জিউস
গ্রিক
Ζεύς
Zeús
/zdeús>ইংরেজি
Zeus>বাংলা
জিউস।
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
|
গ্রিক দৈবসত্তা
|
দৈবসত্তা
|
আধ্যাত্মিক সত্তা
|
বিশ্বাস
|
প্রজ্ঞা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
গ্রিক
পৌরাণিক কাহিনিতে ইনি দেবরাজ নামে খ্যাত।
স্বর্গ,
মর্ত্য,
অনন্তবায়ুমণ্ডল ও স্বর্গ
ও
অলিম্পাস
পর্বতের অধিপতি। বজ্রধারী বিশালপুরুষ। মাথায় কুঞ্চিত কেশ,
শ্মশ্রুমণ্ডিত। মাথায় ওক পাতার মুকুট। এঁর
আজ্ঞাবাহী
পাখি
ঈগল
এবং অলৌকিক
ক্ষমতার অধিকারী
সাপ।
এঁর প্রতীক বজ্রদণ্ড, ঈগল, ষাড় এবং ওক বৃক্ষ।
[চিত্র :
ব্রিটিশ
মিউজিয়ামে রক্ষিত
মূর্তি]
এঁর সমতুল্য রোমান দেবতা
জুপিটর,
এট্রুস্ক্যান দেবতা
তিনিয়া।
হিন্দু পৌরাণিক চরিত্র
ইন্দ্র-এর সাথে এর তিনটি প্রধান মিল রয়েছে। যেমন–
১. উভয়
দেবরাজ, ২. বজ্রের অধিকারী এবং ৩. নারীলোলুপতা।
টাইটান জাতির রাজা
ক্রোনাসের
ঔরসে
এবং
রিয়ার
গর্ভে এঁর জন্ম হয়েছিল। গ্রিক পৌরাণিক কাহিনি মতে,–
ক্রোনাস এক ভবিষ্যৎ
বাণীতে অবগত হয়েছিলেন যে,
তাঁর ঔরসজাত সন্তানই তাঁকে সিংহাসনচ্যুত
করবে। সেই কারণে,
সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পরপরই
ক্রোনাস সন্তানদের গিলে ফেলতেন। অন্য মতে ইনি তাদের
বন্দী করে রাখতেন। প্রাচীন
গ্রিক
কবি
হেসিওড-এর মতে,
একে একে পাঁচটি সন্তান গিলে ফেলার পর,
ষষ্ঠ সন্তান জিউসের
জন্ম হয়।
জিউসের
জন্ম হয়েছিল–
আর্কেডিয়ার
লাইসেয়াম পর্বতে এক
অন্ধকারময় মধ্যরাত্রিতে।
জন্মের পর
রিয়া,
জিউসকে নেডা নদীতে স্নান করান এবং এরপর
ক্রোনাসের
ভয়ে ইনি
গেইয়ার
হাতে জিউসকে
তুলে দেন। এই সময়
ক্রোনাস
যখন রিয়ার কাছে এই ষষ্ঠ সন্তানটি নিতে এলেন,
রিয়া
তখন একটি পাথর কাপড়ে মুড়ে
ক্রোনাসের হাতে তুলে দিলেন।
ক্রোনাস কোনো বিবেচনা না
করেই সন্তান মনে করে এই পাথরটি
গিলে ফেলে পরম তৃপ্তিতে
সেখান থেকে
চলে যান।
এরপর
গেইয়া
জিউসকে
ক্রিটের আইডা পর্বতের (Mount
Ida) গুহায় লুকিয়ে রাখেন।
গেইয়া
দুটো পরীর উপর জিউসের প্রতিপালনের ভার দেন। এই জলপরী দুটোর নাম ছিল
এ্যাড্রাস্টেইয়া
ও
আইও/আইডা। এই দুই বোন
এ্যামালথিয়া নামক একটি পৌরাণিক ছাগলের
দুধ ও বন থেকে সংগৃহীত মধু জিউসকে খাওয়াতেন। এই সময় জিউসের সাথে
এ্যামালথিয়া'র অন্য একটি শাবক দুধ
পান করতো।
ল্যাটিন কবি হাইগিনাস-এর মতে-
ঈগা
নামক জনৈকা ধাত্রীর স্তন পান করে জিউস বড় হয়ে উঠেছিলেন। কোনো কোনো মতে
ঈগা
ছিলেন শিশু জিউসের
সেবিকা। এই শাবকটির নাম ছিল
প্যান
। জিউস
প্যানকে
দুধভাই হিসাবে বিশেষ স্নেহ করতেন। জিউস পরবর্তী সময়ে এদের প্রত্যেকের প্রতি বিশেষ
কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করেছেন। কোনো কোনো মতে―
প্রতিপালনে
সাইনোসুরা নামক একজন
ওরিড
শ্রেণির পরী সাহায্য
করেছিলেন।
জিউস বড় হয়ে
উঠলে,
একসময়
ক্রোনাস
তাঁর কথা জানতে পেরে ক্রীট দ্বীপে এলেন। কারো কারো মতে,
ঘটনাক্রমে ক্রিট দ্বীপে এসেই ইনি জিউসের কথা জানতে পারেন। জিউস তাঁর পিতার সাথে
দেখার জন্য একটি উৎসবের
আয়োজন
করেন। ওই উৎসবে
ক্রোনাসকে ঔষুধ মেশানো এক পাত্র মদ পরিবেশন করা হয়।
এই মদ পান করে
ক্রোনাস অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পাঁচটি সন্তান-সহ শেষোক্ত পাথরটি উগড়ে
দেন। এরপর
ক্রোনাস সুস্থ হওয়ার
আগেই
জিউস তাঁর ভাই বোনদের নিয়ে
অলিম্পাস
পর্বতে আশ্রয়গ্রহণ
করেন। সেখানে ইনি নিজেকে দেবতাদের রাজা হিসাবে ঘোষণা দেন।
ক্রোনাস
পড়ে সুস্থ হয়ে উঠে
অলিম্পাস
আক্রমণ
করলে,
জিউস ঘন মেঘ সৃষ্টি করে এবং
বিদ্যুৎ
বর্ষণ করে
ক্রোনাসের
সে অভিযান ব্যর্থ করে দেন। এরপর
ক্রোনাস
অলিম্পাস-এর
সমান উঁচু একটি পাহাড় তৈরি করার জন্য তাঁর সৈন্যদের
আদেশ
দিলেন।
ক্রোনাসের
সৈন্যরা
অলিম্পাসের
নিকটবর্তী পেলিওন নামক একটি ছোট পাহাড়ে পাথর নিয়ে এসে জড় করতে লাগলেন। অবিলম্বে
এই পেলিওয়ন
অলিম্পাস-এর
সমান উঁচু হয়ে উঠলে,
জিউসের মা রিয়া
সন্তানদের রক্ষা করার জন্য
অলিম্পাসে
গিয়ে
ক্রোনাসের
সকল কৌশল বলে দিলেন।
রিয়ার
পরামর্শে জিউস পাতালপুরীতে গেলেন এবং সেখানে
সাইক্লোপস্
নামক বন্দী দৈত্যদের মুক্তি
দিয়ে
অলিম্পাসে
নিয়ে আসলেন। এই দৈত্যরা জিউসের জন্য বজ্র নির্মাণ করে দিলেন এবং ভূমিকম্পের
সৃষ্টি করলেন। এরপর
ক্রোনাসের
পেলিওন পর্বত থেকে
অলিম্পাস আক্রমণের
প্রস্তুতি সম্পন্ন
করলে,
সাইক্লোপস্দের সৃষ্ট ভূমিকম্পে
পেলিওন পাহাড় ধ্বসে পড়লো। সেই সাথে জিউসের বজ্রের
আঘাতে
ক্রোনাস-বাহিনী সম্পূর্ণরূপে
পরাজিত হলো।
এই যুদ্ধে জয়লাভ
করার পর,
জিউস
ক্রোনাস-সহ সকল
টার্টারাসকে ভূগর্ভে বন্দী করে রাখলেন। এই যুদ্ধে
আয়াপিটাস ও
তাঁর দুই সন্তান
এ্যাটলাস
ও
প্রোমিথেয়ুস জিউসের বিপক্ষে অংশ গ্রহণ করেন নি বলে,
জিউস
এঁদেরকে পাতালে বন্দী করলেন না। এই যুদ্ধে জয়লাভের পর,
জিউস পুরোপুরি দেব-মানব তথা সার্বিক অর্থে রাজা হয়ে উঠেন।
হেরা ও জিউস |
এঁর প্রধান রাণীর নাম ছিল
হেরা।
ইনি ছিলেন জিউসের জমজ বোন (কোন কোন মতে
হেরা ছিলেন পিতা-মাতার তৃতীয় সন্তান।
জিউস দেবতাদের রাজা হওয়ার পর এর সন্ধান পান ক্রিটের ক্নোসাসে। কারো কারো মতে
এদেঁর প্রথম সাক্ষাৎ
হয়েছিল আর্গোলিসের
থরমাক্স পর্বতে (বর্তমানে এর নাম কাক্কু)। এখানেই জিউস তাঁকে প্রেম নিবেদন করেন এবং
প্রথমে
হেরা
এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
করেন।
কিন্তু
জিউসের ক্রমাগত প্রচেষ্টায় ইনি
জিউসকে বিবাহ করতে সম্মত হন। এই বিবাহে অন্যান্য দেবতারা প্রচুর উপহার দেন। বিবাহের
পর উভয়ই মধুচন্দ্রিমা
কাটান সামোসে। এই
সময়
হেরা
আর্গসের
নিকটস্থ ক্যানাথাস ঝর্ণায় প্রতিদিন স্নান করতেন।
এর ফলে রাত্রিতে জিউসের মিলিত
হওয়ার পর,
হেরা তাঁর হারানো
কুমারীত্ব ফিরে পেতেন।
একবার জিউসের
গর্ব ও ধৃষ্টতা অসহ্য হওয়াতে
হেরা,
পোসেইডোন,
এ্যাপোলো অন্যান্য অলিম্পাসের
অধিবাসীরা
ঘুমন্ত জিউসকে বন্দী করেন। তারা চামড়ার পাতলা ফিতা দিয়ে ১০০টি গিট্টুতে তাঁকে বেঁধে
ফেললেন। এই ষড়যন্ত্রে থেকে একমাত্র
হেস্টিয়া
নিজেকে বিরত রাখেন। জিউসকে বন্দী করার
পর- দেবতারা একটি ভোজ-উৎসবের
আয়োজন
করেন। এই উৎসবে,
জিউসকে বন্দী করার ক্ষেত্রে কার কতটুকু অবদান রয়েছে― তা নিয়ে
আলোচনা
করছিলেন,
তখন
থেটিস জিউসকে মুক্ত
করে দেন।
এরপর জিউস
হেরার স্বর্ণ-কটিবন্ধ ধরে তাঁকে
আকাশে
ঝুলিয়ে রাখেন। এই সময়
হেরা
আর্তনাদ
করতে থাকেন। এরপর অন্যান্য দেবতারা
হেরাকে ক্ষমা ধরে দেবার কথা বললে,
শর্ত সাপেক্ষে জিউস ক্ষমা করে দেন। শর্তটি ছিল,
ভবিষ্যতে তিনি জিউসের বিরুদ্ধে কোনদিন বিদ্রোহ করতে পারবেন না। অন্যদিকে
এ্যাপোলো ও
পোসেইডোনকে
শাস্তি স্বরূপ রাজা
লাওমেডানের দাস হিসাবে নিযুক্ত করেন।
একবার
গ্রিসের আদিবাসীরা
দুর্বিনীত আচরণ
শুরু করলে,
জিউস একটি প্রলঙ্করী বন্যার দ্বারা এদের ধ্বংস করেছিলেন। এদের ভিতর একমাত্র
প্রোমেথেয়ুস-এর পুত্র ডিউস্যালিওন ও তাঁর স্ত্রী রক্ষা পেয়েছিলেন।
জিউসের প্রধানা স্ত্রী ছিলেন
হেরা।
কিন্তু এছাড়াও তিনি বহু দেবী ও মানবীর সাথে দৈহিক সম্পর্ক
স্থাপন করেছিলেন। তাঁর পছন্দের নারীকে পাবার জন্য তিনি নানাবিধ ছল চাতুরীর
আশ্রয়
নিয়েছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে তিনি পছন্দের নারীকে ধর্ষণও করেছেন। এই সকল বিচারে
তিনি যে সকল নারীর সাথে দৈহিক
সম্পর্ক স্থাপন করেছেন এবং এদের গর্ভজাত সন্তানদের
তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো।
জিউসের যৌনসঙ্গী ও তাঁর সন্তানের তালিকা
১.
হেরা।
সহোদরা ও স্ত্রী (দেবী)। গর্ভজাত সন্তান :
এ্যারিজ, হেফ্যাস্টাস
২.
মেটিস। ইনি জিউসের
দ্বারা গর্ভবতী হওয়ার পর, জিউস
মেটিসকে গিলে ফেলেন। পরে মেটিসের গর্ভে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
এই সন্তানটি ছিলেন
প্যালাস এথেনা। পরে
এথেন জিউসের মস্তক থেকে নির্গত হয়েছিলেন।
হোমারের মতে―
জিউস
নারী ব্যতীত এই কন্যার
জন্ম দিয়েছিলেন।
৩. মাইয়া (জলপরী)।
গর্ভজাত পুত্র :
হের্মেজ।
৪.
এ্যাল্ক্মেনে
(মানবী)। গর্ভজাত পুত্র :
হেরাক্লেজ।
৫.
লেটো'র গর্ভজাত
পুত্র-কন্যা
:
এ্যাপোলো,
আর্তেমিস।
৬.
সেমেলে
গর্ভজাত পুত্র :
ডায়োনিসাস।
৭.
ড্যানে-এর গর্ভজাত পুত্র :
পার্সেয়ুস।
৮.
ক্যালিসটো-এর গর্ভজাত পুত্র:
আরকাস।
৯.
নিমোসিনি-এর
গর্ভজাতা :
মিউজ
কন্যারা (ক্যালায়োপি,
ক্লিয়ো,
এরাটো,
ইউটার্পে,
মেল্পোমেনে,
পলিহিম্নিয়া,
ট্রেপ্সিকোরে,
থ্যালিয়া ও
ইউরেনিয়া)।
১০.
আইও-এর
গর্ভজাত পুত্র
এপাফাস।
১১.
ডিমিটর :
গর্ভজাত কন্যা
পার্সিফোনি
ও
জাগ্রেয়ুস
(মতান্তরে
পার্সিফোনি-এর ঔরসে
জাগ্রে্য়ুস
জন্মেছিল)।
১২.
ঈগা
: পুত্র
ঈগিপ্যান।
অনেকের মতে প্রেমের দেবী
এ্যাফ্রদাইতি,
তাঁর
ঔরসে ডাওনের গর্ভে জন্মগ্রহণ
করেছিলেন।
জিউস ও তাঁর
ভাইবোনের তালিকা
১.
হেস্টিয়া
: ইনি ছিলেন চিরকুমারী দেবী।
২.
হেরা। পরে
জিউসের পত্নী। জিউস দেবতাদের রাজা হলে,
ইনি দেবতাদের রানী হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন।
৩.
হেডিজ
: ইনি পাতালপুরী ও মৃত্যুর
দেবতা।
৪.
পোসেইডোন
: সমুদ্র দেবতা।
৫. ডিমিটর
: শস্য ও উর্বরতার দেবী
অলিম্পিয়ার জিউসের মূর্তি
(
Statue of Zeus at Olympia
) গ্রিক পৌরাণিক কাহিনি মতে দেবরাজ নামে খ্যাত ছিলেন জিউস। খ্রিষ্টপূর্ব ৪৩২ অব্দে এই দেবতার একটি মূর্তি তৈরি করেছিলেন গ্রিক ভাস্করশিল্পী ফিডিয়াস (Phidias)। এই মূর্তিটিই প্রাচীন পৃথিবীর সপ্তমাশ্চার্যের একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। গ্রিসের পশ্চিম উপকূলের পেলোপোনোসাস অঞ্চলে, প্রাচীন গ্রিসে জিউসের সম্মানার্থে খ্রিষ্টপূর্ব ৭৭৬ অব্দে অলিম্পিক ক্রীড়া শুরু হয়। প্রথমে এই খেলায় গ্রিসের খেলোয়াররা অংশগ্রহণ করতো। কালক্রমে বাৎসরিক এই ক্রীড়া-আসরে এশিয়া মাইনর, সিরিয়া, মিশর এবং সিসিলি থেকে বহু খেলোয়ার অংশগ্রহণ করতো। এই ক্রীড়া-উৎসবের সূত্রে জিউসের একটি নতুন মন্দির তৈরি করা হয়। এলিসের স্থপতি লিবনের নকশা অনুসারে এই মন্দিরটি তৈরি সম্পন্ন হয় খ্রিষ্টপূর্ব ৪৫৬ অব্দে। এই মন্দিরের উচ্চতা ছিল প্রায় ৪০ ফুট (১২ মিটার) খ্রিষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীতে এই মন্দিরটি ধ্বংস হয়ে যায়। এই মন্দিরের পশ্চিমাংশে ফিডিয়াস জিউসের মূর্তিটি তৈরি করেন। মূর্তিটি তৈরি করতে তাঁর সময় লেগেছিল বার বৎসর। মূর্তিটি পাদদেশের বিস্তার ছিল ২২ ফুট এবং উচ্চতা ছিল ৪০ ফুট। এই ভাস্কর্যকর্মে দেখা যায়- জিউস তাঁর রাজসিংহাসনে বসে আছেন। তাঁর মাথা প্রায় ছাদ ছুঁয়ে আছে। এই মূর্তির মূল কাঠামো ছিল কাঠের। এর উপর হাতির দাঁত দিয়ে চামড়া তৈরি করা হয়েছিল। আর চুল ও দাড়ি হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল সোনা দ্বারা আবৃত তামার তার। মন্দিরের মেঝে জলপাই তেল দিয়ে মসৃণ করে রাখা হতো। এছাড়া মন্দিরের ভিতরে আলোর প্রতিফলনের ব্যবস্থা ছিল। এই মূর্তিটি খ্রিষ্টপূর্ব ১৭০ অব্দের একটি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। পরে মূর্তিটির মেরামত করা হয়েছিল। ৩৯২ খ্রিষ্টাব্দে অলিম্পিক মন্দির ধ্বংস করে দেন রোমের রাজা প্রথম থিয়োডোসিয়াস (Theodosius I)। এই সময় লাউসাস নামক একজন ধনাঢ্য গ্রিক এই মূর্তিটি কনস্ট্যান্টিনোপলে নিয়ে আসেন। ৪৭৫ খ্রিষ্টাব্দে এক অগ্নিকাণ্ডে মূর্তিটি ধ্বংস হয়ে যায়। অন্যমতে মূর্তিটি অলিম্পিক মন্দিরেই ছিল। ৪২৫ খ্রিষ্টাব্দে এই মন্দিরটি পুড়িয়ে দেওয়ার সময় এই মূর্তিটিও ধ্বংস হয়ে যায়। |
তথ্যসূত্র :
greek myth/Robert Graves, cassel & comoany, fourth edition 1995
edith
hamilton mythology/new american library
http://www.pantheon.org/areas/mythology/europe/greek/