নজরুলের শাক্তসঙ্গীত
নজরুলসঙ্গীতের বিষয়ভিত্তিক শ্রেণিকরণে, নজরলের রচিত শাক্ত সঙ্গীত হলো- ধর্মসঙ্গীতের অন্তর্গত সনাতন হিন্দুধর্মের একটি উপবিভাগ।  এ্ গানের আদ্যা শক্তি হলেন দেবী দুর্গা। যিনি সকল দেবদেবীর সম্মিলিত শক্তির মিলিত রূপ। অন্যদিকে কল্যাণময় শিবের তিনি স্ত্রী। শক্তিরূপিণী দুর্গা ও তাঁর সকল রূপ এবং শৈবশক্তিই হলো শাক্তসঙ্গীতের ভিত্তি।

অষ্টাদশ শতাব্দীতে কবিরঞ্জন রামপ্রসাদ সেন (১৭২০-১৭৭৫ খ্রিষ্টাব্দ) শাক্তসঙ্গীতের নবতর ধারার শুভ সূচনা করেন। মূলত তাঁর দ্বারাই বাংলাগানে শাক্ত সঙ্গীত নামক নবতর ধারা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তাঁরই পথ ধরে পরবর্তী সময়ে মহারাজ নন্দকুমার (১৭০৫-৭৫), রঘুনাথ রায় (১৭৫০-১৮৩৬), পাঁচালিকার দাশরথি রায় (১৮০৬-১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দ), রসিক চন্দ্র রায় (১৮২০-৯৩), প্রমুখ শাক্তসাধকবৃন্দ এই ধারাকে উজ্জীবিত করে রেখেছিলেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্থে কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) এই ধারকে উৎকর্ষ ধারায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। বাণী ও সুরের বিচারে তাঁকে সর্বকালে শ্রেষ্ঠ শাক্তসঙ্গীত রচয়িতা হিসেবে আখ্যায়িত করলে, বোধ করি তা অতিরঞ্জিত হয়ে না।

লেটো গানের লোক-আঙ্গিকের অধ্যায় বাদ দিলে, পল্টন ফেরত নজরুলের প্রায় ২২ বছরের সাহিত্য চর্চার ভিতরে একটি উল্লেযোগ্য অংশ জুড়ে ছিল সঙ্গীতরচনার অধ্যায়। এই স্বল্প-পরিসরে তিনি রচনা করেছিলে তিন সহস্রাধিক গান। সঙ্গীতের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন বহু মাত্রিক। এই সময়ের তিনি ছিলেন গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীত-পরিচালক, নাট্যকার, অভিনেতা ইত্যাদি। তিনি নিজের নাটকের পাশাপাশি অন্যের নাটকে গান লিখেছেন, অন্যের রচিত গানে সুরারোপ করেছেন। সঙ্গীতে নজরুলের এই বর্ণাঢ্য জীবনের একটি অন্যতম অধ্যায় ধর্মসঙ্গীত। এক্ষেত্রে তিনি সাধারণ, ইসলাম ও সনাতন ধর্মের আলোকে যত গান রচনা করেছেন, তার মধ্য একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায় হলো- শাক্তসঙ্গীত।

১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে নজরুলক গ্রামোফোন কোম্পানিতে যোগাদান করেন। এই সময় রেকর্ড কোম্পানির চাহিদা পূরণের জন্য বহু শাক্ত সঙ্গীত রচনা করেছিলেন। এই সূত্রে তিনি হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি গভীরভাবে পাঠ করেন। এর মধ্য দিয়ে বৈষ্ণব ও শাক্ত উভয় দর্শনকে আত্মস্থ করতে সমর্থ হন। কথিত আছে নজরুল ব্যক্তিগতভাবে কিছুদিন কালীসাধনা করেছিলেন। বিশেষ করে ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর প্রথম সন্তান বুলবুলের মৃত্যুর পর, মনের অশান্তি দূর করার জন্য, ইসলাম এবং সনাতন হিন্দু ধরধ্মের আধ্যত্মিক দর্শনের অনুগামী হয়েছিলেন। জন্মগতসূত্রে তিনি প্রথাগত ইসলামী ধারণা পেয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে সুফিদর্শন তাঁকে গভীরভাবে আলোড়িত করেছিল। এরই ভিতরে তিনি শাক্ত-দর্শনকে অনুধাবন করতে চেয়েছিলেন প্রত্যক্ষ কালী সাধনার মধ্য দিয়ে। এই উদ্দেশ্যে তিনি লালগোলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক যোগীবরণ মজুমদারেরের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন। এই বিষয়ে তিনি তাঁর 'পথ হারাব গ্রন্থ'-এর ভূমিকা লিখেছেন
...তিনি আমার হাতে দিলেন যে অনির্বাণ দীপ-শিখা সেই দীপ-শিখা হাতে লইয়া আজ বার বৎসর ধরিয়া পথ চলিতেছি। আর অগ্রে চলিতেছেন তিনি পার্থ-সারথি রূপে।

