সেট্রুমিনান্টিয়া
Cetruminantia
স্তন্যপায়ী
শ্রেণির
প্রাণীর
একটি থাক বিশেষ।
ধারণা করা হয় ৫.৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে
আর্টিয়োফাবুলা থাক থেকে এই থাকের উদ্ভব হয়েছিল। ১৯৯৯
খ্রিষ্টাব্দে ওয়াডেল এর নামকরণ করেছিলেন।
আর্টিয়োডাক্টাইলা বর্গের অন্তর্গত
আর্টিয়োফাবুলা থাকের এবং
টাইলোপোডা
উপবর্গ প্রজাতিগুলোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল- এরা উদ্ভিজ খাবার খাওয়ার পর জাবর
কাটতো। এদের ভিতরে
টাইলোপোডা
উপবর্গের প্রজাতিগুলোর জাবর কাটার প্রক্রিয়া ছিল অসম্পূর্ণ। এই থাক থেকে কালক্রমে
উট জাতীয় প্রাণীর উদ্ভব হয়েছিল। পক্ষান্তরে
আর্টিয়োফাবুলা থাক থেকে উদ্ভব হয়েছিল সম্পূর্ণ জাবর কাটতে
পারে এমন প্রজাতিসমূহ।
৫.৫
থেকে ৩.৯ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে
আর্টিয়োফাবুল থাক দুটি ভাগে বিভাজিত হয়ে
গিয়েছিল। এই ভাগ দুটি হলো-
-
সেন্ট্রুমিনান্টিয়া (আবির্ভাব কাল: ৫.৫ কোটি
খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)।
-
সুইনা উপবর্গ (আবির্ভাব কাল: ৩.৯ কোটি
খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)।
সেন্ট্রুমিনান্টিয়া
থাকের প্রজাতিসমূহ পূর্ণ জাবর কাটায় অভ্যস্থ হয়ে উঠেছিল।
৫.৫ কোটি
খ্রিষ্টপূর্বাব্দের শেষের দিকে প্রাথমিকভাবে
সেন্ট্রুমিনান্টিয়া
থাকের প্রজাতিসমূহ দুটি উপবর্গে বিভাজিত হয়েছিল। এই উপবর্গ দুটি হলো-
-
রুমিনান্টিয়া উপবর্গ: এই উপবর্গ থেকে
উদ্ভব হয়েছিল এন্টিলোপ, জলহস্তী, ছাগল, গরু, বাইসন, ভেড়া, মহিষ, হরিণ, ইত্যদি।
- হুইপ্পোমোর্ফা উপবর্গ: এই উপবর্গ থেকে
উদ্ভব হয়েছিল- জলহস্তী,
তিমি,
ডলফিন জাতীয় আধা-জলচর ও জলচর প্রজাতিসমূহ।
সূত্র:
https://en.wikipedia.org/wiki/Cetruminantia