিসাবে শিরোদেশে মুকুটের সাথে রত্ন
ধারণ করা হয়।
রত্নের উৎস ও উপকরণের বিচারে তিন ভাগে ভাগ
করা হয়। ভাগ তিনটি হলো-
১. খনিজ রত্ন : এই জাতীয় রত্ন খনি থেকে বা প্রাকৃতিক উৎস (নদী, ঝর্না) থেকে পাওয়া
যায়। যেমন : হীরক।
২. জৈব রত্ন : প্রাণী বা উদ্ভিদের দেহজাত রত্ন।
২.১. প্রাণিজ রত্ন : কোনো না কোনো প্রাণীর দেহ নিঃসৃত উপকরণ
হিসাবে পাওয়া যায়। যেমন : মুক্তা।
২.২ উদ্ভিজ রত্ন : উদ্ভিদ থেকে উৎপন্ন রত্ন। যেমন : সৌগন্ধিক (amber)।
এছাড়া প্রাকৃতিক রত্নকে ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হয়। একে বলা হয় কৃত্রিম রত্ন। যেমন :
কৃত্রিম হীরা।
রত্নের তালিকা
খনিজ রত্ন
গোমেদ
(Jacinth)
পুলক (Gernet)
পোরজমণি (Peridot)
স্ফটিক (Crystal)
বৈদূর্য
(Beryl)
পান্না
(Emerald)
ইন্দ্রগোপমণি
(Chrysoberyl)
স্ফটিকমণি
(Quartz)
শ্বেতাভমণি
(chalcedony)
অকিক (agate)
জ্যোতিরস
(Blood
Stone)
পরেশমণি
(Onyx)
জেড পান্না (Adventurine
Quartz)
গিরিবজ্র
(Opal)
পাথর স্ফটিক
(Rock
Crystal)
কোরান্ডাম
(Corundum)
স্যাফায়ার (Sapphire)
নীলা
(Blue
sapphaire)
টোপাজ
(Topaz)
হীরক
(Diamond)
জৈব রত্ন
উদ্ভিজ রত্ন
সৌগন্ধিক [Amber]