এপ
পইংরেজি apa>আধুনিকape>বাংলা এপ। ডাচ aap, প্রাচীন জার্মান affo, ওয়েলশ epa, প্রাচীন চেক op

প্রাচীন ইংরেজিতে এপ শব্দটি দিয়ে বুঝানো হতো -লেজ বিহীন এবং মানুষ নয় এমন
প্রাইমেট। এই বিচারে শুধুমাত্র বেবুনকে এপ হিসাবে বিবেচনা করা হতো। পরবর্তী সময়ে লেজবিহীন  macaque-এর দুটি প্রজাতিকে এপ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। আধুনিক মতে- প্রাইমেট বর্গের হোমোনোইডিয়া উর্ধ্বগোত্রের অন্তর্গত একটি দলগত নাম হলো- এপ।

প্রায় ৩ কোটি ৩০ লক্ষ বৎসর আগে এপদের আদি পূর্বপুরুষের আবির্ভাব ঘটেছিল। বিজ্ঞানীরা এর নামকরণ করেছেন ঈজিপটোপিথেকাস জেউক্সিস উল্লেখ্য, ইজিপ্টোপিথেকাসের আক্ষরিক অর্থ হলো মিশরের বানর। ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে এই প্রজাতি সাইমন্স মিশরের ফায়য়ুম প্রদেশের জেবেল কাদ্রানি ভূ-সংগঠন অঞ্চলে এই প্রজাতিটির অস্থি আবিষ্কার করেন। মিশরে আবিষ্কৃত প্রজাতিটির নামকরণ করা হয়েছে Aegyptopithecus zeuxis

২.৩০-২ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের এপ জাতীয় প্রাণী পূর্ণতা লাভ করেছিল। রূপান্তরের এই পুরো ঘটনাই ঘটেছিল আফ্রিকাতে। পরে এরা এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে এরা ছড়িয়ে পড়েছিল।

মাইসন অধিযুগের সবচেয়ে সুপরিচিত এপ ছিল প্রোকোনসুল। এরা আফ্রিকার কেনিয়া অঞ্চলে প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ বৎসর আগে বাস করতো। এই এপদের প্রধান খাবার ছিল ফল। এদের দাঁতের গড়ন ছিল আধুনিক কালের বানরের মতো। মাথার খুলির গড়ন অনেকটা বেবুনের মতো।

এপ-এর জীবাশ্ম


১ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে এই আদি এপদের কিছু অংশ প্রাকৃতিক কারণে বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং কিছু অংশ বিবর্তিত হয়ে নূতন প্রজাতির এপ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল।

 

 


পরিবর্তিত এপদের উত্তরপুরুষ হলো- মানুষ
, গরিলা শিম্পাঞ্জি ইত্যাদি। তারপরেও আলোচনার সুবিধার্থে মানুষকে এই সময় সযত্নে এপদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়ে থাকে।