স্ট্রেপ্সিরাইনি
Strepsirrhini

স্তন্যপায়ী শ্রেণির প্রাণিকুলের অন্তর্গত প্রাইমেট বর্গের দুটি উপবর্গের একটি হলো স্ট্রেপ্সির্‌হৃনি

প্রাণিজগতের আধুনিক শ্রেণিবিভাজন অনুসারে স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রাইমেটবর্গের দুটি উপবর্গের একটি হলো। গ্রি strepho (bend =বাঁকা, নমিত) ও rhis (nose= নাক) অর্থ বিবেচনা করে এর এরূপ নামকরণ করা হয়েছে।

এই বর্গের প্রাণীদের বাঁকানো নাক ছাড়া আরও যে একটি প্রধান বৈশিষ্ট্যকে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়
, তা হলো- এদের নাকের আর্দ্রভাব। ধারণা করা হয়  কোটি ৫০ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে  প্রাইমেটদের আদর্শরূপ বিকশিত হয়েছিল। ৫ কোটি ৯০ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে এই বর্গের প্রাণীরা দুটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিকশিত হয়ে উঠেছিল। বিজ্ঞানীরা এই ভাগ দুটিকে দুটি উপবর্গ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। এই উপবর্গ দুটি হলো − স্ট্রেপ্সিরাইনি ও হ্যাপ্লোর্‌হৃনি

স্ট্রেপ্সিরাইনি উপবর্গের মোট ৯১টি প্রজাতির কথা জানা যায়। এদের ভিতর অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। জীবিত প্রজাতিগুলোর ভিতরে আফ্রিকার মাদাগাস্কারে একটি প্রজাতি পাওয়া যায়। অবশিষ্ট কিছু প্রজাতি পাওয়া যায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে। এই বর্গের প্রাণীগুলোর দেহ ও মাথা আকারে বেশ ছোট। এই কারণে এরা দৈহিক দিক থেকে যেমন বলিষ্ট নয়, তেমনি বুদ্ধিমত্তাও উন্নততর নয়। এদের ঘ্রাণ-শক্তি বেশ প্রখর।

 ৫.৯০ থেকে ৫.৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে এই উপবর্গটি তিনটি ক্ষুদ্রবর্গে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই ক্ষুদ্রবর্গ (
(Infraorder) তিনটি হলো লেমুরিফর্মস (Lemuriformes), চিরোমাইফর্মস (Chiromyiformes) এবং লোরিসিফর্মস (Lorisiformes)