আজ আমার বলিতে দ্বিধা নাই, তাঁহারই পথে চলিয়া আজ আমি আমাকে চিনিয়াছি। আমার ব্রহ্ম-ক্ষুধা আজও মিটে নাই, কিন্তু সে এই জীবনেই মিটিবে, সে বিশ্বাসে স্থিত হইতে পারিয়াছি। আমি আমার আনন্দ-রস-ঘন স্বরূপকে দেখিয়াছি। কি দেখিয়াছি, কি পাইয়াছি, আজও তাহা বলিবার আদেশ পাই নাই।' 
এ প্রসঙ্গে আজাহারউদ্দীন লিখেছেন- ' বাড়ির চিলে কোঠায় কালী প্রতিমা স্থাপন করে সকাল-সন্ধ্যা মন্ত্রজপ করতে শুরু করলেন। কোন কোন বার নিরম্বু উপবাস করে ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে পূজা গৃহে দিন দুই কাটিয়ে দিতেন।'

এক পর্যায়ে নজরুল সন্ন্যাস গ্রহণ করতে রামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠে গিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে রাজ্যেশ্বর মিত্র (১৯১৭-৯৫) তাঁর 'আগরতলায় শচীন দেববর্মণ' স্মৃতিকথায় লিখেছেন। স্বামী প্রজ্ঞানানন্দের কাছে শুনেছি হিমাংশু দত্ত ও নজরুল ইসলাম উভয়ই রামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠে স্বামী অভেদানন্দের কাছে সন্যাসে দীক্ষা নিতে এসেছিলেন। কিন্তু তখনও সময় হয়নি বলে অভেদানন্দজী তাঁদের অপেক্ষা করতে উপদেশ দিয়েছিলেন

নজরুলের সঙ্গীত রচনার প্রথম পর্বের সূচনা হয়েছিল লেটো গানের মধ্য দিয়ে। এই পর্যায়ে লেটো পালার জন্য রচনা করেছিলেন ভক্তি-গীতি। এর অধিকাংশ ইসলামী গান ও রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক গান। আর প্রথম যুদ্ধের শেষে পল্টন-ফেরত নজরুল ভক্তি পর্যায়ের প্রথম গান। এই গানের প্রভু কোনো বিশেষ ধর্মের মতের নয়। মূলত ব্রিটিশ ভারতে পরাধীনতার গ্লানি থেকে উদ্ধারের জন্য প্রভুর কাছে ভক্তের প্রার্থনা। তাই এই গানের পর্যায় বিশ্লেষণে বলা যেতে পারে- ভক্তি (সাধারণ, প্রার্থনা, স্বদেশ)। প্রকাশ-উৎসের বিচারে নজরুলের শাক্ত সঙ্গীতকে যে ভাবে শ্রেণিকরণ করা যায়, তা হলো- নজরুলের শাক্ত-সঙ্গীতের বিষয়-ভিত্তিক শ্রেণিকরণ
নজরুলের শাক্তসঙ্গীতে শিব এবং দুর্গাকে নানা নামে পাওয়া যায়। শিবের বন্দনা বা মহিমা প্রকাশক গানগুলোকে সাধারণভাবে 'শৈব সঙ্গীত' পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু দুর্গা-বষয়ক গানগুলোর এরূপ কোনো সাধারণ নাম নেই। একে সাধারণ ভাবে এই গানগুলোকে দুর্গা-বিষয়ক গান বলা যেতে পারে।  

শৈবসঙ্গীত: শিব-বিষয়ক গানগুলোকে সাধারণভাবে শৈবসঙ্গীত বলা হয়। বিষয়াঙ্গের বিচারে এই গানগুলোকে নানা উপবিভাগে বিভাজিত করা যায়। যেমন- বন্দনা, দুর্গা-বিষয়ক সঙ্গীত
সনাতন হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী অনুসরণ করলে দেখা যায় দুর্গা হলেন- আদ্যাশক্তি। পৌরাণিক কাহিনিগুলোতে রয়েছে নানা ভাবে, নানা নামে তাঁর সরব উপস্থিতি।

দুর্গা নাম: অভিধান ও পৌরাণিক গ্রন্থাদি অনুসারে জানা যায়- দুর্গা শব্দটি এসেছে দুর্গ শব্দ থেকে। দুর্গকে বিনাশ করেন যিনি, তাকেই দুর্গা বলা হয়েছে। শব্দকল্পদ্রুম অনুসারে, দুর্গ শব্দটির রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ হলো-
'দুর্গং নাশয়তি যা নিত্যং সা দুর্গা বা প্রকীর্তিতা' অর্থাৎ, দুর্গ নামক অসুরকে যিনি বধ করেন তিনিই নিত্য দুর্গা নামে প্রকীর্তিতা। মোট কথা দুর্গ নামক দৈত্যকে দমন করে তিনি দুর্গা নাম প্রাপ্ত হন। দুর্গা শব্দের বর্ণবইশ্লেষণে- এই গ্রন্থে বলা হয়েছে- 'দ' অক্ষর দৈত্যনাশক, উ-কার বিঘ্ননাশক, 'রেফ' রোগনাশক, 'গ' অক্ষর পাপনাশক ও অ-কার ভয়-শত্রুনাশক। অর্থাৎ, দৈত্য, বিঘ্ন, রোগ, পাপ ও ভয়-শত্রুর হাত থেকে যিনি রক্ষা করেন, তিনিই দুর্গা।
পৌরাণিক কাহিনিতে- দুর্গা
পৌরাণিক কাহিনী অনুসরণে, নজরুল দুর্গাকে উপস্থাপন করেছেন নানা ভাবে, নানা নামে। এসকল নামের সাথে জড়িয়ে আছে পৌরাণিক উপাখ্যান। কখনো দুর্গাকে নানা বিশেষণ-বাচক শব্দে অভিহিত করা হয়েছে। নজরুলের রচিত শাক্তসঙ্গীতে ভাবানুসন্ধানে এই সকল উপাখ্যান এবং শব্দার্থের মূল্য অপরিসীম। তাই পৌরাণিক কাহিনি অবলম্বনে দুর্গাবিষয়ক উপাখ্যানভিত্তিক  আবশ্যকীয় তথ্য দেওয়া হলো।
আদ্যাশক্তি: খ্রিষ্টীয় তৃতীয় শতাব্দীতে বেদব্যাস (বেদবিভাজক বেদব্যাস নয়)-কর্তৃক রচিত মার্কণ্ডেয় পুরাণ মতে - আদিকালে যখন যোগনিদ্রায় ছিলেন, তখন বিষ্ণুর কর্ণমল থেকে উৎপন্ন মধু ও কৈটভ [মধুকৈটভ] নামক দুটি ভয়ঙ্কর অসুর ব্রহ্মাকে ভক্ষণ করতে উদ্যত হয়েছিল। এই যোগনিদ্রায়ই ছিলেন দেবী মহামায়া। এই সময় ব্রহ্মা বিষ্ণুর নাভিমূলে আশ্রয় নিয়ে যোগনিদ্রারূপী এই দেবীকে বন্দনা করেন। এই বন্দনার একাংশে ব্রহ্মা বলেন যে, - তিনি (ব্রহ্মা), বিষ্ণু মহাদেব এই দেবীর প্রভাবে শরীর লাভ করেছেন। তিনি মহাদেবের শক্তি হিসেবে বিরাজ করেন।   ব্রহ্মার বন্দনায় সন্তুষ্ট হয়ে, যোগমায়ারূপী এই দেবী, চোখ, মুখ, নাক, বাহু, হৃদয় ও বক্ষস্থল থেকে বাহির হয়ে, দেবীরূপে আবির্ভূতা হন।

২. আদ্যাদেবী রূপ সতী
বিভিন্ন পুরাণ মতে– এই দেবী দক্ষের কন্যা হিসাবে সতী নামে পরিচিতা। কালিকা পুরাণ মতে– দক্ষ মহামায়াকে [দুর্গা] কন্যারূপে পাওয়ার জন্য কঠোর তপস্যা করেন। দক্ষের তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে মহামায়া দক্ষকে বলেন, –তিনি অবিলম্বে তাঁর (দক্ষের) পত্নীর গর্ভে তাঁর কন্যারূপ জন্মগ্রহণ করবেন এবং মহাদেব-এর স্ত্রী হবেন। তবে তাঁকে (দুর্গাকে) যথাযথ সমাদর না করলে তিনি দেহত্যাগ করবেন। এরপর দক্ষ অসিক্লী-কে বিবাহ করেন। বীরিণী'র গর্ভে মহামায়া জন্মগ্রহণ করেন। দক্ষ এঁর নাম রাখেন সতী। [১-৪৪। অষ্টমোহধ্যায়, কালিকাপুরাণ]

৩. মহিষাসুর উপাখ্যান:
মার্কেণ্ডয় পুরাণের ৮২তম অধ্যায়ে রয়েছে- মহিষাসুর উপাখ্যান। এই উপাখ্যানে পাওয়া যায়- মহিষাসুর নামক অসুর স্বর্গ থেকে দেবতাদের বিতারিত করে স্বর্গ অধিকার করেছিল। পরাজিত দেবতারা এর প্রতিকারের জন্য ব্রহ্মার শরণাপন্ন হন। তাঁরা সবিস্তারে অসুরেদের অত্যাচারের কথা ব্যক্ত করেন। দেবতাদের এই অভিযোগ শোনার পর- ব্রহ্মাবিষ্ণু মহেশ্বর ক্রোধান্বিত হলে, তাঁদের তেজ প্রকাশিত হয়। এই সময় অন্যান্য দেবতারাও তাঁদের তেজ ত্যাগ করেন। এই সম্মলিত তেজরাশি থেকে দুর্গার আবির্ভাব হয়েছিল। দেবতার তেজ থেকে এই দুর্গার শরীরের বিভিন্ন অংশ তৈরি হয়েছিল। এ রূপগুলো হলো– মহাদেবের তেজে মুখ, যমের তেজে চুল, বিষ্ণুর তেজে বাহু, চন্দ্রের তেজে স্তন, ইন্দ্রের তেজে কটিদেশ, বরুণের তেজে জঙ্ঘা ও উরু, পৃথিবীর তেজে নিতম্ব, ব্রহ্মার তেজে পদযুগল, সূর্যের তেজে পায়ের আঙ্গুল, বসুদের তেজে হাতের আঙ্গুল, কুবেরের তেজে নাসিকা, প্রজাপতির তেজে দাঁত, অগ্নির তেজে ত্রিনয়ন, সন্ধ্যার তেজে ভ্রূ, বায়ুর তেজে কান এবং অন্যান্য দেবতাদের তেজে শিবারূপী দুর্গার সৃষ্টি হয়েছিল।

৪. শুম্ভ-নিশুম্ভ বধ উপখ্যান
মার্কেণ্ডয় পুরাণের মতে- শুম্ভ-নিশুম্ভ নামে দুই অসুর ইন্দ্রপুরী দখল করে ত্রিলোক অধিকার করে। এরা সূর্য ও চন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। এছাড়া কুবের, যম, বরুণ , অগ্নি, ও বায়ুর অধিকার লাভ করে। এরপর দেবতারা মাতঙ্গ মুনির আশ্রমে এসে- দুর্গার আরাধনা করেন। আরাধনায় তুষ্ট হয়ে এই দেবী প্রথমে মাতঙ্গ মুনির স্ত্রীর রূপ ধরে দেবতাদের কাছে আসেন এবং পরে একটি বিশেষ মূর্তি ধারণ করেন। এই মূর্তিতে এঁর চার হাত ও গলায় নরমুণ্ডমালা ছিল। এই মূর্তি মাতঙ্গ মুনির স্ত্রীর রূপ মাতঙ্গী'র দেহরূপ থেকে নির্গত হয়েছিল বলে– এর নাম হয়েছিল মাতঙ্গী। এই মূর্তীতে দুর্গার মাথায় একটি মাত্র জটা থাকায় ইনি একজটা নামে অভিহিত হয়ে থাকেন। 

মার্কেণ্ডেয় পুরাণের মতে, হিমালয়ে গিয়ে দেবতারা দেবীর স্তব করেছিলেন। এই সময় পার্বতী জাহ্নবী নদীতে স্নান করতে অগ্রসর হলে, দেবতাদের জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কার স্তব করছো। এই বাক্য শেষ হওয়ার সাথে সাথে, পার্বতীর শরীরকোষ থেকে দুর্গা দেবী প্রকাশিত হলেন। এই কারণে, দেবীর অপর নাম কৌষিকী। এরপর পার্বতী কৃষ্ণকায় মূর্তি ধারণ করলেন। এই রূপের জন্য তিনি কালিকা নামে অভিহিত হলেন।
নজরুল সঙ্গীতে দুর্গাবিষয়ক গানের শ্রেণিকরণ:
পৌরাণিক কাহিনি অনুসরণে নজরুলে গানে দুর্গাকে স্বনামে দুই শ্রেণির গান। এর একটি হলো সাধারণ পর্যায় অপরটি দুর্গা পূজার গান। দুর্গা স্বনামের গানে পাওয়া যায় প্রধান দুটি প্রধান ধারার গান।  এর একটি হলো- সাধারণ, অপরটি আনুষ্ঠানিক গান। এই ধারার অন্যতম অধ্যায় হলো- দুর্গাপূজার গান।