নজরুল
সঙ্গীত
সঙ্গীত পর্যায়ের গানের তালিকা
যে সকল গানে নজরুলে রাগের রূপ
বা লক্ষণ বর্ণা করেছেন, সেগুলোকে সঙ্গীত পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
লক্ষণগীত ধর্মী
সুর ও বাণীতে নিবদ্ধ রাগের লক্ষণ প্রকাশক পরিচিতিমূলক গীত হলো লক্ষণগীত।এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো-যে রাগের লক্ষণগীত রচিত হয়, সেই রাগেই তাতে সুরারোপ করা হয়। এতে থাকে রাগের স্বর এবং রাগের দশলক্ষণভিত্তিক বিধির পরিচয়। এই সূত্রে এতে পাওয়া যায়- আরোহ-অবরোহ, বাদী, সমবাদী, অনুবাদী,ন্যাস, অপন্যাস, জাতি, চলন ইত্যাদির পরিচয়। এছাড়া থাকে রাগের রস, প্রকৃতি,সময় ইত্যাদি।
প্রাচীন সঙ্গীতবিষয়ক গ্রন্থাদিতে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পরিচয় লেখা হতো কাব্যাকারে। খ্রিষ্টীয় প্রথম শতাব্দীতে রচিত
'নারদীয় শিক্ষা'য় এরূপ বিবরণ পাওয়া যায়। খ্রিষ্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে রচিত ভরতের নাট্যশাস্ত্রের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের উপকরণসমূহ এবং জাতিগানে ব্যবহৃত গ্রামরাগের বিবরণ রচিত হয়েছিল কবিতার ছন্দে। খ্রিষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্যন্ত ধ্রব গান, ধ্রবা গান, প্রবন্ধগানের আমলেও কাব্যকারে বর্ণিত রাগের বিবরণের পাশাপাশি সুরের আশ্রয়ে রাগ পরিচিতি হয়ে উঠেছিল লক্ষণগীতি।
ধ্রুবাগানের প্রভাব এড়িয়ে ধ্রুপদ ও খেয়াল গানের বিকাশ ঘটেছিল খ্রিষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষের দিকে। এই সময়ে লক্ষণগীতের উল্লেখ পাওয়া যায় না। পরবর্তী সময়ে পণ্ডিত বিষ্ণুনারায়ণ ভাতখণ্ডে তাঁর হিন্দুস্থানী সঙ্গীত সংকলনে লক্ষণগীত সংযোজন করেন।
নজরুলের রচিত লক্ষণগীত
নজরুল প্রধান ধারার শাস্ত্রীয় এবং আধাশাস্ত্রীয় সুরে সঙ্গীত রচনার পাশাপাশি কিছু রাগের লক্ষণগীত রচনা করেছিলেন। প্রথাগত লক্ষণগীত রচনার পরিবর্তে তিনি বিশেষভাবে তুলে ধরেছেন রাগের ভাবগত লক্ষণ। এ সকল বিবরণে চর্যাপদের মতো সন্ধ্যাভাষার আশ্রয় নিয়েছিলেন।এ বিচারেও তাঁর লক্ষণগীত স্বতন্ত্র ধারার অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
এই গানগুলো কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রচারিত হয়েছিল
প্রায়-বিলুপ্ত রাগের ধারাবাহিক অনুষ্ঠান 'হারামণি', গীতিআলেখ্য হিসেবে প্রচারিত
হরপ্রিয়া, ষট্-ভৈরব, হরপ্রিয়া, যামযোজনায় কড়ি মধ্যম, 'মেল-মেলন', সারঙ্গরঙ্গ
ইত্যাদিতে। বিষয়াঙ্গের বিচারে এসকল লক্ষণগীতকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
সাধারণ লক্ষণগী
সাধারণ লক্ষণ গীত: এই জাতীয় গানে সাধারণভাবে রাগের ভাবগত বর্ণনা
লক্ষণগীত-প্রকৃতি: প্রকৃতির সাথে সম্পর্কিত এই ধারার গানে পাওয়া যায় সুরও বাণী অপূর্ব মেলবন্ধন। এই জাতীয় গানে প্রকৃতির উপকরণ হিসেবে উপস্থাপিত হয়ে অগ্নিগিরি, নক্ষত্র, প্রভাত, পুষ্প ও ঋতু। যেমন-
লক্ষণগীত-প্রকৃতি (মহাজাগতিক, শুকতারা)
- হাসে আকাশে শুকতারা হাসে [তথ্য]
লক্ষণগীত-প্রকৃতি (সাধারণ)
- মুকুর লয়ে কে গো বসি [নজরুল ইসলাম] [তথ্য]
লক্ষণগীত-প্রকৃতি (জাগতিক, অগ্নিগিরি)
- অগ্নিগিরি ঘুমন্ত উঠিল জাগিয়া [তথ্য]
লক্ষণগীত-প্রকৃতি (জাগতিক, প্রভাত)
- উদার প্রাতে কে উদাসী এলে [তথ্য]
লক্ষণগীত-প্রকৃতি (জাগতিক, মৎসনয়ন)
- চপল আঁখির ভাষায়, হে মীণাক্ষী [তথ্য]
লক্ষণগীত-প্রকৃতি (জাগতিক, পুষ্প)
লক্ষণগীত-প্রকৃতি (জাগতিক, ঝর্না)
- রুম্ ঝুম্ রুমু ঝুম্ কে বাজায় জল ঝুমঝুমি [তথ্য]
লক্ষণগীত-প্রকৃতি (ঋতু, গ্রীষ্ম)
- ধূলি-পিঙ্গল জটাজুট মেলে [তথ্য]
লক্ষণগীত-প্রকৃতি (ঋতু, বর্ষা)
লক্ষণগীত-প্রকৃতি (ঋতু, বসন্ত)
লক্ষণগীত-প্রেম: নরনারীর প্রমভিত্তিক মিলনবিরহের যে সকল লক্ষণ রচিত হয়েছে
লক্ষণগীত-মরমী
বিদায়ের বেলা মোর ঘনায়ে আসে [কাজী নজরুল ইসলাম] [[তথ্য]