আর্কিয়োসেটি
Archaeoceti

স্তন্যপায়ী শ্রেণির প্রাণীর একটি ক্ষুদ্র বর্গ বিশেষ। ১৮৮৩ খ্রিষ্টাব্দে এই ক্ষুদ্র বর্গের নামকরণ করেছিলেন জীববিজ্ঞানী Flower

৫.৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের শেষের দিকে সেন্ট্রুমিনান্টিয়া থাকের কিছু প্রজাতি আধা-জলচর প্রাণীতে পরিণত হয়েছিল। এই সূত্রে হুইপ্পোমোর্ফা উপবর্গের প্রজাতিসমূহের উদ্ভব হয়েছিল। এই উপবর্গের প্রজাতিসমূহের একাংশ পূর্ণ জলচর প্রজাতিতে পরিণত হয়।  এই সূত্রে উপবর্গটি দুটি ভাগে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই ভাগ দুটি হলো-

সিটাসিয়া ক্ষুদ্রবর্গের আদিম প্রজাতিগুলো আধাজলচর প্রজাতিসমূহের কাছাকাছি দশায় ছিল। প্রায় ৫.৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে এরা এশিয়া-সংলগ্ন আদিম ভারতভূমিতে বসবাস করতো। এদেরকে আদি সিটাসিয়া ক্ষুদ্রবর্গের আর্কিয়োসটি উপ-ক্ষুদ্র বর্গের প্রজাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
 

৫.৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে এশিয়া থেকে ভারতীয় ভূখণ্ড পৃথক হওয়া শুরু হলে, ভারতীয় ভূখণ্ডের অগভীর জলরাশি বিশাল সমুদ্রের অংশে পরিণত হতে থাকে। এর ফলে এই অগভীর জলের প্রাণীদের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এদের অনেক প্রজাতি নতুন পরিবেশে বিলুপ্ত হয়ে যায়। এর ভিতরে আর্কিয়োসটি উপ-ক্ষুদ্রবর্গের প্রজাতিগুলো ২.৩ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারলেও শেষ পর্যন্ত বিলুপ্ত হয়ে যায়।

৫.৩ থেকে ২.৮ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের প্রায় ৩০টি প্রজাতি অভিযোজনের মাধ্যমে পুরোপুরি গভীর সাগরের প্রাণীতে পরিণত হয়েছিল। এদেরকে
সিটাসিয়া ক্ষুদ্রবর্গের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রজাতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২৮ থেকে ২৩ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে সিটাসিয়া  ক্ষুদ্রবর্গের প্রজাতিগুলো দুটি ভাগে বিভাজিত হয়ে যায়। সব মিলিয়ে বলা যায় ৫৩ থেকে ২৩ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে সিটাসিয়া ক্ষুদ্রবর্গ তিনটি উপক্ষুদ্র বর্গে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই ভাগ তিনটি হলো-

৫.৩ থেকে ২.৩ কোটি খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে আর্কিয়োসেটি উপক্ষুদ্র বর্গ ৬টি গোত্রে বিভাজিত হয়ে যায়। এগুলো হলো-


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সূত্র:

https://en.wikipedia.org/wiki/Cetruminantia