ধর্মসঙ্গীত
ইসলাম
সাধারণ সূচি
ধর্মদর্শেনর সাথে সম্পর্কিত রচিত গানের সাধারণ নাম ভক্তিগীতি।
এই ভক্তিগীতির একটি শাখা হলো- ইসলামী গান। নজরুলের রচিত সকল ইসলামী গানকে বিষয়
অনুসারে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়।
বন্দনা, ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পরিচয়, মর্সিয়া, সুফিবাদী দর্শন।
যেমন-
- বন্দনা: নজরুলের রচিত ইসলামি গানের একটি বর অংশ জুড়ে রয়েছে
বিভিন্ন বিষয়ের মহিমা প্রকাশ। এই বিষয়ান্তরে মহিমা
উপস্থাপিত প্রশংসা ও বিষয় বর্ণৱনা। কোনো কোনো বন্দনার সাথে যুক্ত হয়েছে
প্রার্থনা। তাই অনেক সময় বিষয়ভিত্তিক শ্রেণিকরণে এক ধরনের মিশ্ররূপ লাভ করে।
কিন্তু সব কিছুর মধ্যে রয়েছে গুণপ্রকাশের মহিমা। তাই সাধারণ ভাবে এ গানগুলোকে
বন্দনার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বন্দনা সর্বোচ্চ স্থানে রাখা হয়েছে আল্লাহর বন্দনা, দ্বিতীয় স্তরে রাখা হয়েছে
হজরত মুহম্মদ (সাঃ)-এর বন্দনা এবং তাঁর সাথে প্রাসঙ্গিক বিষয়ের মহিমা বর্ণনা।
কোনো গানে একই সাথে উপস্থাপিত হয়ে সাধারণ ধর্ম মহিমা।
আল্লাহ ও রসুলের বন্দনা।
- সাধারণ ধর্ম-মহিমা: এই জাতীয় গানে সাধারণভাবে
নানা রূপকতার মধ্য দিয়ে ইসলাম ধর্মের মহিমা বর্ণা করা হয়েছে।
- ওরে কে বলে আরবে নদী নাই [তথ্য]
- আল্লাহর বন্দনা (হামদ):
এই জাতীয় গানে আল্লাহর বন্দনা, নিবেদন,
অনুযোগ, প্রার্থনা উপস্থাপিত হয়েছে। যেমন-
- সামগ্রিক বন্দনা:
- এই সুন্দর ফুল সুন্দর ফল [তথ্য]
- নাম বন্দনা
- আল্লা নামের বীজ বুনেছি (আমি আল্লা নামের) [তথ্য]
- আল্লা নামের শিরনি তোরা কে নিবি [তথ্য]
- আল্লার নাম জপিও ভাই দিবসে ও রেতে [তথ্য]
- আল্লার নাম মুখে যাহার [তথ্য]
- আল্লার নাম লইয়া বান্দা রোজ ফজরে উঠিও [তথ্য]
- প্রার্থনা:
- ইয়া আল্লাহ্,তুমি রক্ষা কর [তথ্য]
- আমার যখন পথ ফুরাবে [তথ্য]
- আল্লাজী আল্লাজী রহম কর তুমি যে রহমান [তথ্য]
- করিও ক্ষমা হে খোদা [তথ্য]
- খোদা এই গরীবের শোন শোন মোনাজাত
[তথ্য]
- লীলা:
- আল্লাজী গো, আমি বুঝি না [তথ্য]
- নিবেদন:
- যেদিন রোজ হাশরে করতে বিচার
[তথ্য]
- ভরসা:
- কারো ভরসা করিসনে তুই [তথ্য]
- রসুলের বন্দনা (নাত):
এই জাতীয় গানে হজরৎ মুহম্মদ (সাঃ)-এর বন্দনা
করা হয়েছে। এই গানগুলো নাত্-এ-রসুল নামে অভিহিত হয়ে থাকে।
এই জাতীয় কিছু গানে পাওয়া যায়, নবি বন্দনা-ধর্মী গান। এছাড়া রয়েছে নবির কাছে
প্রার্থনামূলক গান। রয়েছে বেশ কিছু বিষয়ের সাথে নবি ও
বিষয়-মহিমা।
- আত্মনিবেদন:
- আবহায়াতের পানি দাও [তথ্য]
- বন্দনা:
- আজি আল কোরায়শী প্রিয় নবী [তথ্য]
- আমার ধ্যানের ছবি আমার হজরত [তথ্য]
- আমার প্রিয় হজরত নবী কমলিওয়ালা [তথ্য]
- আমার মোহাম্মদের নামের ধেয়ান [তথ্য]
- আমি যদি আরব হ'তাম [তথ্য]
- আমি হজে যেতে পাইনি ব'লে [তথ্য]
- আমিনা-দুলাল নাচে হালিমার কোলে [তথ্য]
- আমিনার কোলে নাচে হেলে দুলে [তথ্য]
- আল্লা নামের দরখতে ভাই [তথ্য]
- আল্লাকে যে পাইতে চায় [তথ্য]
- আল্লাহ্ থাকেন দূর আরশে [তথ্য]
- আসিছেন হাবিব-এ খোদা [তথ্য]
- উম্মত আমি গুনাহ্গার [তথ্য]
- ঐ হের রসুলে-খোদা এলো ঐ [তথ্য]
- ও কি ঈদের চাঁদ গো [তথ্য]
- ও কে সোনার চাঁদ কাঁদে রে [তথ্য]
- ওগো আমিনা তোমার দুলালে আনিয়া [তথ্য]
- ওগো মুর্শীদ পীর বলো বলো [তথ্য]
- ওরে ও চাঁদ ! উদয় হলি [তথ্য]
- কত যে রূপে তুমি এলে [তথ্য]
- কিশোর রাখালবেশে মেষ চারণে যায় নবী [তথ্য]
- রসুল নামের ফুল (রসুল নামের ফুল) [তথ্য]
- প্রার্থনা:
- আমিনা দুলাল এসো মদিনায় ফিরিয় [তথ্য]
- ইয়া মোহাম্মদ, বেহেশ্ত্ হতে খোদায় পাওয়ার পথ দেখাও [তথ্য]
- ভক্তি:
- আমার হৃদয়-শামাদানে [তথ্য]
- স্থান বন্দনা:
- ইসলাম ও নবি
- ইসলামের ঐ সওদা লয়ে [তথ্য]
- আল্লাহ ও রসুলের বন্দনা
- আল্লা ব'লে কাঁদ বারেক্ [তথ্য]
- আল্লা রসুল তরু আর ফুল [তথ্য]
- আল্লাহ্ রসুল জপের গুণে [তথ্য]
- আল্লাহ্ রসুল বল্ রে মন [তথ্য]
- ইসলামের এ বাগিচাতে ফুটলো দুটি ফুল [তথ্য]
- অনুরোধ:
- আঁধার মনের মিনারে মোর [তথ্য]
- ব্যক্তি বন্দনা
- হজরত মুহম্মদ (সাঃ) ছাড়া, উল্লেখযোগ্য কিছু কিছু
ব্যক্তিকে বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে কিছু গানে। এর বাইরে রয়েছে- ভারতবর্ষের
ইসলাম ধর্মের গৌরবময় পঞ্চ-নারীকে নিয়ে রচিত তাঁর পপঞ্চাঙ্গনা
গীতি-আলেখ্য। এই গীতি-আলেখ্যের নারীরা ছিলেন- মমতাজ,
নূরজাহান, চাঁদ সুলতানা, আনারকলি ও জেবুন্নেসা। এই গানগুলো হলো-
১. মোমতাজ! মোমতাজ! তোমার তাজমহল। [তথ্য]
[পাণ্ডুলিপি
নমুনা]
২. নূরজাহান! নূরজাহান!
