জীবজগতের
প্রাইমেট বর্গের
অন্তর্গত গণ বিশেষ। ৩৫ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে দিকে আবির্ভুত হয়েছিল।
সম্ভবত ৩২ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে দিকে এরা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল।
১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে কেনিয়ার তুর্কানা হ্রদের কাছেM.G.Leakey
-র
নেতৃত্ব একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এই দলের অন্যতম সদস্য
Justus Erus,হোমিনিনি গোষ্ঠীর
একটি জীবাশ্ম খুঁজে পান।
২০০১ খ্রিষ্টাব্দে এর নামকরণ করেন
M.G.Leakey, Spoor,
Brown, Gathogo, Kiarie, L.N.Leakey & McDougall
।
এই নামের অর্থ হলো- কেনিয়ার সমান চেহারার মানুষ। এঁরা দাবি করেন যে, এটি
হোমিনিনি গোষ্ঠীর
একটি নতুন প্রজাতি। এই সময় এই প্রজাতিটির নামকরণ করা হয়-
Kenyanthropus platyops
।
Justus Erus,
-এর আবিষ্কৃত জীবাশ্মটি ছিল একটি খুলি।
এর নমুনা পরিচিতি হলো- KNM-WT
40000
।
এই প্রজাতিটি সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশিত হয় ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে নেচার
পত্রিকায়।
২০১১ খ্রিষ্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টোনি ব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সোনিয়া হার্মার্ড এবং
জেসন লুইস কেনিয়ার তুর্কানা হ্রদের কাছে কিছু পাথরের তৈরি যন্ত্রপাতির সন্ধান পান। গবেষকরা এই ক্ষেত্রের নামকরণ করেন
লোমেক্উই।
এই নতুন ক্ষেত্রটিতে পাওয়া যায় এমন কিছু যন্ত্র, যেগুলো পাথর ঘষে তৈরি করা হয়েছিল। ইথিওপিয়ার গনার নিকটবর্তী অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত পাথরের যন্ত্রের চেয়ে এগুলো ছিল বেশ ভারি।
এই গণের জীবন-যাপনে প্রথম সৃজনশীল কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। এর আগের প্রজাতিগুলো,
জন্মগ্তসূত্রে প্রাপ্ত সহজাত ক্ষমতায় যা করতে পারতো, তার বাইরে কিছু ভাবাটা প্রয়োজন
মনে করে নি। কেনিয়ান্থ্রোপাস
গণের এই প্রজাতিটি, এর বাইরে বেরিয়ে এসে পাথরকে ঘষে ঘষে যন্ত্র তৈরি করেছিল। মটি খনন,
হিংস্র জন্তু থেকে আক্রমণ প্রতিহতকরণ, মাংস কর্তন বা থেঁতলানোর জন্য এরা এই পাথুরে যন্ত্র ব্যবহার করতো।
গাছ থেকে কাঠ সংগ্রহ করতো।
সেকালের পরিবেশে জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার জন্য এই টুকু ক্ষমতাই হয়তো পর্যাপ্ত ছিল না। তাই ৩২ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে
এরা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল।