গণ্ডার
Rhinoceros

রাইনোইসেরোটিডায়ি
গোত্রের প্রজাতিসমূহের সাধারণ নাম। এদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো- নাকের উপর রয়েছে খড়্গ্। ভারতীয় ও জাভার গণ্ডারের নাকের উপর একটি খর্গ দেখা যায়। গণ্ডারের এই খর্গ গুচ্ছবদ্ধ লোম দ্বারা তৈরি হয়ে থাকে। গণ্ডার আক্রমণ বা আত্মরক্ষার জন্য খর্গ ব্যবহার করে। আবার এই খর্গের জন্যই একসময় মানুষ গণ্ডারকে হত্যা করেছে। কথিত আছে, এর খর্গ যৌনশক্তিবর্ধক। তাই ঔষধের উপাদানের জন্য শিকারীরা গণ্ডার হত্যা করে থাকে। এছাড়া চামড়া অত্যন্ত শক্ত হওয়াতে, একসময় যুদ্ধে ঢাল হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। এই কারণেও শিকারীরা গণ্ডার হত্যা করেছে।

গণ্ডার তৃণভোজী। ঘাস ছাড়াও ছোটো ছোটো গাছের পাতাও আহার করে থাকে। বলাই বাহুল্য বিশাল শরীরের কারণে গণ্ডার প্রচুর পরিমাণ আহার করে থাকে। সে কারণে এরা তৃণ সমৃদ্ধ অঞ্চলে বসবাস করে।

গণ্ডার অত্যন্ত বদরাগী ও একগুঁয়ে স্বভাবের হয়ে থাকে। এদের দৃষ্টি শক্তি অত্যন্ত কম থাকে। তবে এরা তীক্ষ্ম ঘ্রাণ ও শ্রবণশক্তির অধিকারী হয়ে থাকে। বিভিন্ন প্রজাতির গণ্ডারের মধ্যে আফ্রিকান কালো গণ্ডার অপেক্ষাকৃত অধিক ভয়ঙ্কর।

গণ্ডার সাধারণতঃ এককভাবে বিচরণ করে। প্রজননকালে একাধিক পুরুষ গণ্ডার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এরপর জয়ী গণ্ডার দীর্ঘ প্রেম নিবেদনের পর স্ত্রী গণ্ডারের সাথে মিলিত হয়। ১৫ থেকে ১৮ মাস গর্ভধারণের পর একটি বাচ্চা প্রসব করে। প্রায় আড়াই বৎসরকাল গণ্ডারশাবক তার মায়ের সাথে থাকে।

ধারণা করা হয় ইউপ্রেসিয়ান আমল শুরুর দিকে অর্থাৎ ৫.৬ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে পেরিসস্সোডাক্টাইলা
বর্গ থেকে রাইনোইসেরোটিডায়ি গোত্রের প্রজাতিসমূহের উদ্ভব হয়েছিল। এই গোত্র থেকে উদ্ভব হয়েছিল সকল ধরনের গণ্ডার। গণের বিচারে এই গোত্রকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়। এগুলো হলো-

উল্লিখিত এই তিনটি গণের প্রজাতিগুলো আফ্রিকা, ভারতবর্ষ, চীন ও ইন্দোনেশিয়ায় দেখা যায়। অবশিষ্ট তিনটি গণের গণ্ডার বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এগুলো হলো-


সারা পৃথিবী জুড়ে গণ্ডারের মাত্র পাঁচটি প্রজাতি পাওয়া যায়। এর তিনটি প্রজাতি রয়েছে ভারত, নেপাল ও মালয় অঞ্চলে, বাকি দুটি প্রজাতি রয়েছে আফ্রিকায়। নিচে এই প্রজাতিগুলোর পরিচয় তুলে ধরা হলো।

জীবিত গণ্ডারের পাঁচটি প্রজাতি
১. কালো গণ্ডার (
Black rhinoceros)
২. সাদা গণ্ডার (
White rhinoceros)
৩. ভারতীয় গণ্ডার (
Indian rhinoceros)
৪. জাভা গণ্ডার (
Javan rhinoceros)
৫. সুমাত্রা গণ্ডার (
Sumatran rhinoceros)

. কালো গণ্ডার (Black rhinoceros)
D. bicornis Gray, 1821

Diceros গণের এই গণ্ডার পাওয়া যায় আফ্রিকার কেনিয়া, তাঞ্জানিয়া, ক্যামেরুন, দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া ও জাম্বিয়া-তে। এছাড়া পাওয়া যায় আফ্রিকার মধ্য ও পূর্বাঞ্চলে। আঞ্চলিকতার বিচারে এই গণ্ডারকে চারটি উপ-প্রজাতিতে ভাগ করা হয়েছে। এই ভাগগুলো হলো

১.১.
Diceros bicornis minor: এদের পাওয়া যায় দক্ষিণ-মধ্য আফ্রিকাতে। সংখ্যার দিক থেকে এই গণ্ডার প্রচুর দেখা যায়। এক সময় এই গণ্ডারের বিচরণ ক্ষেত্রে ছিল মধ্য তাঞ্জানিয়া থেকে জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিক-সহ দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর ও পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত।

১.২. Diceros bicornis bicornis : এদের পাওয়া যায় নামিবিয়া, দক্ষিণ এ্যাঙ্গোলা, বৎসোয়ানা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলে।

১.৩.
Diceros bicornis michaeli: এক সময় এই গণ্ডার দক্ষিণ সুদান, ইথিওপিয়া, কেনিয়া উত্তর-মধ্য তাঞ্জানিয়াতে পাওয়া যেতো। বর্তমানে শুধু তাঞ্জানিয়াতে কিছু পাওয়া যায়।

১.৪.
Diceros bicornis longipes: এক সময় আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলের সাভানাতে পাওয়া যেতো। এর সর্বশেষ সদস্যটি ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের পূর্বে ক্যামেরুনে দেখা গিয়েছিল। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ১০ নভেম্বরে এই গণ্ডারটিকে বিলুপ্ত হিসাবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

কালো গণ্ডারের দৈহিক আকৃতি
যদিও এই গণ্ডারকে কালো বলা হয়, কিন্তু এর রঙ গাঢ় ধূসর বর্ণের। মূলত আবহাওয়া এবং পরিবেশগত কারণে এই গণ্ডারের রঙের হেরফের হয়ে থাকে।

এদের দুটো খর্গ থাকে। এর ভিতরে প্রথম বড় খর্গটি মুখের অগ্রভাগে থাকে। এর পিছনে থাকে অপেক্ষাকৃত ছোটো খর্গ। কখনো কখনো এই গণ্ডারের আরো একটি ছোটো খর্গের তৈরি হয়। মূলত এরা শত্রুকে আঘাত করার জন্য এই খর্গ ব্যবহার করে।

পূর্ণবয়স্ক কালো গণ্ডারের স্ত্রী-পুরুষ ভেদে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। উচ্চতা, দৈর্ঘ্য ও ওজনের বিচারে স্ত্রী-গণ্ডার খানিকটা ছোটো হয়ে থাকে। এদের আকার শ্বেত গণ্ডারের চেয়ে ছোটো। এদের উপরের ঠোঁট একটু চোখা থাকে। এই উপরের ঠোঁট এরা ঘাস লতাপাতা আহারের সময় ব্যবহার করে। এদের দৃষ্টি শক্তি খুবই কম। এই কারণে এরা দিক নির্ণয়ে শ্রবণ ও ঘ্রাণ শক্তি ব্যবহার করে। শোনার জন্য এরা কানকে  এ্যান্টেনার মতো ঘুরাতে পারে।

কাঁধ বরাবর উচ্চতা :

১৩২-১৮০ সেন্টিমিটার (৫২-৭১ ইঞ্চি)

দৈর্ঘ্য :

২.৮-৩.৮ মিটার (৯.২-১২ ফুট)

লেজ :

৬০ সেন্টিমিটার (২৪ ইঞ্চি)

ওজন :

৮০০ থেকে ১৪০০ কেজি

২. সাদা গণ্ডার (White rhinoceros)

এই গণ্ডার পাওয়া যায় আফ্রিকার জিম্বাবুয়ে, সোয়াজিল্যান্ড, মোজাম্বিক, কেনিয়া, উগাণ্ডা, জাম্বিয়া-তে। আঞ্চলিকতার বিচারে এই গণ্ডারের ২টি উপ-প্রজাতিতে ভাগ করা হয়েছে। এই ভাগগুলো হলো

২.১. Ceratotherium simum simum Burchell, 1817:
এর অপর নাম দক্ষিণাঞ্চলীয় সাদা গণ্ডার (
southern white rhinoceros)। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বরের হিসাব মতে এর সংখ্যা ছিল ১৭,৪৮০।  এদের পাওয়া যায় আফ্রিকার জিম্বাবুয়ে, সোয়াজিল্যান্ড, মোজাম্বিক, কেনিয়া, উগাণ্ডা জাম্বিয়া-তে। সংখ্যার দিক থেকে এই গণ্ডার প্রচুর দেখা যায়। এক সময় এই গণ্ডারের বিচরণ ক্ষেত্রে ছিল মধ্য তাঞ্জানিয়া থেকে জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিক-সহ দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর ও পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত।

২.২. Ceratotherium simum cottoni :
এর অপর নাম উত্তরাঞ্চলীয় সাদা গণ্ডার (
Northern white rhinoceros) আগে পাওয়া যেতো উগান্ডার উত্তরাঞ্চলে, চাদের দক্ষিণাঞ্চলে, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের পূর্বাঞ্চলে এবং কঙ্গোর উত্তরাঞ্চলে। শিকারীদের ব্যাপক হত্যার ফলে, ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে এর সংখ্যা ৫০০ থেকে ১৫টি নেমে আসে। এরপর এই গণ্ডার হত্যা রোধের ব্যাপক প্রচেষ্টা গ্রহণের পর, ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে এর সংখ্যা ৩২টিতে উপনীত হয়েছিল। কিন্তু শিকারীদের হত্যার কারণে ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দের মাঝামঝি সময়ে এর সংখ্যা নামিয়েছিল ৫টিতে। এর ভিতর চারটি গণ্ডার কঙ্গোর গারাম্বা জাতীয় উদ্যানে ছিল। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের দিকে এই গণ্ডার এই উদ্যানে দেখা যায় নি। ধারণা করা হচ্ছে, শিকারীরা এগুলোকে হত্যা করেছে। এই বিচারে এই গণ্ডারকে বিলুপ্ত তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে চেক প্রজাতন্ত্রের Dvůr Králové Zoo-তে এই গণ্ডারের ৬টি সদস্য আছে। এছাড়া আছে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগো চিড়িয়াখানায় দুটি রয়েছে।

৩. ভারতীয় গণ্ডার (Indian rhinoceros)
এর বৈজ্ঞানিক নাম  Rhinoceros unicornis। একে অন্যান্য যে নামে অভিহিত করা হয়, সেগুলো হলো বৃহত্তর এক শৃঙ্গী গণ্ডার, এশীয় এক-শৃঙ্গী গণ্ডার। এদের সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় উত্তর-পূর্ব ভারতে এবং নেপালের তেরাই সংরক্ষিত বনে। এছাড়া পাকিস্তান ও মায়ানমার সীমান্তে এদের পাওয়া যায়। এক সময় বাংলাদেশে গণ্ডার পাওয়া যেতো। বর্তমানে বাংলাদেশে এটি একটি বিলুপ্ত প্রাণী। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের হিসাব অনুসারে এদের সংখ্যা ছিল ২৫৭৫।

এদের মুখমণ্ডলের উপরিভাগে ১টি খর্গ আছে। এদের শাবকদের কোন খর্গ থাকে না। পূর্ণবয়স্ক গণ্ডারের খর্গের দৈর্ঘ্য হয় প্রায় ২৫ সেন্টিমিটার (৯.৮ ইঞ্চি)। সবচেয়ে বড় খর্গের যে নমুনা পাওয়া গেছে, তার দৈর্ঘ্য ছিল ৫৭.২ সেন্টিমিটার (২২.৫ ইঞ্চি)।

প্রায় স্ত্রী গণ্ডার ১৫,৭ মাস গর্ভধারণের পর ১টি বাচ্চা প্রসব করে।

কাঁধ বরাবর উচ্চতা :
 

পুরুষ : ১৭০-১৮৫ সেন্টিমিটার (৫.৬-৬.০৭ ফুট)
স্ত্রী : ১৪৭-১৭৩ সেন্টিমিটার (৪.৮২-৫.৬৭ ফুট)

দৈর্ঘ্য :
 

পুরুষ : ৩.৬৮-৩.৮০ মিটার (১২.০৭-১২.৫ ফুট)
স্ত্রী : ৩.১০-৩.৪০ মিটার (১০.০২-১১.২ ফুট)

ওজন :
 

পুরুষ : ২৫০০ কেজি
স্ত্রী: ১৬০০ কেজি

৪. জাভা গণ্ডার (Javan rhinoceros)
এর বৈজ্ঞানিক নাম Rhinoceros sondaicus। একে অন্যান্য যে নামে অভিহিত করা হয়, সেগুলো হলো– সুন্ডা গণ্ডার, ক্ষুদ্র এক-শৃঙ্গী গণ্ডার। এই গণ্ডারগুলো ভারতীয় গণ্ডারের গণভুক্ত। এদের পাওয়া যায় জাভা এবং সুমাত্রায়।

এদের মুখমণ্ডলের উপরিভাগে ১টি ক্ষুদ্রাকার খর্গ আছে। এর দৈর্ঘ্য ২৫ সেন্টিমিটার (১০ ইঞ্চি)।
 

কাঁধ বরাবর উচ্চতা : 

পুরুষ : ১৪০-১৭০ সেন্টিমিটার (৪.৬-৫.৮ ফুট)

দৈর্ঘ্য :

পুরুষ : ২-৪ মিটার (৬.৬-১৩ ফুট)

ওজন :

