গিবোন
Gibbon

প্রাইমেট বর্গের অন্তর্গত হাইলোবাটাইডি গোত্রের অন্তর্গত এক প্রকার এপ-দেরকে সাধারণভাবে গিবন বলা হয়। ১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দে এদের নামকরণ করেছিলেন বিজ্ঞানী গ্রে। উল্লেখ্য হাইলোবাটাইডি গোত্রের প্রাণীগুলোকে চারটি গণে বিভাজিত করা হয়েছে এই গণগুলো হলো-  Hylobates, Hoolock, Nomascus এবং Symphalangus। এই চারটি গণের অন্তর্গত প্রতিটিই প্রজাতিই গিবোন নামে পরিচিত।

Hylobates lar

এদের দেখা যায় ভারতের উত্তরাঞ্চল থেকে ইন্দোনেশিয়া, চীনের উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চল, সুমাত্রা, বোর্নিও, জাভাদ্বীমালায়। আকারের বিচারের গিবোনদেরকে ক্ষুদ্র এপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বৃহৎ এপদের ভিতর রয়েছে  গরিলা, শিম্পাঞ্জি, ওরাংওটাং বোনোবো এবং মানুষ

আচরণের বিচারে বৃহৎ এপদের চেয়ে বানরদের সাথে এদের অনেক বেশি মিল।  তবে অন্যান্য এপদের মতোই এদের লেজ নেই। এরা বাসা তৈরি করে না এবং সম্পর্ণই বৃক্ষচারী। তবে প্রয়োজনে মাটিতে নামে। বর্ষণঅর্ণ্যে এরা ডালে ডালে লাফিয়ে চলে। মাটিতে এরা দুই পায়ে হাটে। কিন্তু গাছে চলাচলের সময় চারহাত পা সমানভাবে ব্যবহার করে। প্রায় গাছের মগডালে এরা দোল খায় এবং ডাল ডাল থেকে লাফিয়ে দ্রুত এক গাছ থেকে অন্য গাছে চলাচল করতে পারে। প্রজাতিভেদে এদের গায়ের লোমের রঙ, আকার, ওজন ইত্যাদি নানা রকমের হয়ে থাকে।

ক্রমবিবর্তনের ধারায় গিবোন

গিবোনের শ্রেণিবিভাজন