| 
 | 
ইউথেরিয়া 
 
	
	Eutheria
 
স্তন্যপায়ী 
প্রাণীর একটি থাক বিশেষ। 
১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দে এই থাক সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দেন হাক্সলি। 
১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দে
থিয়োডোর গ্রিল, গ্রিক 
/juːˈθɪəriə/;
থেকে এই নামটি গ্রহণ করেন হয়েছে। এর অর্থ সত্যিকারের পশু।
 
১৬ থেকে ১৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে 
স্তন্যপায়ী 
প্রাণীর 
			থেরিয়া 
থাকের প্রাণিকুলে এক ধরনের পরিবর্তন ঘটেছিল। এই থাকের কিছু কিছু প্রজাতির পেটের 
সাথে অতিরিক্ত থলের সৃষ্টি হয়েছিল। এরা নবজাতককে এই থলেতে রেখে বড় করে তুলতো। এই 
সূত্রে সৃষ্টি হয়েছিল মেটাথরিয়া থাক। আবার কিছু প্রজাতির জরায়ুতে অমরার 
সৃষ্টি হয়েছিল। এই অমরা দিয়ে স্ত্রী প্রাণীর গর্ভস্থ শিশুর খাদ্য পেতো। এই সূত্রে 
সৃষ্টি হয়েছিল 
ইউথেরিয়া জাতীয় 
প্রজাতিসমূহ।
তাই জননথলি ও অমরাযুক্ত প্রাণিকুলের বিচারে  এদেরকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এই 
ভাগ দুটি হলো-
ইউথেরিয়া (Eutheria): ১৬ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের এই থাকের প্রাণিগুলির বিকাশ ঘটেছিল। এই থাকের প্রাণিগুলির ভিতরে রয়েছে অমরাযুক্ত (Placentalia) প্রাণীসমূহ। এই থাক থেকে পর্বর্তী সময়ে সৃষ্টি হয়েছিল প্রাইমেট এবং হোম গণের প্রজাতিসমূহ। এই থাকের সর্ব প্রাচীন নমুনা স্তন্যপায়ী পাওয়া গেছে চীনে। এই প্রাণীটি এই থাকের জুরামিয়া গণের একটি প্রজাতি। এর বৈজ্ঞানিক নাম- Juramaia sinensis।
ইউথেরিয়া থাক থেকে 
৬.৬
কোটি
খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে অমরাযুক্ত 
	
	
	(Placentalia)
স্তন্যপায়ী প্রাণীর আবির্ভাব ঘটেছিল। একে বিজ্ঞানীরা 
প্লাসেন্টালিয়া থাক 
হিসেবে অভিহিত করেছেন।
 
মেটাথেরিয়া (Metatheria): ১৪-১৩ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের এই থাকের প্রাণিগুলির বিকাশ ঘটেছিল। আদি মেটাথেরিয়াদের পেটের কাছে জননথলির সৃষ্টি হয়েছিল। এদের শাবক অপূর্ণাঙ্গ অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে এবং দীর্ঘদিন এই থলিতে থেকে বড় হয়ে উঠার উপযোগী হয়ে উঠেছিল। মেটাথেরিয়া থাকের প্রাণিকুল থাকে পর্বর্তী সময়ে উৎপন্ন হয়েছিল ক্যাঙারু এবং এই জাতীয় প্রাণীসমূহ।
সূত্র: