কাক
Crow

কোর্ভিনায়ি উপগোত্রের অন্তর্গত প্রজাতিসমূহের সাধারণ নাম এর গণের নাম Corvus১৭৫৮ খ্রিষ্টাব্দে এই গণের নামকরণ করেছিলেন Linnaeus 

৫.২৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে এই পাস্সেরি পক্ষিকূলের কোর্ভিডেস ক্ষুদ্রবর্গের উদ্ভব হয়েছিল। ৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে এই ক্ষুদ্রবর্গ থেকে উদ্ভব হয়েছিল কোরভিডা উপক্ষুদ্র বর্গের প্রজাতিসমূহ। আর এই উপক্ষুদ্র থেকে উদ্ভব হয়েছিল কোর্ভোইডিয়া ঊর্ধগোত্র। এই উর্ধগোত্রে থেকে ১.৭ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দে উদ্ভব হয়েছিল কোরভিডায়ি গোত্রের প্রজাতিসমূহ। পরে এই ঊর্ধগোত্র থেকে উদ্ভব হয়েছিল কোর্ভিনায়ি উপগোত্রের প্রজাতিসমূহ। এ ছাড়া রয়েছে  কোর্ভিডায়ি গোত্রের Pyrrhocorax গণের দুটি প্রজাতি।

কাক দেখতে অনেকটা কবুতরের মতোই। তবে দের দেহের রঙ কালো বা কালচে ধূসর। গলার রঙ ধূসর বর্ণের হায়ে থাকে। এদের পা ও ঠোঁট খুবই সক্রিয়। এদের দলবদ্ধভাবে থাকতে দেখা যায়। একটি কাকের বাচ্চাকে আঘাত করা হলে দলবদ্ধভাবে অন্যান্যা কাকেরা তাড়া করে। বুদ্ধিমত্তার জন্য কাকের সুনাম আছে। 

কাক তার কর্কশ আওয়াজের জন্য পরিচিত। এদের কখনও উচ্চস্বরে কা-কা বা কখনও চাপা স্বরে ক-ক আওয়াজ করতে শোনা যায়।

কাক সর্বভূক। অন্য পাখি, ছোট ব্যাঙ, কেঁচো, ফল, কীটপতঙ্গ এমনকি নোংরা আবর্জনাও এরা খায়। খায়।

স্ত্রী কাক ও পুরুষ কাক তেমনভাবে আলাদা করা যায় না। এরা সাধারণত ২০-৩০ বছর বাঁচে। কিছু কিছু আমেরিকান কাক প্রায় ৫৯ বছর বাঁচে। এরা গাছের উঁচু ডালে খড়কুটো, ন্যাকড়া, কাঠি প্রভৃতি দিয়ে বাসা বানায়। পাহাড়ি কাক ছোটো ছোটো সুরঙ্গ জাতীয় গুহায় বাসা তৈরি করে।

সারা পৃথিবী জুড়ে নানা ধরনের কাক দেখা যায়। আকার ও রঙের বিচারে কাককে স্থানীয়ভাবে নানা নামে ডাকা হয়। যেমন যেমন
সাধারণ কাক, দাঁড় কাক, পাহাড়ি কাক ইত্যাদি

Corvus গণের প্রজাতিসমূহের তালিকা

Pyrrhocorax গণ ও তার তালিকা
এছাড়া কোর্ভিডায়ি গোত্রের পাইরোকোরাক্স গণের দুটি প্রজাতিকে কাক হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৭৭১ খ্রিষ্টাব্দে এই গণের নামকরণ করেছিলেন-Tunstall।  এই গণের দুটি প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এরা হলো-


সূত্র :

  • পশ্চিম বাংলার পাখি । প্রণবেশ সান্যাল, বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড মে ১৯৯৭।

  • http://en.wikipedia.org/wiki