আফ্রোথেরিয়া
Afrotheria
স্তন্যপায়ী প্রাণীর একটি ঊর্ধবর্গ বিশেষ। ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে এর নামকরণ করেছিলেন স্ট্যানহোপে। এই থাক থেকে উদ্ভব হয়েছিল- সোনালি মোলস, হস্তিচিকা, আডভার্ক, টেনরেক

ট্রায়াসিক অধিযুগেরর ২২ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দে স্তন্যপায়ী শ্রেণির থেরিফর্ম্‌স্  উপশ্রেণির প্রাণিকুল থেকে হোলোথেরিয়া থাকের উদ্ভব হয়েছিল। এরপর এই থাক থেকে ২১.৬৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দে উৎপন্ন হয়েছিল ট্রেকনোথেরিয়া থাক। আট্‌লান্টোজেনাটা
 

ক্রেটাসিয়াস অধিযুগের শেষে এবং প্যালেয়োসিন অন্তঃযুগের শুরুর দিকে (৬.৬ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) ইউথেরিয়া থাক থেকে অমরাযুক্ত প্লাসেন্টালিয়া ক্ষুদ্রশ্রেণির স্তন্যপায়ী প্রাণির আবির্ভাব ঘটেছিল।

৬.৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে প্লাসেন্টালিয়া  প্রাণিকুল থেকে আট্‌লান্টোজেনাটা থাক পৃথক হয়ে গিয়েছিল। আর মূল ধারায় থেকে গিয়েছিল এক্সাফ্রোপ্লাসেন্টালিয়া থাকের প্রাণিকুল।

আট্‌লান্টোজেনাটা থাক ৬.৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে আট্‌লান্টোজেনাটা থাক থেকে আফ্রেথেরিয়া ঊর্ধবর্গের প্রাণিকুলের উদ্ভব হয়েছিল।
এই ঊর্ধবর্গের অধিকাংশের প্রজাতির আদি আবাস ছিল আফ্রিকার মাদাগস্কার অঞ্চল। এদের অধিকাংশ প্রজাতির আকারে বেশ ছোট ছিল এবং বেশিরভাগ প্রজাতি ছিল স্থলচর। সামান্য কিছু প্রজাতি জলচর ছিল। এদের দাঁত ছিল ক্ষুদ্রাকার, নাকের সম্মুখভাগ বর্ধিত ছিল। তবে কানের আকার অপেক্ষাকৃত বড় ছিল। অন্যদিকে শরীরের তুলনায় চোখের আকার ছিল বেশ ছোট। এদের হাতে পায়ে ছিল পাঁচটি আঙুল। এদের অধিকাংশ প্রজাতি পোকমাকড় খেতো। আবার কিছু প্রজাতি পোকামাকড়ের পাশাপাশি লতাপাতাও খেতো।

 

 ৬ কোটি খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দের দিকে আফ্রোথেরিয়া ঊর্ধবর্গটি দুটি থাকে ভাগ হয়ে যায়। এই থাক দুটি হলো-

 


সূত্র: