বাংলা থিয়েটার
বাংলা নাটকের যাত্রা শুরু হয়েছিল রুশ নাট্য ও সঙ্গীত শিল্পী হেরাসিম লেবেদেফ (১৭৪৯-১৮১৭ খ্রিষ্টাব্দ)-এর হাত ধরে। এই সূত্রে তিনি একটি নাট্যমঞ্চেও তৈরি করেছিলেন। তবে এর আগেই কলকাতায় নাট্যমঞ্চ তৈরি হয়েছিল আরও আগে। তবে বঙ্গদেশে নাট্যমঞ্চ তৈরি হয়েছিল।

যতদূর জানা যায়, ১৭৭৫ খ্রিষ্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস (১৭৩২-১৮১৮ খ্রিষ্টাব্দ)-এর পৃষ্ঠপোষকতায় 'ক্যালকাটা থিয়েটার' নামক দ্বিতীয় রঙ্গমঞ্চটিও তৈরি করেছিল ইংরেজরা। সে আমলে প্রায় এক লাখ রুপি খরচ হয়েছিল মঞ্চটি বানাতে। ওয়ারেন হেস্টিংস ছাড়া এই মঞ্চ তৈরিতে বিশেষ সহায়তা করেছিলেন মরিসন, বারওয়েল, এলিজা ইম্পে, হাইভ। বর্তমানে কলকাতার নিউ চায়না মার্কেট' চত্বরে এই মঞ্চটি তৈরি করা হয়েছিল। এই মঞ্চে অভিনীত Comedy of Beaux Startagem, Comedy of Foundling, School for Scandal, Mahomet, Like Master Like Man, Citizen প্রভৃতি নাটকগুলো বিশেষভাবে সাড়া জাগিয়েছিল। তবে এসব নাটক দেখার সৌভাগ্য খুব কম বাঙালিরই হয়েছিল। কারণ, এ সকল নাটকের অধিকার ছিল শুধু ইউরোপীয়ানদের। এই সময় বাঙালি দর্শকদের জন্য ছিল যাত্রাপালা, পূজা-পার্বনে রঙ মেখে ও মুখোশ পড়ে দেবদেবী'র লীলা-পালা। কোনো কোনো রাজ-বাড়িতে নাট-মন্দির ছিল, সেখানে মাঝে মধ্যে ঝুমুর-গানের আসর বসতো। আর ছিল রাজাদের মনোরঞ্জনের জন্য ছিল জলসা ঘর। সেখানে অবশ্য সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার ছিল না।

এরপর ১৭৮৯ খ্রিষ্টাব্দে ফোর্ট উইলিয়ামের ভেতর জন ব্রিস্ট একটি মঞ্চ তৈরি করেছিলেন। কথিত আছে ব্রিস্ট এই মঞ্চটি তৈরি করেছিলেন তাঁর স্ত্রী এমা ব্রিস্টের জন্য। ব্রিস্ট মূলত নিজের বাসাবাড়িতেই ছোটো পরিসরে মঞ্চ তৈরি করেছিলেন। এই মঞ্চের দর্শক ছিলেন সামরিক বাহিনীর সদস্যরা এবং উচ্চ পদস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। স্থানীয় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সেখানে প্রবেশাধিকার ছিল না।

রাশিয়ার ইয়ারোস্লাভ্ল্-এর জন্মগ্রহণকারী হেরাসিম লেবেদফ জীবনের শুরুতে বেহালাবাদক হিসেবে রাশিয়ার প্রথম স্থায়ী থিয়েটার দলের প্রতিষ্ঠাতা ফিয়োদর ভোল্কোভ-এর নাট্যদলে যোগদান করেছিলেন। এই সূত্রে তিনি সঙ্গীতদলের সাথে বেহালাবাদক হিসেবে রাষ্ট্রদূত হিসেবে ভিয়েনাতে আসেন। এরপর রুশদের সঙ্গ ত্যাগ করে, ইউরোপের নানাস্থানে ভ্রমণ করেন। পরে তিনি ইংরজেদের সামরিক ব্যান্ড দলে যোগদান করেন এবং ব্রিটিশ সেনাদলের সাথে ভারতে আসেন। ১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি জাহাজে মাদ্রাজে পৌঁছান এবং সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে সেখানকার মেয়র তাঁকে সম্বর্ধনা দেন। কয়েকটি সঙ্গীত আসরে যোগদান করে তিনি কিছু অর্থ উপার্জনও করেন। কিন্তু মাদ্রাজের রক্ষণশীল সমাজে প্রবেশাধিকার না পেয়ে তিনি ১৭৮৭ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা আসেন। শুরু দিকে তিনিই প্রথম পাশ্চাত্য বাদ্যযন্ত্র বাদক হিসেবে সুপরিচিত হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে বেহালায় ভারতীয় গানের সুর তুলে সবাইকে মুগ্ধ করেন।

এই সময় তিনি স্থানীয় স্কুল শিক্ষক গোলকনাথ দাসকে কিছুদিন পাশ্চাত্য সঙ্গীতের পাঠদান শুরু করেন। বিশেষ করে তিনি গোলকদাসকে বেহালা শিখিয়েছিলেন। বিনিময়ে তিনি গোলকদাসের কাছে বাংলা, সংস্কৃত এবং হিন্দি ভাষা শেখেন। এই সূত্রে তিনি একটি বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন। এই গ্রন্থটি ১৮০১ খ্রিষ্টাব্দে লণ্ডন থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর তিনি রচনা করেন 'অভিধান', 'কথোপকথন গ্রন্থ', 'বীজগণিত', 'বাংলা পঞ্জিকার অংশ', 'ভারতচন্দ্রের কাব্য' একটি আত্মজীবনী।

১৭৯৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মলিয়ের '
Love of the best docto r' এবং জড্রেলের নাটক ' The Disguise ' বাংলায় অনুবাদ করেন।  'The Disguise এর বাংলা নাম দিয়েছিলেন 'কাল্পনিক সংবদল'। এরপর কলকাতার ডোমতলায় (এজরা স্ট্রিট) একটি রঙ্গমঞ্চ তৈরি করেন। এই নাট্যশালায়া নাটক দুটির মঞ্চস্থ হওয়ার বিষয়ে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের 'ক্যালকাটা গেজেট'-এ ৫ই নভেম্বর একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছিল।

 

এই নাটকের জন্য তিনি গোলকনাথের সহায়তায় একটি ঝুমুর দল থেকে ১০ জন অভিনেতা ও ৩ জন অভিনেত্রী সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৭৯৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে নভেম্বর(শুক্রবার ১৪ অগ্রহায়ণ ১২০২), তাঁর অনূদিত নাটক দুটি মঞ্চস্থ হয়। প্রথম বার নাটক মঞ্চস্থ করার সময়, দর্শক হয়েছিল প্রায় ২০০ জন। ১৭৯৬ খ্রিষ্টাব্দের ২১শে মার্চ (সোমাবার, ১১ চৈত্র ১২০২) নাটক ২টি পুনরায় মঞ্চস্থ হয়েছিল। দ্বিতীয় বারে দর্শক হয়েছিল প্রায় ৩০০ জন।

তিনি ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরেরদুটি কবিতায় সুর বসিয়ে গানে বানিয়েছিলেন। এই গান দুটি ছিল-
  • গুণসাগর নাগর রায় [তথ্য]
  • প্রাণ কেমন রে করে না দেখে তাহারে

সম্ভবত বাংলা নাটকের এই দুটি গানই প্রথম। এই দুটি গানে লেবেদফ নিজে সুরারোপ করেছিলেন। লক্ষ্যণীয় বিষয় বাংলা নাটকের শুরু থেকেই গান সংযোজিত হয়েছিল। লেবেদেফ গানের বাণী নিয়েছিলেন ভারতচন্দ্রের কাব্যগ্রন্থ থেকে, আর সুর করেছিলেন ভারতীয় ও পাশ্চাত্য সুরের সংমিশ্রণে। এই নাটক মঞ্চস্থের সূত্রে তিনি অসম্ভব জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। কিন্তু ইংরেজরা তাঁর সাফল্যকে সুনজরে দেখেন নি। ঈর্ষান্বিত হয়ে ইংরেজরা সীন পেন্টার এবং মিস্টার হে নামক দুজন রাজকর্মচারীরকে দিয়ে এই রঙ্গমঞ্চ পুড়িয়ে দেন। এরপর নানা কারণে তিন ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত তাঁকে আদালতে যেতে হয়। পরে ১৭৯৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাঁকে কলকাতা ত্যাগে বাধ্য করেন।

হেরাসিম লেবেদেফের চলে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন আর কোনো বাংলা নাটক তৈরি বা মঞ্চস্থ হয় নি। ফলে তাঁর নাটক একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় পরিণত হয়েছিল। সে সময়ে কলকাতার বাঙালি বাবুরা মেতে উঠেছিলেন যাত্রাপালা, পাঁচালি, কবিগান, আখড়াই গান, টপ্পা, হাফ আখড়াই গান নিয়ে। সেই সাথে ছিল কীর্তন, জারির মতো আধা লোকগান। বাউল, ভাটিয়ালি, ঝুমুর, ভাওয়াইয়া অঞ্চল বিশেষে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে বিকশিত হলেও কলকাতায় এর বিশেষ প্রভাব ছিল না। তবে কখনো কখনো বাবুরা তাঁদের জলসা ঘরে বৈঠকী বা দরবারি ঝুমুর বা এই জাতীয় গানের আসর বসাতেন। ফলে তখনও থিয়েটারের গান পৃথক কোনো মর্যাদায় স্থান করে নিতে পারে নি। গান হিসেবে বিকশিত হয়ে চলেছিল। ভারতবর্ষকে সুচারুরূপ শাসন এবং শোষণের জন্য, ইংরেজরা ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের স্থাপন করে। এই সময় এই কলেজে  আরবি, হিন্দুস্তানি, ফারসি, সংস্কৃত ও বাংলা ভাষা শেখানো হতো। ইংরেজি ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা এখানে ছিল না। তাই ডেভিড হেয়ার এবং রাজা রাধাকান্ত দেব ইংরেজি শিক্ষার একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেছিলেন। এই সূত্রে উচ্চতর ইংরেজি শেখার উদ্যোগ নিয়েছিলেন বদ্দিনাথ মুখোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে তাঁকে বিশেষভাবে সাহায্য করেছিলেন বিচারপতি স্যার এডওয়ার্ড হাইড। ১৮১৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ মে, বদ্দিনাথের বাসায় এ বিষয়ে  একটি সভা হয়। এই সূত্রে ১৮১৭ খ্রিষ্টাব্দে রাজা রামমোহন রায় পূর্ববর্তী উদ্যোক্তাদের নিয়ে কলকাতার গরানহাটায় গোরাচাঁদ বসাকের বাড়িতে হিন্দু কলেজ স্থাপন করেন। এই কলেজ থেকে ইংরেজি নাটকের সাথে বাঙালি পরিচিত হয়ে উঠতে থাকে। একই সাথে এই কলেজের শিক্ষার্থীরা যাত্রা, কবিগান, কথক, পাঁচালিকে নিতান্তই গেঁয়ো আমোদ-প্রমোদ হিসেবে বিবেচনা করতে থাকে। এই সময় বাংলা নাটকের জন্য নব্য শিক্ষিতরা রঙ্গমঞ্চের অভাব অনুভব করতে থাকে। এ নিয়ে সেকালের 'সমাচার চন্দ্রিকা', 'সমাচার দর্পণ' প্রভৃতি পত্রিকায় বিস্তর লেখা চালাচালি চলছিল। এরপর দীর্ঘ পয়ার বা ত্রিপদী ছন্দে কিছু নাটক রচিত হয়েছিল। এসকল নাটকে পরমার্থ-বিষয়ক দীর্ঘ বক্তৃতা যুক্ত করায়, নাটকের বিচারে তা একঘেঁয়ি সংলাপে পরিণত হয়েছিল। তবে এই নাটকগুলো অভিনয়যোগ্য ছিল না। এই জাতীয় নাটকের ভিতরে ছিল ১৮২২ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত 'প্রবোধচন্দ্রোদয়' নাটকের অনুবাদ 'আত্মতত্ত্ব কৌমুদী' নামে।  এছাড়া ছিল এই বছরে প্রকাশিত 'হাস্যার্ণব' নামক প্রহসন।

