ম্যাক্রোস্কেলিডিডি
Macroscelididae
স্তন্যপায়ী
প্রাণীর একটি গোত্র বিশেষ।
১৮৩৮ খ্রিষ্টাব্দে এই গোত্রে নামকরণ করেছিলেন ফরাসি বিজ্ঞানী বোনাপার্টে। এই
গোত্রের প্রাণিকলুকে সাধারণভাবে বলা হয় হস্তি চিকা (Elephant
shrew)। উল্লেখ্য, এদের
লম্বা ঠোঁটের জন্য এরূপ নামকরণ করা হয়েছে।
হস্তি চিকার
ক্রমবিবর্তন
স্তন্যপায়ী
শ্রেণির
ক্রেটাসিয়াস অধিযুগের
শেষে এবং
প্যালেয়োসিন
অন্তঃযুগের
শুরুর দিকে (৬.৬
কোটি
খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) ইউথেরিয়া থাক থেকে
অমরাযুক্ত
প্লাসেন্টালিয়া ক্ষুদ্রশ্রেণির
স্তন্যপায়ী প্রাণির আবির্ভাব ঘটেছিল।
৬.৫
কোটি
খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে
প্লাসেন্টালিয়া
প্রাণিকুল থেকে
আট্লান্টোজেনাটা
থাক পৃথক হয়ে গিয়েছিল। আর মূল ধারায় থেকে গিয়েছিল
এক্সাফ্রোপ্লাসেন্টালিয়া
থাকের প্রাণিকুল।
৬.৫ কোটি খ্রিষ্টাব্দের দিকে
আট্লান্টোজেনাটা থাক বিভাজিত হয়ে
আফ্রোথেরিয়া
ঊর্ধবর্গের প্রজাতিসমূহের উদ্ভব হয়।
প্রায় ৫.৭৮ কোটি খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দের দিকে
আফ্রোথেরিয়া
ঊর্ধবর্গ থেকে উদ্ভব হয়েছিল
পিনুঙ্গুলাটা
থাকের প্রাণিকুল। আর
৩৬-২৫.৮ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে উদ্ভব হয়েছিল
আফ্রোইনসেক্টিফিলা
থাকের প্রাণিকুল।
আফ্রোইনসেক্টিফিলা
থাকের প্রাণিকুল পরবর্তী
লুটেশিয়ান আমল
(৪.৭৮-১.৫০৭৮ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) দুটি
থাকে বিভাজিত হয়ে যায়। এই থাক দুটি হলো-
আফ্রোইনসেক্টিভোরা ও টুবুলিডেন্টালা।
এই আমলেই
আফ্রোইনসেক্টিভোরা
থাক থেকে উদ্ভব হয়েছিল
৫.৭৮ কোটি খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দের দিকে
আফ্রোথেরিয়া
ঊর্ধবর্গ থেকে উদ্ভব হয়েছিল
পিনুঙ্গুলাটা
থাকের প্রাণিকুল। আর
৩৬-২৫.৮ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে উদ্ভব হয়েছিল
আফ্রোইনসেক্টিফিলা
থাকের প্রাণিকুল। আর
৩৬-২৫.৮ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে উদ্ভব হয়েছিল
আফ্রোইনসেক্টিফিলা
থাকের প্রাণিকুল। আর
লুটেশিয়ান আমলে (৪.৭৮-৪.১২ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)
এই থাকে উদ্ভব হয়েছিল
ম্যাক্রোস্কেলিডিয়া এবং
আফ্রোসোরিডা বর্গের প্রাণিকুল। এই বর্গ থেকে
পরবর্তী সময়ে উদ্ভব হয়েছিল
ম্যাক্রোস্কেলিডিডি গোত্রের প্রাণিকুল।
এই গোত্র থেকে
উদ্ভব হয়েছিল চারটি গণ। এই গণগুলো হলো-
-
Elephantulus:
আবির্ভাব কাল
লুটেশিয়ান আমলে (৪.৭৮-৪.১২ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)। ১৯০৬
খ্রিষ্টাব্দে এই গণের নামকরণ করেছিলেন থমাস এবং স্কওয়ান।
এদের সাধারণ নাম হস্তিচিকা
(elephant shrew)।
এই গণের প্রজাতিগুলো পাওয়া যায় আফ্রিকা মহাদেশ জুড়ে। এই গণের
প্রজাতিগুলো হলো-
- Short-snouted elephant shrew (E.
brachyrhynchus): এই
প্রজাতির চিকা আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে পাওয়া যায়। বিশেষ করে
উত্তর-পূর্ব নামিবিয়া, পূর্ব ও মধ্য বোৎসোয়ানা, এ্যাঙ্গোলা, জাম্বাবুয়ে,
মালাউই, জাম্বিয়া এবং মোজাম্বিক, কঙ্গো, পূর্ব আফ্রিকা, তাঞ্জানিয়া, কেনিয়া
এবং উগান্ডা।
-
|
E.edwardii |
Cape elephant shrew (E.edwardii):
এই প্রজাতির চিকা দেখা যায়
আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকাতে।
- Dusky-footed elephant shrew (E.
fuscipes): এই প্রজাতির
চিকা দেখা যায় আফ্রিকা মহাদেশের কঙ্গো, দক্ষিণ সুদান এবং উগান্ডা অঞ্চলে।
- Dusky elephant shrew (E.
fuscus): এই প্রজাতির চিকা
দেখা যায় আফ্রিকা মহাদেশের মালাউই, মোজাম্বিক, জাম্বিয়া অঞ্চলে।
- Bushveld elephant shrew (E.
intufi): এই প্রজাতির চিকা
দেখা যায় আফ্রিকা মহাদেশের এ্যাঙ্গোলা, বোৎসোয়ানা, নামিবিয়া এবং দক্ষিণ
আফ্রিকা অঞ্চলে।
- Eastern rock elephant shrew (E.
myurus): এই প্রজাতির চিকা
দেখা যায় আফ্রিকা মহাদেশের বোৎসোয়ানা, মোজাম্বিক, জিম্বাবুয়ে এবং দক্ষিণ
আফ্রিকা অঞ্চলে।
-
|
E.
intufi |
Karoo rock elephant shrew (E.
pilicaudus): এই প্রজাতির
চিকা দেখা যায় আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলীয় কেপ
প্রদেশে।
- Somali elephant shrew (E.
revoili): এই প্রজাতির চিকা
দেখা যায় আফ্রিকা মহাদেশের সোমালিয়াতে।
- North African elephant shrew (E.
rozeti): এই প্রজাতির চিকা
দেখা যায় আফ্রিকা মহাদেশের আলজেরিয়া, লিবিয়া, মরোক্কো ও তিউনেশিয়াতে।
- Rufous elephant shrew (E.
rufescens): এই প্রজাতির
চিকা দেখা যায় আফ্রিকা মহাদেশের ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান,
তাঞ্জানিয়া এবং উগান্ডা অঞ্চলে।
- Western rock elephant shrew (E.
rupestris): এই প্রজাতির
চিকা দেখা যায় আফ্রিকা মহাদেশের নামিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, এ্যাঙ্গোলা,
বোৎসোয়ানা।
- Macroscelides:
আবির্ভাব কাল
লুটেশিয়ান আমলে (৪.৭৮-৪.১২ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)। এদের সাধারণ নাম
ক্ষুদ্রচিকা (Small
shrew)।
এই গণের প্রজাতিগুলো পাওয়া যায় আফ্রিকা মহাদেশ জুড়ে। এই গণের
প্রজাতিগুলো হলো-
- Macroscelides
flavicaudatus: এই প্রজাতির
চিকা দেখা যায় আফ্রিকা মহাদেশের মধ্য নামিবিয়া মরুভূমি এবং নামিবিয়ার
দক্ষিণাঞ্চলে অঞ্চলে।
- Macroscelides micus:
এই প্রজাতির চিকা দেখা যায়
আফ্রিকা মহাদেশের মধ্য উত্তর-পশ্চিম নামিবিয়া অঞ্চলে।
- Macroscelides proboscideus:
এই প্রজাতির চিকা দেখা যায়
আফ্রিকা মহাদেশের মধ্য বোৎসোয়ানা, নামিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা অঞ্চলে।
- Petrodromus:
আবির্ভাব কাল
লুটেশিয়ান আমলে (৪.৭৮-৪.১২ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)।
এই গণের প্রজাতিগুলো পাওয়া যায় আফ্রিকা মহাদেশ জুড়ে।
এই গণের একমাত্র প্রজাতি
Petrodromus tetradactylus
পাওয়া যায়- মধ্য ও দক্ষিণ
আফ্রিকা অঞ্চলে। বিশেষ করে এ্যাঙ্গোলা, কঙ্গো, কেনিয়া, মালাউই, মোজাম্বিক,
দক্ষিণ আফ্রিকা, তাঞ্জানিয়া, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে এবং নামিবিয়া অঞ্চলে সবচেয়ে
বেশি দেখা যায়।
- Petrosaltator:
আবির্ভাব কাল
লুটেশিয়ান আমলে (৪.৭৮-৪.১২ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)।
এই গণের একমাত্র প্রজাতি
Petrosaltator rozeti
পাওয়া যায় আফ্রিকা মহাদেশের আলজেরিয়া, লিবিয়া, মরোক্কো এবং তিউনেশিয়াতে।
- Rhynchocyon:
আবির্ভাব কাল
লুটেশিয়ান আমলে (৪.৭৮-৪.১২ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)।
এই গণের তিনটি প্রজাতি পাওয়া যায় এগুলো হলো-
- Rhynchocyon chrysopygus:এই
প্রজাতির চিকা পাওয়া যায় আফ্রিকা মহাদেশের মধ্য কেনিয়াতে। ১৮৮১
খ্রিষ্টাব্দে এর নামকরণ করেছিলেন গুন্থার।
- Rhynchocyon cirnei:
এই প্রজাতির চিকা পাওয়া যায়
আফ্রিকা মহাদেশের মধ্য কঙ্গো, মালাউই, মোজাম্বিক, উগান্ডা, জাম্বিয়া এবং
মধ্য আফ্রিকান রিপাবলিক অঞ্চলে। ১৮৪৭ খ্রিষ্টাব্দে এর নামকরণ করেছিলেন
পিটার।
-
|
Rhynchocyon petersi |
Rhynchocyon petersi:
এই প্রজাতির চিকা দেখা যায়
আফ্রিকা মহাদেশের তাঞ্জানিয়া অঞ্চলে। ১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দে এর নামকরণ করেছিলেন
বোকেগে।
- Rhynchocyon
udzungwensis:
এই প্রজাতির চিকা দেখা যায়
আফ্রিকা মহাদেশের তাঞ্জানিয়া মধ্য দক্ষিণাঞ্চলে। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে এর
নামকরণ করেছিলেন এফ রোভেরো এবং জি র্যাথবুন:
সূত্র: