বাংলা পত্রিকার কালানুক্রমিক সূচি
দেখুন:
বাংলা
পত্রিকার ইতিহাস
বাংলা
পত্রিকার বর্ণানুক্রমিক সূচি
১৮১৮ খ্রিষ্টাব্দ:
দিগদর্শন,
সমাচার দর্পণ ও
বাঙ্গাল গেজেটি
১৮২০ খ্রিষ্টাব্দ:
গস্পেল মাগাজীন।
১৮২১ খ্রিষ্টাব্দ:
ব্রাহ্মণ সেবধি ব্রাহ্মণ ও মিসিনরি সম্বাদ ও
সম্বাদ কৌমুদী
১৮২২ খ্রিষ্টাব্দ:
পশ্বাবলী,
সমাচার চন্দ্রিকা ও
খ্রীষ্টের
রাজ্যবৃদ্ধি
১৮২৩ খ্রিষ্টাব্দ:
সম্বাদ তিমিরনাশক
১৮২৯ খ্রিষ্টাব্দ:
বঙ্গদূত
১৮৩০ খ্রিষ্টাব্দ:
শাস্ত্রপ্রকাশঃ
১৮৩১ খ্রিষ্টাব্দ:
সংবাদ প্রভাকর,
সম্বাদ সুধাকর,
সমাচার সভারাজেন্দ্র,
জ্ঞানান্বেষণ,
অনুবাদিকা,
সম্বাদ রত্নাকর,
সম্বাদ সারসংগ্রহ
ও জ্ঞানোদয়।
১৮৩২ খ্রিষ্টাব্দ:
দলবৃত্তান্ত,
বিজ্ঞানসেবধি,
সংবাদ রত্নাবলী,
জ্ঞানসিন্ধু তরঙ্গ
১৮৪৩ খ্রিষ্টাব্দ:
তত্ত্ববোধিনী
১৮৪৬ খ্রিষ্টাব্দ:
জগদুদ্দীপক ভাস্কর। মাসিক পত্রিকা। ১৮৪৬ খ্রিষ্টাব্দের ১১ জুন প্রথম প্রকাশিত হয়। সম্পাদক ছিলেন মৌলভী
রজব আলী।
১৮৪৭ খ্রিষ্টাব্দ:
- রঙ্গপুর বার্ত্তাবহ: রংপুরের কাঁকিনার
শিক্ষানুরাগী জমিদার গুরুচরণ রায়ের অর্থায়নে ‘বার্ত্তাবহ যন্ত্র’ নামে একটি
ছাপাখানা স্থাপিত হয়। এই ছাপাখানায় বাংলা লেখা প্রকাশের ব্যবস্থা ছিল। এখান থেকেই
এই সংবাদপত্রটি প্রকাশিত হতে থাকে। পরে এর মালিকানা পরিবর্তন হয়। বেশ কিছুকাল পত্রিকাটির প্রকাশনা অব্যাহত রাখেন নীলাম্বর মুখোপাধ্যায়। পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ছাপাখানাটি কাঁকিনার জমিদার শম্ভুচন্দ্র রায় চৌধুরী কিনে নিয়ে ‘রঙ্গপুর দিকপ্রকাশ’ নামে একটি সাময়িকপত্র প্রকাশ করেন।
-
রঙ্গপুর দিকপ্রকাশ (সাপ্তাহিক, এপ্রিল): রংপুর থেকে সাপ্তাহিক
পূর্ববাংলার দ্বিতীয় পত্রিকা।
১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দ
-
মাসিক পত্রিকা: সাহিত্য পত্রিকা।
সম্পাদক ছিলেন প্যারীচাঁদ মিত্র ও রাইনাথ শিকদার। এই পত্রিকাতে প্রথম প্রকাশিত
হয়েছিল প্যারীচাঁদ মিত্র-এর উপন্যাস 'আলালের ঘরের দুলাল'।
১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দ
-
সোমপ্রকাশ: সাহিত্য এবং সংবাদ
পরিবেশনের জন্য এই পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছিল। এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন
দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ। এই পত্রিকাটি সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় নি।
১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দ
-
পূর্ণিমা: এটি ছিল সাহিত্য পত্রিকা।
এই পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন বিহারীলাল চক্রবর্তী। এই পত্রিকাটি সম্পর্কে
বিশেষ কিছু জানা যায় নি।
১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দ:
১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার ‘বাঙ্গালা যন্ত্র’ নামে প্রথম বাংলা ছাপাখানা স্থাপিত
হয়, আরমানিটোলাস্থ ব্রজসুন্দর মিত্রের নিজস্ব বাড়িতে। ঢাকার সাহিত্য সংস্কৃতি ও
সংবাদপত্রের উদ্ভব ও বিকাশের জন্যে ‘বাঙ্গালা যন্ত্র’ পথিকৃৎ ভূমিকা পালন করে। এই
কাজে সহায়তা করেছিলেন বৈজ্ঞানিক জগদীশ চন্দ্র বসু'র পিতা ভগবান চন্দ্র বসু
(১৮২৯-১৮৯২)। উল্লেখ্য ভগবান চন্দ্র বসুর পিতা সে সময়ে ঢাকার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট
ছিলেন। এছাড়া ছিলেন তাঁদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বকশী বাজার পাঠশালার শিক্ষক
হরিশচন্দ্র মিত্র এবং ঢাকা মডেল স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক ও কবি কৃষ্ণচন্দ্র
