আর্টিয়োডাক্টাইলা
Artiodactyla

স্তন্যপায়ী শ্রেণির প্রাণীর একটি বর্গ। ১৮৪৮ খ্রিষ্টাব্দে এই বর্গের নামকরণ করেছিলেন ইংরেজ জীববিজ্ঞানী ওয়েন।

ধারণা করা হয়
ইউপ্রেসিয়ান আমল শুরুর দিকে অর্থাৎ ৫.৬ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে স্তন্যপায়ীর প্রাণীর পায়ের গঠনে বিরাট পরিবর্তনের সূচনা হয়েছিল। এই পরিবর্তনের ধারায় কিছু প্রজাতির পায়ে নখযুক্ত থাবার উদ্ভব হয়েছিল। আর কিছু প্রজাতির পায়ে খুরের উদ্ভব হয়েছিল। এই সূত্রে বিজ্ঞানীরা এই থাকের প্রাণিকুলকে দুটি ভাগে ভাগ করেছেন। এই ভাগ দুটি হলো

৫.৬-৫.৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের শেষের দিকে  আঙ্গুলাটা থাকের অন্তর্ভুক্ত প্রাণীদের পায়ে খুরের নানারূপ পরিবর্তন ঘটেছিল। শরীরের ভার বহনের ক্ষেত্রে কোনো প্রাণীর একক বা বেজোড় সংখ্যক খুর ব্যবহৃত হতো, কিছু প্রাণী আবার জোড় সংখ্যক খুর ব্যবহার করতো। এই সংখ্যার ভিত্তিতে  আঙ্গুলাটা থাকে প্রজাতিগুলোকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এই ভাগ দুটি হলো-

ধারণা করা হয় আর্টিয়োডাক্টাইলা বর্গের প্রাণীদের উদ্ভব হয়েছিল প্রায় ৫.৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে। এদের বিভাজিত খুরের দুটি খুর সমানভাবে দেহের ভার রক্ষা করে থাকে।

৪.৬২ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে কিছু প্রজাতির পায়ের খুরের পরিবর্তন ঘটেছিল নতুন ভাবে। এদের পায়ের খুরের তলায় মাংস পূঞ্জীভূত হয়ে শক্ত গদির সৃষ্টি হয়েছিল। এই জাতীয় প্রজাতিগুলোকে বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন টাইলোপোডা। অন্য দিকে মূলধারায় থেকে যাওয়া প্রজাতিগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন আর্টিয়োফাবুলা। এই বিচারে আর্টিয়োডাক্টাইলা বর্গের প্রাণির বিভাজন দাঁড়িয়েছে দুটি উপবর্গে। এই উপবর্গ দুটি হলো-


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সূত্র: