৩১ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স
নজরুলের ৩১ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স শুরু হয়েছিল ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ (২৫ মে ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দ)।
শেষ হয়েছিল ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ (২৪শে মে ১৯৩১।
৭ই মে (বুধবার, ২৪ বৈশাখ ১৩৩৭) নজরুলের দ্বিতীয় সন্তান বুলবুল (অরিন্দম
খালেদ) বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয় মৃত্য হয়। এই সন্তানের মৃত্যুতে নজরুল খুব ভেঙে
পড়েন। সন্তান বিয়োগ ব্যথার মধ্য দিয়ে, তাঁর ৩১ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সের সূচনা হয়েছিল।
২৬-৩১ মে ১৯৩০ (১১-১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৭)
নজরুলের ৩১ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সের শুরুর এই কয়েকদিনে কবি পরিবার (নজরুল, প্রমীলা
নজরুল এবং গিরিবালা দেবী) শোকাগ্রস্ত স্থবির দশায় কেটেছে। অনেকের মতে নজরুল 'ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয়ে' গানটি রচনা
করেছিলেন বুলবুলের মৃত্যুর পরপরই। কিন্তু গানটি রচনার সুনির্দষ্ট তারিখ পাওয়া যায় না।
গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল বুলবুল পত্রিকার 'মাঘ ১৩৪৪' (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি
১৯৩৮) সংখ্যায়।
জুন ১৯৩০ (১৮ জ্যৈষ্ঠ-১৫ আষাঢ় ১৩৩৭)
জুন মাসে নজরুল শোকের ধাক্কা কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলেন। এই মাসে প্রকাশিত
হয়েছিল নতুন পুরাতন মিলিয়ে ২টি কবিতা।
১টি গল্প ও ১টি গান। এগুলো হলো-
-
কবিতা
-
স্বপ্ন। জয়তী পত্রিকার আষাঢ়
১৩৩৭ সংখ্যায় 'অভিবন্দনা' শিরোনামে ৩৬ পংক্তির একটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল।
বুলবুল পত্রিকায় জয়তী থেকে কবিতাটি প্রকাশিত হয়েছিল বুলবুল পত্রিকার অগ্রহায়ণ
১৩৪৩ সংখ্যায়। তখন এর নামকরণ করা হয়েছিল 'মার্হাবা সৈয়দ মক্কী মদনী আল-আরবী'
শিরোনামে। পরে পূর্ণাঙ্গ কবিতাটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে 'মরুভাস্কর' কাব্যগ্রন্থে
- শাখ্-ই-নবাত। সওগাত পত্রিকার আষাঢ় ১৩৩৭ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। পরে
পূর্ণাঙ্গ কবিতাটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে 'ঝড়' কাব্যগ্রন্থে।
উল্লেখ্য পারশ্যের কবি 'হাফিজের সমস্ত কাব্য 'শাখ-ই-নবাত' নামক কোনো ইরানি
সুন্দরীর স্তবগানে করা হয়েছে। নজরুল 'রুবাইয়াৎ-ই-হাফিজ'-এর
অনুবাদের সময় 'শাখ-ই-নবাত'-এর উপর এই কবিতাটি পৃথকভাবে রচনা করেছিলেন।
-
গল্প
- অগ্নিগিরি (গল্প)। সওগাত পত্রিকার আষাঢ়
১৩৩৭ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। পরে 'শিউলিমালা' গল্পগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
- গান:
- পথে পথে ফের সাথে
[তথ্য]
উত্তরা পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৭' সংখ্যায় গানটি প্রকাশিত হয়েছিল।
জুলাই ১৯৩০ (১৬ আষাঢ়-১৫ শ্রাবণ ১৩৩৭)
এই মাসের প্রথম থেকেই নজরুল তাঁর-কৃত 'রুবাইয়াৎ-ই-হাফিজ'-এর
অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
- গ্রন্থ
- রুবাইয়াৎ-ই-হাফিজ'
১৩৩৭ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে
(১৭ জুলাই ১৯৩০) নজরুল-কৃত 'রুবাইয়াৎ-ই-হাফিজ'-এর প্রথম
সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল। প্রকাশক: কালীকৃষ্ণ চক্রবর্তী অ্যান্ড
সন্স, ২১ নন্দকুমার চৌধুরী লেন, কলিকাতা। মুদ্রক: মনোরঞ্জন চক্রবর্তী, কালিকা প্রেস,
২১ নন্দকুমার চৌধুরী লেন, কলিকাতা। গ্রন্থটি
উৎসর্গ করেছিলেন, তাঁর সদ্যপ্রয়াত পুত্র বুলবুলকে। এই গ্রন্থের
পরিশিষ্টে নজরুল লিখেছিলেন- 'হাফিজের সমস্ত কাব্য শাখ-ই-নবাত' নামক কোনো ইরানি
সুন্দরীর স্তবগানে মুখরিত।'
এই মাসে প্রকাশিত অন্যান্য রচনাসমূহ
- কবিতা
- উঠিয়াছে ঝড়। সওগাত পত্রিকার 'শ্রাবণ ১৩৩৭'
সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। পরে ঝড় নামক কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
- গান:
- আমি তুরাগ ভাবিয়া মোড়গে চড়িনু
[তথ্য]
কীর্তন সুরাঙ্গে রচিত এই রঙ্গরসের গানটি প্রকাশিত হয়েছিল জয়তী পত্রিকার
শ্রাবণ ১৩৩৭ সংখ্যায়।
- আরো নূতন নূতনতর শোনাও গীতি
[ [তথ্য]
জয়তী পত্রিকার 'শ্রাবণ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল
- গল্প:
- শিউলিমালা। সওগাত পত্রিকার 'শ্রাবণ ১৩৩৭' সংখ্যায়
প্রকাশিত হয়েছিল। পরে শিউলিমালা গল্পসংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
- অভিমত:
- প্রখ্যাত লোকসাহিত্য সংগ্রাহক ও গবেষক মুহম্মদ
মনসুরউদ্দীন-কৃত সংকলন 'হারামণি' দেখে মুগ্ধ হন। পরে তিনি এই বিষয়ে জয়তী
পত্রিকায় তাঁর অভিমত প্রকাশ করেন।
আগষ্ট ১৯৩০ (১৬ শ্রাবণ-১৪ ভাদ্র ১৩৩৭)
১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের ৫আগষ্ট
৫ আগষ্ট (মঙ্গলবার ২০ শ্রাবণ ১৩৩৭) রাত ৮টায় কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে 'দ্বিজেন্দ্রলাল
রজনী'। এই অনুষ্ঠানে নজরুল দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের গান পরিবেশন করেন। বেতার জগৎ
পত্রিকার ১ম বর্ষ ২৩শ সংখ্যার 'আমাদের কথা' বিভাগে [পৃষ্ঠা: ১-২] লেখা হয়েছিল-
' মঙ্গলবার ৫ই আগষ্ট
সুবিখ্যাত নাট্যকার স্বর্গীয় দ্বিজেন্দ্রলাল রায় মহাশয়ের স্মৃতি পূজার আয়োজন করা
হোয়েছে। বহু ভদ্রমহিলা, গায়ক, বাদক, অভিনেতা এই রজনী সাফল্য মণ্ডিত করবার জন্য
চেষ্টা করবেন। কাজী নজরুল ইসলাম, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং সুবিখ্যত নট
নির্র্মলেন্দু লাহিড়ী মহাশয়দের কণ্ঠও সে দিন আপনারা শুনতে পাবেন।'
বেতার জগৎ পত্রিকার ১ম বর্ষ
২৩শ সংখ্যার অনুষ্ঠান-পত্রের [পৃষ্ঠা: ১৫] শিল্পী ও বিষয়ভিত্তিক যে তালিকা পাওয়া
যায়, তা হলো দেখা যায়-
(সমবেত সঙ্গীত)
শ্রীহরিদাস গোস্বামী (বাংলা গান)
কাজী নজরুল ইসলাম (বাংলা গান)
শ্রীরাখালদাস মজুমদার (এসরাজ)
শ্রীরবীন্দ্রলাল রায় (আবৃত্তি)
শ্রীকানাইলাল গোস্বামী (বাংলা গান)
কুমারী সুষমা দেবী (বাংলা গান)
শ্রীমনোরঞ্জন ভট্টাচার্য (আবৃত্তি)ৰ
শ্রীঅবনীভূষণ মুখোপাধ্যায় (বেহাল)
কুমারী মানদা চট্টোপাধ্যায় (বাংলা গান)