মজুমদার। এই ছাপাখানা থেকে প্রথম বাংলা সাহিত্য সাময়িকী কবিতা 'কসুমাবলী' প্রকাশিত
হয়। এটি ছিল ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম বাংলা সাময়িকী। এরপর প্রকাশিত হয় মনোরঞ্জিকা
ও নব ব্যবহার সংহিতা সাহিত্য সাময়িকী। উল্লেখ্য এই 'বাঙ্গালা যন্ত্র' থেকে ১৮৬০
খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়েছিল দীনবন্ধু মিত্রের কালজয়ী নাটক নীল দর্পণ।
- কবিতা কসুমাবলী (সাহিত্য মাসিক, মে): এটি ঢাকা
থেকে প্রকাশিত
প্রথম বাংলা সাময়িকপত্র। উল্লেখ্য ১৮৫৬
খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার প্রথম
সংবাদপত্র ঢাকা নিউজ (ইংরেজি) প্রকাশের চার বছর পর
এই পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। সম্ভবত: বাংলা
ছাপাখানার অভাব এবং ১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দে সিপাহী বিদ্রোহের সময় সংবাদপত্র দমন
আইন জারি (গেগিং এ্যাক্ট) হয়। কিছুদিন পর এই এ্যাক্ট
প্রত্যাহার এবং ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে ‘বাঙ্গালা যন্ত্র’ প্রেস
প্রতিষ্ঠার সূত্রে বাংলা সংবাদপত্র প্রকাশের
পথ উন্মুক্ত হয়। এই পত্রিকাটি ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে (জ্যৈষ্ঠ
১২৬৭ বঙ্গাব্দ) কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের সম্পাদনায়
পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়।এই সাময়িকীটির প্রথম
দিকে বার্ষিক মূল্য ছিল এক টাকা।
- মনোরঞ্জিকা
(মাসিক, জুন): ঢাকার মনোরঞ্জিকা সভার মুখপত্র
হিসেবে ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে (আষাঢ়
১২৬৭ বঙ্গাব্দ) মাসিক
মনোরঞ্জিকা প্রকাশিত হয় হয়েছিল। এটি
‘বাঙ্গালা যন্ত্র’ প্রেস থেকে মুদ্রিত হয়। কলকাতার
সোমপ্রকাশের সূত্রমতে, সাময়িকীটির সম্পাদক ছিলেন
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার, প্রকাশক মহেশচন্দ্র
গঙ্গোপাধ্যায়, এবং মুদ্রাকর হরিশচন্দ্র মিত্র। আর
ঢাকার নরমাল স্কুলের প্রধান সহকারী অভয়চরন রায়ের
উদ্যোগে ঢাকায় মনোরঞ্জিকা সভা স্থাপিত হয়।
- নবব্যবহার
সংহিতা (মাসিক, আগস্ট): সম্পাদক ছিলেন
ঢাকার সদর আদালতের উকিল রামচন্দ্র ভৌমিক।
- সংস্কার সংশোধনী: সম্পাদক ছিলেন স্কুল শিক্ষক জগন্নাথ সরকার।
১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দ
- ঢাকা
প্রকাশ (সাপ্তাহিক, ৭ মার্চ): এটি ছিল
ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্র।
‘বাঙ্গালা যন্ত্র’ ছাপাখানা থেকে এই পত্রিকা
প্রকাশিত হতো। এই পত্রিকাটি ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে
বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকা প্রকাশের প্রথম সম্পাদক
কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার। ব্রজসুন্দর মিত্র
এবং দীনবন্ধু মৌলিক পত্রিকাটির বিশেষ
উদ্যোক্তা। তবে মানিকগঞ্জের মৌলভী আব্দুল করিম
ঢাকা প্রকাশের একজন পৃষ্ঠপোষক ছিলেন বলে জানা
যায়। সম্পাদক হিসেবে কবি কৃষ্ণচন্দ্র
মজুমদারের বেতন ধরা হয়েছি মাত্র ২৫ টাকা।
ঢাকার ব্রাহ্ম সমাজের মুখপত্র হিসেবে সমাজ
সংস্কারের প্রগতিশীলতার দাবি নিয়ে পত্রিকাটি
প্রথম প্রকাশ পেয়েছিল।
- ফরিদপুর দর্পণ। মাসিক পত্রিকা। সম্পাদক ছিলেন আলাহেদাদ খাঁ।
১৮৬২ খ্রিষ্টাব্দ।
- চিত্তরঞ্জিকা (মাসিক,
১৪ মে): সাহিত্য সাময়িকী। প্রকাশক
সারদাকান্ত সেন, ঢাকা কলেজের প্রাক্তন ছাত্র।
এর সম্পাদক ছিলেন হরিশচন্দ্র মিত্র। ১৬
পৃষ্ঠায় (ডিমাই ২ ফর্মা) সাময়িকীটি প্রকাশিত
হয়। প্রতি
সংখ্যার মূল্য দুই আনা ছিল বলে জানা যায়।
চিত্তরঞ্জিকা পত্রিকায় কবি আহমদ এবং ‘এইচ’
এরূপ সংক্ষিপ্ত নাম ব্যবহার করে দুইজন মুসলমান
কবি কবিতা লিখেন। গবেষকদের ধারণা ‘কবি আহমদ’
সম্ভবত: সলিমুদ্দিন আহমদ এবং ‘এইচ’ আব্দুল
হামিদ খান ইউসফজয়ী।
- ঢাকাবার্ত্তা প্রকাশিকা (সাপ্তাহিক,
জুন ): পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন
রামচন্দ্র ভৌমিক। কিন্তু অন্যমতে ঢাকাবার্ত্তা
প্রকাশিকার সম্পাদক ছিলেন হরিশচন্দ্র মিত্র।
পত্রিকাটি মাত্র ১ বৎসরকাল স্থায়ী হয়েছিল।
- অবকাশ রঞ্জিকা (মাসিক সাহিত্য সাময়িকী,
সেপ্টেম্বর)। সম্পাদক ছিলেন হরিশচন্দ্র মিত্র।
এর মূল্য প্রতিসংখ্যা এক আনা ছিল। এটি
মাসিক সাহিত্য সাময়িকী। ঢাকার নতুনযন্ত্র
ছাপখানা থেকে পত্রিকাটি মুদ্রিত হতো।
১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দ
-
গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা (এপ্রিল):
কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে '' প্রকাশিত হয়েছিল। পত্রিকাটির সম্পাদক
হরিনাথ মজুমদার। এক মানহানির মামলায় জড়িত হয়ে ১ বছর পরই (১৮৬৪) পত্রিকাটি
প্রকাশ বন্ধ হয়ে যায়।
- ঢাকা দর্পণ (সাপ্তাহিক
জুলাই)।
ঢাকাবার্ত্তা প্রকাশিকা বন্ধ হয়ে গেলে পত্রিকা
পাগল হরিশচন্দ্র মিত্র ঢাকা দর্পণ প্রকাশ
করেন। সুলভ যন্ত্র প্রেস থেকে পত্রিকাটি
প্রকাশিত হতো। ১৮৬৪ খ্রিষ্টাব্দে পত্রিকাটি
বন্ধ হয়ে যায়।
-
বামাবোধিনী পত্রিকা (মাসিক): কলকাতার শহরতলী থেকে উমেশচদ্র দত্তের
সম্পাদনায় পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়েছিল।
-
অবোধবন্ধু [১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দ। সম্পাদক:
যোগেন্দ্রনাথ ঘোষ, বিহারীলাল চক্রবর্তী]
১৮৬৪ খ্রিষ্টাব্দ।
- কাব্য প্রকাশ (মাসিক, জানুয়ারি)। 'ঢাকাদর্পণ' বন্ধ হয়ে গেলে
হরিশচন্দ্র মিত্র ১৮৬৪ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে কাব্য প্রকাশ নামে একটি মাসিক সাময়িকী
সম্পাদনা করেন। পত্রিকাটি ছিল সাহিত্য বিষয়ক। ঢাকার মোগলটুলির সুলভ যন্ত্র থেকে কাব্য
প্রকাশ ছাপা হতো।
১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দ।
- বিজ্ঞাপনী (সাপ্তাহিক মার্চ)।
মানিকগঞ্জের বালিয়াটির জমিদার গিরিশচন্দ্র রায় চৌধুরী ১৮৬৪ খ্রিষ্টাব্দে ‘বিজ্ঞাপনী যন্ত্র’ ছাপাখানা স্থাপন করেন।
এর সম্পাদক ছিলেন কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার। ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দে 'বিজ্ঞাপনী প্রেস' বিক্রি হয়ে যায় এবং তা
ময়মনসিংহে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে 'বিজ্ঞাপনী' পত্রিকাটি জগন্নাথ অগ্নিহোত্রীর সম্পাদনায়
দুই বছর প্রকাশিত হয়েছিল। ব্রজেন্দ্রনাথ কলকাতার সংবাদ পূর্ণচন্দ্রোয়ের এক রিপোর্টের বরাত দিয়ে লিখেন,
যে পত্রিকার পরিচালক গিরিশচন্দ্র রায় চৌধুরীর সঙ্গে স্বাধীনচেতা সম্পাদক কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের
ব্রাহ্মধর্ম নিয়ে মতের অমিল দেখা দেয়ায় সম্পাদক পত্রিকা ত্যাগ করেন। ধারণা করা হয় ১৮৬৬ সালের জানুয়ারি মাসেই কৃষ্ণচন্দ্র
মজুমদার সম্পাদকের দায়িত্ব ত্যাগ করেন।
- হিন্দু হিতৈষিণী (মাসিক, মার্চ)। হিন্দু ধর্ম ও সম্প্রদায়ের কল্যাণার্থে এই সাপ্তাহিকীটির প্রকাশিত হতো। ঢাকায় ব্রাহ্ম
সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং এর মুখপত্র ঢাকা প্রকাশের বিপরীতে হিন্দু হিতৈষিণী প্রকাশিত হয়। সম্পাদক ছিলেন হরিশচন্দ্র মিত্র। উল্লেখ্য সে
আমলে সংস্কারবাদী একেশ্বর ধর্ম ব্রাহ্ম ধর্মের বিপরীতে ‘হিন্দু ধর্ম রক্ষিণী’নামে একটি ধর্মসভা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই সভার এর
মুখপত্র ছিল হিন্দু হিতৈষিণী। এই সভার নেতা ছিলেন বিক্রমপুরের জমিদার জগবন্ধু বসু এবং ঢাকার উকিল লক্ষ্মীকান্ত মুন্সি ।
পত্রিকাটি প্রকাশিত হতো সুলভ যন্ত্র প্রেস থেকে। ১৮৬৯ খ্রিষ্টাব্দে হরিশচন্দ্র মিত্র সম্পাদকের দায়িত্ব ত্যাগ করলে, আনন্দচন্দ্র সেন গুপ্ত
সম্পাদক হন। পত্রিকাটি ১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছিল।
১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দ
- হিন্দু রঞ্জিকা (মাসিক)। ছাপাখানা: সুলভ যন্ত্র প্রেস
১৮৬৭ খ্রিষ্টাব্দ
-
পল্লী বিজ্ঞান (মাসিক): বিক্রমপুরের জৈনসার গ্রাম থেকে পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছিল।
১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দ
-
অমৃতবাজার (সাপ্তাহিক): সম্পাদক ছিলেন শিশিরকুমার ঘোষ। প্রয়োজনীয় সংবাদ ও
সাহিত্য ছিল এই পত্রিকার বিষয়বস্তু।
১৮৬৯
খ্রিষ্টাব্দ
- অবলা বান্ধব (নারী বিষয়ক, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১২৭৬
বঙ্গাব্দ): ঢাকার সন্নিকটে
বিক্রমপুরের লোনসিংহ গ্রাম থেকে পাক্ষিক 'অবলা বান্ধব' প্রকাশিত হয়।
তবে ছাপার কাজ ঢাকার সুলভ যন্ত্র প্রেস থেকেই
সম্পন্ন হতো। এই কারণে একে ঢাকার পত্রিকাই বলা
যায়। 'অবলা বান্ধব'-এর সম্পাদক ছিলেন লোনসিংহ
মিড্ল ইংলিশ স্কুলের হেড্ মাস্টার
ব্রাহ্মকর্মী বাবু দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়।
১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দে সম্পাদক কলকাতায় চলে গেলে,
সেখান থেকেই 'অবলা বান্ধব' প্রকাশিত হতে থাকে।
-
বেঙ্গল টাইমস
(সপ্তাহে দুই দিন):
এর মালিক সম্পাদক
ছিলেন ই.সি কেম্প। উল্লেখ্য ১৮৫৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত ঢাকা
নিউজ এর সঙ্গে তিনি সংযুক্ত ছিলেন।
১৮৭০
খ্রিষ্টাব্দ।
- মিত্র প্রকাশ (মাসিক,
৩০ বৈশাখ ১২৭৭): এটি একটি সাহিত্য বিষয়ক
পত্রিকা। ঢাকার বিখ্যাত সাংবাদিক হরিশচন্দ্র
মিত্রের সাথে মিল রেখে পত্রিকার নামকরণ করা
হয়েছিল। পত্রিকাটি প্রকাশিত হতো গিরিশ যন্ত্র প্রেস
থেকে। উল্লেখ্য পত্রিকাটির সম্পাদকও ছিলেন
হরিশচন্দ্র মিত্র। দুই বছর ১৮৭২ খ্রিষ্টব্দে
হরিশচন্দ্র মৃত্যুবরণ করলে, এর সম্পাদনার
দায়িত্ব গ্রহণ করেন তাঁর অগ্রজ কালিদাস মিত্র।
-
সঙ্গীত
চিত্ত-সন্তোষ
- বঙ্গবন্ধু (পাক্ষিক,
১ শ্রাবণ ১২৭৭ বঙ্গাব্দ)। ঢাকার ব্রাহ্ম সমাজের সংগঠন ‘সঙ্গত সভার’ মুখপত্র
ছিল বঙ্গবন্ধু। নামকরণে চমৎকারিত্ব আছে, আছে
দেশপ্রেম। সম্পাদক ছিলেন বঙ্গচন্দ্র রায়। তিনি
ছিলেন ঢাকার পোগজ স্কুলের শিক্ষক। লক্ষণীয় বিষয়
যে, সেকালে স্কুল শিক্ষক তাদের দায়িত্ববোধ
থেকেই অলাভজনক পেশা সংবাদপত্রের সম্পাদনার
দায়িত্ব গ্রহণ করতেন। ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দে পত্রিকাটি পাক্ষিক থেকে
সাপ্তাহিকে রূপান্তরিত হয়। পত্রিকাটি কিছু দিন
কলকাতা থেকে, তারপর ঢাকা থেকে ১৯০৭ পর্যন্ত
প্রকাশিত হয়েছিল। পরবর্তী সম্পাদকবৃন্দ ছিলেন
কৈলাশচন্দ্র নন্দী, বরদাকান্ত হালদার, ঈশানচন্দ্র
সেন, গিরিশচন্দ্র সেন এবং দুর্গাদাস রায়।
১৮৭১
খ্রিষ্টাব্দ।
- শুভসাধিনী
(সাপ্তাহিক,ফেব্রুয়ারি ১৮৭১):
পূর্ববঙ্গ শুভা সাধিনী সভার মুখপত্র। পত্রিকাটি
প্রকাশিত হতো ঢাকা থেকে। সম্পাদক
ছিলেন কালীপ্রসন্ন ঘোষ। মূল্য ছিল প্রতি সংখ্যা এক
পয়সা। পত্রিকাটির পরিচালক কালীনারায়ণ রায়। একই
সময়ে ইস্ট নামে একটি ইংরেজি সাপ্তাহিক ঢাকা থেকে
প্রকাশ হয়। সম্পাদক কালীনারায়ণ রায় এবং পরে
শশিভূষণ । এটি ছিল ব্রহ্মসমাজের ইংরেজি মুখপত্র।
- হিতকরী (সাপ্তাহিক): ১৮৭১ সালে হিতকরী ঢাকা
সুলভযন্ত্র থেকে প্রকাশিত হয়। একই সময়ে প্রকাশিত
শুভ সাধিনী এবং হিতকরীর মধ্যে প্রতিযোগিতা ছিল।
কিন্তু কোনো সূত্রই পত্রিকাটির সম্পাদক কে ছিলেন
তা উল্লেখ করেননি।
- ইস্ট
(সাপ্তাহিক): ঢাকা থেকে
প্রকাশিত সাপ্তাহিক পত্রিকা। সম্পাদক কালীনারায়ণ রায় এবং পরে
শশিভূষণ । এটি ছিল ব্রহ্মসমাজের ইংরেজি মুখপত্র।
১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দ।
- বঙ্গদর্শন (মাসিক):
বঙ্কিমচন্দ্র সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকা। এর
প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১২৭৯ বঙ্গাব্দের ১লা
বৈশাখ। ১২৭৯ বঙ্গাব্দের বৈশাখ থেকে ১২৮২
বঙ্গাব্দের চৈত্র মাস অবধি এর সম্পাদক ছিলেন
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ১২৮৩ বঙ্গাব্দে
এর প্রকাশ স্থগিত ছিল। ১২৮৪ বঙ্গাব্দ থেকে
পত্রিকাটি পুনঃপ্রকাশিত হয় সঞ্জীবচন্দ্র
চট্টোপাধ্যায়ের সম্পাদনায়। এরপর শ্রীশচন্দ্র
মজুমদার ১২৯০ বঙ্গাব্দের কার্তিক থেকে মাঘ
পর্যন্ত ৪টি সংখ্যার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন
করেন। ১৩০৮ বঙ্গাব্দ থেকে ১৩১২ বঙ্গাব্দ
পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
সম্পাদনায় বঙ্গদর্শন নবপর্যায়ে ৫ বৎসর
প্রকাশিত হয়। এরপর পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়।
-
সঙ্গীত
সমালোচনী
১৮৭৩
খ্রিষ্টাব্দ।
- মহাপাপ
বাল্য বিবাহ (মাসিক এপ্রিল): ১৮৭৩
খ্রিষ্টাব্দে ঢাকায় বাল্যবিবাহ নিবারণী সভা
প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সভার মুখপত্র হিসেবে
'মহাপাপ বাল্যবিবাহ' নামক পত্রিকা
ঢাকা থেকে প্রকাশ পায়। বাল্যবিবাহ যে মহাপাপ এর উপর জনমত সৃষ্টি করার
জন্যে পত্রিকাটির সম্পাদক নবকান্ত চট্টোপাধ্যায়
(১৮৪৫-১৯০৪)এবং তাঁর ভাই ড. নিশিকান্ত
চট্টোপাধ্যায়( ১৮৫২-১৯১০)একই শিরোনামে পত্রিকা
প্রকাশ করেন। নবকান্ত ছিলেন ঢাকা জুবিলী স্কুলের
শিক্ষক এবং ড.নিশি কান্ত ১৮৮৩ সালে জুরিখ
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ.ডি. ডিগ্রী লাভ করেন।
ইউরোপে ভারতীদের মধ্যে তিনিই প্রথম পিএইচ.ডি
ডিগ্রীধারী।
১৮৭৪ খ্রিষ্টাব্দ
- বান্ধব (মাসিক,
আষাঢ়, ১২৮১)। গিরিশ
যন্ত্র প্রেস থেকে সাহিত্যবিষয়ক এই পত্রিকা
প্রকাশিত হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে সাময়িকিটির সম্পাদক
ছিলেন কালীপ্রসন্ন ঘোষ। বার্ষিক এক টাকা দুই আনার
বিনিময়ে পত্রিকাটি ডাকে পাওয়া যেত।
- আজীজন নেহার। সম্পাদক ছিলেন মীর
মশারফ হোসেন
- পারিল বার্ত্তাবহ। সম্পাদক ছিলেন
আনিছ উদ্দীন আহমদ
১৮৭৭
খ্রিষ্টাব্দ।
-
বিজলী (সাপ্তাহিক)। বৈশাখ
১২৯৪। সম্পাদক পূর্ণচন্দ্র গুপ্ত।
-
ভারতী।
- মহম্মদি আখবর।
সম্পাদক ছিলেন আব্দুল খালেক। ১৮৭৭
খ্রিষ্টাব্দে রাশিয়া তুরস্ক আক্রমণ করার দুই
মাস পর, ভারতের বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে
যুদ্ধের খবরাখবর প্রচারের জন্য এই পত্রিকা
প্রকাশ করা হয়। এই সময় এই পত্রিকার মাধ্যমে
তুরস্ককে আর্থিক সহায়তা দানের জন্য অর্থ
সংগ্রহে এই পত্রিকা বিশেষ ভূমিকা রাখে।
১৮৮১
খ্রিষ্টাব্দ।
- ভিষক (মাসিক)। ছাপাখানা :
পূর্ববঙ্গ প্রেস
১৮৮৪
খ্রিষ্টাব্দ।
-
নবজীবন পত্রিকা
[শ্রাবণ ১২৯১ বঙ্গাব্দ
(জুলাই-আগষ্ট ১৮৮৪
খ্রিষ্টাব্দ)]
- রত্নাকর ( (পাক্ষিক)।
ছাপাখানা : শীতল প্রেস
১৮৮৫
খ্রিষ্টাব্দ।
- বালক।
ঠাকুর বাড়ি থেকে প্রকাশিত মাসিক পত্রিকা।
সম্পাদক ছিলেন জ্ঞানদানন্দিনী দেবী।
১৮৮৬
খ্রিষ্টাব্দ।
- গরীব
(সাপ্তাহিক): পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন
কুঞ্জবিহারী ভট্টাচার্য। অর্থাভাবে গরীব
তিনশ টাকায় বিক্রি হয়ে যায়।
-
ঢাকা গেজেট
(সাপ্তাহিক): এটি ছিল সংবাদপত্র। কলকাতার সংবাদপত্র বেঙ্গল গেজেট ও বাঙ্গাল
গেজেট অনুকরণে ঢাকা গেজেট নামকরণ করা হয়। প্রথম
সম্পাদক শশীভূষণ রায়। উল্লেখ্য তিনি পূর্বে ইষ্ট এর
সম্পাদক ছিলেন। ঢাকা গেজেট দীর্ঘতা লাভ করেছিল তবে
প্রকাশের ধারাবাহিকতা ছিল
না।
১৮৮৭ খ্রিষ্টাব্দ (১২৯৩-১২৯৪ বঙ্গাব্দ)
১.
বিজলী পত্রিকা
[বৈশাখ ১২৯৪, এপ্রিল-মে ১৮৮৭]
১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দ
১৮৯১
খ্রিষ্টাব্দ
- প্রকৃতি। প্রকৃতি বিষয়ক একটি
মাসিক পত্রিকা। সম্পাদক ছিলেন প্রভাব চন্দ্র সেন
(ফরিদপুর জেলার প্রাক্তন ডেপুটি স্কুল
ইন্সপেক্টর)।
-
হিতবাদী। সাপ্তাহিক পত্রিকা।
-
সাধনা। মাসিক পত্রিকা। সম্পাদক ছিলেন
সুধীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১৮৯২
খ্রিষ্টাব্দ
-
দাসী। মাসিক পত্রিকা।
-
সাহিত্য পরিষদ পত্রিকা। ত্রৈমাসিক
পত্রিকা।
১৮৯৩
খ্রিষ্টাব্দ
-
বসুমতী। সাপ্তাহিক পত্রিকা।
১৮৯৭
খ্রিষ্টাব্দ
১৮৯৮
খ্রিষ্টাব্দ
১৯০১
খ্রিষ্টাব্দ
১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দ
-
মোহম্মদী (আগষ্ট)। মোহাম্মদ আকারম খাঁর সম্পাদনায় কলকাতা থেকে এই
পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয়। কিছুদিন এই পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর—
১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এই পত্রিকাটি পুনরায় প্রকাশিত হতে থাকে। এরপর ১৯৪৭
খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত পত্রিকাটি নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছিল। ভারত বিভাজনের পর, দুই বৎসর
এই পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ ছিল। এরপর ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাস থেকে
পত্রিকাটি পুনরায় প্রকাশিত হতে থাকে। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে পত্রিকটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম দিকে মোহাম্মদ আকারম খাঁ
সম্পাদক ছিলেন। এঁর মৃত্যুর পর এই পত্রিকাটির সম্পাদনা করেছিলেন মুজিবুর রহমান খাঁ
ও বদরুল আনাম।
-
অর্চনা: মাসিক পত্রিকা। সম্পাদক ছিলেন
জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দ
-
উপাসনা। মাসিক পত্রিকা। চন্দ্রশেখর
মুখোপাধ্যায়
১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ
যমুনা (মাসিক): ১৩১০ বঙ্গাব্দের বৈশাখ
মাসে এই পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয়। সম্পাদক
ছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ পাল। এর পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল
১৬। পাতার মাপ ২৩*১৫ সেন্টিমিটার। ১৩১৩
বঙ্গাব্দে পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়। ১৩১৫
বঙ্গাব্দের ভিতরে পত্রিকা তিনবার অনিয়মিত হয়ে
যায়। ১৩১৬ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে পত্রিকাটি নব
কলেবরে প্রকাশিত হয়। এবারে এর পৃষ্ঠা সংখ্যা
করা হয় ৩২। এরপর ১৩১৭ বঙ্গাব্দে
সম্পাদকমণ্ডলীতে যোগ দেন সতীশচন্দ্র মিত্র,
দেবেন্দ্রনাথ মজুমদার, যতীন্দ্রনাথ পাল
(ধীরেন্দ্রনাথের পুত্র) এবং গুরুদাস আদক।
পত্রিকার আশ্বিন ও কার্তিক সংখ্যার সম্পাদনায়
ধীরেন্দ্রনাথ পালকে সহায়তা করেছিলেন ব্যোমকেশ
মুস্তফী। এই বছরের মাঘ মাসে ধীরেন্দ্রনাথ পাল
মৃত্যুবরণ করেন। এরপর পত্রিকার সম্পাদনার কাজে
বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এই অবস্থা থেকে
উত্তরণের চেষ্টা করতে থাকেন পত্রিকার সাথে
যুক্ত ব্যক্তিবর্গ। ১৩১৯ বঙ্গাব্দের
পত্রিকাটির সম্পাদনার দায়িত্ব নেন ফণীন্দ্রনাথ
পাল। এই বৎসরে এই পত্রিকায়
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লেখা শুরু করেন। শুধু
তাই নয় এপত্রিকার হিতাকাঙ্ক্ষী হিসেবে
শরৎচন্দ্র নানা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ফণীন্দ্রনাথ
পালের সাথে তিনি কিছুদিন যুগ্ম-সম্পাদক হিসেবে
যুক্ত হয় ১৩২১ বঙ্গাব্দে। পরে শরৎচন্দ্রের
সাথে ফণীন্দ্রনাথের মনোমালিন্য হওয়ার
কারণে, ফণীন্দ্রনাথ একাই পত্রিকাটি চালিয়ে
যেতে থাকেন। এরপর ১৩২৪ বঙ্গাব্দের
শুরুতেই পত্রিকাটি
বন্ধ হয়ে যায়। এর এক বৎসর পর ১৩২৫ বঙ্গাব্দের
বৈশাখ মাসে পত্রিকাটি পুনরায় প্রকাশিত হয়।
১৩২৬ বঙ্গাব্দে পত্রিকাটি বন্ধ থাকার পর, ১৩২৭
বঙ্গাব্দে পুনরায় প্রকাশিত হতে থাকে। ১৩২৮
বঙ্গাব্দে যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন
যতীন্দ্রমোহন বাগচী। ১৩৩০ বঙ্গাব্দে
যতীন্দ্রমোহন বাগচী'র জায়গায় যোগদান করেন
চারুচন্দ্র মিত্র। ১৩৩০ বঙ্গাব্দে পত্রিকাটি
চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়।
১৯১১ খ্রিষ্টাব্দ
অর্ঘ্য:
মাসিক পত্রিকা। সম্পাদক ছিলেন অমূল্যচরণ
সেন।
প্রতিভা: ত্রৈমাসিক পত্রিকা। সম্পাদক
ছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়।
১৯১২ খ্রিষ্টাব্দ
সৌরভ:
মাসিক পত্রিকা। সম্পাদক ছিলেন কেদারনাথ
মজুমদার।
গল্পলহরী: মাসিক পত্রিকা। সম্পাদক
ছিলেন জ্ঞানেন্দ্রনাথ পাল।
১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দ
১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দ
-
সবুজপত্র।
মাসিক পত্রিকা। সম্পাদক ছিলেন প্রমথ চৌধুরী।
প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৩২১ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ
মাসে।
-
নারায়ণ। মাসিক পত্রিকা। সম্পাদক ছিলেন
চিত্তরঞ্জন দাশ। পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত
হয়েছিল ১৩২১ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাস থেকে।
১৯১৮
খ্রিষ্টাব্দ
১৯২০
খ্রিষ্টাব্দ
-
মোসলেম ভারত
(মাসিক সাহিত্য পত্রিকা)।
১৩২৭ বঙ্গাব্দের বৈশাখ (এপ্রিল-মে ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দ) মাসে কলকাতা থেকে
পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয়। এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক।
তবে প্রকৃতপক্ষে পত্রিকাটি প্রকাশিত হতো তাঁর পুত্র এবং পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক
আফজালুল হকের তত্ত্বাধধানে।
১৯২১ খ্রিষ্টাব্দ
-
বঙ্গবাণী [১৩২৮ বঙ্গাব্দ। মাসিক,
সম্পাদক: বিজয়চন্দ্র মজুমদার ও দীনেশচন্দ্র সেন (১৩২৮), বিজয়চন্দ্র মজুমদার
(১৩৩০)]
-
সেবক
[সম্পাদক:
মাওলানা আকরাম খাঁ,
১৯২২
খ্রিষ্টাব্দ
-
ধূমকেতু।
সম্পাদক ছিলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
- বসুমতী। ১৮৯৩
খ্রিষ্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক
পত্রিকা হিসেবে। তখন এই পত্রিকার মালিক ছিলেন
উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। উপেন্দ্রনাথের
মৃত্যুর পর এই পত্রিকার মালিক হন তাঁর পুত্র
সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। ১৩২৯ বঙ্গাব্দের
বৈশাখ মাসে সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় নিজ
মালিকানায়, হেমেন্দ্রপ্রসাদকে সম্পাদক করে এই
মাসিক বসুমতী হিসেবে প্রথম প্রকাশ করেন। ১৩৩০
বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসে হেমেন্দ্রপ্রসাদ
সম্পাদকের পদ ত্যাগ করলে, পৌষ মাস থেকে
সম্পাদকের দায়িত্ব নেন সতীশচন্দ্র
মুখোপাধ্যায়। এর চার মাস পরে পত্রিকার নাম
পরিবর্তন করে রাখা হয়, সচিত্র মাসিক বসুমতী।
১৩৩১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি যুগ্ম-সম্পাদক হিসেবে
সত্যেন্দ্রকুমার বসুকে নিয়োগ দেন। এই পত্রিকায়
১৩৩৪ খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্রনাথের লেখা
প্রকাশিত হতে থাকে। কিন্তু ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের পর
থেকে পত্রিকাটি রবীন্দ্র-বিরোধী পত্রিকায়
পরিণত হয়। ১৩৪০ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসে
সত্যেন্দ্রকুমার বসুকে অব্যাহতি দিয়ে
সতীশচন্দ্র সকল দায়িত্ব একাই বহন করতে থাকেন।
১৩৫১ বঙ্গাব্দে সতীশচন্দ্র মৃত্যুবরণ করেন।
এরপর পত্রিকাটির সম্পাদক হন যামিনীমোহন কর।
১৩৫১ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাস থেকে তাঁর
সম্পাদনায় 'বসুমতী' প্রকাশ হতে থাকে।
এই সময় তাঁকে বিশেষভাবে সহায়তা করেন প্রাণতোষ
ঘটক। ক্রমে ক্রমে পুরা পত্রিকার দায়িত্বই
প্রাণতোষের উপর বর্তায়। যামিনীমোহন নামে মাত্র
সম্পাদক ছিলেন। যামিনীমোহনের সম্পাদনায় শেষ
সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৩৫৭ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ
মাসে। ভাদ্র সংখ্যায় কোনো সম্পাদকের নাম ছিল
না। আশ্বিন মাস থেকে
সম্পাদকের নাম যুক্ত হয় প্রাণতোষ ঘটক।
১৩৫৭ বঙ্গাব্দের চৈত্র সংখ্যা থেকে তিনি
সম্পাদকীয় লেখা বন্ধ করে দেন।
১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দ।
- সাপ্তাহিক
মুক্তি।
সম্পাদক ছিলেন শ্রীনিবারণচন্দ্র দাস গুপ্ত
১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ।
১৯৩৫
খ্রিষ্টাব্দ
-
কবিতা প্রকাশিত হয়।
ত্রৈমাসিক পত্রিকা। পত্রিকাটি ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ১লা অক্টোবর প্রথম প্রকাশিত হয়।
সেকালের আধুনিক কবিতাকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে এবং কবিতা-প্রেমিকদের একত্রিত করার
লক্ষ্যে এই পত্রিকার প্রকাশিত হয়েছিল। এর সম্পাদক ছিলেনম বুদ্ধদেব বসু আর সহকারী
সম্পাদক ছিলেন সমর সেন। একবছর পর সম্পাদক হিসেবে বুদ্ধদেব বসুর সাথে যুক্ত হন
প্রেমেন্দ্র মিত্র। পরের বছরে বুদ্ধদেব বসু একাই পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব পালন
করেছেন।
১৯৩৬
খ্রিষ্টাব্দ
-
আজাদ (২১শে অক্টোবর): এই পত্রিকাটি
মওলানা মুহাম্মদ আকরাম খাঁ'র সম্পাদনায় কলকাতা
থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে
ভারত বিভাজনের পর, পত্রিকাটির প্রকাশনা
সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের
১৯শে অক্টোবর তারিখে সকল কার্যক্রম ঢাকায়
স্থানান্তর করা হয়।
১৯৩৭
খ্রিষ্টাব্দ
কাজ চলছে...
সূত্র: