|
চড়াই
পাস্সের গণের চড়াই
পাস্সেরিডায়ি
গোত্রে অন্তর্গত প্রজাতিগুলোকে সাধারণভাবে প্রাচীন পৃথিবীর চড়াই বলা হয়। এই গোত্রের
পাস্সের (Passer)
গণের চড়াইগুলোকে প্রকৃত চড়াই
বলা হয়।
এই এরা আকারে ছোট এবং অত্যন্ত চঞ্চল। সারা পৃথিবী জুড়ে বহু রকমের চড়াই আছে।
দেশের বিচারে বা বসবাসের প্রকৃতি অনুসারে চড়াইকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। সাধারণত
চড়াইয়ের রঙ বাদামি-ধূসর হয়ে থাকে। প্রজাতিভেদে কিছু রঙের হেরফের লক্ষ্য করা যায়।
এদের লেজ খাটো।
প্রজাতিভেদে এদের দৈর্ঘ্য ১১ থেকে ১৮ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে।
ওজনের বিচারের একই ভাবে হেরফের দেখা যায়। প্রজাতিভেদে এদের ওজন ১৩.৪ গ্রাম থেকে ৪২
গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। আকারে বা ওজনে ছোটো-বড় হলেও এদের দৈহিক গড়নশৈলী একই রকম।
সকল প্রজাতিই চিঢ়িক্ চিঢ়িক্ শব্দে ডাকে। কখনো কখনো অনেক চড়াই
একসাথে দেখা গেলেও এরা কোনো দলের অন্তর্গত হয়ে বসবাস করে না। এদের প্রধান খাদ্য
শস্য, ফুলের কুড়ি, বাদাম জাতীয় ফল ইত্যাদি আহার করে।
Passer domesticus বাংলাদেশের চড়াই |
বাংলাদেশের চড়াইয়ের স্ত্রী পাখির গায়ের রঙ ধূসর এবং পিঠের দিকের রঙ অপেক্ষাকৃত গাঢ়। পুরুষ পাখির ডানা বাদামি। গাল সাদাটে হয় এবং ঠোঁটের নিচের দিক কালো বর্ণের হয়। এদের দৈর্ঘ্য হয়ে থাকে প্রায় ১৬ সেন্টিমিটার। ওজন হব প্রায় ৪০ গ্রাম। এরা চিঢ়িক্ চিঢ়িক্ শব্দে ডাকে। এরা জোড়া ধরে বা একাকী বিচরণ করে। এরা শস্য, ফুলের কুড়ি, বাদাম ইত্যাদি আহার করে। এরা বাড়ির ফাঁক ফোকরে খরকুটা দিয়ে বাসা বানায়। স্ত্রী পাখি ৩টি থেকে ৫টি ডিম প্রসব করে।
নিচে পাস্সের গণের চড়াইয়ের বিভিন্ন প্রজাতির তালিকা দেওয়া হলো।