|
ফিঙে
Black Drongo
ডিক্রুরিডায়ি
গোত্রের
Dicrurus
গণের পাখি।
বাংলাতে এর সাধারণ নাম ফিঙে। নানা জাতের ফিঙের
ভিতরে এদের পাওয়া যায়-
দক্ষিণপূর্ব এশিয়া,
বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেপাল, ইরান, চীনের দক্ষিণাঞ্চলে।
সূত্র :
পশ্চিম বাংলার পাখি।
প্রণবেশ সান্যাল, বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড। মে
১৯৯৭।
http://www.treknature.com/gallery/Asia/India/North/Haryana/photo195520.htm
এদের
গায়ের রঙ উজ্জ্বল কালো।
এদের বিভাজিত লম্বা লেজ দেখে দূর থেকেই চেনা যায়।
আকারে ছোটো। লম্বায় ২৮ সেন্টিমিটার (১১ ইঞ্চি)।
এদের প্রধান খাদ্য পতঙ্গ। এরা নানা ধরনের ফড়িং, উঁইপোকা, মৌমাছি, পিঁপড়া,
মথ ইত্যাদি খায়। জমিতে লাঙল দেওয়ার সময় এরা ধারে কাছে ঘোরা ফেরা করে। এই
সময় এরা নানা ধরনের কীটপতঙ্গ আহার করে। এরা কখনো কখনো ছোটো ছোটো পাখি ও সাপ
ধরে খায়। ছোটো বাদুর, চামচিকা এরা সহজে শিকার করতে পারে।
ফেব্রুয়ারি
মার্চ মাসে এরা গাছের ডালে ঘাস আর নানা ধরনের শুকনো কাটির মতো ডাল দিয়ে
বাসা তৈরি করে। এক্ষেত্রে এরা ঘন পাতাযুক্ত সুদৃঢ় গাছে বাসা বানায়। বাসা
বানানোর জন্য এরা পুরানো কাঁঠালগাছ পছন্দ করে বেশি। তবে এদের বাসা ততটা
গোছালো নয়।
সাধারণত এরা একাকী বিচরণ করে। প্রায়ই ফিঙেকে বৈদ্যুতিক তার, গাছের
ডালে একাকী বসে থাকতে দেখা যায়।
বাংলাদেশে এদের
প্রজননকাল
গ্রীষ্ম।
একমাত্র প্রজননকালে এরা জোড়া
বেঁধে
থাকে। স্ত্রী ফিঙে ৩-৪টি ডিম পাড়ে। ডিমের রঙ ফ্যাকাশে
লালচে রঙের। ডিমের গায়ে ফোটা ফোটা দাগ থাকে। ডিমগুলো ২৬মিমি লম্বা হয়।
১৫-১৬ দিন স্ত্রী-পুরুষ ফিঙে ডিমে তা দেয়ার পর বাচ্চা বের হয়।
স্বভাবে এরা কিছুটা হিংস্র এবং সাহসী।
এরা অনেক সময় এদের চেয়ে বড় শিকারী পাখিকে আক্রমণ করে বসে। বাংলাদেশের
গ্রামাঞ্চলে প্রায়ই এরা কাককে তাড়া
করে।
এই প্রজাতির বেশ
কয়েকটি উপপ্রজাতি আছে। যেমন-