২৫
বৎসর অতিক্রান্ত বয়স
নজরুল
ইসলামের ২৫ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স শুরু হয়েছিল ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩১ বঙ্গাব্দ (রবিবার,
২৫ মে ১৯২৪
খ্রিষ্টাব্দ) থেকে। শেষ হয়েছিল ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩২
(রবিবার ২৪ মে ১৯২৫)।
'...হুগলীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা নজরুলকে বাড়ি ভাড়া দিতে অসম্মত হয়। তখন একজন বিপ্লবী দেশসেবক নজরুল পরিবারকে হামুদুন্নবী নামক এক মোক্তারের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দেন।...'
এই সময় এঁদের সাথে প্রমীলার মা গিরিবালা দেবীও হুগলীতে
গিয়েছিলেন। হুগলীতে গিয়েও নজরুলের এই বিড়ম্বনা কাটে নি। নজরুলের ২৫ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স শুরু হয়েছিল
হামুদুন্নবীর মোক্তারের বাড়িতে।
২৫-৩১ মে ১৯২৪
(১১-১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩১)
স্ত্রী
প্রমীলা নজরুল ও শাশুড়ি
গিরিবালা-সহ
নজরুলের ২৫ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স শুরু হয়েছিল হুগলীর হামুদুন্নবী নামক এক
মোক্তারের বাড়িতে আশ্রিত হিসেবে। নজরুলের ২৬তম জন্মবার্ষিকীতে (২৫ মে ১৯২৪
(১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩১) পাটনায় মৃত্যুবরণ করেন স্যার
আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। তাঁর
মৃত্যু উপলক্ষে নজরুল রচনা করেন 'আশুতোষ-প্রয়াণ গীতি'।
এরপর ১২তম মোহান্ত মাধবচন্দ্র গিরি সম্পর্কে একই ধরনের অভিযোগ উত্থাপিত হয়। এই মোহান্ত এলোকেশী নামক এক মহিলাকে ধর্ষণ করে। এই অপরাধে তাঁর কারাদণ্ড হয়। এই সময় তাঁর শিষ্য শ্যামগিরি মোহান্ত পদ লাভ করেন। জেল থেকে ফিরে মাধবচন্দ্র গিরি মোহান্ত পদ লাভের আবেদন করে। কিন্তু শ্যাম গিরি ও উত্তর পাড়ার মুখোপাধ্যায় ব্রাহ্মণরা এর বিরোধিতা করলে, মাধবচন্দ্র গিরি মোহান্ত পদ লাভের জন্য আদালতে মামলা করেন। মামলায় তিনি আদলতে বলেন যে, যেহেতু তিনি দশনামা সন্ন্যাসী তাই পরনারী গমনে তাঁর কোনো বাধা নাই। তাছাড়া ফৌজদারি জেল খেটে এসেছে, সেই কারণে মোহান্ত পদ পুনরায় লাভ করতে পারে। এই মামলায় মাধবচন্দ্র গিরি তাঁর মোহান্ত পদ ফিরে পেয়েছিলেন।
এরপর থেকে মাধবচন্দ্র গিরি আরও অত্যাচারী হয়ে ওঠে। এরই সূত্রে ধরে ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দের (১৩৩১ বঙ্গাব্দ) শুরু দিকে স্বামী বিশ্বানন্দ এবং পণ্ডিত ধরানাথ ভট্টাচার্য প্রতিবাদ ও প্রচারণা শুরু করেন। এই সময় স্থানীয় অধিবাসীরা চিত্তরঞ্জন দাশের কাছে এর প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেন। উল্লেখ্য, ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা কর্পোরেশন-এর নির্বাচনে স্বরাজবাদী বিজয় অর্জন করে এবং চিত্তরঞ্জন দাশ প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। এই সময় তিনি ডেপুটি মেয়র হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছিলেন হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীকে । এছাড়া শরৎচন্দ্র বসু অল্ডারম্যান এবং নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুকে চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন।
