লক্ষ্মী প্যাঁচা
barn owl

টাইটোনিডায়ি গোত্রের এক প্রকার প্যাঁচা। হিন্দু ধর্মমতে এই প্যাঁচা লক্ষ্মী'র বাহন। ইউরোপে, বিশেষ করে ইংল্যান্ডে একে ভূত-প্রেত, ডাইনিদের সঙ্গী হিসেবে ঘৃণা করা হতো ইংল্যান্ডে এদের দেখা যায় শস্যের গোলাবাড়ি, খামারবাড়ির আশপাশে। এই কারণে ইংরেজিতে এর নাম barn owl  এর প্রায় ৩০-৩৫ প্রকার উপ প্রজাতি আছে।

এই প্যাঁচা লম্বায় ২৫ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। আকারগত এই পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় উপ-প্রজাতি ভেদে। এদের ডানার নিচের দিক সাদা। ডানার উপরের অংশ হলদেটে। পেট ও সারা শরীরে ছিটে দাগ আছে। এদের ডানা বেশ বড়। লেজ খাটো।

এই প্যাঁচার মাথা বড়, মুখমণ্ডল চ্যাপ্টা এবং মাথার সম্মুখদিকে চোখ। অন্যান্য পাখির মতো এদের গলা সরু নয়। অন্যান্য প্যাঁচার মতই এরা মাথাকে একদিকে ১৩৫ ডিগ্রী কোণে ঘোরাতে পারে। তাই দুই দিক মিলে এদের দৃষ্টিসীমা ২৭০ ডিগ্রী। এর ফলে এরা নিজের কাঁধের উপর দিয়ে পেছনে দেখতে পায়।

এদের মুখের চারিদিকে বৃত্তাকারে পালক সাজানো থাকে। একে মুখচক্র বলা হয়। এদের চোখ গোল এবং অক্ষিগোলক সামনের দিকে অগ্রসর থাকায় এরা দ্বিনেত্র দৃষ্টির অধিকারী। তবে দূরের বস্তু পরিষ্কার দেখতে পেলেও খুব কাছের বস্তু ভালো দেখতে পায় না। এই কারণে এরা শিকার ধরার পর, আহার করার সময় চঞ্চু এবং নখরে অবস্থিত বিশেষ এক ধরনের পালক দ্বারা অনুভব করে।

এরা গিরগিটি, ব্যাঙ, ছোটো সাপ, ইঁদুর ইত্যাদি আহার করে। বিশেষ করে মাঠের ইঁদুর খেয়ে এরা কৃষকের উপকার করে।

এদের ডাক অত্যন্ত কর্কশ। কখনো কখনো সাপের হিস্‌হিস্ শব্দের মতো মনে হয়। এদের প্রধান খাদ্য ইঁদুর। প্রজনন ঋতুতে এরা ৫-৭টি ডিম পাড়ে। 

এরা মূলত নিশাচর এবং একাকী থাকতে পছন্দ করে। সাধারণ গাছের কোটরে, পাহাড়ের গর্তে বা পুরোনো পরিত্যক্ত বাড়িতে বাস করে।


সূত্র :