পুরুষ : ৯০০ থেকে ২৩০০ কেজি

এর তিনটি উপ-প্রজাতি আছে। এগুলো হলো

৪.১.
Rhinoceros sondaicus sondaicus
সাধারণত ইন্দোনেশিয়ান গণ্ডার নামে অভিহিত হয়ে থাকে। এদের পাওয়া যায় ইন্দোনেশিয়ার জাভা এবং সুমাত্রায়। এটি বর্তমানে বিপন্ন প্রাণীর তালিকাভুক্ত।

৪.২.
Rhinoceros sondaicus annamiticus
সাধারণত ভিয়েৎনামি-জাভা গণ্ডার বা ভিয়েৎনামি গণ্ডার নামে অভিহিত হয়ে থাকে। এই গণ্ডারগুলো পাওয়া যেতো ভিয়েৎনাম, কম্বোডিয়া, লাওস, থাইল্যান্ড, মালোয়েশিয়াতে। বর্তমানে এটি বিলুপ্ত প্রাণীর তালিকায় রয়েছে।

৪.৩.
Rhinoceros sondaicus inermis
সাধারণত ভারতীয়-জাভা গণ্ডার বা ভিয়েৎনামি গণ্ডার নামে অভিহিত হয়ে থাকে। এক সময় এদের বিচরণক্ষেত্রে ছিল মায়ানমার থেকে বঙ্গদেশ পর্যন্ত। ধারণা করা হয় ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে এই গণ্ডার বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

৫. সুমাত্রা গণ্ডার (Sumatran rhinoceros)

এর বৈজ্ঞানিক নাম : Dicerorhinus sumatrensis। এটি Dicerorhinus গণের একমাত্র জীবিত গণ্ডার। আকার ও ওজনের বিচারে একে বলা হয় ক্ষুদ্রাকার গণ্ডার। একসময় এদের বিচরণ ক্ষেত্র ছিল ভারত, ভুটান, বাংলাদেশ, মায়ানমার, লাওস, থাইল্যান্ড, মালোয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং চীনের আর্দ্র, ঘন অরণ্যে। এখন এর একটি প্রজাতির একটি উপ-প্রজাতির কিছু সদ্স্য টিকে আছে।

 সাধারণ দৈহিক বিবরণ

কাঁধ বরাবর উচ্চতা : 

পুরুষ : ১১২-১৪৫ সেন্টিমিটার (৩.৬-৪.৭৬ ফুট)

দৈর্ঘ্য :

পুরুষ : ২.৩৬-৩.১৮ মিটার (৭.৭-১০.৪ ফুট)

লেজের দৈর্ঘ্য :

 ৩৫-৭০ সেন্টিমিটার ১৪-২৮ ইঞ্চি

গড় ওজন :

পুরুষ : ৭০০ থেকে ৮০০ কেজি

এই প্রজাতির তিনটি উপ-প্রজাতি আছে। এই উপ-প্রজাতি গুলো হলো

১. Dicerorhinus sumatrensis sumatrensis

সাধারণ এই উপ-প্রজাতি পশ্চিম সুমাত্রার গণ্ডার নামে অভিহিত হয়ে থাকে। সুমাত্রার বুকিত বারিসান এবং গুনুং লেউসার জাতীয় উদ্যানে এই গণ্ডারের ১৭০ থেকে ২৩০টির মতো টিকে আছে। প্রায় ৭৫টি গণ্ডার মালয় উপদ্বীপে রয়েছে।

২.
Dicerorhinus sumatrensis harrissoni
সাধারণত এই উপ-প্রজাতি পশ্চিম সুমাত্রার গণ্ডার বা বোর্নিও গণ্ডার নামে অভিহিত হয়ে থাকে। এক সময়ে বোর্নিও'র সর্বত্রই এই গণ্ডার দেখা যেতো। বর্তমানে প্রায় ৫০টির মতো গণ্ডার বর্ণিওতে দেখা যায়। এই গণ্ডারটি
Dicerorhinus sumatrensis প্রজাতির অন্য দুটি প্রজাতি অপেক্ষা কিছুটা ছোটো।

৩. Dicerorhinus sumatrensis asiotis
সাধারণত এই উপ-প্রজাতি উত্তর সুমাত্রার গণ্ডার নামে অভিহিত হয়ে থাকে। এক সময় এই গণ্ডার ভারত এবং বাংলাদেশে ছিল। বর্তমানে এই দুটি দেশে এই গণ্ডার পাওয়া যায় না। ধারণা করা হয়, এর সামান্য কিছু সদস্য মায়ানমারে আছে। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে যথাযথ পর্যবেক্ষণ করার সুবিধা না থাকায়, এই ধারণা সত্য বলে প্রমাণিত হয় নি।


সূত্র :