৩০ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স
নজরুলের ৩০ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স শুরু হয়েছিল ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৬
বঙ্গাব্দ (২৫ মে ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দ) থেকে। শেষ হয়েছিল ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ
(২৪শে মে ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দ)।
এই বছরে রচিত নতুন গান ছিল ৮৬টি। ৩০
বৎসর অতিক্রান্ত বয়স শেষে মোট গানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ২৩৩টি।
নজরুলের ৩০ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সের শুরু থেকেই তিনি সস্ত্রীক বাস করতেন কলকতায়। এই
সময় তিনি ব্যস্ত ছিলেন আলেয়া নামক নাটক রচনা নিয়ে। একই সাথে তিনি ব্যস্ত হয়ে
পড়েছিলেন নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের নতুন নাটক 'রক্তকমল' নিয়ে। এই দুটি
নাটকের কাজ নিয়ে শুরু হয়েছিল তাঁর ৩০ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স।আলেয়া
নজরুল এই নাটকটির রচনা শুরু করেছিলেন ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসের আগেই।
কল্লোল পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৬' সংখ্যার 'সাহিত্য-সংবাদ' বিভাগে' বিষয়ে একটি তথ্য
পাওয়া যায়। তথ্যটি হলো-
'নজরুল ইসলাম একখানি অপেরা লিখেছেন। প্রথমে তার নাম দিয়েছিলেন 'মরুতৃষ্ণা'।
সম্প্রতি তার নাম বদলে 'আলেয়া' নামকরণ হয়েছে। গীতি-নাট্যখানি সম্ভবত মনোমহনে
অভিনীত হবে। এতে গান আছে ত্রিশখানি। নাচে গানে অপরূপ হয়েই আশা করি এ অপেরাখানি
জনসাধারণের মন হরণ করেবে।'
আলেয়া' যথাসময়ে মনোমহনে নাট্যমঞ্চে মঞ্চস্থ হয় নি। এরপর এই গীতিনাট্যটির প্রকাশের
একটি ঘোষণা প্রকাশিত হয়েছিল স্বদেশ পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৮' সংখ্যায়। উক্ত ঘোষণায় বলা
হয়েছিল-
'আগমী সংখ্যায় কবি নজরুলের গীতিনাট্য 'আলেয়া' আরম্ভ হইবে।'
কিন্তু শেষ পর্যন্ত 'আলেয়া' কোনো সাময়িকীতেই প্রকাশিত হয় নি। অবশেষে ১৩৩৮
বঙ্গাব্দের ৩রা পৌষ, কলকাতার 'নাট্যনিকেতন' রঙ্গমঞ্চে 'আলেয়া' মঞ্চস্থ হয়েছিল।
প্রথম প্রকাশের তারিখও ছিল ৩রা পৌষ ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ। গ্রন্থটির প্রকাশক ছিলেন
গোপালদাস মজুমদার, ডি,এম, লাইব্রেরী, ৬১ কর্নওয়ালিশ স্ট্রিট, কলকাতা। মুদ্রাকর:
নরেন্দ্রনাথ কোঙার, ভারতবর্ষ প্রিন্টিং ওয়ার্কস, ২৩৩/১/১ কর্নমওয়ালিশ স্ট্রিট,
কলকাতা। পৃষ্ঠা ৮+৭২। দাম এক টাকা। পরে ডি,এম, লাইব্রেরী থেকে 'আলেয়া ও ঝিলিমিলি'
নামক সংকলনের সাথে থেকে প্রকাশিত হয়েছিল।
কল্লোল পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৬' সংখ্যার 'সাহিত্য-সংবাদ' বিভাগে'র
সংবাদ অনুসারে আলেয়া নাটকের জন্য নজরুল ৩০টি গান রচনা করেছিলেন।
১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের ১৯শে ডিসেম্বর (শনিবার ৩ পৌষ ১৩৩৮)
কলকাতার নাট্যনিকেতন মঞ্চে নজরুলের 'আলেয়া' গীতিনাট্য মঞ্চস্থ হয়।
এবং এই সময়ে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত আলেয়া নাটকে ২৮টি গান পাওয়া যায়। আপাত দৃষ্টিতে
মনে হয় এই গীতিনাট্যটি পরিমার্জনার সময় ২টি গান
বাদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোন দুটি
গান বাদ পড়েছিল, তা জানা যায় না।
১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে জয়তী ও নাচঘর পত্রিকায় 'আলেয়ার গান' শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছিল
আরও ৬টি গান। হতে পারে অতিরিক্ত গানগুলো ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে 'আলেয়া'
মঞ্চস্থ হওয়ার সময় রচিত হয়েছিল। কিম্বা শুরু থেকেই সকল গানই রচিত হয়েছিল। এ সমস্যার
কারণে আলেয়ার সকল গানের কালানুক্রম অনুসরণ করা দুরূহ হয়ে পড়ে। তাই প্রথম প্রকাশের
বিচারে বর্জিত গানগুলোকে কালানুক্রমিক সূচিতে- নজরুলের ৩২ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সের
(১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দ) গানের তালিকায় রাখ হলো।
গ্রন্থাকারে প্রকাশিত আলেয়ার ২৮টি গানের তালিকা,
যা ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসের পূর্বে রচিত হয়েছিল।
এর ভিতরে নতুন গান ছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩০ বৎসর ১ মাস।
- নিতি নিতি মোরে ডাকে [তথ্য]
বর্তমানে গানটির প্রথম পঙক্তি 'নিশি নিশি মোরে ডাকে সে স্বপনে' হিসেবেও
পাওয়া যায়।
- দুলে আলো শতদল [তথ্য]
- মোরা ফুটিয়াছি বঁধু [তথ্য]
- পোহাল পোহাল নিশি খোল গো আঁখি [তথ্য]
- ভোরের হাওয়া এলে [তথ্য]
- ফুল কিশোরী জাগো জাগো [তথ্য]
- যৌবন-তটিনী ছুটে চলে
[তথ্য]
- এসেছে ন'ব্নে বুড়ো [তথ্য]
- কেন ঘুম ভাঙালে প্রিয়
[তথ্য]
- চাঁদনী রাতে কানন সভাতে [তথ্য]
- কেন রঙীন নেশায় মোরে রাঙালে [তথ্য]
- ধর ধর ভর ভর, এ রঙিন পেয়ালী
[তথ্য]
- আধো ধরণী আলো আধো আঁধার [তথ্য]
- আঁধার রাতে কে গো একেলা
[তথ্য]
- যৌবনে যোগিনী,আর কত কাল [তথ্য]
- খুঁচি খুঁচি সূচি-সারি [তথ্য]
- জাগো যুবতি! আসে যুবরাজ [তথ্য]
- ঝঞ্ঝার ঝাঁঝর বাজে ঝনঝন
[তথ্য]
- নাচিছে নটনাথ, শঙ্কর মহাকাল
[তথ্য]
- নামিল বাদল! রুমু রুমু ঝুমু [তথ্য]
- বেসুর বীণায় ব্যথার সুরে [তথ্য]
- তাহারে দেখলে হাসি [তথ্য]
- জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা [তথ্য]
- টলমল টলমল পদভরে [তথ্য]
- আসিলে কে অতিথি সাঁঝে [তথ্য]
- মাধবী-তলে চল মাধবিকা-দল [তথ্য]
রক্তকমল:
কলকাতার মনোমোহন থিয়েটারে এই নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের
২রা জুন। এই নাটকটির মহড়ার সময় নজরুল এর সাথে জড়িয়ে পড়েন। কারণ
শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত এই নাটকের গীতিকার হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে দিয়েছিলেন নজরুল
কে। নাটকটির চরিত্রাভিনয়ে ছিলেন- নির্মেলন্দু লাহিড়ী, বিশ্বনাথ ভাদুড়ী, সরযুবালা,
শেফালিকা, ইন্দুবালা প্রমুখ। এই নাটকের গীতিকার ছিলেন নজরুল ইসলাম।
১৩৩৬ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে প্রকাশিত এই নাটকটি প্রকাশিত হয়েছিল। নাট্যকার নজরুলকে
এই নাটকটি উৎসর্গ করেছিলেন। নতুন ও পুরাতন মিলিয়ে ৯টি নজরুল রচিত গান এই নাটকে
ব্যবহার করা হয়েছিল। এর ভিতরে পুরানো গান ছিল ২টি। এই গান দুটি হলো- 'আসে বসন্ত
ফুলবনে' ও 'কেমনে রাখি আঁখি-বারি চাপিয়া'। বাকি ৭টি নতুন গান তিনি এই নাটকের জন্যই
রচনা করেছিলেন। গানগুলো হলো-
- ফাগুন-রাতের ফুলের নেশায় [তথ্য]
- কেউ ভোলে না কেউ ভোলে [তথ্য]
- নিশীথ স্বপন তোর [তথ্য]
- ভাঙা মন (আর) জোড়া নাহি যায় [তথ্য]
- ঘোর তিমির ছাইল [তথ্য]
- দারুণ পিপাসায় মায়া মরীচিকায় [তথ্য]
- মোর ঘুমঘোরে এলে মনোহর [তথ্য]
আলেয়া এবং রক্তকমল নাটকের জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাসে তাঁর তিনটি
গান রেকর্ড এবং পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই
গানগুলোর রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় নি। তাই প্রথম প্রকাশের বিচারে এই গানগুলোর
কালানুক্রম তৈরি করা হয়েছে। এই গানগুলো হলো-
- চরণে দলিয়া গিয়াছে চলিয়া [তথ্য]
রচনার স্থান ও কাল: অজ্ঞাত
প্রথম প্রকাশ:
এইচএমভি।। জুন ১৯২৯ (জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় ১৩৩৬) পি ১১৬০০। শিল্পী: ইন্দুবালা
নজরুলের বয়স: ৩০ বৎসর ১ মাস।
- কে তুমি দূরের সাথী
[তথ্য]
রচনার স্থান ও কাল: অজ্ঞাত
প্রথম প্রকাশ:
কল্লোল 'শ্রাবণ ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ
নজরুলের বয়স: ৩০ বৎসর
২ মাস।
- যে দুর্দিনের নেমেছে বাদল [তথ্য]
রচনার স্থান ও কাল: অজ্ঞাত
প্রথম প্রকাশ:
ছাত্র। 'শ্রাবণ ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ
নজরুলের বয়স: ৩০ বৎসর
২ মাস।
১২ আগষ্ট (সোমবার, ২৭ শ্রাবণ
১৩৩৬) নজরুলের দুটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। কাব্যগ্রন্থ দুটি- চক্রবাক ও
সন্ধ্যা'। এর ভিতরে চক্রবাকে কোনো গান অন্তর্ভুক্ত হয় নি। তবে সন্ধ্যা কাব্যগ্রন্থে
দুটি গান অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
-
সন্ধ্যা:
পঞ্চদশ কাব্যগ্রন্থ । প্রকাশক
গোপালদাস মজুমদার, ডি,এম লাইব্রেরি, ৬১ কর্নওয়ালিশ স্ট্রিট, কলিকাতা। মুদ্রিত
হয়েছিল প্রবাসী প্রেস, ৯১ নম্বর আপার সার্কুলার রোড, কলকাতা থেকে। মুদ্রক ছিলেন
সজনীকান্ত দাস। পৃষ্ঠা ১+৫৮। মূল্য এক টাকা চার আনা। এই গ্রন্থটি উৎসর্গ করা
হয়েছিল 'মাদারীপুর শান্তি-সেনা'র কর শতদলে ও বীর সেনানায়কের শ্রীচরণাম্বুজে।'
এই গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ৩টি গান। এর ভিতরে ১টি গান এই
গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটি হলো-
- এ কী বেদনার উঠিয়াছে ঢেউ দূর সিন্ধুর
[তথ্য]
রচনার স্থান ও কাল: অজ্ঞাত
প্রথম প্রকাশ:
সন্ধ্যা (কাব্যগ্রন্থ)। আগষ্ট ১৯২৯। ভাদ্র ১৩৩৬
নজরুলের বয়স: ৩০ বৎসর
৩ মাস।
১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর- মাসের ভিতরে নতুন গান প্রকাশিত
হয়েছিল টি। এসকল গানের রচনাকাল সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় না। গানগুলো হলো-
- না মিটিতে সাধ মোর নিশি পোহায়
[তথ্য]
রচনার স্থান ও কাল: অজ্ঞাত
প্রথম প্রকাশ:
সওগাত। কার্তিক ১৩৩৬' (অক্টোবর-নভেম্বর
১৯২৯)
নজরুলের বয়স: ৩০ বৎসর
৫ মাস।
- জনম জনম গেল আশা-পথ চাহি
[তথ্য]
রচনার স্থান ও কাল: অজ্ঞাত
প্রথম প্রকাশ:
সওগাত। কার্তিক ১৩৩৬' (অক্টোবর-নভেম্বর
১৯২৯)
নজরুলের বয়স: ৩০ বৎসর
৩ মাস।
বিতর্কিত গান: চরণে দলিয়া গিয়াছে চলিয়া
[তথ্য]
১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের জুন
(জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় ১৩৩৬) মাসে এইচএমভি থেকে ইন্দুবালার কণ্ঠে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল।
রেকর্ড পরিচিতি: এইচএমভি। পি ১১৬০০। শিল্পী: ইন্দুবালা।
এই রেকর্ডের অপর গানটি ছিল- 'স্বপনে তোমায় দেখিয়াছি আমি'। এই রেকর্ডের
দুটি গানের কোনটির সাথেই গীতিকার বা সুরকার হিসেবে নজরুলের নাম নেই। মুম্বাই
থেকে প্রকাশিত 'the Record News'-পত্রিকার Annual: TRN 2008' সংখ্যার ৩৯
পৃষ্ঠায় মুদ্রিত ইন্দুবালার গাওয়া রেকর্ডের তালিকাতে এই দুটি গানকে নজরুলসঙ্গীত
হিসেবে উল্লেখ করা হয় নি। তাই গান দুটি নজরুলের রচিত কিনা সন্দেহ থেকেই যায়।
কিন্তু কবি নজরুল ইনস্টিটিউট থেকে প্রকাশিত 'নজরুল সঙ্গীত সংগ্রহ' ৯৩১ সংখ্যক
গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। পরে
সুধীন দাশ-কৃত
স্বরলিপি
নজরুল
সঙ্গীত স্বরলিপি, আটাশতম খণ্ড-[নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা। আষাঢ়, ১৪১৩/জুলাই
২০০৬]-এ ১৪ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
[নমুনা]
অপ্রকাশিত নজরুল সঙ্গীত
১৯২৯
খ্রিষ্টাব্দের জুন থেকে নভেম্বর মাসের ভিতরে এইচএমভি থেকে একটি রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। কণ্ঠ
দিয়েছিলেন ইন্দুবালা। এই রেকর্ডের দুটি গান নজরুল সঙ্গীতের কোনো সংকলনে অন্তর্ভুক্ত
হয় নি। এমন কি সমকালীন কোনো পত্রিকাতেও প্রকাশিত হয় নি। সম্ভবত নজরুল রেকর্ড
কোম্পানির অনুরোধে এই দুটি গান রচনা করে ইন্দুবালাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে রেকর্ড
করিয়েছিলেন। মুম্বাই থেকে প্রকাশিত 'The record news
পত্রিকার
Annual 2008
