বিষ্ণুপুরী ঘরানা
এই ঘরানার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন পণ্ডিত রামশঙ্কর ভট্টাচার্য (১৭৬১-১৮৫৩)। ভারত প্রজাতন্ত্রের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের  বাঁকুড়া জেলার অন্তর্গত বিষ্ণুপুরে, তাঁর নিজগ্রামের নামানুসারে এই ঘরানার নামকরণ হয়েছে।

রামশঙ্কর ভট্টাচার্যের  সঙ্গীতগুরু এবং সঙ্গীতশিক্ষা নিয়ে নানা মত আছে। বিভিন্ন সূত্রে থেকে যতটুকু জানা যায়, তিনি তাঁর নিজ এলাকা ছেড়ে অন্য কোথাও গিয়ে সঙ্গীতের তালিম নেন নি। তাঁর সঙ্গীতশিক্ষা এবং পরিবেশনার একটি স্থান ছিল- বিষ্ণুপুরের, মল্লরাজবংশের রাজা চৈতন্যসিংহের রাজদরবার।

শেষ জীবনে তিনি  আবাসিক ব্যবস্থায় শিষ্যদের গান শেখানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। এই সূত্রে তিনি বেশ কিছু গুণী শিষ্য তৈরি করে যান। এঁদের ভিতরে উল্লেখযোগ্য ছিলেন— ক্ষেত্রমোহন গোস্বামী, যদুভট্ট, অনন্তলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, কেশবলাল ভট্টাচার্য প্রমুখ। তাঁর পুত্র মাধব ভট্টাচার্য প্রখ্যাত বীণাকার ছিলেন। মূলত এঁদের মাধ্যমেই এই ঘরানা প্রতিষ্ঠা পায়।

যদিও এই ঘরানায় সঙ্গীতের সুর ও তালের বিশেষ শৈলী সৃষ্টি হয়েছিল। তবে এই ঘরানা বিশেষভাবে শ্রদ্ধ অর্জন করেছিল ধ্রুপদ সুরাঙ্গের ক্ষেত্রে। যতদূর জানা যায়, এই ঘরানার ধ্রুপদের আগে বঙ্গদেশে ধ্রুপদের তেমন চল ছিল না। বাংলা ধ্রুপদ ও অন্যান্য ধ্রুপদাঙ্গের গানে বিষ্ণুপুরী ঘরানার প্রভাব পড়েছিল ব্যাপকভাবে।

বিষ্ণুপুরের প্রাক্-বিষ্ণুপুরী ঘরানা-কাল
বিষ্ণুপুরের সঙ্গীত-সাহিত্যের চর্চার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বাংলা সাহিত্যের ক্রমবিকাশের ধারায়, বিদ্যাপতি'র পরবর্তী কবি হিসেবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন -এর রচয়িতা বড়ু চণ্ডীদাসকে ধরা হয়। আনুমানিক ১৩৭০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। সম্ভবত ১৪৩৩ খ্রিষ্টাব্দের দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ধারণা করা হয়, তাঁর আসল নাম ছিল অনন্ত এবং কৌলিক উপাধি বড়ু, গুরুপ্রদত্ত নাম চণ্ডীদাস। চণ্ডীদাস নামে একাধিক কবির নাম পাওয়া যায়। বড়ু চণ্ডীদাস, দ্বিজ চণ্ডীদাস, দীন চণ্ডীদাস ও চণ্ডীদাস। তবে বিভিন্ন গবেষকদের মতে বড়ু চণ্ডীদাস শ্রীকৃষ্ণচরিতের রচয়িতা।

১৩১৬ বঙ্গাব্দে (১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ) বসন্তরঞ্জন রায় বাঁকুড়া জেলা থেকে বড়ুচণ্ডীদাসের ভণিতায় একটি পুথি আবিষ্কার করেন। বাংলা সাহিত্যে এই গ্রন্থটিই শ্রীকৃষ্ণকীর্তন নামে খ্যাত। উল্লেখ্য, এই গ্রন্থটি বন-বিষ্ণুপুরের নিকটবর্তী কাঁকিল্যা নিবাসী দেবেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের কাছে ছিল। এই গ্রন্থটি ১৩২৩ বঙ্গাব্দে কলকাতা বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রকাশিত হয়।

শ্রীচৈতন্য (১৪৮৬ - ১৫৩৩) সময়ে বঙ্গদেশে বৈষ্ণব-ধর্মী ভক্তিবাদ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। তাঁর মৃত্যুর পর বৈষ্ণব সমাজ কিছুকাল স্তিমিত হয়ে পড়ে। ষোড়শ শতাব্দীতে পুনর্জীবিত হয়েছিল- তাঁর শিষ্যদের মাধ্যমে। বিশেষ করে শ্রীনিবাস আচার্য ঠাকুরের পরবর্তীকালে মল্লরাজবংশ ৪৯তম মল্লরাজ হাম্বীর মল্লদেবকে বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষা দেন।

শ্রীচৈতন্যের সময়ে নবদ্বীপে নামকীর্তনের প্রসার ঘটেছিল। নবধারায় শাস্ত্রীয় কীর্তনের প্রসার ঘটেছিল শ্রীনিবাস ও তাঁর বন্ধু নরোত্তম ঠাকুরের মাধ্যমে। উল্লেখ্য, নরোত্তম ঠাকুর বৃন্দাবনে অবস্থানকালে তানসেনের গুরু হরিদাস স্বামীর কাছে প্রায় ছয় সাত বছর ধরে ধ্রুপদ শিক্ষা করেন। কথিত আছে, গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের প্রচারের জন্য বৃন্দাবন থেকে  শ্রীনিবাস, নরোত্তম ও শ্যামানন্দ রওনা হয়েছিলেন। সাথে ছিল বৈষ্ণব ধর্মবিষয়ক কীর্ত্তন ও কথকতার পুঁথি। বিষ্ণুপুরের কাছে গোপালপুরে এই পুঁথি চুরি হয়ে যায়। পরে সে পুঁথি মল্লরাজ বীর হাম্বির উদ্ধার করে, আচার্য শ্রীনিবাসকে প্রত্যর্পন করেন। আচার্য শ্রীনিবাস রাজা বীর হাম্বিরকে বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষা দেন ও বিষ্ণুপুরে থেকে যান। এই সময় গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার ও প্রসারের জন্য বিষ্ণুপুরে কীর্তন ও কথকতার ব্যাপক চর্চা শুরু হয়। এই সময় নরোত্তম দাসের শাস্ত্রীয় কীর্তন বিষ্ণুপুরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এর ভিতর দিয়ে সাধারণ মানুষের ভিতরে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সুর-শৈলীর সৌন্দর্যবোধ জাগ্রত হয়েছিল।

বিষ্ণুপুরে শাস্ত্রী সঙ্গীতের এই ধারাকে ব্যবহত করেছিল মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে (১৬৫৯-১৭০৭) ইসলাম ধর্মের দোহাই দিয়ে আওরঙ্গজেব সঙ্গীতচর্চাকে প্রায় নিষিদ্ধ করে তুলেছিলেন। এর প্রভাবে সঙ্গীতশিল্পী তাঁর দরবার ছেড়ে চলে যান। কথিত আছে, তানসেনর বংশধর ওস্তাদ বাহাদুর খান এবং মৃদঙ্গ বাদক পীর বক্স এসময় দিল্লীর দরবার ছেড়ে চলে বিষ্ণুপুরে চলে এসেছিলেন। তাঁকে আশ্রয় দিয়েছিলেন তৎকালীন মল্লরাজবংশের ৫১তম রাজা দ্বিতীয় রঘুনাথ সিংহ দেব (১৭০২-১৭১২)। তিনি মল্লরাজার দরবারে তিনি সভাগায়ক হিসেবে নিযুক্ত হন। এই সময় থেকে বিষ্ণুপুর রাজদরবারে ধ্রুপদের প্রচলন হয়। তবে ওস্তাদ বাহাদুর খানের কোনো শিষ্যের নাম পাওয়া যায় না। বাহাদুর খাঁ কতদিন বিষ্ণুপুরে ছিলেন তাও জানা যায় না। ফলে এই সঙ্গীতগুরুর সাঙ্গীতিক প্রভাব বিষ্ণুপুরে তেমন প্রভাব ফেলতে পারে নি।

বিষ্ণুপুরে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের নবতর ধারার সূচনা হয়েছিল পণ্ডিত রামশঙ্কর ভট্টাচার্যের মাধ্যমে। আনুমানিক ১৭৬১ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার অন্তর্গত বিষ্ণুপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা গদাধর ভট্টাচার্য ছিলেন বিষ্ণপুর মহারাজার রাজসভার পণ্ডিত। সঙ্গীতের প্রাথমিক পাঠ গ্রহণ করেছিলেন, পিতা গদাধরের কাছে। তবে উচ্চতর শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পাঠের সুযোগ ঘটেছিল জনৈক 'পণ্ডিতজী'র মাধ্যমে। এ বিষয়ে একটি গল্প প্রচলিত আছে। ঘটনাটি ঘটে ঘটেছিল ১৭৮১-৮২ খ্রিষ্টাব্দের দিকে। কথিত আছে এই সময়ে আগ্রা-মথুরা অঞ্চলের এক সঙ্গীত গুরু তাঁর শিষ্যদের নিয়ে পুরীধামে যাচ্ছিলেন। এই সময় পথে দস্যুদের আক্রমণের ভয়ে এঁরা বিষ্ণুপুরে আসেন। এই সময় বিষ্ণুপুরের রাজা ছিলেন মল্লরাজবংশের ৫৬তম রাজা চৈতন্য সিংহ দেব (১৭৪৮-১৮০১)। রাজা চৈতন্যসিংহ এঁদেরকে রাজদরবারের আমন্ত্রণ করেন। রাজা তাঁকে সভায় গান করার জন্য অনুরোধ করলে, তিনি পুরীতে গিয়ে পুরুষোত্তমকে গান না শুনিয়ে গান করবেন না এমন প্রতীজ্ঞার কথা জানান। তারপরেও রাজার বিশেষ অনুরোধে তিনি গান করেন। এরপর আগ্রার এই শিল্পী পুরীতে চলে চান। তবে তিনি রাজার কাছে অঙ্গীকার করেন যে, তিনি ফেরার পথে রাজসভায় আবার গান শোনাবেন। রাজসভার এই গান শুনেই রামশঙ্কর অত্যন্ত মোহিত হয়ে পড়েন এবং এই গান শেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেন। সভায় যা শুনেছিলেন, তার উপর ভিত্তি করে তিনি সঙ্গোপনে সঙ্গীতশিক্ষা শুরু করেন। রাজার অনুরোধ রক্ষার জন্য আগ্রার শিল্পী পুরী থেকে ফেরার পথে বিষ্ণুপুরে আসেন। এবারে এই শিল্পী আসরে গান শুরুর আগে, রামশঙ্কর গান করার জন্য তাঁর পিতা গদাধরের কাছে অনুরোধ করলেন। গদাধর এই প্রস্তাব অগ্রাহ্য করলে, রামশঙ্কর বারবার তাঁকে উত্যক্ত করতে থাকেন। একসময় গদাধর অতীষ্ট হয়ে রাজার কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেন। রাজা সব শুনে রামশঙ্করকে গান করার অনুমতি দিলেন। পুত্রের গান সম্পর্কে তিনি এতটাই অজ্ঞ ছিলেন যে, রামশঙ্করের গান করার সময় তিনি সভা ত্যাগ করে চলে গিয়েছিলেন। যথাসময়ে রামশঙ্কর গান করলেন এবং শ্রোতাদের মুগ্ধ করতে সক্ষম হলেন। বিশেষ করে আগ্রার ওই শিল্পী বিশেষভাবে প্রশংসা করলেন। ওই শিল্পী বিষ্ণুপুরে কিছুদিন কাটান এবং তাঁর কাছে রামশঙ্কর গানের তালিম নেওয়া শুরু করেন। এরপর ওই গায়ক বিষ্ণুপুর ত্যাগ করলে, রামশঙ্কর বিষ্ণুপুর রাজসভার তিনি সঙ্গীত আচার্য পদ লাভ করেন। এই সময় বিষ্ণুপুরের রাজা চৈতন্যসিংহ তাঁকে ভূমি দান করে আর্থিক অভাব মোচনের ব্যবস্থা করে দেন। উল্লেখ্য রামশঙ্করের পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, ওই সঙ্গীতশিক্ষকে রামশঙ্কর 'পণ্ডিতজী' নামে সম্বোধন করতেন। এই পণ্ডিতজীর কাছ থেকে তিনি ধ্রুপদের পাঠ নিয়েছিলেন। পরে তিনি হিন্দুস্থানী ভাষা ত্যাগ করে বাংলাতে ধ্রুপদ রচনা করেন এবং তা তাঁর শিষ্যদের শেখান। মূলত তাঁর সূত্রেই ভারতবর্ষের রাগসঙ্গীত জগতে বিষ্ণুপুরে ঘরানার সৃষ্টি হয়েছিল।

রামশঙ্কর ভট্টাচার্যের(১৭৬১-১৮৫৩) পর গুরু-শিষ্য পরম্পরায় এই ঘরানা আবর্তিত হয়েছে। মূলত রাগ রূপায়নে এই ঘরানা স্বতন্ত্র রূপ লাভ করেছে। রাগের এই বিশেষ রূপের উপর ভিত্তি করে চর্চিত হয়েছে কণ্ঠসংগীতের ধ্রুপদ, ধামার, তারানা, খেয়াল, ত্রিবট, চতুরঙ্গ, টপ্পা, ঠুংরি গানে। আবার রাগের এই বিশেষ রূপের কারণেই যন্ত্রসংগীতে বীণা, সুরবাহার, সেতার, এস্রাজ, জলতরঙ্গ, ন্যাসতরঙ্গের বাদনশৈলীতে বিশিষ্ট রূপ ফুটে ওঠেছে। তালসঙ্গতের ক্ষেত্রে মৃদঙ্গ বা পাখোয়াজের বোল-বাণী ও ছন্দ বিভাজনও স্বতন্ত্র রূপ লাভ করেছে।

রামশঙ্কর ভট্টাচার্য্যের শিষ্যদের মধ্যে ছিলেন পুত্র রামকেশব ভট্টাচার্য্য,  ক্ষেত্রমোহন গোস্বামী, যদুভট্ট, অনন্তলাল বন্দোপাধ্যায় প্রমখ। রামশঙ্কর বিষ্ণুপুরে অবস্থান করলেও তার শিষ্যরা ক্রমে বাংলার নানা স্থানে ছড়িয়ে পড়েন।

বিষ্ণুপুর ঘরানার গান সর্বপ্রথম বিষ্ণুপুরের বাইরে আনেন- ক্ষেত্রমোহন গোস্বামী (১৮২৩-১৮৯৩)। পাথুরিয়াঘাটায় মহারাজা যতীন্দ্রমোহন তাঁর সঙ্গীতসভায় ক্ষেত্রমোহন গোস্বামীকে গায়ক নিযুক্ত করেন। এখানে তিনি বীণাবাদক লক্ষ্মীকান্ত মিশ্রের কাছে সঙ্গীতের পাঠ নেন। ক্ষেত্রমোহন গোস্বামীর শিষ্যদের শৌরীন্দ্রমোহন ঠাকুর, কালীপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কৃষ্ণধন বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ সুনাম অর্জন করেছিলেন ।

১৮৬৭ খ্রিষ্টাব্দে ক্ষেত্রমোহন গোস্বামী এবং তাঁর গুরু লক্ষ্মীকান্ত মিশ্রের উদ্যোগে কলকাতায় একটি সঙ্গীতসভা আয়োজিত হয়। এখানে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গীতগুণীরা সঙ্গীত বিষয়ে নিজ নিজ অভিমত প্রকাশ করেন। এইসব মতের সমন্বয় ঘটিয়ে ক্ষেত্রমোহন তাঁর ' সঙ্গীতসার ' নামক গবেষণামূলক গ্রন্থ রচনা করেন। মূলত এই গ্রন্থে তিনি ভারতীয় রাগগুলিকে সূত্রবদ্ধ করেছিলেন।

রামশঙ্কর ভট্টাচার্যের অপর শিষ্য যদুভট্ট (যদুনাথ ভট্টাচার্য)‘তানরাজ’ ‘রঙ্গনাথ’ উপাধি লাভ করেছিলেন। তাঁর ধ্রুপদ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সদস্যরা। বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথ ধ্রুপদাঙ্গের গানে যদুভট্টের প্রভাব ছিল। যদুভট্ট সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের মতে ‘এরকম ওস্তাদ বাংলাদেশে জন্মায়নি’।

রামশঙ্কর ভট্টাচার্যের শিষ্য অনন্তলাল বন্দোপাধ্যায়ের সূত্রে এই ঘরানার সঙ্গীতকে উৎকৃষ্টরে পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর তিন পুত্র রামপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায়, গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এঁদের শিষ্যরা।

গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুযোগ্য শিষ্য সত্যকিঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধারায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি বাংলা ভাষায় রচিত খেয়াল গানে প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন।

অনন্তলাল বন্দোপাধ্যায়ের অন্যতম শিষ্য রাধিকাপ্রসাদ গোস্বামী এবং তাঁর শিষ্য  জ্ঞানেন্দ্রপ্রসাদ গোস্বামী এই ঘরানার অন্যতম শিল্পী হিসেবে সঙ্গীতজগৎকে আলোকিত করেছিলেন।

রামপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম শিষ্য গোকুল নাগ এই ঘরনার অন্যতম সেতারশিল্পী এবং পুত্র অশেষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (সেতার, সুরবাহার, এস্রাজ)।