এই অন্দোলন উপলক্ষে একটি প্রতিবাদী কমিটি তৈরি করা হয়। এই কমিটির সভাপতি ছিলেন স্বামী সচ্চিদানন্দ। এছাড়া কমিটির অন্যতম সক্রিয় সদস্য ছিলেন আসানসোল ট্রেড ইউনিয়ন নেতা স্বামী বিশ্বানন্দ। এই সময় স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে উদ্বুদ্ধ 'বীরদল' নামক স্বেচ্ছাসেবী তরুণরা এগিয়ে আসেন। এর নেতৃত্ব দেন বীরদলের নেতা স্বামী বিশ্বানন্দ এবং স্বামী সচ্চিদানন্দ। পরে প্রাদেশিক কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, শ্রীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং চিত্তরঞ্জন দাশ বীরদলকে সমর্থন করেন। ৮ই এপ্রিল সুভাষচন্দ্র বসু এবং শ্রীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বিষয়টি স্বচক্ষে দেখার জন্য তারেকশ্বর যান। এরপর ৩০ এপ্রিল চিত্তরঞ্জন দাস সেখানে যান।
এই সূত্রে তারকেশ্বরের বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস একটি কমিটি গঠন করে। এই কমিটির সদস্য ছিলেন- চিত্তরঞ্জন দাশ, সুভাষচন্দ্র বসু, ডাঃ এএম দাশগুপ্ত, অনুলবরণ রায়, পণ্ডিত ধরানাথ ভট্টাচার্য, শ্রীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং মৌলানা আক্রাম খাঁ। ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসের সিরাজগঞ্জে অনুষ্ঠিত বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের সভায় এই বিষয়ে সদস্য হিসেবে থাকতে অস্বীকার করলে, দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্রতাপচন্দ্র গুহরায়।
১৩৩১ বঙ্গাব্দের ২৭শে জ্যৈষ্ঠ (মঙ্গলবার ১০ জুন ১৯২৪) থেকে চিত্তরঞ্জন দাশ, আনুষ্ঠানিকভাবে তারেকেশ্বর সত্যাগ্রহ আন্দোলনের সূচনা করেন। এই আন্দোলন উপলক্ষে একটি প্রতিবাদী কমিটি তৈরি করা হয়। এই কমিটির সভাপতি ছিলেন স্বামী সচ্চিদানন্দ। এই সময় এই আন্দোলনে সুভাষচন্দ্র বসু বিশেষভাবে সহযোগিতা করেন।
তারেকশ্বর মন্দির নিয়ে চলমান আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জুন মাসের সমাপ্তি ঘটেছিল। এই মাসের কোনো এক সময় নজরুল হুগলি থেকে কলকাতায় এসেছিলেন। সে সময়ে তিনি ২টি গান ও ২টি কবিতা রচনা করেন। এগুলো হলো-
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত গান
জুলাই ১৯২৪ (১৭ আষাঢ়- ১৫ শ্রাবণ ১৩৩১)
জুলাই মাসে 'তারকেশ্বর সত্যাগ্রহ আন্দোলন'
আরও বেগবান হয়ে উঠেছিল। ১৪ই জুলাই ১৯২৪ (সোমবার, ৩০ আষাঢ়
১৩৩১), এই আন্দোলনের স্বপক্ষে কলকাতার খিদিরপুর, হরিশ পার্ক, মির্জাপুর পার্ক, হ্যালিডে
পার্ক, বিডন স্কোয়ার, শ্যাম বাজার, নিউ পার্ক ইত্যাদি এলাকায় সভা-সমাবেশ ও
শোভাযাত্রা হয়। এই সভায় নজরুল 'তারকেশ্বর
সত্যাগ্রহ আন্দোলন'-এর প্রেক্ষাপটে রচিত একটি গান রচনা করেন।
গানটি হলো- জাগো আজ দণ্ড-হাতে চণ্ড বঙ্গবাসী।
- ফাতেহা-ই-দোয়াজ্-দহম্ [আবির্ভাব]]। মোসলেম ভারত পত্রিকা'র অগ্রহায়ণ ১৩২৭ (নভেম্বর-ডিসেম্বর ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দ) সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
- ফাতেহা-ই-দোয়াজ্-দহম্ [তিরোভাব]
মোসলেম ভারত পত্রিকার 'অগ্রহায়ণ ১৩২৮' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।- জাগৃহি। ধূমকেতু পত্রিকার প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা (৩০ শ্রাবণ ১৩২৯, মঙ্গলবার ১৫ আগষ্ট ১৯২২) প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। শিরোনাম ছিল- 'জাগরণী'। বিষের বাঁশী কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল 'জাগৃহি' শিরোনামে।
- শহীদী-ঈদ। কবিতাটি মোহাম্মদী পত্রিকায় 'শহিদী ঈদ' সংখ্যায় (?) প্রকাশিত হয়েছিল।
- আয় রে আবার আমার চির-তিক্ত প্রাণ!! 'বিষের বাঁশী'-তে প্রথম সংকলিত হয়।
- সেবক। 'বিষের বাঁশী'-তে প্রথম সংকলিত হয়।
১৩৩১ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসে (আগষ্ট ১৯২৪) নজরুলের চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ ' ভাঙার গান ' গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছিল।
প্রথম অন্তর্ভুক্ত গানের তালিকা
'...ইতিমধ্যে একাদশ বা শারদীয় সংখ্যা 'শনিবারের চিঠি'তে (১৮ই আশ্বিন) আমার "কামস্কাট্কীয় ছন্দ" প্রকাশিত হইয়া বাংলা-সাহিত্য-সংসারে যথেষ্ট সোরগোল তুলিল'।
নজরুল যখন এই প্যারোডি পাঠ করলেন, তখন তিনি ভেবেই নিয়েছিলেন যে, এটি রচনা করেছেন মোহিতলাল মজুমদার। তাই মোহিতলাল মজুমদারকে আক্রমণ করে 'কল্লোল' পত্রিকায় প্রকাশ করলেন সর্বনাশের ঘন্টা।
সর্বনাশের ঘন্টা। কবিতাটির রচিত হয়েছিল ১৩৩১ বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসে। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের 'কল্লোল যুগ' গ্রন্থ থেকে জানা যায়,
উল্লেখ্যে, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের 'কল্লোল যুগ' গ্রন্থের 'এক পাড়া' থেকে প্রকাশিত পত্রিকাটি ছিল 'শনিবারের চিঠি'। আর কবিতার 'গুরু' ছিলেন কবি মোহিতলাল মজুমদার। এই কবিতার উত্তর দেওয়ার জন্য 'দ্রোণ-গুরু' নামে একটি কবিতা নিয়ে মোহিতলাল মজুমদার শনিবারের চিঠি'র অফিসে হাজির হন। এই সময় পূজার ছুটি উপলক্ষে 'শনিবারের চিঠি' তিন সপ্তাহ বন্ধ ছিল। মোহিতলাল বললেন কবিতাটি শনিবারের চিঠি'র মূল অংশে না রেখে ক্রোড়পত্র হিসেবে ছাপাতে হবে। পরে কবিতাটি দ্বাদশ সংখ্যা বা 'বিশেষ বিদ্রোহ সংখ্যা'য় প্রকাশিত হয়েছিল। প্রকাশকাল ছিল- ৮ কার্তিক ১৩৩১ (শনিবার ২৫ অক্টোবর ১৯২৪) লিখেছিলেন 'দ্রোণ-গুরু' কবিতা।'কোনো বিশেষ এক পাড়া থেকে নজরুল-নিন্দা বেরুতে লাগল প্রতি সপ্তাহে। ১৩৩১-এর কার্তিকে "কল্লোলে" নজরুল তার উত্তর দিলে কবিতায়। কবিতার নাম "সর্বনাশের ঘণ্টা। গ্রন্থাকার কবিতাটি উদ্ধৃতি করার পর, লিখেছেন- 'মনে আছে এই কবিতা নজরুল কল্লোল-আপিসে বসে লিখেছিল এক বৈঠকে। ঠিক কল্লোল-আপিসে হয়তো নয়, মণীন্দ্রের ঘরে।' উল্লেখ্য, মণীন্দ্র চাকী ছিলেন কল্লোল পত্রিকার একমাত্র বেতনভুক কর্মচারী। তিনি থাকতেন, কল্লোলো অফিসের এক গলি পরে তিনি থাকতেন। কিন্তু এই ঘর হয়ে উঠেছিল কল্লোল অফিসের বাড়তি অঙ্গন।'
কার্তিক ১৩৩১ (অক্টোবর ১৯২৪), ব্যথার দান গল্প গ্রন্থটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল। গ্রন্থটির প্রকাশক ছিলেন : এম. আফজাল-উল-হক, মোস্লেম পাব্লিশিং হাউস, কলেজ স্কয়ার (ইষ্ট)। মূল্য দেড় টাকা। প্রিন্টার: শ্রীসুবোধ সরকার, সূর্য্য প্রেস, ৩৩, গৌরীবেড় লেন, কলিকাতা। উল্লেখ্য, গ্রন্থটির প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩২৮ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন (ফেব্রুয়ারি ১৯২২) মাসে। প্রথম সংস্করণে গল্পের সংখ্যা ছিল ৫টি। এ্গুলো হলো- অতৃপ্ত কামনা, ঘুমের ঘোরে, বাদল-বরিষণ, ব্যথার দান ও হেনা। এর দ্বিতীয় সংস্করণে যুক্ত হয়েছিল নতুন একটি গল্প। গল্পটি হলো-
ডিসেম্বর ১৯২৫ (১৬ অগ্রহায়ণ-১৬ পৌষ ১৩৩১)
এই মাসে তাঁর প্রথম পুত্র আজাদ কামালের মৃত্যু হয়।মৃ্ত্যু
নজরুলকে তীব্রভাব আহত করেছিল।
এই সময় নজরুলের অধিকাংশ গ্রন্থ বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। এর ফলে পুস্তক বিক্রয় থেকে
প্রাপ্ত অর্থ-প্রাপ্তির পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে নজরুলের হুগলির জীবন-যাপন
দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিল।
এই মাসে নতুন কোনো রচনার সন্ধান পাওয়া যায় না। আগের মাসে রচিত
সুবেহ-উম্মেদ
(পূর্বাশা)কবিতা সাম্যবাদী পত্রিকার পৌষ ১৩৩১ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসের ২-৩ তারিখে (শনিবার-রবিবার ১৯-২০ বৈশাখ ১৩৩২ বঙ্গাব্দ) ফরিদপুরের অনুষ্ঠিত বঙ্গীয় কংগ্রেস অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এই অধিবেশনে যোগদানের জন্য নজরুল ফরিদপুরে আসেন। তাঁর সাথে ছিলেন রাজনৈতিক কর্মী আব্দুল হালিম ও গায়ক মণীন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। ফরিদপুরের বাইরে থেকে আসে নজরুল এবং অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিরা উঠেছিলেন আইনজীবী দিনেশ সেনের (প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক মৃণাল সেনের পিতা) বাসায়। এই অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলন মহাত্মা গান্ধী ও চিত্তরঞ্জন দাশ। সভার সভাপতিত্ব করেছিলেন চিত্তরঞ্জন দাশ। এই অধিবেশনেই নজরুলের সাথে প্রথম গান্ধীজির সাক্ষাৎ হয়। গান্ধীজির অনুরোধে গেয়েছিলেন-সম্মেলন শেষে নজরুল ফরিদপুরে মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরীর বাড়িতে ওঠেন। মে মাসের ৪ তারিখে (সোমবার ২১ বৈশাখ ১৩৩১ বঙ্গাব্দ) নজরুল এই বাড়িতেই কাটান। এই সময় প্রায় দুই সপ্তাহ নজরুল ফরিদপুরে কাটান। মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরীর অতিথি হয়ে থাকলেও তিনি কয়েকদিন হুমায়ুন কবিরের পিতা কবির উদ্দীন আহমদের বাসায়। এই সময় তিনি বিভিন্ন ঘরোয়া অনুষ্ঠানে আলাপচারিতার পাশাপাশি কবিতা ও গান পরিবেশন করেন।
- ঘোর্ ঘোর্ রে ঘোর্ রে আমার সাধের চর্কা ঘোর [তথ্য]
এছাড়া আরো দুটি গান। গান দুটি হলো-
এই অধিবেশনে নজরুলের নিষিদ্ধ কাব্যগ্রন্থ বিষের বাঁশী ও ভাঙার গান গোপনে বিক্রয় হয়েছিল।
ফরিদপুরে অবস্থানকালে তাঁর সাথে প্রথমবারের মতো পরিচয় হয়েছিল- কবি জসিমউদ্দিন, রাজনৈতিক কর্মী সৈয়দ আব্দুর রবের সাথে। উল্লেখ্য, আব্দুর রবের পরিচালিত 'খাদেমুল ইসলাম সমিতির' মুখপত্র 'মোয়াজ্জিন' পত্রিকায় নজরুলের কবিতা আগেই প্রকাশিত হয়েছিল। ফরিদপুর থেকে হুগলীতে ফিরে আসেন ২১শে মে'র (বৃহস্পতিবার ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩২) আগেই। কারণ প্রবর্তক সংঘের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মতিলাল রায়কে নজরুল একটি পত্র লিখেছিলেন।
২৫ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সের বাকি দিনগুলো তিনি হুগলিতে কাটান।