পাহাড়ি কাক
Alpine Chough, Yellow-billed Chough

কোর্ভিনায়ি উপগোত্রের অন্তর্গত Pyrrhocorax
গণের কাক জাতীয় পাখির সাধারণ নাম
একটি প্রজাতিসমূহের সাধারণ নাম ১৭৬৬ খ্রিষ্টাব্দে এই গণের নামকরণ করেছিলেন
Linnaeus 

৫.২৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে এই পাস্সেরি পক্ষীকূলের কোর্ভিডেস ক্ষুদ্রবর্গের উদ্ভব হয়েছিল। ৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে এই ক্ষুদ্রবর্গ থেকে উদ্ভব হয়েছিল কোরভিডা উপক্ষুদ্র বর্গের প্রজাতিসমূহ। আর এই উপক্ষুদ্র থেকে উদ্ভব হয়েছিল কোর্ভোইডিয়া ঊর্ধগোত্র। এই উর্ধগোত্রে থেকে ১.৭ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দে উদ্ভব হয়েছিল উদ্ভব হয়েছিল  Pyrrhocorax
গণের প্রজাতিসমূহ।

এই জাতীয় বাস করে পাহাড়ি অঞ্চলে দেখা যায়। উত্তর আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া ও ইউরোপের স্পেনের পার্বত্য এলাকায় এদের বেশি দেখা যায়। ভারতের হিমালয় সংলগ্ন দার্জিলিং অঞ্চলে এবং হিমালয়ের উচ্চতর পার্বত্য অঞ্চলে এই কাক দেখা যায়।

আকারে সাধারণ কাকের চেয়ে বড়। লম্বায় প্রায় ৩৮ সেন্টিমিটার। গায়ের রঙ কালো, ঠোঁটের রঙ হলুদ। এরা পাহাড়ের উপরের দিকের উঁচু গুহা বা এই জাতীয় ছোটো তিন দিকে আবরিত স্থানে খড়কুটো দিয়ে বাস তৈরি করে। স্ত্রী পাখি ৩-৫টি ডিম পাড়ে।

এরা পাহাড়ি ছোটো ছোট সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী, কীটপতঙ্গ, সমতল ভূমির শস্য কণা আহার করে। মানুষের পরিত্যক্ত খাবার খাওয়ার জন্য অনেক সময় লোকালয়ে আসে।


সূত্র :

  • পশ্চিম বাংলার পাখি । প্রণবেশ সান্যাল, বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড মে ১৯৯৭।

  • http://en.wikipedia.org/wiki