জাভা মানব
Homo erectus erectus (Java Man)

হোমো ইরেক্টাস প্রজাতির এ্কটি উপপ্রজাত। ২০ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে আফ্রিকাতে আবির্ভুত হয়েছিল মূল ধারার হোমো ইরেক্টাস। খ্রিষ্টপূর্ব ৭ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে এদের কয়েকটি দল মধ্য-এশিয়া থেকে চীনে প্রবেশ করেছিল। পরে চীন থেকে এরা ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে পৌঁছায়। ধারণা করা হয় ৭ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে এরা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। এই প্রজাতির উদ্ভব হয়েছিল।

ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশের বেঙ্গাওয়ান সোলো নদীর তীরস্থ প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা ট্রিনিল (
Trinil) থেকে, ১৮৯১ একটি জীবাশ্ম পাওয়া যায়। এই জীবাশ্মটিই হলো- Homo erectus -এর প্রথম নমুনা। এর আবিষ্কারক ইউজেন দুবোইস (Eugène Dubois)
ক্রমাগত অনুসন্ধানের সূত্রে এই প্রজাতির মাথার খুলি পেষক দাঁতের খুঁজে পেয়েছিলেন। প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকারা নামানুসারে তিনি এই জীবাশ্মটির নামকরণ করেছিলেন-
Trinil 1 (পেষক দাঁত) এবং Trinil 2 (মাথার খুলি)। ১৮৯২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি অনুসন্ধানের সূত্রে তিনি একটির উরুর অস্থি পেয়েছিলেন। উল্লেখ্য, মাথার খুলিটির সময় নিরুপণ করা হয়েছে ৭ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
 
Trinil 2
প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন যে, এই প্রজাতিটি এপ এবং আধুনিক মানুষের মধ্যবর্তী কোনো হারিয়ে যাওয়া প্রজাতি। তিনি এই প্রজাতির নামকরণ করেছিলেন- Anthropopithecus erectus । পরে আরও কিছু দিন গবেষণার পর তিনি এর নামকরণ করেন- Pithecanthropus erectus । দুবোইস দাবি করেছিলেন এই প্রজাতিগুলো দানবাকারের গিবন।

১৯৩১-৩৩ সালের দিকে জাভার এনগ্যান্ডং অঞ্চল থেকে এর অপর একটি মাথার খুলির জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়। এই জীবাশ্মটি আবিষ্কার করেছিলেন- C. ter Haar এবং GHR von Koenigswald। ধারণা করা হয়, এই খুলিটির বয়স ৫৩-২৭ হাজার বৎসর পূর্বের। এর নমুনার নাম NG 6। এদের মাথার মাপ আদি হোমো এরেক্টাসদের অপেক্ষা বড় ছিল।

 

Sangiran 2

১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের দিকে এই উপ-প্রজাতিটির অপর একটি পূর্ণাঙ্গ নমুনা পাওয়া যায় মধ্য জাভার উত্তর সোলো-এর ১৯ কিলোমিটার উত্তরে সাঙ্গিরান (Sangiran) নামক গ্রামে। এই জীবাশ্মটি অবিষ্কার করেন- GHR von Koenigswald প্রাপ্তিস্থানের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়- Sangiran নমুনা। আনুমানিক এরা ১ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে জাভাতে বসবাস করতো।