সংখ্যার সূত্রে প্রাপ্ত এই গান দুটিকে নতুন গান হিসেবে উল্লেখ করা
হলো। পত্রিকায় রেকর্ডটি প্রকাশের তারিখ উল্লেখ নেই। রেকর্ডের নম্বর পি ১১৬৩২। এই রেকর্ডের পূর্বর্তী রেকর্ড
১১৬০০ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯২৯
খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে
এবং পরবর্তী
রেকর্ডে পি ১১৬৬১-এর প্রকাশকাল ছিল ডিসেম্বর ১৯২৯। তাই এই
রেকর্ডটির (পি ১১৬৩২) প্রকাশকাল ধরা যায়- জুলাই-নভেম্বর ১৯২৯।
- এইচএমভি। পি ১১৬৩২ [জুলাই-নভেম্বর ১৯২৯]
-
কত রাতি পোহায় বিফলে হায় -গজল
- সখি দেখে আয় এলো কি দুয়ারে
আবার The record news
পত্রিকার
Annual 2008 সংখ্যার ৩৯ পৃষ্ঠায় ইন্দুবালার কণ্ঠে
রেকর্ডে ধারণকৃত প্রথম নজরুলসঙ্গীত হিসেবে দুটি গানের উল্লেখ পাওয়া যায়। গান দুটি হলো-
- রুম্ ঝুম্ রুম্ ঝুম্ কে এলে নূপুর পায় [তথ্য]
- চেয়ো না সুনয়না আর চেয়ো না [তথ্য]
গান দুটির রেকর্ড নম্বর পি ১১৬৬১। রেকর্ড নম্বরের কালানুক্রম অনুসারে পি ১১৬৩২
রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৩৬) মাসে। এই
বিচারে পি ১১৬৩২ রেকর্ডের গান দুটিকে নজরুলের গান কিনা, সে বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।
চোখের চাতক
ও তার গান
১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসে (ডিসেম্বর ১৯২৯) প্রকাশিত হয়েছিল 'চোখের চাতক'
নামক সঙ্গীত-সংকলন। প্রকাশক
গোপালদাস মজুমদার, ডি,এম লাইব্রেরি, ৬১ কর্নওয়ালিশ স্ট্রিট, কলিকাতা। পৃষ্ঠা ৪+৭৮। মূল্য এক টাকা। রাজসংস্করণ
এক টাকা ষার আনা। এই গ্রন্থের মোট গান সংখ্যা ৫৩টি। এর ভিতরে পূর্বে প্রকাশিত গান ছিল ১৯টি।
অবশিষ্ট ৩৪টি গান ছিল নতুন। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩০ বৎসর
৩ মাস।
- কাঁদিতে এসেছি আপনারে লয়
[তথ্য]
চোখের চাতক-২।
- ছাড়িতে পরান নাহি চায়
[তথ্য]
চোখের চাতক-৩।
- আজি এ শ্রাবণ-নিশি কাটে কেমনে
[তথ্য]
চোখের চাতক-৫।
- আজ বাদল ঝরে (আজি বাদল ঝরে)
[তথ্য]
চোখের চাতক-৬।
- যাও যাও তুমি ফিরে[তথ্য]
চোখের চাতক-৯।
- এত কথা কি গো কহিতে জানে
[তথ্য]
চোখের চাতক ১৪।
- মন কেন উদাসে
[তথ্য]
চোখের চাতক ১৫।
- আমার গহীন জলের নদী
[তথ্য]
চোখের
চাতক ১৬।
- আমার সাম্পান যাত্রী না লয়
[তথ্য]
চোখের
চাতক ১৮।
- কেন প্রাণ ওঠে কাঁদিয়া
[তথ্য]
চোখের
চাতক ২০।
- আমার দুখের বন্ধু, তোমার কাছে
[তথ্য]
চোখের
চাতক ২৪।
- আমি কি সুখে লো গৃহে রবো
[তথ্য]
চোখের
চাতক ২৫।
- জাগো জাগো পোহালো রাতি
[তথ্য]
চোখের
চাতক ২৭।
- কে এলো ডাকে চোখ গেল
[তথ্য]
চোখের
চাতক ২৮।
- এলে কি শ্যামল পিয়া (ওগো)
[তথ্য]
চোখের
চাতক ২৯।
- কেন নিশি কাটিলি অভিমানে
[তথ্য]
চোখের
চাতক ৩১।
- পরজনমে দেখা হবে প্রিয়
[তথ্য]
চোখের
চাতক ৩৫।
- বনে বনে দোলা লাগে
[তথ্য]
চোখের চাতক ৩৬।
- কে ডাকিলে আমারে আঁখি তুলে
[তথ্য]
চোখের
