৪২ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স
নজরুল ইসলামের ৪২ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স শুরু হয়েছিল ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ (রবিবার ২৫মে ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ) থেকে।
শেষ হয়েছিল ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৯ বঙ্গাব্দ রবিবার ২৪ শে মে ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ)
২৫-৩১ মে ১৯৪১ (১১-১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৮)
- ২৭ মে (মঙ্গলবার ১৩ জ্যৈষ্ঠ। ১৩৪৮)। প্রচার সময়: রাত ৮.০০
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান: হারামণি (১৬) হর্ষ কানাড়া
- ছেড়ে দাও মোরে আর হাত ধরিও না [তথ্য]
জুন ১৯৪১ (১৮ জ্যৈষ্ঠ-১৬ আষাঢ় ১৩৪৮)
বেতারে নজরুল
- ৬ জুন ১৯৪১ (শুক্রবার, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৭)।
কলকাতা বেতারকেন্দ্র
-ক কেন্দ্র থেকে প্রচারিত দুটি একক
সঙ্গীতানুষ্ঠানের অনুষ্ঠানে [তৃতীয়
অধিবেশন। রাত ৯.০০-১০.১৪] ৪টি গান পরিবেশন করেছিলেন শৈলদেবী।
এর ভিতরে দুটি গান ছিল নজরুলের রচিত।
প্রথম অনুষ্ঠান: রাত ৯.০০-১০.১৪
- নিশি নিঝুম ঘুম নাহি আসে [তথ্য]
দ্বিতীয় গানটি ছিল- 'নীল সাগরের আর্শিতে-জিপসী। এই গানটির রচয়িতা সম্পর্কে জানা
যায় নি।
দ্বিতীয় অনুষ্ঠান: রাত ১০.১৫-১০.২৯।
- পিয়াল ফুলের পিয়ালায় বঁধু
[তথ্য]
দ্বিতীয় গানটি ছিল- 'নীল
সাগরের আর্শিতে-জিপসী। এই গানটির
রচয়িতা সম্পর্কে জানা যায় নি।
- সূত্র: বেতার জগৎ। ১২শ বর্ষ ১১শ সংখ্যা। পৃষ্ঠা: ৩৬
- ১৪ই জুন (শনিবার ৩১ জ্যৈষ্ঠ
১৩৪৮), সন্ধ্যা ৮.০০টা
প্রথম
কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছিল গীতিনাট্য 'পদ্মার ঢেউরে'। এই গীতিনাট্যে ৬টি মোট ব্যবহৃত হয়েছিল।
এই গানগুলো হলো-
- এ কূল ভাঙে ও কূল গড়ে [তথ্য]
- ও বন্ধু আমার অকালে ঘুম ভাঙাইয়া
[তথ্য]
- ও বন্ধু! দেখ্লে তোমায় বুকের মাঝে
[তথ্য]
- ওরে ভাটির নদী লয়ে যাও মোরে
[তথ্য]
- চোখ গেল চোখ গেল কেন ডাকিস্ রে
[তথ্য]
- পদ্মার ঢেউ রে [তথ্য]
- ২৭ জুন (শুক্রবার ১৩ আষাঢ়। ১৩৪৮)। প্রচার সময়: রাত ৯.০০
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিবার্ষিকী উপলক্ষে.,
কলকাতা বেতারে নজরুল ইসলামের একটি বক্তব্য প্রচারিত হয়েছিল।
- ২৮ জুন (শনিবার ১৪ আষাঢ়। ১৩৪৮)। প্রচার সময়: রাত ৮.০০
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
অভিমানিনী
(গীতিচিত্র)। পুনঃপ্রচার
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গানের তালিকা
- টুইন। জুন ১৯৪১। এফটি ১৩৫৯৪। প্রতিভা বন্দ্যোপাধ্যায়
- আমার হৃদয় অধিক রাঙা মা গো [তথ্য]
- টুইন। জুন ১৯৪১। এফটি ১৩৫৯৬। আব্বাস উদ্দিন
- আল্লাতে যার পূর্ণ ঈমান [তথ্য]
- যে আল্লার কথা শোনে
[তথ্য]
টুইন। জুন ১৯৪১। এফটি ১৩৬০০।
মেনকা বন্দ্যোপাধ্যায়
- তুমি কি দখিনা পবন
[তথ্য]
- যত ফুল তত ভুল কণ্টক জাগে
[তথ্য]
এইচএমভি। জুন ১৯৪১। এন ২৭১৩৫।
মীরা বন্দ্যোপাধ্যায়
- আমি সন্ধ্যামালতী বনছায়া অঞ্চলে [তথ্য]
- আরো কতদিন বাকি
[তথ্য]
এইচএমভি। জুন ১৯৪১। এন
২৭১৩৭।
ইলা ঘোষ
এইচএমভি। জুন ১৯৪১। এন ২৭১৪২। শিল্পী: রঞ্জিত রায়
- (যখন) প্রেমের জ্বালায় অঙ্গ জ্বলে
[তথ্য]
- আরে হাঁ বালা উম্রি, কুমড়ি পোকা [তথ্য]
হিন্দুস্থান [জুন ১৯৪১ (জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় ১৩৪৮)। শিল্পী: দীপ্তি
বসু। সুর নজরুল। টেস্ট কপি এসএসবি ২৯৮৬]
- আন্ গোলাপ-পানি আন্ আতরদানি [তথ্য]
মেগাফোন। জুন ১৯৪১ (জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় ১৩৪৮)।
জেএনজি ৫৫৬০। শিল্পী: কুমারী অনিতা রায়। কথা ও সুর। কাজী নজরুল ইসলাম। কাজরী।
- বকুল ডালে দোলনা [তথ্য]
- শাওন আসিল ফিরে [তথ্য]
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা
- প্রবর্তক। আষাঢ় ১৩৪৮।
- এসো প্রিয় আরো কাছে [তথ্য]
নিতাই ঘটক-কৃত স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত হয়েছিল।
- বেতার জগৎ। ১৬ জুন (সোমবার ২ আষাঢ় ১৩৪৮)।
