১. √কৃ (করা) + অ (অ), করণবাচ্য। পুংলিঙ্গ।
পদ: বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {প্রান্তীয় দেহাংশ | বহিঃস্থ দেহাংশ | দেহাংশ | খণ্ডাংশ | স্বতন্ত্র সত্তা | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}
অর্থ: যা মূলদেহকাণ্ড থেকে বিক্ষিপ্ত হয়ে স্বতন্ত্রভাবে কাজ করতে সক্ষম এবং অঙ্গের প্রান্তীয় অংশ হিসেবে হলো হাত। এই প্রান্তীয় অংশ দ্বারা কাজ করা যায়, এই অর্থে হাতকে কর বলা হয়। বাংলাতে দুই অর্থে হাতকে বিবেচনা করা হয়।
- ১. স্কন্ধসন্ধি থেকে হাতের অগ্রভাগ পর্যন্ত।
২. মণিবন্ধ থেকে বিক্ষিপ্ত অঙ্গুলিসমূহের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত।
সমার্থক শব্দাবলি: কর, পাঞ্জা, পাণি, হস্ত, হস্তক, হাত।
২. √কৃ (করা) +অ (অপ্), । পুংলিঙ্গ।
৩. √কৃ (করা) +অ (ট), কর্তৃবাচ্য। পুংলিঙ্গ।
পদ: বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { | আলোক-রাসায়নিক বিকিরণ | বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় বিকিরণ | বিকিরণ | শক্তি | ভৌত প্রপঞ্চ | প্রাকৃতিক প্রপঞ্চ | প্রপঞ্চ | দৈহিক প্রক্রিয়া | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}
অর্থ: যা বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় বিকিরণ দ্বারা প্রকাশ পায় বা ছড়িয়ে পড়ে এবং দর্শনেন্দ্রিয়কে উজ্জীবিত করে দেখা নামক অনুভূতিকে উপস্থাপন করে। সাধারণ অর্থে দৃশ্যমান আলো। [দেখুন : আলো [পদার্থবিজ্ঞান]]
সমার্থক শব্দাবলি: অংশু, অংশুক, অর্চি, আভা, আল, আলা, আলো, আলোক, কর, কিরণ, গভস্তি, জ্যোতি, তেজ, ত্বিষা, দীধিতি, দীপ্তি, দ্যুতি, ধাম, নুর, বসু, বিভা, প্রভা, ভা, ভানু, ভাস্, ময়ুখ, মরীচি, রশ্মি।
ইংরেজি : light, ray।
যুক্তশব্দ:পদ: বিশেষণ
অর্থ: ৩.১. যা করণের যোগ্য বা করণের অনুকল
সমার্থক শব্দাবলি: কারক, করণশীল, করণাকুল।
অর্থ: ৩.২. যা জনক বা উৎপাদক
সমার্থক শব্দাবলি: জনক, বর্ধক। [সমাসবদ্ধ পদের পরপদ হিসেবে এই শব্দ ব্যবহৃত হয়। যেমন দিবাকর, নিদ্রাকর, পিত্তকর, শীতকর)]
বিপরীতার্থক শব্দ: করী [স্ত্রীলিঙ্গার্থে]
যুক্তশব্দ:
৪. ক (রাজা) + √রা (দান করা) + অ (ক), কর্তৃবাচ্য।
পদ: বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { | টোল | প্রদেয়মূল্য | বাধ্যবাধকতা | অধিকার | সম্পর্ক | বিমূর্তন | বিমূর্ত-সত্তা | সত্তা |}সমার্থক শব্দাবলি: খাজনা, কর, রাজস্ব, রাজকর, শুল্ক।
ইংরেজি: tax, taxation, revenue enhancement।
৫. কর্ (করা) +০
পদ: ক্রিয়াপদ (অনুজ্ঞা)
আদেশ, উপদেশ, অনুরোধ ইত্যাদিতে এই ক্রিয়াপদ ব্যবহৃত হয়।
কর্ (করা) +০=কর্
তুই এই কাজটি কর্।
পদ: বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
|
নাম
|
ভাষা
একক
|
খণ্ডিতাংশ
|
সম্পর্ক
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু উপাধিবাচক পদবী। করমিত্র গূণবাচক কর্ম অনুসারে এই
উপাধী গৃহীত হয়েছে।
হিন্দু পৌরাণিক আখ্যানানুসারে চিত্রগুপ্ত
(কায়স্থ) বংশীয় রাজা ধর্মযজ্ঞের এগারজন পুত্র বিদ্যাশিক্ষার জন্য নৈমিষ্যারণ্যে
আটজন ঋষির আশ্রমে যান। যিনি যে ঋষির কাছে যান, তিনি ওই ঋষির গোত্র এবং গুণ ও কর্মের
উপাধি লাভ করেন। কুথু নামক পুত্র ভরদ্বাজের আশ্রমে যান এবং ইনি কর্ম বা গুণের
বিচারে করমিত্র উপাধি লাভ করেন। কর হলো ওই করমিত্রের সংক্ষিপ্ত রূপ।