চাতক ৩৭।
- ঘেরিয়া গগন মেঘ আসে
[তথ্য]
চোখের
চাতক ৩৮।
- দুলে চরাচর হিন্দোল-দোল
[তথ্য]
চোখের
চাতক ৩৯।
- হিন্দোলি' হিন্দোলি' ওঠে নীল
[তথ্য]
চোখের চাতক ৪০।
- ওগো সুন্দর আমার
[তথ্য]
চোখের চাতক ৪১।
- জাগো জাগো খোলো গো আঁখি
[তথ্য]
চোখের চাতক ৪২।
- বাজায়ে জল-চুড়ি কিঙ্কিণী
[তথ্য]
চোখের চাতক ৪৩।
- পরদেশী বধুঁ!ঘুম ভাঙায়ো চুমি' আঁখি
[তথ্য]
চোখের চাতক ৪৪।
- ঝরিছে অঝোর বরষার বারি
[তথ্য]
চোখের চাতক ৪৫।
- চল্ সখি জল নিতে
[তথ্য]
চোখের চাতক ৪৬।
- কার বাঁশরি বাজে মূলতানী সুরে
[তথ্য]
চোখের
চাতক ৪৭।
- মোর ধেয়ানে মোর স্বপনে
[তথ্য]
চোখের
চাতক ৪৮।
- নাইয়া কর পার [তথ্য]
চোখের চাতক ৪৯।
- বৃন্দাবনে এ কি বাঁশরি বাজে
[তথ্য]
চোখের চাতক ৫১।
- নিশীথ নিশীথ জাগি
[তথ্য]
চোখের চাতক ৫২।
- দেখা দাও দেখা দাও ওগো
[তথ্য]
চোখের চাতক ৫৩।
২৫শে ডিসেম্বর (মঙ্গলবার ১০ পৌষ ১৩৩৬) মনোমোহন থিয়েটারে মণিলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচিত 'জাহাঙ্গীর' নামক
একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। ওই নাটকে বাদীগণের গান হিসেবে নজরুলের রচিত একটি নতুন গান
পরিবেশিত হয়েছিল। বাদীরা গানটি পর্যায়ক্রমে ভেঙে ভেঙে পরিবেশন করেছিল। এই গানটি
হলো-
- রঙ-মহলের রঙ-মশাল মোরা
[তথ্য]
৩১শে ডিসেম্বর (মঙ্গলবার, ১৬ই পৌষ ১৩৩৬) কলকাতার মনোমোহন থিয়েটারে মঞ্চস্থ হয়েছিল।
-
মহুয়া: 'ময়মনসিংহ
গীতিকা' অবলম্বনে নাট্যকার মন্মথ রায়ের রচিত একটি পঞ্চাঙ্ক নাটক।
মনোমোহন থিয়েটার পরিচালক প্রবোধচন্দ্র গুহের অনুরোধে ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ৪ঠা ডিসেম্বর (বুধবার,
১৮ অগ্রহায়ণ ১৩৩৬) নাট্যকার এই নাটকটি লেখা শুরু করেন। পক্ষকালের ভিতরে নাটকটি রচনা
করে তিনি প্রবোধচন্দ্র গুহের কাছে তা জমা দেন। সম্ভবত নাট্যকার পুরো নাটক শেষ
করেছিলেন ৪-১৯
ডিসেম্বরের মধ্যে। এরপর প্রবোধচন্দ্র নাটকটি মঞ্চস্থ করার জন্য
অভিনেতা-অভিনেত্রী নির্বাচন করে মহড়া শুরু করেন। এবং শেষ পর্যন্ত ১৯২৯ বঙ্গাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর (মঙ্গলবার,
১৬ই পৌষ ১৩৩৬) কলকাতায় মনোমোহন থিয়েটারে
নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল।
গ্রন্থাকারে প্রকাশিত নাটকটির 'লেখকের কথা' অংশে
নাট্যকার লিখেছেন- 'মহুয়া'র প্রথম সন্ধান পাই পরম শ্রদ্ধাভাজন দীনেশচন্দ্র সেন
সঙ্কলিত মৈমনসিংহ গীতিকায়।' এই নাটকের জন্য গান লিখেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। এ
প্রসঙ্গে নাট্যকার 'লেখকের কথা' অংশে লিখেছেন- যাহারা আমার দীনতায় আত্মপ্রকাশেই
কুণ্ঠিত ছিল আজ তাহারা সগর্বে পাদপ্রদীপের সম্মুখে তাঁহারই গান গাহিতেছে যাঁহার গানে
সারা বাঙলা মত্ত-মাতাল, তাঁহারই পরিকল্পিতরূপে আত্মপ্রকাশ করিয়াছে, যাঁহার রূপ
পরিকল্পনায় সারা দেশ মুগ্ধ। আমার লেখনীর অক্ষমতাকে এমনি করিয়াই সার্থক সুন্দর
করিয়াছেন আমার গীত-সুন্দর বন্ধু কবি নজরুল ইসলাম...'।
মন্মথ রায়
নাট্যগ্রন্থাবলী চতুর্থ খণ্ডে (মনমথন প্রকাশন। ২২১ সি, বিবেকানন্দ রোড। কলিকাতা
-৭০০০০৬। ১৯৫৮। পৃষ্ঠা: ১৭৭-২৫৪। পৃষ্ঠা: ১৭৭-২৫৪), মোট ১৪টি গান পাওয়া যায়। এই
গানগুলো হলো-
- কে দিল খোঁপাতে ধুতুরা ফুল লো [প্রথম অঙ্ক। বেদে বেদেনীর গান]
[তথ্য]
- বউ কথা কও বউ কথা কও [দ্বিতীয় অঙ্ক। মহুয়ার গান]
[তথ্য]
- কত খুঁজিলাম নীল কুমুদ তোরে [দ্বিতীয় অঙ্ক। মহুয়ার গান]
[তথ্য]
- ভরিয়া পরান শুনিতেছি গান [দ্বিতীয় অঙ্ক। মহুয়ার গান]
[তথ্য]
- একডালি ফুলে ওরে [দ্বিতীয় অঙ্ক। বেদেনীদের গান]
[তথ্য]
- মহুল গাছে ফুল ফুটেছে [দ্বিতীয় অঙ্ক। বেদে-বেদেনীদের গান]
[তথ্য]
- খোলো খোলো খোলো গো দুয়ার [তৃতীয় অঙ্ক। পালঙ্কের গান]
[তথ্য]
- আজি ঘুম নহে, নিশি জাগরণ [তৃতীয় অঙ্ক। বেদেনীদের গান]
[তথ্য]
- ফণির ফণায় জ্বলে মণি [চতুর্থ অঙ্ক। মহুয়ার গান]
[তথ্য]
- মোরা ছিনু একেলা হইনু দুজন [পঞ্চম অঙ্ক। মহুয়ার গান]
[তথ্য]
- নতুন নেশায় আমার এ মদ [পঞ্চম অঙ্ক। মহুয়ার গান]
[তথ্য]
১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে ইন্দুবালার কণ্ঠে একটি গানের রেকর্ড প্রকাশিত
হয়েছিল। ব্রহ্মমোহন ঠাকুর তাঁর- 'নজরুল সঙ্গীত নির্দেশিকা' গ্রন্থে এই গানটির রচয়িতা
নজরুল কিনা, সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। এই গানটি হলো-
- সই নদীর ধারে বকুল তলায় [তথ্য]
সূত্রর
- কাজী নজরুল। প্রাণতোষ ভট্টাচার্য। ন্যাশনাল বুক এজেন্সী
প্রাইভেট লিমিটেড। কলকাতা-১২। ১৩৭৩ বঙ্গাব্দ
- কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতিকথা। মুজফ্ফর আহমদ। ন্যাশনাল
বুক এজেন্সি প্রাইভেট লিমিটেড। ১২ বঙ্কিম চ্যাটার্জী স্ট্রীট, কলিকাতা-১২।
প্রথম সংস্করণ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫।
- ঠাকুর-বাড়ির আঙিনায়। জসিম উদ্দিন। গ্রন্থপ্রকাশ। কলিকাতা।
- নজরুল-জীবনী। রফিকুল ইসলাম। নজরুল ইন্সটিটউট, ঢাকা।
২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ।
- নজরুল তারিখ অভিধান। মাহবুবুল হক। বাংলা একাডেমী, ঢাকা।
জুন ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ।
- নজরুল যখন বেতারে। আসাদুল হক। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী।
মার্চ ১৯৯৯।
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। প্রথম-দ্বাদশ খণ্ড [বাংলা
একাডেমী, ঢাকা]
- নজরুল সঙ্গীত নির্দেশিকা। ব্রহ্মমোহন ঠাকুর [কবি নজরুল
ইনস্টিটিউট। আষাঢ় ১৪২৫/জুন ২০১৮]
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ (নজরুল ইনস্টিটিউট,
ফেব্রুয়ারি ২০১২)।
- বিদ্রোহী-রণক্লান্ত, নজরুল জীবনী। গোলাম মুরশিদ। প্রথমা,
ঢাকা। ফেব্রুয়ারি ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ।