বাংলা পত্রিকার কালানুক্রমিক সূচি

 দেখুন:
বাংলা পত্রিকার ইতিহাস
 বাংলা পত্রিকার বর্ণানুক্রমিক সূচি

১৮১৮ খ্রিষ্টাব্দ: দিগদর্শন, সমাচার দর্পণবাঙ্গাল গেজেটি
১৮২০ খ্রিষ্টাব্দ: গস্‌পেল মাগাজীন
১৮২১ খ্রিষ্টাব্দ:   ব্রাহ্মণ সেবধি ব্রাহ্মণ ও মিসিনরি সম্বাদসম্বাদ কৌমুদী
১৮২২ খ্রিষ্টাব্দ: পশ্বাবলী, সমাচার চন্দ্রিকাখ্রীষ্টের রাজ্যবৃদ্ধি
১৮২৩ খ্রিষ্টাব্দ: সম্বাদ তিমিরনাশক
১৮২৯ খ্রিষ্টাব্দ:
বঙ্গদূত
১৮৩০ খ্রিষ্টাব্দ: শাস্ত্রপ্রকাশঃ  
১৮৩১ খ্রিষ্টাব্দ:
  সংবাদ প্রভাকর, সম্বাদ সুধাকর সমাচার সভারাজেন্দ্র, জ্ঞানান্বেষণ, অনুবাদিকা, সম্বাদ রত্নাকর, সম্বাদ সারসংগ্রহজ্ঞানোদয়
১৮৩২ খ্রিষ্টাব্দ:
  দলবৃত্তান্ত, বিজ্ঞানসেবধি, সংবাদ রত্নাবলী, জ্ঞানসিন্ধু তরঙ্গ
১৮৪৩ খ্রিষ্টাব্দ: তত্ত্ববোধিনী
১৮৪৬ খ্রিষ্টাব্দ:
জগদুদ্দীপক ভাস্কর। মাসিক পত্রিকা। ১৮৪৬ খ্রিষ্টাব্দের ১১ জুন প্রথম প্রকাশিত হয়। সম্পাদক ছিলেন মৌলভী রজব আলী।
১৮৪৭ খ্রিষ্টাব্দ
:

১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দ ১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দ ১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দ ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দ:
১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার ‘বাঙ্গালা যন্ত্র’ নামে প্রথম বাংলা ছাপাখানা স্থাপিত হয়, আরমানিটোলাস্থ ব্রজসুন্দর মিত্রের নিজস্ব বাড়িতে। ঢাকার সাহিত্য সংস্কৃতি ও সংবাদপত্রের উদ্ভব ও বিকাশের জন্যে ‘বাঙ্গালা যন্ত্র’ পথিকৃৎ ভূমিকা পালন করে। এই কাজে সহায়তা করেছিলেন বৈজ্ঞানিক জগদীশ চন্দ্র বসু'র পিতা ভগবান চন্দ্র বসু (১৮২৯-১৮৯২)। উল্লেখ্য ভগবান চন্দ্র বসুর পিতা সে সময়ে ঢাকার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। এছাড়া ছিলেন তাঁদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বকশী বাজার পাঠশালার শিক্ষক হরিশচন্দ্র মিত্র এবং ঢাকা মডেল স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক ও কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার। এই ছাপাখানা থেকে প্রথম বাংলা সাহিত্য সাময়িকী কবিতা 'কসুমাবলী' প্রকাশিত হয়। এটি ছিল ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম বাংলা সাময়িকী। এরপর প্রকাশিত হয় মনোরঞ্জিকা ও নব ব্যবহার সংহিতা সাহিত্য সাময়িকী। উল্লেখ্য এই 'বাঙ্গালা যন্ত্র' থেকে ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়েছিল দীনবন্ধু মিত্রের কালজয়ী নাটক নীল দর্পণ।
  • কবিতা কসুমাবলী (সাহিত্য মাসিক, মে): এটি ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম বাংলা সাময়িকপত্র। উল্লেখ্য ১৮৫৬ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার প্রথম সংবাদপত্র ঢাকা নিউজ (ইংরেজি) প্রকাশের চার বছর পর এই পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। সম্ভবত: বাংলা ছাপাখানার অভাব এবং ১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দে সিপাহী বিদ্রোহের সময় সংবাদপত্র দমন আইন জারি (গেগিং এ্যাক্ট) হয়। কিছুদিন পর এই এ্যাক্ট প্রত্যাহার এবং ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে ‘বাঙ্গালা যন্ত্র’ প্রেস প্রতিষ্ঠার সূত্রে বাংলা সংবাদপত্র প্রকাশের পথ উন্মুক্ত হয়। এই পত্রিকাটি ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে (জ্যৈষ্ঠ ১২৬৭ বঙ্গাব্দ) কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের সম্পাদনায় পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়।এই সাময়িকীটির প্রথম দিকে বার্ষিক মূল্য ছিল এক টাকা।
  • মনোরঞ্জিকা (মাসিক, জুন): ঢাকার মনোরঞ্জিকা সভার মুখপত্র হিসেবে ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে (আষাঢ় ১২৬৭ বঙ্গাব্দ) মাসিক মনোরঞ্জিকা প্রকাশিত হয় হয়েছিল। এটি ‘বাঙ্গালা যন্ত্র’ প্রেস থেকে মুদ্রিত হয়। কলকাতার সোমপ্রকাশের সূত্রমতে, সাময়িকীটির সম্পাদক ছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার, প্রকাশক মহেশচন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়, এবং মুদ্রাকর হরিশচন্দ্র মিত্র। আর ঢাকার নরমাল স্কুলের প্রধান সহকারী অভয়চরন রায়ের উদ্যোগে ঢাকায় মনোরঞ্জিকা সভা স্থাপিত হয়।
  • নবব্যবহার সংহিতা (মাসিক, আগস্ট): সম্পাদক ছিলেন ঢাকার সদর আদালতের উকিল রামচন্দ্র ভৌমিক।
  • সংস্কার সংশোধনী: সম্পাদক  ছিলেন স্কুল শিক্ষক জগন্নাথ সরকার।
১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দ ১৮৬২ খ্রিষ্টাব্দ। ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দ ১৮৬৪ খ্রিষ্টাব্দ। ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দ। ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দ ১৮৬৭ খ্রিষ্টাব্দ ১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দ ১৮৬৯ খ্রিষ্টাব্দ ১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দ।

১৮৭১ খ্রিষ্টাব্দ।

১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দ। ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দ। ১৮৭৪ খ্রিষ্টাব্দ ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দ। ১৮৮১ খ্রিষ্টাব্দ। ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দ।  ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দ।  ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দ। ১৮৮৭ খ্রিষ্টাব্দ (১২৯৩-১২৯৪ বঙ্গাব্দ)
১. বিজলী পত্রিকা [বৈশাখ ১২৯৪, এপ্রিল-মে ১৮৮৭]
১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দ ১৮৯১ খ্রিষ্টাব্দ ১৮৯২ খ্রিষ্টাব্দ ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দ ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ ১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দ ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দ ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দ
  • মোহম্মদী (আগষ্ট)। মোহাম্মদ আকারম খাঁর সম্পাদনায় কলকাতা থেকে এই পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয়। কিছুদিন এই পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর— ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এই পত্রিকাটি পুনরায় প্রকাশিত হতে থাকে। এরপর ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত পত্রিকাটি নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছিল। ভারত বিভাজনের পর, দুই বৎসর এই পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ ছিল। এরপর ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাস থেকে পত্রিকাটি পুনরায় প্রকাশিত হতে থাকে। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে পত্রিকটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম দিকে  মোহাম্মদ আকারম খাঁ সম্পাদক ছিলেন। এঁর মৃত্যুর পর এই পত্রিকাটির সম্পাদনা করেছিলেন মুজিবুর রহমান খাঁ ও বদরুল আনাম।
     
  • অর্চনা: মাসিক পত্রিকা। সম্পাদক ছিলেন জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দ
  • উপাসনা। মাসিক পত্রিকা। চন্দ্রশেখর মুখোপাধ্যায়
১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ
যমুনা (মাসিক): ১৩১০ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে এই পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয়। সম্পাদক ছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ পাল। এর পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল ১৬। পাতার মাপ ২৩*১৫ সেন্টিমিটার। ১৩১৩ বঙ্গাব্দে পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়। ১৩১৫ বঙ্গাব্দের ভিতরে পত্রিকা তিনবার অনিয়মিত হয়ে যায়। ১৩১৬ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে পত্রিকাটি নব কলেবরে প্রকাশিত হয়। এবারে এর পৃষ্ঠা সংখ্যা করা হয় ৩২। এরপর ১৩১৭ বঙ্গাব্দে সম্পাদকমণ্ডলীতে যোগ দেন সতীশচন্দ্র মিত্র, দেবেন্দ্রনাথ মজুমদার, যতীন্দ্রনাথ পাল (ধীরেন্দ্রনাথের পুত্র) এবং গুরুদাস আদক। পত্রিকার আশ্বিন ও কার্তিক সংখ্যার সম্পাদনায় ধীরেন্দ্রনাথ পালকে সহায়তা করেছিলেন ব্যোমকেশ মুস্তফী। এই বছরের মাঘ মাসে ধীরেন্দ্রনাথ পাল মৃত্যুবরণ করেন। এরপর পত্রিকার সম্পাদনার কাজে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করতে থাকেন পত্রিকার সাথে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ। ১৩১৯ বঙ্গাব্দের পত্রিকাটির সম্পাদনার দায়িত্ব নেন ফণীন্দ্রনাথ পাল। এই বৎসরে এই পত্রিকায় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লেখা শুরু করেন। শুধু তাই নয় এপত্রিকার হিতাকাঙ্ক্ষী হিসেবে শরৎচন্দ্র নানা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ফণীন্দ্রনাথ পালের সাথে তিনি কিছুদিন যুগ্ম-সম্পাদক হিসেবে যুক্ত হয় ১৩২১ বঙ্গাব্দে। পরে শরৎচন্দ্রের সাথে ফণীন্দ্রনাথের মনোমালিন্য হওয়ার কারণে, ফণীন্দ্রনাথ একাই পত্রিকাটি চালিয়ে যেতে থাকেন। এরপর ১৩২৪ বঙ্গাব্দের শুরুতেই পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়। এর এক বৎসর পর ১৩২৫ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে পত্রিকাটি পুনরায় প্রকাশিত হয়। ১৩২৬ বঙ্গাব্দে পত্রিকাটি বন্ধ থাকার পর, ১৩২৭ বঙ্গাব্দে পুনরায় প্রকাশিত হতে থাকে। ১৩২৮ বঙ্গাব্দে যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন যতীন্দ্রমোহন বাগচী। ১৩৩০ বঙ্গাব্দে যতীন্দ্রমোহন বাগচী'র জায়গায় যোগদান করেন চারুচন্দ্র মিত্র। ১৩৩০ বঙ্গাব্দে পত্রিকাটি চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়।
১৯১১ খ্রিষ্টাব্দ
অর্ঘ্য: মাসিক পত্রিকা। সম্পাদক ছিলেন অমূল্যচরণ সেন।
প্রতিভা: ত্রৈমাসিক পত্রিকা। সম্পাদক ছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়।
১৯১২ খ্রিষ্টাব্দ
সৌরভ: মাসিক পত্রিকা। সম্পাদক ছিলেন কেদারনাথ মজুমদার।
গল্পলহরী: মাসিক পত্রিকা। সম্পাদক ছিলেন  জ্ঞানেন্দ্রনাথ পাল।
১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দ ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দ
  • সবুজপত্র। মাসিক পত্রিকা। সম্পাদক ছিলেন প্রমথ চৌধুরী। প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৩২১ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসে।
  • নারায়ণ। মাসিক পত্রিকা। সম্পাদক ছিলেন চিত্তরঞ্জন দাশ। পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৩২১ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাস থেকে।
১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দ ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দ
  • মোসলেম ভারত (মাসিক সাহিত্য পত্রিকা)। ১৩২৭ বঙ্গাব্দের বৈশাখ (এপ্রিল-মে ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দ)  মাসে কলকাতা থেকে পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয়। এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। তবে প্রকৃতপক্ষে পত্রিকাটি প্রকাশিত হতো তাঁর পুত্র এবং পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক আফজালুল হকের তত্ত্বাধধানে।
১৯২১ খ্রিষ্টাব্দ ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দ
  • ধূমকেতু। সম্পাদক ছিলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
  • বসুমতী। ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে। তখন এই পত্রিকার মালিক ছিলেন উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। উপেন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর এই পত্রিকার মালিক হন তাঁর পুত্র সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। ১৩২৯ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় নিজ মালিকানায়, হেমেন্দ্রপ্রসাদকে সম্পাদক করে এই মাসিক বসুমতী হিসেবে প্রথম প্রকাশ করেন। ১৩৩০ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসে হেমেন্দ্রপ্রসাদ সম্পাদকের পদ ত্যাগ করলে, পৌষ মাস থেকে সম্পাদকের দায়িত্ব নেন সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। এর চার মাস পরে পত্রিকার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়, সচিত্র মাসিক বসুমতী। ১৩৩১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি যুগ্ম-সম্পাদক হিসেবে সত্যেন্দ্রকুমার বসুকে নিয়োগ দেন। এই পত্রিকায় ১৩৩৪ খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্রনাথের লেখা প্রকাশিত হতে থাকে। কিন্তু ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের পর থেকে পত্রিকাটি রবীন্দ্র-বিরোধী পত্রিকায় পরিণত হয়। ১৩৪০ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসে সত্যেন্দ্রকুমার বসুকে অব্যাহতি দিয়ে সতীশচন্দ্র সকল দায়িত্ব একাই বহন করতে থাকেন। ১৩৫১ বঙ্গাব্দে সতীশচন্দ্র মৃত্যুবরণ করেন। এরপর পত্রিকাটির সম্পাদক হন যামিনীমোহন কর। ১৩৫১ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাস থেকে তাঁর সম্পাদনায় 'বসুমতী' প্রকাশ হতে থাকে। এই সময় তাঁকে বিশেষভাবে সহায়তা করেন প্রাণতোষ ঘটক। ক্রমে ক্রমে পুরা পত্রিকার দায়িত্বই প্রাণতোষের উপর বর্তায়। যামিনীমোহন নামে মাত্র সম্পাদক ছিলেন। যামিনীমোহনের সম্পাদনায় শেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৩৫৭ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসে। ভাদ্র সংখ্যায় কোনো সম্পাদকের নাম ছিল না। আশ্বিন মাস থেকে সম্পাদকের নাম যুক্ত হয় প্রাণতোষ ঘটক। ১৩৫৭ বঙ্গাব্দের চৈত্র সংখ্যা থেকে তিনি সম্পাদকীয় লেখা বন্ধ করে দেন।
১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দ।
  • সাপ্তাহিক মুক্তি। সম্পাদক ছিলেন শ্রীনিবারণচন্দ্র দাস গুপ্ত
১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দ
  • কবিতা প্রকাশিত হয়।  ত্রৈমাসিক পত্রিকা। পত্রিকাটি ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ১লা অক্টোবর প্রথম প্রকাশিত হয়। সেকালের আধুনিক কবিতাকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে এবং কবিতা-প্রেমিকদের একত্রিত করার লক্ষ্যে এই পত্রিকার প্রকাশিত হয়েছিল। এর সম্পাদক ছিলেনম বুদ্ধদেব বসু আর সহকারী সম্পাদক ছিলেন সমর সেন। একবছর পর  সম্পাদক হিসেবে বুদ্ধদেব বসুর সাথে যুক্ত হন প্রেমেন্দ্র মিত্র। পরের বছরে বুদ্ধদেব বসু একাই পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দ
  • আজাদ (২১শে অক্টোবর): এই পত্রিকাটি  মওলানা মুহাম্মদ আকরাম খাঁ'র সম্পাদনায় কলকাতা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ভারত বিভাজনের পর, পত্রিকাটির প্রকাশনা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৯শে অক্টোবর তারিখে সকল কার্যক্রম ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দ কাজ চলছে...
সূত্র:
  • http://www.banglapedia.org/
  • ঊনবিংশ শতাব্দীর সম্পাদক ও সাহিত্যপত্র। ভবতোষ দত্ত। দেশ সাহিত্য সংখ্যা, ১৩৯৭।
  • নজরুল ও ধুমকেতু। সারোয়ার জাহান। দেশ সাহিত্য সংখ্যা, ১৩৯৭।
  • মানসী, মর্মবাণী এবং মানসী ও মর্মবাণী। বিনয়ভূষণ রায়। দেশ সাহিত্য সংখ্যা, ১৩৯৭।
  • রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় ও প্রবাসী। শঙ্করীপ্রসাদ বসু। দেশ সাহিত্য সংখ্যা, ১৩৯৭।
  • http://www.digantopatrika.com/blog/miscellaneous/musthead/