---

তক্ষক
বানান বিশ্লেষণ: ত্+অ+ক্+ষ্+অ+ক্+অ
উচ্চারণ: t̪ɔk.kʰok (তক্.খোক)
শব্দ-উৎস: সংস্কৃত তক্ষক> বাংলা তক্ষক
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: √ তক্ষ্ + অক (ণ্বুল), কর্তৃবাচ্য
পদ: বিশেষ্য

• ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { কাষ্ঠকর্মী | কারিগর | দক্ষকর্মী | কর্মী | ব্যক্তি | জীবসত্তা | জীবন্তবস্তু | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা | }
  • অর্থ: যে কাঠ তক্ষণ করে। অর্থাৎ কাঠ দিয়ে কোনো উপকরণের তনুকরণ বা দৈহিক রূপ দান করে।
  • সমার্থক শব্দাবলি:ছুতোর, কাঠমিস্ত্রী, তক্ষক, সূত্রধর।
   
• ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {টিকটিক | সোরিয়ান | ডায়াপ্সিড | সরীসৃপ | মেরুদণ্ডী | কর্ডেট | প্রাণী | জীবসত্তা | জীবন্তবস্তু | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা | }
  • অর্থ: গেকোনিডি গোত্রের একটি গিরগিটি প্রজাতি বিশেষ।
  • সমার্থক শব্দাবলি: তক্ষক, গুঁই সাপ।
     
• ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { নক্ষত্রমণ্ডল | মহাকাশীয় বস্তু | প্রাকৃতিক লক্ষ্যবস্তু| এককঅংশ| দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু| দৈহিক সত্তা| সত্তা|}
  • অর্থ: পৃথিবী থেকে উত্তর আকাশে দৃষ্ট অবস্থিত একটি তারকামণ্ডল। জ্যোতির্বিজ্ঞানে এর পুরো নাম তক্ষকমণ্ডল। পাশ্চাত্য রীতিতে এর বর্গীয় নাম Dracoins । ইংরেজি নাম Draco । এর অবস্থান সপ্তরষিমণ্ডল ও লঘু সপ্তর্ষির মাঝে এবং এর মাথা বীণামগুলে।
• ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {হিন্দু পৌরাণিক সত্তা | ভারতীয় পৌরাণিক সত্তা | পৌরাণিক সত্তা | অতিপ্রাকৃতিক বিশ্বাস | কাল্পনিক সত্তা | কল্পনা | সৃজনশীলতা | কর্মক্ষমতা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা | বিমূর্তন | বিমূর্ত-সত্তা | সত্তা |}
  • অর্থ: পৃথিবী থেকে উত্তর আকাশে দৃষ্ট অবস্থিত একটি তারকামণ্ডল। [দেখুন: তক্ষক]

---

সূত্র :

• চলন্তিকা। রাজশেখর বসু। এমসি সরকার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিঃ। ১৪০৮।
• বঙ্গীয় শব্দকোষ (প্রথম খণ্ড)। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহিত্য অকাদেমী। ২০০১।
• বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। বাংলা একাডেমী, ঢাকা। মার্চ ২০০৫।
• বাংলা বানান চিন্তা (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)। অধ্যাপক পি. আচার্য। জুলাই ১৯৯৭।
• বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (প্রথম খণ্ড)। জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস। সাহিত্য সংসদ। নভেম্বর ২০০০।
• ব্যবহারিক শব্দকোষ। কাজী আব্দুল ওদুদ। প্রেসিডেন্সী লাইব্রেরী।
• শব্দবোধ অভিধান। আশুতোষ দেব। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০।
• শব্দসঞ্চয়িতা। ডঃ অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায়। নিউ সেন্ট্রাল বুক এজেন্সি প্রাঃ লিমিটেড। ২৩শে জানুয়ারি, ১৯৯৫।
• শব্দার্থ প্রকাশিকা। কেশবচন্দ্র রায় কর্মকার। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০।
• সংসদ বাংলা অভিধান। সাহিত্য সংসদ। শৈলেন্দ্র বিশ্বাস। মার্চ ২০০২।
• সংস্কৃত বাংলা অভিধান। শ্রীঅশোককুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। সংস্কৃত পুস্তক ভাণ্ডার, বইমেলা ১৪০৮
• সরল বাঙ্গালা অভিধান। সুবলচন্দ্র মিত্র।