অঙ্গ
বানান বিশ্লেষণ:অ+ঙ্+অ+গ্+অ
উচ্চারণ: [অঙ্.গো]
ɔŋ.go]
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত অঙ্গম্>
বাংলা অঙ্গ
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ:
১.
√
অঙ্গ্ (গমন করা) +
অ (অচ্),
কর্তৃবাচ্য
পদ:
বিশেষ্য
১.১.
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{ দেহ |
প্রাকৃতিক লক্ষ্যবস্তু |
এককঅংশ |
দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু |
দৈহিক সত্তা |
সত্তা|}
অর্থ:যা
চলাচল করে, নড়াচড়া করে বা কার্যক্রম চালায়- এই অর্থে অঙ্গ।
সমার্থক শব্দাবলি: অঙ্গ, অবয়ব, কলেবর,
কাঅ,
কাআ, কায়া, কায়া, গতর, গা, গাত্র, ঠাম, তনু,
দেহ,বপু, শরীর।
ইংরেজি:
body
।
শব্দ বিবর্তন:
- সর্বপ্রাচীন নমুনা ৬৫০-১২০০ খ্রিষ্টাব্দ<।
- বতিস যোইণী তসু অঙ্গ উহ্লসিউ/ভুসুকুপাদানাম। চর্যাগীতিকা-২৭।
যুক্তশব্দ:
কৃষ্ণাঙ্গ,
১.২.
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
দেহাংশ |
খণ্ডাংশ |
স্বতন্ত্র সত্তা |
দৈহিক সত্তা |
সত্তা
|}
অর্থ:
কিছু সুনির্দিষ্ট কার্যক্রমের
বিচারে জীব-দেহাংশের কিছু কিছু অংশ পৃথকভাবে চিহ্নিত করা হয়। এর ভিতরে
রয়েছে দেহের অভ্যন্তরীণ এবং বহির্ভাগের অংশ। গাঠনিক এবং কার্যক্রমের
বিচারে দেহাংশকে নানাভাগে ভাগ করা হয়। এই ভাগগুলোকে বলা হয় অঙ্গ। এই বিচারে
হাত, পা, হৃদপিণ্ড ইত্যাদি অঙ্গ।
ইংরেজি:
organ
।
১.৩.
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{ |
প্রশাসনিক একক |
সাংগঠনিক একক |
সামাজিক সংগঠন |
সামাজিক দল |
দল |
বিমূর্তন |
বিমূর্ত-সত |
সত্তা|}
অর্থ: সরকারি,
বেসরকারি বা আধা-সরকারি যে কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনস্থ পৃথক প্রশাসনিক
ব্যবস্থা। যা মূল প্রতিষ্ঠানের অঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাক। প্রশাসনিকভাবে
এই জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে অঙ্গ-সংগঠন বলা হয়ে থাকে।
১.৪.
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{অংশবিশেষ |
দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু |
দৈহিক সত্তা |
সত্তা
|}
অর্থ: যে কোনো বস্তুসত্তার একটি অংশ। সুনির্দষ্টভাবে ওই অংশকে অঙ্গ
বলা হয়। যেমন- দেহের নিচের অংশ অর্থে নিম্নাঙ্গ।
ইংরেজি:
part, portion
।
পদ:
বিশেষ্য
১.
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {
অঞ্চল |
অবস্থান |
দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু
|
দৈহিক সত্তা |
সত্তা |}
অর্থ:
খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের একটি মহাজনপদ। এটি উত্তর ভারতের ষোড়শ মহাজনপদের একটি
ছিল।
মগধরাজ্যের পূর্বে এবং রাজমহলের পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যবর্তী স্থানে এই মহাজনপদটির
অবস্থান বিবেচনা করা হয়। এর রাজধানীর নাম ছিল চম্পা (বর্তমান বিহারের ভাগলপুর)।
[দেখুন: অঙ্গ
মহাজনপদ]
২.
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{ |
হিন্দু পৌরাণিক সত্তা |
ভারতীয় পৌরাণিক সত্তা |
পৌরাণিক সত্তা |
অতিপ্রাকৃতিক সত |
কাল্পনিক সত্তা |
কল্পনা |
সৃজনশীলতা |
কর্মক্ষমতা |
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা |
বিমূর্তন |
বিমূর্ত-সত্তা |
সত্তা |}
অর্থ:
হিন্দু
পৌরাণিক চরিত্র। বিভিন্ন হিন্দু ধর্মগ্রন্থে এই নামে একাধিক চরিত্রের উল্লেখ
পাওয়া যায়।
২.১. বলিরাজের ক্ষেত্রজ পুত্র।
২.২ জনৈক রাজা।[দেখুন:
অঙ্গ (পৌরাণিক)
]
সকল
অর্থে যৌগিক শব্দ:
- পূর্বপদে অঙ্গ:
অঙ্গকর্ম, অঙ্গগ্রহ, অঙ্গগ্লানি, অঙ্গচালন, অঙ্গচ্ছেদ, অঙ্গচ্ছেদক, অঙ্গচ্ছেদন, অঙ্গজ, অঙ্গজনু,
অঙ্গজা, অঙ্গঝাড়া, অঙ্গজ্ঞান, অঙ্গত্যাগ, অঙ্গত্র, অঙ্গত্রাণ, অঙ্গদ, অঙ্গনাথ,
অঙ্গনিগ্রহ, অঙ্গন্যাস, অঙ্গপালি, অঙ্গপালিত, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, অঙ্গপ্রসাধন, অঙ্গপ্রায়শ্চিত্ত, অঙ্গবিকল, অঙ্গবিকার, অঙ্গবিকৃতি,
অঙ্গবিক্ষেপ, অঙ্গবিদ্যা, অঙ্গবিধি, অঙ্গবিহীন, অঙ্গবিহীনা, অঙ্গবৈকৃত, অঙ্গবৈগুণ্য, অঙ্গভঙ্গ,
অঙ্গভঙ্গি, অঙ্গভঙ্গিমা, অঙ্গভূ, অঙ্গমর্দ, অঙ্গমর্দক, অঙ্গমর্দন, অঙ্গমোটন, অঙ্গমোড়া, অঙ্গযজ্ঞ, অঙ্গযষ্টি, অঙ্গরক্ষক,
অঙ্গরক্ষা, অঙ্গরক্ষিণী, অঙ্গরাখা, অঙ্গরাখি, অঙ্গরাগ, অঙ্গরাজ, অঙ্গরুহ, অঙ্গলেপ, অঙ্গলোক,
অঙ্গলোম. অঙ্গশুদ্ধি,
অঙ্গসংবাহন, অঙ্গসংস্কার, অঙ্গসংস্থাপন, অঙ্গসংহতি, অঙ্গসঙ্গ, অঙ্গসঙ্গী,
অঙ্গসঞ্চালন, অঙ্গসেবা, অঙ্গসেবক, অঙ্গসেবক, অঙ্গসৌষ্ঠব, অঙ্গস্থিতি,
অঙ্গস্পর্শ, অঙ্গহানি,
অঙ্গহার, অঙ্গহীনতা, অঙ্গাঙ্গি, অঙ্গাবরণ।
- পরপদে অঙ্গ:
উচ্চাঙ্গ, উত্তরাঙ্গ, কীর্তানাঙ্গ,
খেয়ালাঙ্গ, তালাঙ্গ, ধ্রুপদাঙ্গ, নিম্নাঙ্গ, নৃত্যাঙ্গ, পূর্বাঙ্গ, বাউলাঙ্গ,
বেদাঙ্গ, যোগাঙ্গ, রাগাঙ্গ, সুরাঙ্গ।
প্রত্যয় সাধিত শব্দ:
অঙ্গক
সূত্র :
-
চর্যাগীতিকোষ। নীলরতন সেন। সাহিত্যলোক। কলকাতা। জানুয়ারি ২০০১।
পৃষ্ঠা: ৭২, ১৪১।
-
চর্যাগীতি পরিক্রমা। ড. নির্মল দাশ। দে'জ সংস্করণ। জানুয়ারি ২০০৫।
পৃষ্ঠা: ১৭৯।
- চর্যাগীতি প্রসঙ্গ। সৈয়দ আলী
আহসান। মৌলি প্রকাশনী। জুন ২০০৩। পৃষ্ঠা: ১৭৪।
-
চর্যাগীতি পাঠ। ড. মাহবুবুল হক। পাঞ্জেরী পাবলিকেশান লি.। ঢাকা। জুলাই
২০০৯। পৃষ্ঠা: ১০১।
-
চর্যাগীতিকা। সম্পাদনায় মুহম্মদ আবদুল হাই ও আনোয়ার পাশা। স্টুডেন্ট ওয়েজ।
অগ্রহায়ণ ১৪০২। পৃষ্ঠা: ১২৫।
-
চলন্তিকা। রাজশেখর বসু। এমসি সরকার অ্যান্ড সন্স
প্রাইভেট লিঃ। ১৪০৮। পৃষ্ঠা: ৬-৭।
- বঙ্গীয় শব্দকোষ (প্রথম খণ্ড)।
হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহিত্য অকাদেমী। ২০০১। পৃষ্ঠা: ২৪-২৫।
- বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা
অভিধান। মার্চ ২০০৫।
- বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (প্রথম
খণ্ড)। জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস। সাহিত্য সংসদ। নভেম্বর ২০০০। পৃষ্ঠা:
২৩-২৫।
- ভারতী
বাঙলা অভিধান। বিশিষ্ট পণ্ডিত ও অধ্যাপকমণ্ডলী কর্তৃক সম্পাদিত। ভারতী বুক
স্টল। ১৯৫৯। পৃষ্ঠা: ৭-৮।
- শব্দবোধ অভিধান। আশুতোষ দেব।
দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০। পৃষ্ঠা: ১৪।
- শব্দসঞ্চয়িতা। ডঃ অসিতকুমার
বন্দোপাধ্যায়। নিউ সেন্ট্রাল বুক এজেন্সি প্রাঃ লিমিটেড। ২৩শে জানুয়ারি, ১৯৯৫।
পৃষ্ঠা: ১৯।
-
শব্দার্থ প্রকাশিকা। কেশবচন্দ্র রায় কর্মকার। দেব
সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০। পৃষ্ঠা: ৭-৮।
- শব্দার্থমুক্তাবলী। বেণীমাধব দে। ১৭৮৮ শকাব্দ। পৃষ্ঠা: ১৭-১৯।
- সংসদ বাংলা অভিধান। সাহিত্য সংসদ। শৈলেন্দ্র বিশ্বাস। মার্চ ২০০২।
পৃষ্ঠা: ৯-১০।
- সংস্কৃত বাংলা অভিধান। শ্রীঅশোক কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। সৃষ্টি,
হুগলী। ১৪০৮ বঙ্গাব্দ। পৃষ্ঠা: ৯।
- সচিত্র প্রকৃতিবাদ অভিধান
(চতুর্থ সংস্করণ)। রামকমল বিদ্যালঙ্কার। ১২৯৫। পৃষ্ঠা: ২৬-২৮।
- সরল বাঙ্গালা অভিধান (সপ্তম সংস্করণ, নিউবেঙ্গল প্রেস ১৯৩৬)।
সুবলচন্দ্র মিত্র। পৃষ্ঠা: ১৯।
- হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা
বৌদ্ধ গান ও দোঁহা, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, বঙ্গীয়
সাহিত্য পরিষদ, কলকাতা, ১৩২৩। পৃষ্ঠা: ২৭।
- wordnet 2.1