৩২ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে কবি বেনজির আহমদ 'নওরোজ' নামক একটি মাসিক
পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নেন। এই পত্রিকার মুদ্রাকর ও প্রকাশক ছিলেন আফজাক-উল
হক। পত্রিকাটির অফিস ছিল ৪৫-বি মেছুয়া বাজার স্ট্রিট। এই পত্রিকা প্রকাশের
উদ্যোগে নজরুল উৎসাহিত হয়ে পত্রিকার সম্পাদক-কে একটি স্বাগত কথন পাঠিয়েছিলেন ২৭
মে (শুক্রবার ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৪)। এই কথনটি গণবাণী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। নওরোজ পত্রিকার পাঁচটি সংখ্যা প্রকাশের পর পুলিশের বাধার কারণে বন্ধ হয়ে যায়।
ফলে নজরুলের সাথে নওরোজ পত্রিকার সকল চুক্তি বাতিল হয়ে যায়। এই সুযোগে সওগাত
পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন নজরুলকে তাঁর পত্রিকায় যোগদানের আহ্বান
করেন। নজরুল সম্মত হলে সওগাত পত্রিকার কার্তিক ১৩৩৪ সংখ্যা থেকে চুক্তি কার্যকর
হয়। এই চুক্তির মূল বিষয় ছিল- এই চুক্তির পর কুহেলিকার পরবর্তী পরিচ্ছেদগুলো সওগাত পত্রিকায় প্রকাশিত
হয়েছিল। উল্লেখ্য গ্রন্থাকারে প্রকাশের সময় নওরোজে প্রকাশিত পঞ্চম পরিচ্ছেদ
বাতিল হয়ে গিয়েছিল। ৮ ভাদ্র তারিখে পাণ্ডুলিপিতে একটি কবিতার সন্ধান পাওয়া যায়। কবিতাটি হলো- সওগাত পত্রিকার ভাদ্র ১৩৩৮
সংখ্যায় নজরুলের রচিত একটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল। কবিতাটি হলো- এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত গান। এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত গান ও কবিতা এই দুটি গান রচনার প্রসঙ্গে, আব্বাসউদ্দীন আহমদ তাঁর 'আমার শিল্পী
জীবনের কথা' গ্রন্থ থেকে জানা যায়- প্রথম দিকে ইসলামী গানের রেকর্ড
প্রকাশের ক্ষেত্রে গ্রামোফোন কোম্পানির রিহাসর্সল-ইন চার্জ ভগবতী
ভট্টাচার্য রাজী ছিলেন না। এ নিয়ে আব্বাসউদ্দীন তাঁকে অনুরোধ করার পর, ভগবতী
বাবু প্রথমবার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। পরে একদিন গ্রামোফোন কোম্পানির
রিহাসর্সল রূপে আব্বাসউদ্দীন তাঁকে দ্বিতীয়বার অনুরোধ করেন। এবারে ভগবতী
বাবু রাজী হন। এ প্রসঙ্গে 'আমার শিল্পী জীবনের কথা' [পরিবেশনা: হরফ প্রকাশনী,
কলকাতা। পৃষ্ঠা: ৭৩] গ্রন্থে তিনি লিখেছেন- '...আমি কাজিদাকে বললাম যে ভগবতী বাবু রাজী হয়েছেন। তখন সেখানে
ইন্দুবালা কাজিদার কাছে গান শিখছিলেন। কাজিদা বলে উঠলেন, ইন্দু তুমি
বাড়ী যাও, আব্বাসের সাথে কাজ আছে।" ইন্দুবালা চলে গেলেন এক ঠোংগা পান
আর চা আনতে বললাম দশরথকে। তারপর দরজা বন্ধ করে আধঘণ্টার ভিতরই লিখে
ফেললেন- ' ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ।" তখুনি সুরসংযোগ করে
শিখেয়ে দিলেন। পরের দিন ঠিক এই সময় আসতে বললেন। পরের দিন লিখলেন, "ইসলামের
ঐ সওদা লয়ে এলো নবীন সওদার।" আব্বাসউদ্দীনের এই বক্তব্য অনুসারে- 'ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো
খুশীর ঈদ' এই সময়ে রচিত হলেও, "ইসলামের ঐ সওদা লয়ে এলো নবীন সওদার" গানটি
এই সময়ের রচিত নয়। কারণ, এই গানটি জয়তী পত্রিকার কার্তিক-পৌষ ১৩৩৮ (অক্টোবর-ডিসেম্বর
১৯৩১) সংখ্যায় পূর্বেই প্রকাশিত হয়েছিল। সম্ভবত এইচএমভিতে ' ও মন
রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ" গানটি প্রকাশের সময় এর জুড়ি গান হিসেবে
পূর্বে রচিত এই গানটিতে সুরারোপ করেছিলেন। "আমার ফরমায়েশে তিনি দুটি গান লিখে
দিয়েছিলেন একটি পত্রিকায়, পরে দুটিই প্রসিদ্ধ হয়েছে। একটা হলো- 'কুঁচ বরণ
কন্যা রে' আর একটা 'ঐ ঘর ভুলানো সুরে'। দুটোরই পাণ্ডুলিপি এখনও আমার কাছে
আছে।"
নজরুলের ৩২ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স শুরু হয়েছিল ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ (২৫ মে ১৯৩১
খ্রিষ্টাব্দ)। শেষ হয়েছিল ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ (২৪শে মে ১৯৩২)।
নজরুলের ৩১ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে দেখেছি, কলকাতার নাট্যমঞ্চের সাথে গানের সূত্রে একটি যোগসূত্র তৈরি
হয়েছিল। কলকাতার ম্যাডান থিয়েটার লিমিটেড-এর পক্ষে তিনি নিয়মিত
বেতনভোগী সঙ্গীত নির্দেশক তথা 'সুর ভাণ্ডারী' হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ
করেছিলেন। তাঁর ৩২ বৎসর অতিক্রান্ত শুরুই হয়েছিল, থিয়েটারের জন্য গান রচনার মধ্য
দিয়ে।
২৫-৩১ মে ১৯৩১ (১১-১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৮)
এবারের নাটক ছিল মন্মথ রায়ের সাবিত্রী। উল্লেখ্য, এর ভিতরে ৩০শে মে নজরুল 'গান্ধী-আরউইন
চুক্তির সূত্রে, 'প্রলয় শিখা' কাব্যগ্রন্থ রচনার জন্য প্রাপ্ত ৬ মাসের কারাদণ্ড থেকে
চূড়ান্তভাবে অব্যহতি পেয়েছিলেন। এই দিনেই
নাট্যনিকেতন মঞ্চস্থ হয়েছিল
মন্মথ রায়ের সাবিত্রী নামক একটি নাটক।
সাবিত্রী
৩০ মে (শনিবার ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৮) মন্মথ রায়ের রচিত সাবিত্রী নাটক
মঞ্চস্থ হয়েছিল
নাট্যনিকেতন নামক মঞ্চে। এই নাটকের সবগুলো গানের গীতিকার ও সুরকার
ছিলেন নজরুল।
নাটকটি ১৩৩৮বঙ্গাব্দের
১৬ই জ্যৈষ্ঠ, কলকাতায় নাট্যনিকেতনে প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল।
এটিও ছিল একটি ফরমায়েসি নাটক। নাটকটি তিনি রচনা করেছিলেন নাট্যনিকেতনের অধিকারী
প্রবোধচন্দ্র গুহের অনুরোধে।গ্রন্থটিতে যুক্ত 'লেখকের
কথা' অংশ থেকে জানা যায়, নাট্যনিকেতনের অধিকারী প্রবোধচন্দ্র গুহের
অনুরোধে, নাট্যকার ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের ৪-৭ বৈশাখ এবং ২৬ বৈশাখ-৫ জ্যৈষ্ঠের ভিতরে নাটকটি
রচনা করেছিলেন। আর নাটকটি ১৬ই জ্যৈষ্ঠ শনিবার, নাট্যনিকেতনে মঞ্চস্থ হয়েছিল। লেখকের
কথা থেকে জানা যায়-
'সাবিত্রী'র পরম সম্পদ হইয়াছে তাহার গান। লিখিতে গর্বে এবং গৌরবে আমার বুক ভরিয়া
ওঠে যে সমস্ত গান গুলির কথা এবং সুরই গীত-সুন্দর সুর-যাদুকর বাংলার কবি-দুলাল কাজী নজরুল ইসলামের সস্নেহদান।
উল্লেখ্য,নাটকটি গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশকাল ১ আষাঢ় ১৩৩৮। এই গ্রন্থে মোট
নজরুলের রচিত ও সুরারোপিত মোট ১৩টি গান
ব্যবহৃত হয়েছিল। এর ভিতরে 'কুসুম সুকুমার শ্যামল তনু' গানটি জয়তী পত্রিকার 'পৌষ-মাঘ,
১৩৩৭ সংখ্যায় পূর্বে প্রকাশিত হয়েছিল। ফলে সাবিত্রী' নাটকের নতুন গান ছিল ১২টি। নিচে
এই ১২টি গানের তালিকা দেওয়া হলো।
জুন ১৯৩১ (১৮ জ্যৈষ্ঠ-১৫ আষাঢ় ১৩৩৮)
জয়তী পত্রিকার 'পৌষ-মাঘ, ১৩৩৭ সংখ্যায় পূর্বে প্রকাশিত হয়েছিল।
গত মাসের সাবিত্রী নাটকের সফল মঞ্চস্থ হওয়ার পর, নজরুল বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন। ইতিমধ্যে তিনি একটি মোটরগাড়ি
কিনেছিলেন। বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে তিনি দার্জিলিং ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন। উল্লেখ্য,
এই সময় একটি ছোট নাট্যদল নিয়ে প্রবোধ গুহ দর্জিলিং ছিলেন। ধারণা
করা হয়, নজরুল এই মাসের শেষ পর্যন্ত দার্জিলিং ছিলেন।
এই মাস থেকে মাসিক,
প্রবোধ সান্যালের
সন্পাদনায় স্বদেশ পত্রিকার প্রকাশনা শুরু হয়েছিল। এর প্রথম বর্ষ প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে। এই সংখ্যায় বিজ্ঞাপন বিভাগে নজরুলের লিখিত 'আলেয়া'
গীতিনাট্যটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। বিজ্ঞাপনে লেখা হয়েছিল- '
আগামী সংখ্যায় কবি নজরুল ইসলামের গীতিনাট্য আলেয়া আরম্ভ হইবে। যে কোনো কারণেই হোক,
সে সময়ের কোনো সাময়িকীতে এই গীতিনাট্যটি প্রকাশিত হয় নি। তবে এই পত্রিকার জন্য লিখিত 'স্বদেশ' কবিতাটি ছাপা হয়েছিল।
গানটি জাহান আরা চৌধুরীর
জন্য লিখেছিলেন। নজরুলের পাণ্ডুলিপিতে গানটি রচনার স্থান, তারিখ ও সময় উল্লেখ আছে-
দার্জিলিং/শনিবার/রাত্রি এখানে তারিখের উল্লেখ নেই।
[পাণ্ডুলিপি]
গানটি জাহান আরা চৌধুরীর
জন্য লিখেছিলেন। নজরুলের পাণ্ডুলিপিতে লেখা আছে '২১-৬ ৩১/রবিবার/সকাল'।
[পাণ্ডুলিপি]
গানটি জাহান আরা চৌধুরীর জন্য লিখেছিলেন। কবিতাটি জাহান আরা চৌধুরীর
জন্য লিখেছিলেন। নজরুলের পাণ্ডুলিপিতে লেখা আছে '২১-৬-৩১/দার্জিলিং/রবিবার -সকাল'।
[পাণ্ডুলিপি]
গানটি জাহান আরা চৌধুরীর জন্য লিখেছিলেন।
নজরুলের পাণ্ডুলিপিতে লেখা আছে 'দার্জিলিং/২৩-৬-৩১/সকাল'।
[পাণ্ডুলিপি]
জয়তী পত্রিকার 'কার্তিক-পৌষ ১৩৩৮'
সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
[২৮ জুন (রবিবার ১৩ আষাঢ় ১৩৩৮)]
কবিতাটি জাহান আরা'র খাতায় লিখেছিলেন। লেখাটির সাথে স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে- দার্জিলিং/২৮-৬-৩১।
[পাণ্ডুলিপি]
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গান
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত
জুলাই ১৯৩১ (১৬ আষাঢ় -১৫ শ্রাবণ ১৩৩৮)
সঙ্গীত বিজ্ঞান প্রকাশিকা পত্রিকা 'র
[আষাঢ় ১৩৩৮ সংখ্যায় গানটি স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত হয়েছিল।
পত্রিকায় উল্লেখ রয়েছে- বেহাগ-একাতাল (বিলম্বিত লয়)।
কথা ও সুর: কাজী নজরুল ইসলাম। স্বরলিপিকার: শ্রীঅনিলভূষণ বাগচী।' পৃষ্ঠা: ১৫৩-১৫৫।
[নমুনা]
উত্তরা। আষাঢ় ১৩৩৮। গানটির শেষ কলি উত্তরায় ছাপা হয়েছিল-
কত আশা
আছে কত সে-সাধ
অভিমানী তাহে সেধো না বাদ!
না মিটিতে সাধ, স্বপন-চাঁদ,
মিলনের নিশি ক'রো না ভোর॥
নজরুল দার্জিলিং থেকে কবে কলকাতায় ফিরেছিলেন, তা জানা যায় না। তবে ১৫ই জুলাইয়ের ভিতরে
কলকাতায় ফিরেছিলেন, তা বলা যায়। কারণ ১৫ই জুলাই (বুধবার ৩০ আষাঢ় ১৩৩৮) কলকাতায়-
শ্রীমতি মীরা চৌধুরীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি কবিতা লিখেছিলেন।
এই মাসে নজরুলের তৃতীয় উপন্যাস কুহেলিকার প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল।
কবিতাটির কোনো শিরোনাম ছিল না।
পাণ্ডুলিপিতে রচনার স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে- 'কলিকাতা/১৫-৭-৩১'।
[পাণ্ডুলিপি]
[নওরোজ সম্পাদক-কে লেখা
পত্র]
এই পত্রিকাটি প্রকাশের আগেই, নজরুল মাসিক ১২৫ টাকা সম্মানীতে নওরোজ পত্রিকায়
যোগদান করেন। সে সময় পত্রিকা কর্তৃপক্ষের সাথে নজরুলের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত
হয়। এই চুক্তি অনুসারে, চুক্তি পর্বর্তী নজরুলের সকল রচনার উপর নওরোজের দাবি
থাকবে বলে স্বীকৃত হয়। এই সূত্রে পত্রিকাটির আষাঢ় ১৩৩৪ সংখ্যা থেকে নজরুলের
কুহেলিকা উপন্যাসটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে। এই পত্রিকার তিনটি
সংখ্যায় মোট পাঁচটি পরিচ্ছেদ প্রকাশিত হয়েছিল।
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত নজরুলের গানের সংখ্যা ৫টি। এর ভিতরে
দুটি গান নজরুলের রচিত কিনা সে বিষয়ে সংশয় রয়ে গেল। অপর ৩টি গানের উল্লেখ করা হলো।
এর ভিতরে ৪টি গান গেয়েছেলেন
ইন্দুবালা।
অপর গানটি গেয়েছিলেন কিরণময়ী দাসী
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত গান
আগষ্ট ১৯৩১ (১৬ শ্রাবণ-১৪ ভাদ্র ১৩৩৮)
এই নজরুলের রচিত একটি নতুন গান, একটি কবিতা ও একটি প্রবন্ধের সন্ধান পাওয়া যায়। এর
দুটি রচনা প্রকাশিত হয়েছিল নব্য-পর্যায়ে ধূমকেতু পত্রিকায়। অপরটি প্রকাশিত হয়েছিল সওগাত
পত্রিকায়।
নব্য-পর্যায়ে ধূমকেতু'র আত্মপ্রকাশ ও নজরুলের রচনা। ৫ ভাদ্র ১৩৩৮ (শনিবার
২২ আগষ্ট ১৯৩১) নবপর্যায়ের ধূমকেতু পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছিল। এর সাথে নজরুল বা
তাঁর সম্পাদিত ধূমকেতুর কোনো সম্পর্ক ছিল না। নব পর্যায়ের এই ধূমকেতুর সম্পাদক
ছিলেন শ্রীকৃষ্ণেন্দুনারায়াণ ভৌমিক। এই সংখ্যায় ধূমকেতুর সম্পাদকের অনুরোধে
নজরুলের একটি প্রবন্ধ এবং একটি কবিতা পাঠিয়েছিলেন।
৬ ভাদ্র (রবিবার ২৩ আগষ্ট ১৯৩১) কলকাতার বেলঘরিয়ায় রসচক্র সাহিত্য-সংসদের
উদ্যোগে পরলোকগত কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচীর সম্বর্ধনা উপলক্ষে একটি উদ্যান-সম্মলনী
অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে নজরুল কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন একটি নতুন গানের
মাধ্যমে। এই গানটি অনুষ্ঠানে নজরুল নিজেই গানটি পরিবেশন করেছিলেন। গানটি হলো-
৮ ভাদ্র (২৫শে আগষ্ট (মঙ্গলবার ১৩৩৮)
সেপ্টেম্বর ১৯৩১ (১৫ ভাদ্র-১৩ আশ্বিন ১৩৩৮)
এই মাসে প্রকাশিত হয়েছিল গীতিগ্রন্থ চন্দ্রবিন্দু। এছাড়া ১টি গান প্রথম রেকর্ডে
প্রকাশিত হয়েছিল।
চন্দ্রবিন্দু
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গানের তালিকা
গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৩১
খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে (আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)। প্রকাশক: শ্রী গোপালদাস
মজুমদার, ডি,এম, লাইব্রেরি, ৬১ কর্নওয়ালিশ স্ট্রিট, কলকাতা। মুদ্রাকর: শ্রী
অমূল্যচন্দ্র ভট্টাচার্য প্রেস, ১২ নন্দ বোস লেন কলিকাতা। পৃষ্ঠা ৮+১২। মূল্য দেড়
টাকা। গ্রন্থটি উৎসর্গ পত্রে উল্লেখ ছিল-
উৎসর্গ পত্রে নজরুল লিখেছিলেন-
'শ্রীমৎ ঠাকুর শ্রীযুক্ত শরচ্চন্দ্র
পণ্ডিত মহাশয়ের শ্রীচরণকমলে।'
হে হাসির অবতার!
উল্লেখ্য, গ্রন্থটি প্রকাশের পর, ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে ১৪ অক্টোবর বাজেয়াপ্ত
করা হয়েছিল। ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ অক্টোবর গ্রন্থটির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা
প্রত্যাহার করা হয়।
লও হে চরণে ভক্তি-প্রণত কবির নমস্কার।
এই গ্রন্থে মোট ৬১টি গান সঙ্কলিত হয়েছিল। এই গানগুলো- ২টি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল।
প্রথম ভাগে স্থান পেয়েছিল-৪৩টি গান। এবং দ্বিতীয় ভাগে স্থান পেয়েছিল ১৮টি গান। নিচে
বিভাজন অনুসারে গানগুলোর তালিকা তুলে ধরা হলো।
প্রথম ভাগ: বিষয়- প্রেম, বাউল, ইসলামী, দেবদেবীর গান। মোট গান সংখ্যা
৪৩টি। এর ভিতরে ২২টি গান ছিল নতুন।
দ্বিতীয় ভাগ: কমিক-গান। মোট গান সংখ্যা ১৮টি। এর ভিতরে নতুন গান ছিল ১২টি।
পূর্বে রচিত। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের ২৪শে ডিসেম্বর, মনোমোহন থিয়েটারে মন্মথ রায় রচিত 'কারাগার'
নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
পূর্বে রচিত। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের ২৪শে ডিসেম্বর, মনোমোহন থিয়েটারে মন্মথ রায় রচিত 'কারাগার' নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছিল।
এই নাটকে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
পূর্বে রচিত। ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, মন্মথ রায় রচিত 'সাবিত্রী' নাটকটি কলকাতার নাট্যনিকেতনে প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল।
এই নাটকে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
পূর্বে রচিত। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের ২৪শে ডিসেম্বর, মনোমোহন থিয়েটারে মন্মথ রায় রচিত 'কারাগার'
নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
পূর্বে রচিত। গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল জয়তী পত্রিকার 'কার্তিক-অগ্রহায়ণ, ১৩৩৭' সংখ্যায়। পরে
১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের ২৪শে ডিসেম্বর, মন্মথ রায় রচিত 'কারাগার' নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছিল
'মনোমোহন থিয়েটারে। এটি ব্যবহৃত হয়েছিল 'ধরিত্রী' চরিত্রের গান হিসেবে।
পূর্বে রচিত। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের ২৪শে ডিসেম্বর, মন্মথ রায় রচিত 'কারাগার' নাটকটি মঞ্চস্থ
হয়েছিল 'মনোমোহন থিয়েটারে। এটি ব্যবহৃত হয়েছিল 'ধরিত্রী' চরিত্রের গান হিসেবে।
পূর্বে রচিত। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের ২৪শে ডিসেম্বর, মন্মথ রায় রচিত 'কারাগার'
নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছিল 'মনোমোহন থিয়েটারে। এটি ব্যবহৃত হয়েছিল 'ধরিত্রী' চরিত্রের গান হিসেবে।
পূর্বে রচিত। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের ২৪শে ডিসেম্বর, মন্মথ রায় রচিত 'কারাগার' নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছিল
'মনোমোহন থিয়েটারে। এটি ব্যবহৃত হয়েছিল 'কঙ্কণ
ও কঙ্কার গান' গান হিসেবে।
পূর্বে রচিত। গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল নাচঘর পত্রিকার '৩রা পৌষ
১৩৩৭ (বৃহস্পতিবার ১৮ ডিসেম্বর ১৯৩০)' সংখ্যায়।
পূর্বে রচিত। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে আগষ্ট (শ্রাবণ ১৩৩৭) মাসে প্রকাশিত হয়েছিল 'প্রলয় শিখা' নামক
কবিতা ও গানের গ্রন্থ। এই গানটি ওই গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
পূর্বে রচিত। ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, মন্মথ রায় রচিত 'সাবিত্রী' নাটকটি কলকাতার নাট্যনিকেতনে
প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
পূর্বে রচিত।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, মন্মথ রায় রচিত 'সাবিত্রী' নাটকটি কলকাতার নাট্যনিকেতনে প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল।
এই নাটকে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
পূর্বে রচিত।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, মন্মথ রায় রচিত 'সাবিত্রী' নাটকটি কলকাতার নাট্যনিকেতনে প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
পূর্বে রচিত। ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, মন্মথ রায় রচিত 'সাবিত্রী' নাটকটি কলকাতার নাট্যনিকেতনে প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
পূর্বে রচিত। ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, মন্মথ রায় রচিত 'সাবিত্রী' নাটকটি কলকাতার নাট্যনিকেতনে প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
পূর্বে রচিত। জয়তী পত্রিকার 'পৌষ-মাঘ ১৩৩৭' (ডিসেম্বর ১৯৩১) সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। পরে
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, মন্মথ রায় রচিত 'সাবিত্রী' নাটকটি কলকাতার নাট্যনিকেতনে প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল।
পূর্বে রচিত। ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, মন্মথ রায় রচিত 'সাবিত্রী' নাটকটি কলকাতার নাট্যনিকেতনে
প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
পূর্বে রচিত। ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, মন্মথ রায় রচিত 'সাবিত্রী' নাটকটি কলকাতার নাট্যনিকেতনে
প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
পূর্বে রচিত। ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, মন্মথ রায় রচিত 'সাবিত্রী' নাটকটি কলকাতার নাট্যনিকেতনে
প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
পূর্বে রচিত। ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, মন্মথ রায় রচিত 'সাবিত্রী' নাটকটি কলকাতার নাট্যনিকেতনে
প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
পূর্বে রচিত। ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, মন্মথ রায় রচিত 'সাবিত্রী' নাটকটি কলকাতার নাট্যনিকেতনে
প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
পূর্বে রচিত। ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, মন্মথ রায় রচিত 'সাবিত্রী' নাটকটি কলকাতার নাট্যনিকেতনে
প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
পূর্বে রচিত। ১৩৩৭ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে প্রকাশিত 'নজরুল গীতিকা' গ্রন্থে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
পূর্বে রচিত। ১৩৩৭ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে প্রকাশিত 'নজরুল গীতিকা' গ্রন্থে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
পূর্বে রচিত। জয়তী পত্রিকার শ্রাবণ ১৩৩৭ সংখ্যায় গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
পূর্বে রচিত। ১৩৩৭ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে প্রকাশিত 'নজরুল গীতিকা' গ্রন্থে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
পূর্বে রচিত। ১৩৩৭ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে প্রকাশিত 'নজরুল গীতিকা' গ্রন্থে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
পূর্বে রচিত। ১৩৩৭ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে প্রকাশিত 'নজরুল গীতিকা' গ্রন্থে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
সাইমন কমিশন-এর প্রতিবেদনের উপর রচিত ব্যাঙ্গাত্মক গান।
সাইমন কমিশন-এর
প্রতিবেদনের উপর রচিত ব্যাঙ্গাত্মক গান।
অক্টোবর ১৯৩১ (১৪ আশ্বিন-১৪ কার্তিক ১৩৩৮)
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের ৬ই
ভাদ্র (রবিবার. ২৩ আগষ্ট ১৯৩১) 'বেলঘরিয়া রসচক্র সাহিত্য সংসদ' কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী'র সম্বর্ধনার
জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে নজরুল এই গানটি রচনা
করেছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে নজরুল নিজেই গানটি পরিবেশন করেছিলেন।
গানটি
উপাসনা, পত্রিকার আশ্বিন ১৩৩৮ (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) সংখ্যায় প্রকাশিত
হয়েছিল।
এই মাসের ১৪ তারিখে (বুধবার ২৭ আশ্বিন ১৩৩৮) নজরুলের রচিত চতুর্থ সঙ্গীত-সংকলন
'চন্দ্রবিন্দু'- ভারতীয় দণ্ডবিধির ৯৯-ক ধারা অনুসারে গেজেট বিজ্ঞপ্তি মারফত (নম্বর
১৭৬২৫) বাজেয়াপ্ত করা হয়।
১৬ তারিখে (শুক্রবার ২৯ আশ্বিন ১৩৩৮), নজরুলের তৃতীয় গল্পগ্রন্থ 'শিউলি মালা'
প্রকাশিত হয়। প্রকাশক: গোপালদাস মজুমদার, ডি.এম লাইব্রেরি. ৬১ কর্ণওয়ালিশ স্ট্রিট,
কলিকাতা। মুদ্রাকর: শশিভূষণ পাল, মেটাকাফ প্রেস, ১৫ নম্বর নয়নচাঁদ সণ্ড স্ট্রিট,
কলিকাতা। পৃষ্ঠা সংখ্যা ২+১১২। মূল্য এক টাকা। এই গল্পগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত গল্পগুলো
ছিল-
নভেম্বর ১৯৩১ (১৫ কার্তিক-১৪ অগ্রহায়ণ ১৩৩৮)
এই সংখ্যায় দুটি গান গান প্রকাশিত হয়েছিল। এর ভিতরে
একটি গান ছিল নতুন, অপর পূর্বে রচিত। এর ভিতরে পূর্বে রচিত গানটি স্বরলিপি-সহ
প্রকাশিত হয়েছি। এই গান দুটিও হল-
আলেয়ার জন্য লিখিত নতুন গান
আলেয়ার জন্য লিখিত নতুন গান
আলেয়ার জন্য লিখিত নতুন গান
আলেয়ার চূড়ান্ত পাঠ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল
আলেয়ার চূড়ান্ত পাঠ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল
আলেয়ার চূড়ান্ত পাঠ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল*
১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ই নভেম্বর (২৮ কার্তিক ১৩৩৮) কলকাতার নাট্যনিকেতন মঞ্চে অভিনীত হয়েছিল শচীন্দ্রনাথ
সেনগুপ্তের 'ঝড়ের রাতে' নাটক। এই নাটকের গানগুলো
রচনা করেছিলেন হেমেন্দ্রকুমার রায়। আর গানগুলোতে সুরারোপ করেছিলেন নজরুল।
এছাড়া এই মাসে নতুন কোনো রচনার সন্ধান পাওয়া যায় নি।
ডিসেম্বর ১৯৩১ (১৫ অগ্রহায়ণ-১৫ পৌষ ১৩৩৮)
নাচঘর
পত্রিকার ২ পৌষ ১৩৩৮ (শুক্রবার ১৮ ডিসেম্বর), আলেয়া গীতিনাট্যের ১০টি গান প্রকাশিত হয়েছিল
নাচঘর পত্রিকায়। গানগুলো হলো-।
আলেয়া
(গীতিনাট্য)
১৯শে ডিসেম্বর (শনিবার ৩ পৌষ ১৩৩৮) কলকাতার
নাট্যনিকেতন মঞ্চে নজরুলের 'আলেয়া' গীতিনাট্য মঞ্চস্থ হয়। এই মাসেই এই গীতিনাট্যটি
গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছিল। নাটকটি পরিচালনা করেছিলেন সতু সেন।
বিভিন্ন চরিত্র রূপায়ণ করেছিলেন- ধীরাজ ভট্টাচার্য, ভূপেন রায়, নিরূপমা দেবী এবং
তারাসুন্দরী। এতে ব্যবহৃত হয়েছিল ২৮টি গান। উল্লেখ্য, নজরুল এই নাটকটির রচনা
শুরু করেছিলেন ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসের আগেই। এই বিষয়ে
নজরুলের কালানুক্রমিক সুচির ৩০ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে প্রাসঙ্গিক বিষয় আলোচনা করা
হয়েছে। বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে-
আলেয়া
গীতিনাট্য অংশে।
২৪শে ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার ৮ পৌষ ১৩৩৮) কলকাতার জালুয়া টোলা লেনে জন্মগ্রহণ করে, নজরুলের কনিষ্ঠ পুত্র
অনিরুদ্ধ। লেনিনের নামানুসারে অনিরুদ্ধের ডাকনাম রাখা হয়েছিল নিনি।
এই মাসের ৩০ ডিসেম্বর (সোমবার ১৪ অগ্রহায়ণ ১৩৩৮) নিউ
থিয়েটার্সের প্রযোজনায় প্রথম সবাক চলচ্চিত্র শরৎচন্দ্রের দেনা-পাওনা চিত্রা
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল। ছবির পরিচালক প্রেমাঙ্কুর অতর্থী ২৪শে ডিসেম্বর
এই ছবির মহড়ার জন্য নজরুলকে আমন্ত্রণ জানান। এই অনুষ্ঠানে নজরুল
আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করেছিলেন।
২৫ ডিসেম্বর (শুক্রবার ৯ পৌষ ১৩৩৮), নাচঘর পত্রিকায় প্রকাশিত
হয়েছিল আলেয়া নাটকের আরও ১০টি গান। নিচে কালানুক্রমিকানুসারে
গানগুলোর উল্লেখ করা হলো-
এ ছাড়া অন্যান্য যে সকল পত্রিকায় নজরুলের রচিত গান ও কবিতা
প্রকাশিত হয়েছিল সেগুলো হলো-
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গান
জানুয়ারি ১৯৩২ (১৬ পৌষ-১৭ মাঘ ১৩৩৮)
কালানুক্রমিকের বিচারে এটি নজরুলের সঙ্গীতজীবনের দ্বিতীয় পর্বের ১০৫ সংখ্যক গান।
এই মাসে ২টি রেকর্ডে প্রকাশিত নজরুল সঙ্গীতের
সন্ধান পাওয়া যায়। এই দুটি গানই পূর্বে প্রকাশিত হয়েছিল। একটি নতুন গান
প্রকাশিত হয়েছিল জয়তী পত্রিকার মাঘ-চৈত্র ১৩৩৮ সংখ্যা।
এই তিনটি গান হলো-
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত গান
ফেব্রুয়ারি ১৯৩২ (১৮ মাঘ-১৬ ফাল্গুন ১৩৩৮)
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল একটি কবিতা।
এছাড়া রেকর্ডে প্রকাশিত হয়েছিল ৬টি গান।
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত নজরুল সঙ্গীতের তালিকা
স্বদেশ। ফাল্গুন ১৩৩৮। নির্ঝর কাব্যগ্রন্থ।
১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১২ই ফেব্রুয়ারি [শুক্রবার ২৯ মাঘ ১৩৩৮]
নজরুলের সাথে এইচএমভির সাথে একটি চুক্তি হয়। এই চুক্তির কিছু
গানের উল্লেখ করেছেন ব্রহ্মমোহন ঠাকুর তাঁর
নজরুলসঙ্গীত নির্দেশিকা গ্রন্থে।
মার্চ ১৯৩২ (১৭ ফাল্গুন- ১৮ চৈত্র ১৩৩৮)
রেকর্ড বুলেটিনে মন্তব্য ছিল- "আর একটি অভাব এতদিনে দূর হইল। বাংলা ভাষায়
ইসলামী ধর্ম বিষয়ক রেকর্ডের জন্য অনুগ্রাহক বর্গ যেরূপ উৎসুক হইয়া আছেন
উক্ত রেকর্ডখানি ততোধিক তৃপ্তি দিবে ইহাতে সন্দেহ নাই। এরূপ রেকর্ড আমাদের
তালিকায় প্রথম।"
এই মাসে প্রকাশিত রেকর্ডের গানের তালিকা।
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত গানের তালিকা
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গানের তালিকা
১-২৪মে
১৯৩২ (১৮ বৈশাখ-১০ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৯)
৪ মে (বুধবার ২১ বৈশাখ ১৩৩৯), নজরুল কলকাতা পুরসভার
গো খামারের তত্ত্বাবধায়ক ও পশুচিকিৎসক ড. কাজী মোহাম্মদ আব্দুল হামিদকে ৩৯
সীতানাথ রোড থেকে একটি চিঠি লেখেন। এই চিঠি থেকে জানা যায় যে, নজরুল
অর্থকষ্টে আছেন। [পত্র]
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত গান
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গানের তালিকা
কালানুক্রমিকের বিচারে এটি নজরুলের সঙ্গীতজীবনের দ্বিতীয় পর্বের ৩৫৪ সংখ্যক গান।
সঙ্গীত বিজ্ঞান প্রবেশিকা। জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ।
শৈলেশ দত্তগুপ্ত-কৃত
স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
নন্দগোপাল সেনগুপ্তের অনুরোধে নজরুল এই গানটি রচনা করেছিলেন। এ বিষয়ে
নন্দগোপাল সেনগুপ্ত লিখেছিলেন
[সূত্র:
নজরুল সঙ্গীত নির্দেশিকা, ব্রহ্মমোহন ঠাকুর
(নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা। প্রথম সংস্করণ। ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪১৬। ২৫ম মে ২০০৯)। ৮৪২
সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ২২৪-২২৫]
ভারতবর্ষ।
জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ। স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত হয়েছিল। স্বরলিপিকার ছিলেন উমাপদ
ভট্টাচার্য এম এ, ও জগৎঘটক।
[নমুনা]
১৩৩৯ বঙ্গাব্দে (১৯৩২-১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দ)
হরপার্বতী, শচীন সেনগুপ্তের রচিত নাটকের গ্রন্থের প্রকাশিত
হয়েছিল। গ্রন্থটির প্রকাশকাল ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ
উল্লেখ থাকলেও মাসের নাম উল্লেখ নেই। আবার পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক লাইব্রেরির তালিকায়
গ্রন্থভুক্তির সময় উল্লেখ আছে ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে। এই বিচারে প্রকাশকালের সময়
ধরা যেতে পারে- বৈশাখ- চৈত্র ১৩৩৯ (এপ্রিল- ডিসেম্বর ১৯৩২)। এই
সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩২-৩৩ বৎসর।
এই নাটকে ব্যবহৃত নজরুলের গান
সূত্র