- মোমতাজ! মোমতাজ! তোমার তাজমহল।
[তথ্য] [স্বরলিপি-সহ]
-
সঙ্গীত বিজ্ঞান প্রকাশিকা। আষাঢ় ১৩৪৮
- জয় বিগলিত করুণারূপিণী গঙ্গে [তথ্য]
নিতাই ঘটক-কৃত স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত হয়েছিল।
জুলাই ১৯৪১ (১৭ আষাঢ় -১৫ শ্রাবণ ১৩৪৮)
এই মাসের ১২ তারিখে (শনিবার ২৮ আষাঢ় ১৩৪৮), তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচিত কালিন্দী মঞ্চস্থ হয়েছিল,
নাট্যনিকেতন মঞ্চে। এই নাটকের গীত রচনা এবং সুরারোপের দায়িত্বে ছিলেন নজরুল। এই নাটকে নজরুলের রচিত তিনটি
ব্যবহৃত হয়েছিল। গান তিনটি হলো-
- ও রাঙাবাবু! তুই ডাঁসা ডালিম দানা [তথ্য]
- কালিন্দী নদীর ধারে
[তথ্য]
- কোন্ সাপিনীর নিঃশাসে আশার বাতি
[তথ্য]
বেতারে নজরুল
- সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
একক অনুষ্ঠান: শিল্পী গীতা বসু
সময়: ১ জুলাই ১৯৪১ (মঙ্গলবার,১৭ আষাঢ় ১৩৪৮)। সকাল ৮.১৫।
সম্প্রচারিত গান: ধূলি-পিঙ্গল জটাজুট মেল [তথ্য]
[Indian Listener
1941. Vol VI No. 13]
- ১৩ জুলাই (রবিবার ২৯ আষাঢ়। ১৩৪৮)। কলকাতা ক। প্রচার সময়:
সকাল ৮.২৫
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
ষট ভৈরব। ভৈরব ঠাটের ছয়টি রাগে নিয়ে রচিত
গীতি-আলেখ্য। রাগগুলো ছিল- ভৈরব, আহির ভৈরব, আনন্দ ভৈরব, শিবমত ভৈরব,
যন্ত্রানুসঙ্গ: যতীন্দ্র সিংহ।
ধারাবিবরণী: অনিল দাস
শিল্পী: চিত্তরঞ্জন রায়, শৈল দেবী ও গীতা বসু।
[Indian
Listener 1941. Vol VI No. 13]
১. অরুণকান্তি কে গো যোগী
ভিখারি [তথ্য]
২. জয় আনন্দ-ভৈরব [তথ্য]
৩.
জাগো বিরাট ভৈরব যোগ সমাধি
মগ্ন [তথ্য]
৪. মদালস ময়ূর-বীণা কার
বাজে [তথ্য]
৫.
নৃত্যকালী শঙ্কর সঙ্গে নাচে [তথ্য]
- ১৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার ১ শ্রাবণ। ১৩৪৮)। প্রচার সময়: সন্ধ্যা ৭.৪৫)
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
হাতের রেখা দেখে গণনা আমার সখ (কথিকা)
- ২৬ জুলাই (রবিবার ১০ শ্রাবণ। ১৩৪৮)। প্রচার সময়: সন্ধ্যা ৮
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
ছন্দিতা
রচনা: কাজী নজরুল ইসলাম
সহযোগিতায়: যন্ত্রীসংঘ।
ধারা বর্ণনায়: এস সি চক্রবর্তী।
শিল্পী: শৈল দেবী, ইলা ঘোষ এবং চিত্তরঞ্জন রায়।
Indian Listener Vol VI No. 14- সংখ্যা
ছন্দিতার বিবরণে বলা হয়েছে- সংস্কৃত ছন্দের অনুসরণে নজরুল নতুন তালের উদ্ভাবন
করেছিলেন। তবে পত্রিকার এই সংখ্যায় নতুন তালে নিবদ্ধ গানের নাম ও গানের সংখ্যার
উল্লেখ নেই।
১. স্বাগতা কনক চম্পক বর্ণা (স্বাগতা ছন্দ)
[তথ্য]
২. মহুয়া- বনে-বন-পাপিয়া
(প্রিয়া ছন্দ)[তথ্য]
৩. বন কুসুম তনু তুমি কি মধুমতী (মধুমতী ছন্দ)
[তথ্য]
৪. মত্ত ময়ূর ছন্দে নাচে কৃষ্ণ প্রেমানন্দে (মত্ত ময়ূর ছন্দ)
[তথ্য]
৫. ভ্রমর নূপুর পরিহিত কৃষ্ণ কুন্তলা (রুচিরা)
[তথ্য]
৬. দীপক মালা গাঁথ গাঁথ সই (দীপক মালা ছন্দ)
[তথ্য]
৭..জল ছল ছল এসো মন্দাকিনী (মন্দাকিনী)
[তথ্য]
৮. আজো ফাল্গুনে বকুল কিংশুকের বনে (মঞ্জুভাষিণী ছন্দ)
[তথ্য]
৯. মঞ্জু মধুছন্দা নিত্যা তব সঙ্গী (মণিমালা ছন্দ)
[তথ্য]
১০. তারকা নূপুর নীল নভে ছন্দ শোন ছন্দিতার (ছন্দ বৃষ্টি প্রপাত ছন্দ)
[তথ্য]
- ২৯ জুলাই (মঙ্গলবার, ১৩ শ্রাবণ )। রাত ৮-২৫।
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান: হারামণি।
১৯৪১
খ্রিষ্টাব্দের ২৯শে জুলাই সন্ধ্যা ৮.১৫টা থেকে ৮.৩৯টা
পর্যন্ত, কলকাতা ক বেতারকেন্দ্রের তৃতীয় অধিবেশনে 'হারামণি'র
দ্বাবিংশ পরিবেশিত হয়েছিল। এই অধিবেশনে পরিবেশিত হয়েছিল রাগ 'কৌসল ঝিঁঝিট'।
এই অনুষ্ঠানের বিষয়টি রচনা করেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম এবং
ব্যাখ্যা করেছিলেন সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তী। এই অনুষ্ঠানে কোন গানটি
পরিবেশিত হয়েছিল তা জানা যায় নি।
[সূত্র: [সূত্র:
The Indian Listener. 1941-(16-31 July). Vol-VI-14. page 84]
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গান
- টুইন। এফটি ২৭১৫২। শিল্পী মৃণালকান্তি ঘোষ
- গভীর ঘুমঘোরে স্বপনে [তথ্য]
- ঝাঁপিয়া অঞ্চলে কেন
[তথ্য]
- এইচএমভি [জুলাই ১৯৪১ (আষাঢ়-শ্রাবণ ১৩৪৮)। শিল্পী: নরেন চন্দ্র। রেকরেডটি
পরে বাতিল হয়েছিল।
আগষ্ট ১৯৪১ (১৬ শ্রাবণ -১৫ ভাদ্র ১৩৪৮)
বেতার জগতে নজরুলের
- ৭ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে জোড়সাঁকোর ঠাকুর বাড়ীতে,
রবীন্দ্রনাথ মৃত্যুবরণ করেন।
বিশ্বকবির মহাপ্রয়াণ উপলক্ষে
কলকাতা বেতার একটি ধারাবিবরণীর অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়। এই ধারাবিবরণী দিয়েছিলেন
নজরুল। এরই মধ্যে তিনি রচনা করেন একটি দীর্ঘ কবিতা 'রবিহারা'। ওই দিনই কবিতার
অংশবিশেষে সুরারোপ করেন। এই গানটি সন্ধ্যায় কলকাতা বেতারে নজরুল ও তাঁর সহশিল্পীবৃন্দ গানটি বেতারে পরিবেশন করেছিলেন। গানটি হলো-
- ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবিরে [তথ্য]
১০ আগষ্ট (রবিবার, ২৫ শ্রাবণ ১৩৪৮), সকলা ৮.৫০টায় রাগ: প্রধান গান হিসেবে
কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে শৈলদেবীর কণ্ঠে একটি গান প্রচারিত হয়েছিল। গানটি হলো-
- নূরজাহান! নূরজাহান!
[তথ্য]
[সূত্র: The Indian-listener.
1941-
Vol-VI-15. page 67]
- ২৩ আগষ্ট (শনিবার ৭ ভাদ্র। ১৩৪৮)। প্রচার সময়: ৮টা-৮.২৪
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
পঞ্চাঙ্গনা (গীতি-আলেখ্য)। কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের শুরুর দিকে, ভারতের মুসলিম শাসনামলের প্রখ্যাত মুসলিম নারীকে নিয়ে একটি গীতি আলেখ্য রচনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এই পর্যায়ে পাঁচজন নারীকে নিয়ে তিনি যে গীতি আলেখ্যটি রচনা করেন, তার নাম দেন 'পঞ্চাঙ্গনা'। তাঁর রচিত ও সুরারোপিত এই পাঁচটি গানের সমন্বয়ে এই গীতি-নক্শাটিই কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছিল।।
১. মোমতাজ! মোমতাজ! তোমার তাজমহল।
[তথ্য]
২. নূরজাহান! নূরজাহান!
[তথ্য]
৩. চাঁদের কন্যা চাঁদ সুলতানা [তথ্য]
৪.আনারকলি! আনারকলি! [তথ্য]
৫. লুকায়ে রহিলে চিরদিন
[তথ্য]
মঞ্চ নাটকে নজরুল
১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের আগষ্ট (ভাদ্র ১৩৪৮), কলকাতার
মিনার্ভা থিয়েটার মঞ্চে
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের রচিত রঙ্গনাটক 'ব্ল্যাক আউট' প্রথম
মঞ্চস্থ হয়। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের এই নাটকটি স্ট্যান্ডার্ড বুক কোম্পানী
২১৬, কর্নওয়ালিশ স্ট্রিট থেকে পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়েছিল। প্রকাশক ছিলেন
শ্রীঅমূল্য কুমার চট্টোপাধ্যায়। প্রকাশের সময় এই গ্রন্থে উল্লেখ নেই। নাটকটি উৎসর্গ
করেছিলেন- নট-ভাস্কর অহীন্দ্র চৌধুরীকে। নাট্যপরিচালক ছিলেন কালীপ্রসাদ ঘোষ, সঙ্গীত
পরিচালক রঞ্জিত রায়, নৃত্য পরিচালক রতন সেনগুপ্ত।
এই নাটকে মোট ১৪টি গান ব্যবহার করা হয়েছিল। এর ভিতরে দুটি হাসির গান রচনা
করেন নজরুল। এই নাটকে দুটি হাসির গান রচনা করেন নজরুল। প্রকাশিত গ্রন্থের 'ভীষণ
ভূমিকা'য়
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র এ প্রসঙ্গে লিখেছেন-
'...আর একটি কথা সুহৃদ্বর কাজী নজরুল ইসলাম ভূতেশ্বরের দু'খানি গান রচনা
করে দিয়ে এবং আমায় তা প্রকাশের অনুমতি দিয়ে বাধিত করেছেন।'
- এবারের পূজা মাগো দশভূজা
[তথ্য]
- ওমা পেঁচা যদি খ্যাঁচ খ্যাঁচায় মা মাচায় উঠিয়া বসি
[তথ্য]
১২ই আগষ্ট (মঙ্গলবার ২৭ শ্রাবণ ১৩৪৮), ফরিদপুর জেলা মুসলিম
ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত ছাত্র সম্মেলন ফরিদপুর শহরে হওয়ার কথা ছিল। এই
অনুষ্ঠানে তিনি আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগদান করেছিলেন। এই অনুষ্ঠানে অন্যান্য
যাঁরা যোগদান করেছিলেন, তাঁরা হলেন- প্রিন্সিপ্যাল ইব্রাহিম খাঁ, শামসুল হুদা চৌধুরী,
মুহম্মদ হবীবুল্লাহ, আব্দুর রউফ, হুমায়ুন কবির প্রমুখ। সন্ধ্যায় স্থানীয় বড় মসজিদে
ধর্মসভা হয়। এই সভায় নজরুল ও হবীবুল্লাহ বক্তব্য রেখেছিলেন।
এই মাসে রেকরডে প্রকাশিত গান
- টুইন। এফটি ১৩৬২৯। শিল্পী:
দেলোয়ার হোসেন ও আশরাফ আলী
- আল্লা নামের শিরনি তোরা কে নিবি [তথ্য]
- মোরা রসুল নামের ফুল (রসুল নামের ফুল)
[তথ্য]
-
এইচএমভি। ২৭১৬২। মীনা বন্দ্যোপাধ্যায়
- এসো নওল কিশোর এসো এসো
[তথ্য]
-
তুমি বেণুকা বাজাও
[তথ্য]
-
এইচএমভি। ২৭১৬৩। যূথিকা রায় ও কমল দাশগুপ্ত
- মোরা কুসুম হয়ে কাঁদি কুঞ্জবনে [তথ্য]
- রুমঝুম্ রুমঝুম্ রুমঝুম্ [তথ্য]
পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা
- বেতার জগত।
- ১ আগষ্ট (শুক্রবার
১৬ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)
- ১৬ আগষ্ট (শনিবার ৩১ শ্রাবণ ১৩৪৬)
- দৈনিক আজাদ। ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮।
- সওগাত। ভাদ্র ১৩৪৮
- মোহাম্মদী। ভাদ্র ১৩৪৯
সেপ্টেম্বর ১৯৪১ (১৬ ভাদ্র-১৪ আশ্বিন ১৩৪৮)
-
১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ সেপ্টেম্বর (শনিবার, ২৭ ভাদ্র ১৩৪৮)
কলকাতা বেতারকেন্দ্র ক-এর তৃতীয় অধিবেশনে
শারদশ্রী গীতিচিত্রটি প্রচারিত হয়েছিল। অনুষ্ঠানটি রচনা ও প্রযোজনায় ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের যন্ত্রসহযোগিতায় ছিল- যন্ত্রী সংঘ এবং ধারা-বর্ণনায় ছিলেন অনিল দাস। সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন- চিত্তরঞ্জন রায়, শৈল দেবী এবং ইলা ঘোষ।
৭.৫৫ থেকে ৮.২৯ মিনিট পর্যন্ত।
সূত্র:
- বেতার জগৎ। ১২শ বর্ষ, ১৭শ সংখ্যা। [১লা সেপ্টেম্বর ১৯৪১, ১৫ ভাদ্র] পৃষ্ঠা: ১০৩৪
- The Indian listener.
Vol VI No. 17 [August 22,1941] [page 83]
এই গীতিচিত্রে ছয়টি গান ব্যবহার করা হয়েছিল। গানগুলো হলো-
- আজ উদার আকাশে [তথ্য]
- এলো শারদশ্রী কাশ-কুসুম-বসন
[তথ্য]
- ওরে সাদা মেঘ ! তোর পাখা নাই
[তথ্য]
- কেন মনে জাগে উদাসিনী গৌরী
[তথ্য]
- ধানের ক্ষেতে ঢেউ লেগে আজ
[তথ্য]
- নীল আকাশের কোলে শুয়ে
[তথ্য]
২২ সেপ্টেম্বর (সোমবার ৬ আশ্বিন। ১৩৪৮)। প্রচার সময়: রাত ৮.১৫-৮.৩৯
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
হারমাণি
। ১৯৪১
খ্রিষ্টাব্দের ২২শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৮.১০টা থেকে ৮.২৯টা
পর্যন্ত কলকাতা ক-এর তৃতীয় অধিবেশনে 'হারামণি'র
২৪তম
অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এই অধিবেশনে পরিবেশিত হয়েছিল রাগ 'দেওরঞ্জনী'।
এই
অনুষ্ঠানে কোন গানটি পরিবেশিত হয়েছিল তা জানা যায় নি। এই অনুষ্ঠানের বিষয়টি রচনা করেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম
এবং ব্যাখ্যা করেছিলেন সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তী। এই অনুষ্ঠানে কোন গানটি
পরিবেশিত হয়েছিল তা জানা যায় নি।
[সূত্র: The Indian Listener. 1941-(16-31 July). Vol-VI-18. page 59]
২৫ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার ৯ আশ্বিন। ১৩৪৮)। প্রচার সময়: রাত
৭.৫৫-৮.২৯
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
এস মা
(পুনঃপ্রচার সঙ্গীতালেখ্য)
বেতার: কলকাতা
-ক। তৃতীয় অধিবেশন। প্রচার সময়: রাত ৭.৫৫-৮.২৯।
রচনা: কাজী নজরুল ইসলাম
ধারাবর্ণনা:
অনীল দাস
যন্ত্রানুসঙ্গ: যন্ত্রীসংঘ
শিল্পী: শৈলদেবী, ইলা ঘোষ এবং চিত্তরঞ্জন রায়।
[সূত্র: The Indian Listener. 1941. Vol-VI-18. page 71]
এই মাসের রেকর্ডে প্রকাশিত গান
- টুইন। সেপ্টেম্বর ১৯৪১
।
এফটি ১৩৬৪৫। শিল্পী: পরাণ রায় ও মেনকা ব্যানার্জি। সুর: চিত্ত রায়
- হে গোবিন্দ,হে গোবিন্দ ও রাঙা
[তথ্য]
- মোরা ভেসে যাব কৃষ্ণ নামের স্রোতে [তথ্য]
- টুইন। সেপ্টেম্বর ১৯৪১
।
এফটি ১৩৬৪৭। আব্বাস উদ্দীন আহমদ
- আল্লাকে যে পাইতে চায় [তথ্য]
- আল্লা নামের বীজ বুনেছি (আমি আল্লা নামের) [তথ্য]
- টুইন। সেপ্টেম্বর ১৯৪১
।
এফটি ১৩৬৭০। শিল্পী: রেবা সোম
- হরি নাচত নন্দদুলাল (নাচত নন্দদুলাল ) [তথ্য]
- হিন্দুস্তান। সেপ্টেম্বর ১৯৪১
।
এইচ ৯৪৭। শিল্পী: গৌরী বসু। সুর:
নিতাই ঘটক ।
- বঁধু ফিরে এসো, আজো প্রাণের [তথ্য]
- সখি বল্ কোন দেশে যাই [তথ্য]
- এইচএমভি। সেপ্টেম্বর ১৯৪১। এন ২৭১৮০। ইলা ঘোষ
- এইচএমভি। সেপ্টেম্বর ১৯৪১। এন ২৭১৮২।
মৃণালকান্তি ঘোষ
- ও মা তুই আমারে ছেড়ে আছিস্
[তথ্য]
- ও মা তোর ভুবনে জ্বলে এত আলো
[তথ্য]
- এইচএমভি। সেপ্টেম্বর ১৯৪১। এন ২৭১৮৬।
জ্ঞানেন্দ্রপ্রসাদ গোস্বামী
- ভারত শ্মশান হ'ল মা [তথ্য]
- মাগো চিন্ময়ী রূপ ধরে আয় [তথ্য]
- এইচএমভি। সেপ্টেম্বর ১৯৪১। এন ২৭১৮৮।
নজরুল ইসলাম, ইলা মিত্র ও সুনীল ঘোষ
- ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবি রে
[তথ্য]
এই মাসে বাতিলকৃত রেকর্ড
-
সেনোলা। শিল্পী: বিমল ভূষণ। রেকর্ডটি পরে বাতিল হয়ে গিয়েছিল।]
- বলেছিলে ভুলিবে না মোরে [তথ্য]
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা
- সঙ্গীতবিজ্ঞান প্রকাশিক। আশ্বিন ১৩৪৮
- ভারত শ্মশান হ'ল মা [তথ্য]
- সংস্কৃতি। আশ্বিন ১৩৪৮।
- ওরে সাদা মেঘ ! তোর পাখা নাই
[তথ্য]
- ধানের ক্ষেতে ঢেউ লেগে আজ [তথ্য]
- আজ উদার আকাশে [তথ্য]
- বার্ষিক আবহাওয়া। শিলচর থেকে প্রকাশিত পত্রিকা। সম্পাদক
ছিলেন মণীন্দ্র ভট্টাচার্য ও সুবিমল চন্দ্র। এই পত্রিকার জন্য লিখিত অশিসবাণী
প্রকাশিত
অক্টোবর ১৯৪১ (১৫ আশ্বিন-১৪ কার্তিক ১৩৪৮)
বেতারে নজরুল
- ১১ অক্টোবর (শনিবার ২৫ আশ্বিন। ১৩৪৮)। প্রচার সময়: রাত ৭.৪৫-৮.২৯
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
প্রহর পরিচায়িকা (গীত চিত্র)
সম্প্রচারকেন্দ্র: কলকাতা বেতারকেন্দ্র ক-এর তৃতীয় অধিবেশন
তারিখ ও সময়:
১১ অক্টোবর ১৯৪১ (শনিবার ২৫ আশ্বিন। ১৩৪৮)। রাত ৭.৪৫-৮.১৯।
যন্ত্রসহযোগিতায় ছিল- যন্ত্রী সংঘ।
গান পরিবেশেনে ছিলেন- বেতার-শিল্পী বৃন্দ।
- ২২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার ৫ কার্তিক
১৩৪৮)
ব্রহ্মমোহন ঠাকুরের 'বেতারে নজরুল' এবং অনুপম হায়াৎ-এর 'নাট্যকার
নজরুল' এই The Indian Listener
Vol VI No. 20 অনুসরণ করলে '
ঈদ'
গীতি-নাট্য বেতারে প্রচার বিষয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। যেমন-
- অনুপম হায়াৎ-এর 'নাট্যকার নজরুল'
গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে- '...'ঈদ' শ্রুতিনাটক কলকাতা বেতার কেন্দ্র হতে
প্রচারিত হয় ১৯৪১ খৃষ্টাব্দের ২৩ অক্টোবর পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন (১ শওয়াল,
১৩৬০ হিজরি, ৫ কার্তিক ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ ভোর বেলায়)।' হিজরি' পঞ্জিকা মতে ১৩৬০
খ্রিষ্টাব্দের ১লা শওয়াল ছিল ২২ অক্টোবর বুধবার, (৫ কার্তিক ১৩৪৮)। হিন্দু
পঞ্জিকা মতে শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া। মূলত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২২ অক্টোবর (৫
কার্তিক ১৩৪৮), ভারতীয় বেতার কেন্দ্রগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করেছিল। যেমন
এই দিন দিল্লী বেতার কেন্দ্র থেকে ঈদ 'মোবারক অনুষ্ঠান' সম্প্রচারিত হয়
সকাল আটটায়। এ ছাড়া সন্ধ্যা ৭.৩০টায় 'ঈদ মোবারক' প্রচারিত হয় কলকাতা ক-এর তৃতীয়
অধিবেশনে। এই অনুষ্ঠানটির বিষয়বস্তু লিখেছিলেন এ কে কে সৈয়দ সিদ্দিকী।
- ব্রহ্মমোহন ঠাকুরের 'বেতারে
নজরুল' গ্রন্থ থেকে জানা যায়- ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার সকাল
৬টায় কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়। যদি 'ঈদুল ফিতর'-এর দিন এই নাটকটি
প্রচারিত হয়, তবে তা হবে ২২ অক্টোবর বুধবার (৫ কার্তিক ১৩৪৮)।
The Indian Listener Vol VI No. 20
থেকে জানা যায়, ওই দিন বেতার
সম্প্রচার শুরু হয়েছিল ৭.৩০টায়। প্রথম অনুষ্ঠানটি ছিল- প্রশান্ত দাসগুপ্তের
ভোরের রাগে ভিত্তিক খেয়াল দিয়ে। এই দিনের সম্প্রচারের তালিকায় 'ঈদ' নামক কোনো
নাটকের নাম পাওয়া যায় না।
ব্রহ্মমোহন ঠাকুরের মতে বেতার সম্প্রচার শুরু হয়েছিল ভোর ৬টায়। সম্ভবত আকস্মিক
সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণে, 'ঈদ' নাটকটি ২২ অক্টোবর প্রচারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা
হয়েছিল। সেই কারণে The Indian
Listener Vol VI No. 20 তা ছাপা হয়
নি। কারণ পত্রিকাটির প্রকাশের দিন ছিল ৭ অক্টোবর।
অনুপম হায়াৎ-এর 'নাট্যকার নজরুল' গ্রন্থ
থেকে জানা যায়- এই নাটকে নজরুল অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়া অন্যান্য যাঁরা ছিলেন, তাঁরা
হলেন- চিত্তরঞ্জন রায়, মুহম্মদ হোসেন খসরু, কামাল চৌধুরী, রেহানা বেগম ও আফরোজা
আখতার।
এতে ব্যবহৃত হয়েছিল মোট ৩টি গান। এর ভিতরে ১টি গান পূর্বে প্রকাশিত
হয়েছিল। এই গানটি হলো- নাই
হল মা বসন ভূষণ। বাকি দুটি নতুন গান এই নাটকে ব্যবহৃত
হয়েছিল। এই গান দুটি হলো-
- এলো ঈদল-ফেতর এলো ঈদ ঈদ ঈদ [তথ্য]
- নাই হল মা বসন ভূষণ
[তথ্য]
- বিদায় বেলায় সালাম লহ
[তথ্য]
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গানের তালিকা
-
সেনোলা। কিউএস ৫৩৪। শিল্পী: শৈল দেবী
- মা তোর কালো রূপের মাঝে [তথ্য]
- শ্যামা বলে ডেকেছিলাম
[তথ্য]
-
সেনোলা। কিউএস ৫৩৪। শিল্পী: নীলিমা বন্দ্যোপাধ্যায়
- আমি কলহেরি তরে কলহ করেছি
[তথ্য]
- মুরালী শিখিব ব'লে
[তথ্য]
-
হিন্দুস্তান। এইচ ৯৫৮। রেণুকা দাশগুপ্ত
- কোন্ রস-যমুনার কূলে [তথ্য]
- শুক-শারি সম তনু মন [তথ্য]
- এইচএমভি। এন ২৭১৯২। যূথিকা রায়
- মনে পড়ে আজ সে কোন্ জনমে
[তথ্য]
- এইচএমভি। এন ২৭১৯৩। দীপালি তালুকদার
- কেন গো যোগিনী [তথ্য]
- পিউ পিউ বোলে পাপিয়া
[তথ্য]
- এইচএমভি। এন ২৭২০৬। রঞ্জিত রায়
- এবারের পূজা মাগো দশভূজা
[তথ্য]
- ওমা পেঁচা যদি খ্যাঁচ খ্যাঁচায় মা মাচায় উঠিয়া বসি [তথ্য]
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা
- সওগাত। কার্তিক ১৩৪৮
- জাগরণ। প্রথম বর্ষ ১০ম সংখ্যা। ১৩৪৮
- আমারে সকল ক্ষুদ্রতা হ'তে বাঁচাও
[তথ্য]
- সঙ্গীতবিজ্ঞান প্রবেশিকা। কার্তিক ১৩৪৮
- যাস্নে মা ফিরে,যাস্নে জননী [তথ্য]
কুমারী বিজলী ধর-কৃত স্বরলিপি-সহ গানটি প্রকাশিত হয়েছিল।
নভেম্বর ১৯৪১
(১৫ কার্তিক- ১৪ অগ্রহায়ণ ১৩৪৮)
বেতারে নজরুল
- ৮ নভেম্বর (শনিবার ২২ কার্তিক। ১৩৪৮)। প্রচার সময়: রাত ৭.৫০
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
কাবেরী
তীরে (পুনঃপ্রচার)
- ৮ নভেম্বর (শনিবার ২২ কার্তিক ১৩৪৮)। এই দিনে
শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালিত '
নন্দিনী ' চলচ্চিত্র
মুক্তি পেয়েছিল। এই ছবিতে নজরুলের রচিত একটি গান ব্যবহৃত হয়েছিল। গানটি হলো-
- চোখ গেল চোখ গেল কেন ডাকিস্ রে
[তথ্য]।
উল্লেখ্য, কলকাতা
বেতারকেন্দ্র থেকে ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ জুন গীতিনাট্য 'পদ্মার
ঢেউরে'-এর সাথে প্রচারিত হয়েছিল।
- ২০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার ৪ অগ্রহায়ণ। ১৩৪৮)। প্রচার সময়: রাত ৭.৪০
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
হারামণি (২৬) আনন্দী।
- বলেছিলে ভুলিবে না মোরে
[তথ্য]
শিল্পী: কাজী নজরুল ইসলাম।
- ২৮ নভেম্বর ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ (শুক্রবার ১২ অগ্রহায়ণ। ১৩৪৮)। প্রচার সময়:
সন্ধ্যা ৬.১৫
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
হরপার্বতী। ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে শচীন সেনগুপ্ত
হরপার্বতী
নাটক রচনা করেন। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ শে আগষ্ট বাটকটি মিনার্ভা থিয়েটারে
মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকের গান রচনা করেছিলেন নজরুল ইসলাম।
১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ নভেম্বর এই নাটকটি কলকাতা বেতারকেন্দ্র ক-এর তৃতীয়
অধিবেশন প্রচারিত হয়েছিল। প্রচার সময় ছিল সন্ধ্যা ৬.১৫-৭.১৪টা। নাটকটির
বেতারনাট্যরূপ দেয়েছিলেন- বিএন চক্রবর্তী। নির্দেশনায় ছিলেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ
ভদ্র। এতে অংশগ্রহণ করেছিলেন- বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, সরযুবালা, রানিবালা এবং
অন্যান্য।
[সূত্র:
The Indian Listener Vol VI No. 22
]
উল্লেখ্য মঞ্চ নাটকে নজরুলের ১১টি গান ব্যবহৃত হয়েছিল। কিন্তু এই গানগুলোর ভিতর
থেকে বেতার নাটকে কোনগানগুলো ব্যবহৃত হয়েছিল, তা জানা যায় নি।
- ২৯
নভেম্বর (শনিবার ১৩ অগ্রহায়ণ ১৩৪৮),
নজরুলের রচিত ও প্রযোজিত 'ঠুংরী জলসা' কলকাতা বেতার কেন্দ্র-ক
এর তৃতীয় অধিবেশনে প্রচারিত হয়েছিল। সময় ছিল- সন্ধ্যা ৭.৫০টা থেকে ৮.২৯টা
পর্যন্ত। অনুষ্ঠানটিতে মোট ৬টি গান পরিবেশিত হয়েছিল। এর ভিতরে
৪টি গান পূর্বে প্রকাশিত
হয়েছিল। এই গানগুলো হলো-
বধুঁ তোমার আমার এই যে বিরহ' ও অবশিষ্ট
৩টি গান এই অনুষ্ঠানে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
গানগুলো হলো-
- সুরে ও বাণীর মালা দিয়ে
[তথ্য]
- মহুয়া বনে আধো নিশীথ রাতে
[তথ্য]
- কুহু কুহু কুহু কুহু কোয়েলিয়া
[তথ্য]
- গাগরি ভরণে চলে চপলা ব্রজনারী
[তথ্য]
- বঁধু তোমার আমার এই যে বিরহ
[তথ্য]
- রহি' রহি' কেন সেই মুখ পড়ে মনে
[তথ্য]
- হে প্রিয়তম অন্তরে মম [তথ্য]
সভা-সমিতি
২৯শে নভেম্বর (১৩ অগ্রহায়ণ ১৩৪৮)।
কলকাতায় নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের উদ্যোগে ৮৬ নম্বর কলেজ
স্ট্রিটস্থ ওভারটুন হলে (ওয়াইএমসিএ) দানবীর হাজী মোহাম্মদ মহসিনের (১৭৩২-১৮১২
খ্রিষ্টাব্দ) মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়। উক্ত স্মরণ-সভায় আব্বাসউদ্দীন এই গানটি
পরিবেশন করেছিলেন। এছাড়া গানটি দৈনিক নবযুগ পত্রিকার '২৯শে নভেম্বর ১৯৪১, ১৩
অগ্রহায়ণ ১৩৪৮' সংখ্যার সম্পাদকীয় পৃষ্ঠার তৃতীয় ও চতুর্থ কলামের মাঝখানে বক্স করে গানটি ছাপানো
হয়েছিল। ধারণা করা হয়, গানটি নজরুল এই স্মরণ-সভা'র জন্যই অগ্রহায়ণ মাসেই
রচনা করেছিলেন। গানটি হলো-
- সকল জাতির সব মানুষের বন্ধু
[তথ্য]
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গান
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা
-
দৈনিক নবযুগ।
-
৫ নভেম্বর (বুধবার
১৯ কার্তিক ১৩৪৮)। কবিতা । নতুন চাঁদ
- ১৭ নভেম্বর (সোমবার ১ অগ্রহায়ণ ১৩৪৮)। কবিতা। জোর
জমিয়াছে খেলা
- ২১ নভেম্বর (শুক্রবার ৫ অগ্রহায়ণ ১৩৪৮)। কবিতা।
ধর্ম ও কর্ম
- ২৪ নভেম্বর (সোমবার ৮ অগ্হায়ণ ১৩৪৮)। কবিতা। আগুনের
ফুলকি ছোটে
- ২৫ নভেম্বর (মঙ্গলবার ৯ অগ্হায়ণ ১৩৪৮)। কবিতা। হুল
ও ফুল
- ২৬
নভেম্বর (বুধবার ১০ অগ্রহায়ণ ১৩৪৮)। কবিতা। শ্রমিক ও
মুজুর
- ৩০ নভেম্বর (রবিবার ১৪ অগ্রহায়ণ ১৩৪৮)। কবিতা।
মহাত্মা মহসীন
ডিসেম্বর ১৯৪১ (১৫ অগ্রহায়ণ -১৬ পৌষ ১৩৪৮)
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গান
-
হিন্দুস্থান। এইচ ৯৭১। শিল্পী: কালীপদ সেন। সুর:
নিতাই ঘটক।
- ওরে গো-রাখা রাখাল
[তথ্য]
- এসো ঠাকুর মহুয়া বনে [তথ্য]
- হিন্দুস্তান। রেকরডের তারিখ: ৪ ডিসেম্বর ১৯৪১। মাদার কাস্ট নম্বর
এইচ.এস.বি ৩১৮১। শিল্পী কুমারী তৃপ্তি সিংহ
-
এইচএমভি। এন ২৭২২১। যূথিকা রায়
-
এইচএমভি। এন ২৭২২৭। কমল দাশগুপ্ত
- আমি চাঁদ নহি, চাঁদ নহি অভিশাপ [তথ্য]
- তব মুখখানি খুঁজিয়া [তথ্য]
- প্রিয়তম এত প্রেম দিও নাগো
[তথ্য] শিল্পী কুমারী তৃপ্তি সিংহ
- হিন্দুস্তান। রেকরডের তারিখ: ৪ ডিসেম্বর ১৯৪১। মাদার কাস্ট নম্বর
এইচ.এস.বি ৩১৮১।
- 'মণ্ডলী রচিয়া ব্রজের গোপীগণ [তথ্য]
এইচএমভি ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ (১৩৪৯ বঙ্গাব্দ)। শিল্পী
কুঞ্জলাল সিংহ ।
-
মোরে ডেকে লও সেই দেশে
[তথ্য]
এইচএমভি [১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ (১৩৪৯ বঙ্গাব্দ )। শিল্পী
মাধবী মুখার্জি। সুর: নিতাই
ঘটক ।
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা
- নবযুগ
- ২৩ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার ৮ পৌষ ১৩৪৮)। কবিতা। কবির প্রশস্তি
২৭ ডিসেম্বর ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দ (শনিবার ১৫ ফাল্গুন ১৩৪৮)। বিকাল
৭.৩০। কলকাতা ক-এর তৃতীয় অধিবেশন।
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান: কুঞ্জভাঙা (গীতিআলেখ্য)।
যন্ত্রসঙ্গীত সহযোগিতায় যন্ত্রীসংঘ। বেতারের শিল্পীরা অংশ নিয়েছিলেন।
[সূত্র:
The Indian Listener. 1941-(7 December). Vol-VI-24. page 79]
এই বছরে প্রকাশিত গানের তালিকা
-
বঁধু আমার ভুবন ঘিরিল যখন [তথ্য]
১. বেতার: পালাকীর্তন অভিসার। [১৯৪১]
জানুয়ারি ১৯৪২ (১৭ পৌষ-১৭ মাঘ ১৩৪৮)
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা
- সঙ্গীতবিজ্ঞান প্রবেশিকা। মাঘ ১৩৪৮
- মাগো চিন্ময়ী রূপ ধরে আয় [তথ্য]
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গান
- এইচএমভি। এন ২৭২৩২। বীণা চৌধুরী
- প্রিয়তম হে বিদায়
[তথ্য]
- সবারে দাও [কথা: নব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়]]
- এইচএমভি। এন ২৭২৩৩। কুমারী ইলা ঘোষ
- আমি গগন গহনে সন্ধ্যা তারা
[তথ্য]
- তোমার বিনা-তারের গীতি
[তথ্য]
ফেব্রুয়ারি ১৯৪২ (১৮ মাঘ-১৬ ফাল্গুন ১৩৪৮)
১৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার রবিবার ৫ ফাল্গুন ১৩৪৮)। নজরুল তাঁর কোনো এক শিল্পী
বন্ধুর জন্য 'চিত্রপট' শিরোনামে একটি প্রশস্তিমূলক কবিতা রচনা করেন।বেতারে নজরুল
- ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দ (শনিবার ২ ফাল্গুন ১৩৪৮)। প্রচার সময়:
সন্ধ্যা ৭.৪৫
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
সারঙ্গ রঙ্গ
(সঙ্গীতালেখ্য)। দ্বিতীয় পুনঃপ্রচার
- ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দ (শনিবার ৯ ফাল্গুন ১৩৪৮)। সন্ধ্যা
৭.৩০
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
আকাশবাণী (সঙ্গীতালেখ্য)। পুনঃপ্রচার।
ট্র্যান্সমিশান ৩।
- ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দ (মঙ্গলবার ১২ ফাল্গুন ১৩৪৮)।
সন্ধ্যা ৭.৪০
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
হারামণি। শ্রীরঞ্জনী রাগে নজরুল স্বরচিত গান পরিবেশন
করেন।
- ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৪২: ছোটোদের অনুষ্ঠান। সময়:
৪.৩০-৫.২৯।
চিঠিপত্র:
- ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দ (বৃহস্পতিবার ১৪ ফাল্গুন ১৩৪৮)।
নজরুল কলকাতার ১২৩ লোয়ার সার্কুলার রোড থেকে শ্যামলাল সরকারকে চিঠি লেখেন
মার্চ ১৯৪২ (১৭ ফাল্গুন-১৭ চৈত্র ১৩৪৮)
বেতারে নজরুল
- ৮ মার্চ ১৯৪২ (রবিবার ২৪ ফাল্গুন ১৩৪৮)। কলকাতা ১। ট্রান্সমিশান ১। সময়:
সকাল ৭.৫০
অনিমা মুখোপাধ্যায়ের একক সঙ্গীতানুষ্ঠানে পরিবেশিত হয় একটি গান।
গান: ভোলো ভোলো ভোলো মান [তথ্য]
[indian Listener [Vo.Vll, No 5]
- ১৪ মার্চ ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দ (শনিবার ৩০ ফাল্গুন ১৩৪৮)। কলকাতা ১।
ট্রান্সমিশান ৩। প্রচার সময়:
সন্ধ্যা ৭.৩০
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান: যুগল মিলন
(সঙ্গীতালেখ্য)। দ্বিতীয় পুনঃপ্রচার [indian Listener [Vo.Vll, No
5]
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গান
- হিন্দুস্তান। এইচ ৯৮৪। শিল্পী কালীপদ সেন ও শান্তা বসু
- ঝুমুর নাচে ডুমুর গাছে
- কুনুর নদীর ধারে ঝুনুর ঝুনুর বাজে
[তথ্য]
- টুইন। এফটি ১৩৭৫৪। শিল্পী: সুজন মাঝি (গিরীন চক্রবর্তী)
-
তুমি আমার চোখের বালি [তথ্য]
- বন্ধু রে, বন্ধু,পরান বন্ধু (দূরের বন্ধু আছে আমার)
[তথ্য]
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা
এপ্রিল ১৯৪২ (১৮ চৈত্র ১৩৪৮-১৭ বৈশাখ ১৩৪৯)
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গান
- হিন্দুস্তান। এইচ ১০৪৭। নিউ থিয়েটার্সের শিল্পীবৃন্দ
- ফুরাবে না এই মালা গাঁথা (দিকশূল সিনেমার গান)
- এইচএমভি। এন ২৭২৬২। বীণা চৌধুরী
- চিকন কালো ভুরুর তলে
[তথ্য]
- উপল নুড়ির কাঁকন চুড়ি [তথ্য]
সুরকার: শৈলেশ দত্তগুপ্ত
- এইচএমভি। এন ২৭২৬৩। ইলা ঘোষ
- এইচএমভি। এন ২৭২৬৫। কে মল্লিক
- আমার হাতে কালি মুখে কালি
[তথ্য]
- কে তোরে কি বলেছে মা
[তথ্য]।
সুরকার চিত্ত রায়
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা
- দৈনিক নবযুগ।
- ১৬ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার ৩ বৈশাখ ১৩৪৯)। প্রবন্ধ: বাঙালীর বাংলা
১-২৪ মে ১৯৪২ (১৮ বৈশাখ-১০ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৮)এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত রচনা
- মেগাফোন। জেএনজি ৫৬২৮। রমা পাল
- আমি রব না ঘরে [তথ্য]
- আমি নূতন ক'রে গড়ব ঠাকুর (আমি নুতন করে) [তথ্য]
- এইচএমভি। এন ২৭২৭৬। মৃণালকান্তি ঘোষ
- মানবতাহীন ভারত শ্মশানে
[তথ্য]
- জাতের নামে বজ্জাতি সব [তথ্য]