সখের নাট্যশালা
বাঙালি বুদ্ধিজীবী এবং শিল্প-রসিকজনের ভিতরে নাট্যচর্চার আকাঙ্ক্ষা থেকে সখের নাট্যদল ও নাট্যশালার উদ্ভব হয়েছিল। এই নাট্যশালাগুলোর প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন মূলত সেকালের অভিজাত ধনবান ব্যক্তিরা। এই উদ্যোমের পিছনে এঁদের কোনো পেশাদারী মনোভাব ছিল না। নিতান্তই সখের বশে তাঁরা নবতর নাট্য-আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন, ইংরেজদের নাট্যশালা অনুসরণে। প্রথম দিকে ইংরেজদের কেউ কেউ এই কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এঁরা নাট্য-পরিচালনা, অভিনয়-শিক্ষণের পাশাপাশি নিজেরাও অভিনয় করেছেন। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়- প্রথম সখের নাট্যশালা হিন্দু থিয়েটার-এর সংস্কৃতজ্ঞ ইংরেজ পণ্ডিত এইচ. এইচ. উইলসন-এর কথা। উল্লেখ্য, উইলসন  ইংরেজদের চৌরঙ্গী থিয়েটারের তিনি উৎসাহী পৃষ্ঠপোষক ছিলেন এবং নব্য তরুণ বাঙালির শিক্ষক ছিলেন। হিন্দু থিয়েটার-এর প্রথম নাটক উত্তররামচরিত' সংস্কৃত থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ এবং অভিনয় করেছিলেন উইলসন।

সখের নাট্যশালার সূত্রপাত ঘটেছিল ১৮৩১ খ্রিষ্টাব্দের হিন্দু থিয়েটার-এর মাধ্যমে। এরপর কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে বহু সখের নাট্যশালা গড়ে উঠেছিল। এদের ভিতরে উল্লেখযোগ্য নাট্যশালাগুল ছিল-

এরপর নাটক রচনার একটি প্রবাহ লক্ষ্য করা যায়। এর সূচনা হয়েছিল ১৮৪৮ খ্রিষ্টাব্দে রামতারক ভট্টাচার্য অভিজ্ঞান শকুন্তলার অনুবাদ। এর পরের বছর, ১৮৪৯ খ্রিষ্টাব্দে শ্রীহর্ষের রত্নাবলী অবলম্বনে নীলমণি পাল রচনা করেন 'রত্নাবলী নাটিকা'। ১৮৫২ খ্রিষ্টাব্দে পাওয়া যায় যোগেন্দ্রচন্দ্রগুপ্তের 'কীরত্তিবিলাস', তারাচরণ শিকাদারের 'ভদ্রার্জুন'। ১৮৫৩ খ্রিষ্টাব্দে  হরচন্দ্র ঘোষ শেক্সপিয়রের মার্চেন্ট অফ ভেনিস অবলম্বনে রচনা করে 'ভানুমতী চিত্তবিলাস। ১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দে কালীপ্রসন্ন সিংহ রচনা করেন 'বাবু নাটক'। এরই ভিতরে ১৮৫৩ খ্রিষ্টাব্দে স্থাপিত হয়েছিল ‌'‌ওরিয়েন্টাল থিয়েটার'।

পেশাদার নাট্যশালা


সূত্র :

  • আমার কথা। বিনোদিনী দাসী। কথাশুল্প প্রকাশ। কলকাতা। পৌষ ১৩৬১
  • গিরিশ রচনাবলী। সাহিত্য সংসদ। কলিকাতা। ১৯৬৯।
  • বঙ্গীয় নাট্যশঠালার ইতিহাস। ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ মন্দির, ১৩৪৬
  • বাংলা থিয়েটারের ইতিহাস। দর্শন চৌধুরী। পুস্তক বিপনী কলকাতা ১৯৯৫।
  • বাংলা থিয়েটারের গান। শ্রীরাজ্যেশ্বর মিত্র। ইন্দিরা সংগীত-শিক্ষায়তন। ১৯৮২।
  • বাংলা থিয়েটারের পূর্বাপর। নৃপেন্দ্র সাহা। তূণ প্রকাশ। ১৯৯৯।
  • বাংলা নাটকের ইতিবৃ্ত্ত। হেমেন্দ্র নাথ দাশগুপ্ত
  • বাংলা নাটকের ইতিহাস। অজিতকুমার ঘোষ
  • বাংলা নাট্য সাহিত্যের ইতিহাস। আশুতোষ ভট্টাচার্য
  • বাংলা নাট্যসাহিত্যের পূর্ব্ব-কথা। শ্রীশরচ্চন্দ্র ঘোষাল। নারায়ণ [পৌষ ১৩২১ বঙ্গাব্দ]
  • বাংলা নাটকের বিবর্তন। সুরেশচন্দ্র মৈত্র। মুক্তধারা। ১৯৭১
  • বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত সপ্তম খণ্ড। অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়