[তথ্য] [পাণ্ডুলিপি
নমুনা]
৩. চাঁদের কন্যা চাঁদ সুলতানা [তথ্য]
৪. আনারকলি! আনারকলি! [তথ্য]
৫. লুকায়ে রহিলে চিরদিন
[তথ্য]
- মহিমা: ইসলাম ধর্মমতে কিছু বিষয়ের সাথে জড়িয়ে মহৎ দর্শন রয়েছে। এই
দর্শন উপস্থাপিত হয়েছে নজরুলের গানে। বিষয়ের বিচারে এই মহিমাকে রাখা হয়েছে-
বিষয়ের নামে। যেমন- আজান, ঈদ, হজ ও হাজি, শবেবরাত, স্থান
- আজান
- বাজলো কি রে ভোরের সানাই [তথ্য]
- কলেমা
- কল্মা শাহাদতে আছে খোদার জ্যোতি [তথ্য]
- রমজান
- ঈদ
- সাধারণ: ইসলাম ধর্মের দুটি ঈদ পালন করা হয়।
প্রতিটি ঈদের জন্য কিছু স্বতন্ত্র গান রচিত হলেও, কিছু গান পাওয়া যায়, যা
উভয় ঈদের জন্য রচিত গান হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এই জাতীয় গানকে রাখা
হয়েছে সাধারণ পর্যায়।
- আজি ঈদ্ ঈদ্ ঈদ্ (আজ এলো খুশির ঈদ) [তথ্য]
- ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক, দোস্ত ও দুশমন [তথ্য]
- এলো আবার ঈদ ফিরে [তথ্য]
- ইদুল ফিতর
- ঈদের খুশির তুফানে আজ [তথ্য]
-
এলো
ঈদল-ফেতর এলো ঈদ ঈদ ঈদ [তথ্য]
- ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ [তথ্য]
- প্রাণের প্রিয়তম যাহা কিছু তোমার
[তথ্য]
- ফুরিয়ে এলো রমজানেরি মোবারক মাস
[তথ্য]
- ঈদজ্জাহা
- ঈদ মোবারক হো [তথ্য]
- ঈদজ্জোহার চাঁদ হাসে ঐ [তথ্য]
- ঈদজ্জোহার তকবির শোন [তথ্য]
- হজ ও হাজি
- ও ভাই হাজি! কোন কাবা ঘর [তথ্য]
- শবে বরাত:
- স্থান:
- মদিনা:
- কাবা:
- ইয়া রাসুলুল্লাহ! মোরে রাহ্ দেখাও [তথ্য]
ধর্মাঙ্গ: এই জাতীয়
গানে ধর্মের প্রধান অঙ্গ হিসেবে ইমানদার হয়ে ওঠার প্রেরণা। এই ইমানের প্রধান
বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করা। এগুলো হলো- আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়, হজরত মুহম্মদ
(সাঃ) তাঁর প্রেরিত রসুল এবং কুরআন ঐশী পুস্তক।
এই ইমানকে ধারণ করেই যাঁরা সততার সাথে জীবন অতিবাহিত করেন, তাঁর ইমানদার। এই
পথের সূত্রে আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে পালিত হয়- নামাজ, রোজা, হজ, জাকাতা। এসবই
ইসলাম ধর্মাচরণ ভিত্তিক ধর্মের অঙ্গ। নজরুলের গানে ধর্মাঙ্গ হিসেবে পাওয়া যায়-
ইমান ও ধর্মাচরণ
- ইমান:
- আল্লাহ আমার প্রভু, আমার নাহি নাহি ভয় [তথ্য]
- আল্লাতে যার পূর্ণ ঈমান
[তথ্য]
- উঠুক তুফান পাপ-দরিয়ায় [তথ্য]
- ধর্মাচরণ:
- আমি বাণিজ্যেতে যাব এবার [তথ্য]
- কাবার জিয়ারতে তুমি কে যাও মদিনায় [তথ্য]
- সাম্য:
- আমি আল্লার ডাকে (তুমি হেরেমের বন্দিনী) [তথ্য]
উদ্দীপনা
- আল্লা নামের নায়ে চ'ড়ে [তথ্য]
মহিমা: এই জাতীয় গানে নানা বিষয়ের মহিমাকে
উপস্থাপন করা হয়েছে।
- নারী। আমি গরবিনী মুসলিম বালা [তথ্য]
- নারী-পুরুষ: আমি মুসলিম যুবা [[তথ্য]
আকাঙ্ক্ষা: এই সকল গানে কিছু আকাঙক্ষা পুরনের প্রাধন্য পেয়েছে। মুসলমানদের একান্ত কিছু আকাঙ্ক্ষাকেই কবি নিজের আকাঙক্ষার মতো করে উপস্থাপন
করেছেন।
সুফিদর্শন: প্রথাগত বিধানের ঊর্ধে উঠে অনানুষ্ঠানিকভাবে
স্রষ্টাকে পাওয়ার সাধনাই হলো সুফিদর্শনের সাধনা।
যেহেতু ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে এই সুফি-দর্শনের উদ্ভব হয়েছিল। তাই এই জাতীয়
গানে পাওয়া যায় মূলত ইসলাম ধর্মের আঙ্গিকে। তাই ঘুরে ফিরে উঠে আসে আল্লাহ, নবি এবং ইসলাম ধর্মের
রহস্যময় দিক। এ কারণে সুফিবাদী গান কখনো কখনো হামদ বা
নাত-এ-রসুল হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে। এই জাতীয় গানগুলোকে
হামদ, নাত-এ রসুল হিসেবে স্বতন্ত্র শ্রেণিতে ফেলা হয়েছে।
এর বাইরে নজরুল সুফি দর্শনের সাথে বাউল দর্শনের ভাবনাকে মিশ্রণ ঘটিয়েছেন নানা
ভাবে। কখনো কখনো এ গানের লক্ষ্য হয়ে উঠেছে প্রচলিত ইসলামের শরিয়ত পন্থা ও সনাতন
হিন্দু ধর্মের শাক্ত ও বৈষ্ণব পন্থের বাইরে সাধারণ পন্থে। এই সকল বিচারে
নজররুলের রচিত সুফিবাদী গানগুলোকে 'সাধারণ' শ্রেণিতে ফলে হয়েছে।
ইসালমি সুফি দর্শন
- হামদ
- আজ বাদে কাল আসবে কিনা [তথ্য]
- আজ সুদিনের আস্ল ঊষা [তথ্য]
- আমরা পানের নেশায় পাগল [তথ্য]
- আসিলে কে গো বিদেশী [তথ্য]
- নাত-এ-রসুল
- এ কোন্ মধুর শরাব দিলে [তথ্য]
- জীবাত্মা:
- ধ্যানদর্শন
- করুণ কেন অরুণ আখিঁ [তথ্য]
- ছয় লতিফার ঊর্দ্ধে আমার [তথ্য]
- স্রষ্টার দর্শন
- আহমদের ঐ মীমের পর্দা [তথ্য]
- প্রার্থনা:
- আরো নূতন নূতনতর শোনাও গীতি [তথ্য]
- মৃত্যু
- আস্ল যখন ফুলের ফাগুন [তথ্য]
- ভক্তি
- অন্তর্দ্বান্দ্বিকতা
- একি সুরে (কোন্ সুরে) তুমি গান শুনালে [তথ্য]
- কার নিকুঞ্জে রাত কাটায়ে [তথ্য]
- মরমী
- কানন গিরি সিন্ধুপার [তথ্য]
সাধারণ
আসে বসন্ত ফুলবনে [তথ্য]
- মর্সিয়া:
- অসীম বেদনায় কাঁদে [তথ্য]
- ওগো মা ফাতেমা ছুটে আয় [তথ্য]