সূত্র :
-
পশ্চিম বাংলার পাখি । প্রণবেশ সান্যাল, বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড মে ১৯৯৭।
|
গয়ার
Darter
এ্যান্হিঙ্গিহাইডি
গোত্রের
পাখিসমূহের গণগত নাম। এই গোত্রের
Anhinga
গণের
প্রজাতিসমূহকে
সাধারণভাবে এদেরকে গয়ার বলা হয়। ১৭৬০ খ্রিষ্টাব্দে গণটির নামকরণ করেছিলেন
Brisson।
ব্রাজিলের টুপি ভাষা (Tupi
language) ভাষা থেকে
Anhinga
শব্দটি গৃহীত হয়েছে।
Anhinga anhinga আমেরিকান গয়ার |
এই গণের
পাখিগুলোর গলা সাপের
মত হিলহিলে বলে এদেরকে অনেক সময় সাপপাখি বলা হয়। পৃথিবীর বিশাল এলাকা জুড়ে
গয়ারের বসবাস হলেও এদের সংখ্যা ক্রমে ক্রমে কমে যাচ্ছে। এই কারণে
আন্তর্জাতিকভাবে
গয়ারকে প্রায় সংকটাপন্ন পাখি হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে।
সাধারণভাবে আঞ্চলিকতার বিচারে গয়ারকে চারটি প্রধান বংশধারা
হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এগুলো হলো-
আমেরিকান গয়ার,
ভারতীয় গয়ার,
আফ্রিকান গয়ার এবং
অস্ট্রালেশিয়ান গয়ার।
ক্রমবিবর্তনের ধারা
৭.৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দে
নিয়োভেস
থাক থেকে
ইকুয়োর্লিটোর্নিথেস থাকের উদ্ভব হয়েছিল।
৭.৫
থেকে ৫.৬ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে শ্রেণিটি ৩টি ভাগে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল।
এই ভাগ ৩টি
হলো-কারাড্রায়িফোর্মেস
বর্গ,
আর্ডেয়াই
থাক এবং
মিরান্ডোর্নিথেস থাক।
৭-৩ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের
দিকে আর্ডেয়াই
থাকের প্রজাতিসমূহ ৫টি ভাগে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এগুলো হলো- গ্যাভিওফোর্মেস বর্গ,
পেলেকানিফোরমেস
বর্গ, অস্ট্রোডাইপ্টোর্নিথেস থাক,
সুলিফোর্মেস
বর্গ ও কোকোনিফোর্মেস বর্গ। এর ভিতরে
৬.৬ কোটি
খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে
সুলিফোর্মেস
বর্গের আবির্ভাব হয়েছিল। ৬.৬ থেকে ২.৩ কোটি
খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে এই বর্গের প্রজাতিসমূহ ৫টি গোত্রে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল।
এর ভিতরে
এ্যান্হিঙ্গিহাইডি গোত্রের আবির্ভাব হয়েছিল ২.৩ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে।
এ্যান্হিঙ্গিহাইডি গোত্রের অন্তর্গত এ্যান্হিঙ্গা গণ থেকে উদ্ভব হয়েছিল প্রজাতিসমূহ। এর
ভিতরে উল্লেখযোগ্য প্রজাতিগুলো হলো-
সূত্র :
পশ্চিম বাংলার পাখি । প্রণবেশ সান্যাল, বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড মে ১৯৯৭।