অস্ট্রালোপিথেকাস গণের একটি প্রজাতি।
প্রায় ২০ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে আফ্রিকায় এদের আবির্ভাব
ঘটেছিল। ১৮ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল।
এদের সাথে
হোমো হ্যাবিলিস এবং
অস্ট্রালোপিথেকাস আফ্রিকানাস
-এর সাথে প্রচুর মিল রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার
Malapa Fossil Site
থেকে প্রাপ্ত ছয়টি আংশিক জীবাশ্ম থেকে এই প্রজাতিকে শনাক্ত করা হয়েছ।
২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের দিকে লী বার্গার নামক একজন প্রত্নতাত্তিক গবেষক দক্ষিণ আফ্রিকার জোহান্সবার্গের নিকটবর্তী একটি পার্বত্য এলাকায়
খনন করছিলেন। এই এই গবেষকের নয় বৎসরের ছেলে ম্যাথিউ, ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগষ্ট একটি পাথরের সাথে মিশে থাকা জীবাশ্ম
দেখতে পান। এই জীবাশ্মটি ম্যাথিও তাঁর পিতাকে দেখান। পরে লী বার্গার জীবাশ্মটিকে পরিষ্কার করেন।
এটি ছিল একটি দাঁতসহ একটি চোয়ালের জীবাশ্ম।
২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে বার্গার এই প্রজাতির একটি খুলি আবিষ্কার করতে সক্ষম হন। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে এই জীবাশ্মটিকে লী বার্গার
Australopithecus sediba
নামে একটি পৃথক প্রজাতি হিসেবে ঘোষণা দেন। এই জীবাশ্মটির বয়স নিরুপণ করা হয়েছে- ১৯ লক্ষ ৫০ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
এই প্রজাতির মস্তিষ্কের মাপ ছিল ৪২০-৬৩১ সিসি। এদের হাতের গড়ন এবং অঙ্গুলি বিন্যাস ছিল আধুনিক মানুষের মতো।
এই কারণে ধারণা করা হয়, এরা মানুষের মতই পাথর থেকে যন্ত্রপাতি তৈরি করতে পারতো। এরা মানুষের মতো দুই পায়ে চলতে পারতো।
তবে এরা একটু কুঁজো হয়ে চলতো। এদের গড় উচ্চতা ছিল ১.৩ মিটার।
এদের খাদ্য তালিকায় উদ্ভিদ ও মাংস উভয়ই ছিল। সম্ভবত এরা পাথরের অস্ত্র ব্যবহার করে পশু হত্যা করা শিখেছিল।