কুমারী মীরা লাহিড়ী (বাংলা গান)
শ্রীনির্ম্মলেন্দু লাহিড়ী (আবৃত্তি)
মিঃ আর সু বড়াল (বাংলা গান)
অনুষ্ঠান-পত্রের দ্বিতীয়
গীতগানটি ছিল নজরুল ইসলামের। এই অনুষ্ঠানে কবিতা ও গানের শিরোনাম বা বাদ্যযন্ত্রে
রাগের উল্লেখ নেই।
প্রলয় শিখা
কাজী নজরুল ইসলামের রচিত ষোড়শ কাব্যগ্রন্থ
প্রলয় শিখা, ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের আগষ্ট মাসে ৫০/২
মসজিদ বাড়ি স্ট্রিট, কলিকাতা থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। মুদ্রক: নজরুল ইসলাম। মহামায়া প্রেস, ১৯৩ কর্নওয়ালিস স্ট্রিট, কলিকাতা।
পরিবেশক: ব্রজবিহারী বর্মণ, বর্মণ পাবলিশিং হাউস, কলিকাতা। এ বিষয়ে গ্রন্থের
দ্বিতীয় সংস্করণের প্রকাশক পৌলভী মঈনউদ্দীন হোসয়ন তঁর নিবেদন-এ লিখেছিলেন-
'কবি নজরুল নিজের নামে ও নিজের দায়িত্বে
'প্রলয়-শিখা' প্রকাশ করিলেন, অর্থাৎ নিজেই প্রকাশক ও মুদ্রাকর হইলেন।'
-
প্রলয় শিখা'র প্রথম সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত কবিতা ও গানের সূচি
-
খেয়ালি।
মোয়াজ্জিন পত্রিকার 'কর্তিক-অগ্রহায়ণ ১৩৩৬' সংখ্যায় কবিতাটি
প্রকাশিত হয়েছিল। প্রাণতোষ চট্টোপাধ্যায় তাঁর 'কাজী নজরুল' গ্রন্থে
লিখেছেন- 'তিনি ১৩৩৫ বঙ্গাব্দে 'খেয়ালী' নামে একটি স্বল্পায়ু মাসিক প্রকাশ
করেন এবং কবি তারই জন্য 'আশীর্বাণী' স্বরূপ 'খেয়ালী' কবিতাটি লিখিয়া দেন।'9;
-
চাষার গান
। আমাদের জমির মাটি ঘরের বেটি
[তথ্য]
কালানুক্রমিকের বিচারে এটি নজরুলের সঙ্গীতজীবনের দ্বিতীয় পর্বের
২৩২ সংখ্যক গান।
-
গান [জাগো হে রুদ্র, জাগো রুদ্রাণী]
[তথ্য]
কালানুক্রমিকের বিচারে এটি নজরুলের সঙ্গীতজীবনের দ্বিতীয় পর্বের ২৩৩ সংখ্যক গান।
- জাগরণ
[এই কবিতার জন্য প্রলয়-শিখা সরকার বাজেয়াপ্ত করেছিল।]
- নব-ভারতের হলদিঘাট [বাঘা যতীনের স্মরণে রচিত কবিতা। এই কবিতার জন্য
প্রলয়-শিখা সরকার বাজেয়াপ্ত করেছিল।]
-
নমস্কার।
ছাত্র পত্রিকার 'ভাদ্র ১৩৩৬' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। পরে
'প্রলয়শিখা ও
নির্ঝর
কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
-
পূজা অভিনয়
-
প্রথম অশ্রু।
জয়তী পত্রিকার 'আশ্বিন ১৩৩৭' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
-
প্রলয়-শিখা
-
বহ্নিশিখা
- বিংশ শতাব্দী
-
বৈতালিক
-
ভারতী-আরতি (গান)
জয় ভারতী শ্বেত শতদল বাসিনী
[তথ্য]।
কালানুক্রমিকের বিচারে এটি নজরুলের সঙ্গীতজীবনের দ্বিতীয় পর্বের ৩৩
সংখ্যক গান। গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল বারানসী থেকে সুরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য
সম্পাদিত 'অলকা' পত্রিকার ২ চৈত্র ১৩২৮ সংখ্যায়। শিরোনাম- ভারতী-আরতি।
[তথ্য] গানটি
প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল বারানসী থেকে সুরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য সম্পাদিত 'অলকা'
পত্রিকার ২ চৈত্র ১৩২৮ সংখ্যায়। শিরোনাম- ভারতী-আরতি।
- মণীন্দ্র-প্রয়াণ [কাশিমবাজারের দানবীর মহারাজা স্যার মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী
কে,সি আইই মহোদয়ের তিরোধান উপলক্ষে লিখিত]
- যতীন দাস [বিপ্লবী
যতীন্দ্রনাথ দাস ৬৩ অনশনের পর লাহোর জেলে ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ সেপ্টেম্বর
মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর স্মরণে এই কবিতাটি রচনা করেছিলেন। এই কবিতার জন্য
প্রলয়-শিখা সরকার বাজেয়াপ্ত করেছিল।]
-
যৌবন
- রক্ত-তিলক
-
রঙিন খাতা
- শূদ্রের মাঝে জাগিছে রুদ্র
-
সমর-সঙ্গীত
গান। টলমল টলমল পদভরে
[তথ্য]
-
হবে জয়।
সওগাত পত্রিকার 'আশ্বিন ১৩৩৬' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
কবিতা
- জয়তী 'ভাদ্র ১৩৩৭' সংখ্যা।
- নবীনচন্দ্র। কবি নবীনচন্দ্রের স্মরণে রচিত কবিতা।
গান
- জয়তী। ভাদ্র ১৩৩৭ সংখ্যা।
গান: ভরিয়া পরান শুনিতেছি গান [দ্বিতীয় অঙ্ক। মহুয়ার গান]
[তথ্য]
- উত্তরা। ভাদ্র ১৩৩৭ সংখ্যাযা।
গান: পিও শরাব পিও
[তথ্য]
সেপ্টেম্বর ১৯৩০ (১৫ ভাদ্র - ১৩ আশ্বিন ১৩৩৭)
আগষ্ট মাসে
প্রলয় শিখা প্রকাশের পরপরই সরকার গ্রন্থটিকে বাজেয়াপ্ত
করার পাঁয়তারা শুরু করে। ৬ই
সেপ্টেম্বর (শনিবার, ২০ ভাদ্র ১৩৩৭), তৎকালীন পাবলিক প্রসিকিউটর রায়বাহাদুর তারকানাথ সাধু ৪৮০ সংখ্যক পত্রে
কলকাতা পুলিশের স্পশাল ব্রাঞ্চের ডেপুটি কমিশনারকে এই মর্মে জানান যে, নজরুলের
প্রলয় শিখা কাব্যগ্রন্থে বেশ কিছু আপত্তিকর অংশ রয়েছে যা ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩-ক ও
১২৪-ক ধারা অনুসারে ক্ষতিকারক হিসেবে প্রতীয়মান। তিনি ৯৯-ক ধারা অনুসারে গ্রন্থটি
অবিলম্বে বেআইনি বলে ঘোষণা করার সুপারিশ করেন।
১৫ সেপ্টেম্বর (সোমবার ২৯ ভাদ্র ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ), পুলিশ কমিশনার চার্লস টেগার্ট গ্রন্থটি
বাজেয়াপ্ত করা এবং নজরুলকে গ্রেফতার করার পরামর্শ দেন।
১৭ই সেপ্টেম্বর (বুধবার
৩১ ভাদ্র ১৩৩৭), সরকার ফৌজদারি দণ্ডবিধি ১২৪-ক এবং ১৫৩-ক ধারা অনুসারে
এই গ্রন্থটি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। সেই সাথে নজরুলকে গ্রেফতার করার
আদেশ জারি করা হয়। এর প্রকাশিত গেজেট নম্বর ছিল ১৪০৮৭। বিচারক ছিলেন-
চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট টি রকসবার্গ। এই গ্রন্থের অভিযুক্ত কবিতাগুলো ছিল-
প্রলয় শিখা, যতীন দাস, পূজা-অভিনয়, হবে জয়, জাগরণ, নব-ভারতের হলদিঘাট।
১৩৩৭ বঙ্গাব্দের ভিতরে নজরুলের গান, বাংলা
সঙ্গীত জগতে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে নিয়েছিল। বিশেষ করে দেশাত্মবোধক, বিভিন্ন
জাগরণমূলক এবং ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সহায়ক গানগুলো, তৎকালীন যুব সমাজের ভিতরে
বিশেষভাবে উদ্দীপনার সঞ্চার করেছিল। এর সাথে যুক্ত হয়ে ছিল- নতুন ধারার গান।
এ সকল গান বেতার, পত্রপত্রিকায় প্রচারিত ও প্রকাশিত হচ্ছিল প্রায় নিয়মিতভাবে। এছাড়া
এই মাসে প্রকাশিত হয়েছিল স্বতন্ত্র সঙ্গীত সংকলন 'নজরুল গীতিকা'।
বেতারে নজরুল সঙ্গীত
- বেতার জগতের ২৬ সেপ্টেম্বর (৯ আশ্বিন ১৩৩৭) সংখ্যা থেকে
জানা যায়, কলকাতা বেতারে নজরুলের গান নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করেছিলেন উমাপদ
ভট্টাচার্য। এই বিষয়ে বেতার জগতের এই সংখ্যায় আমাদের কথা বিভাগে একটি
ঘোষণা প্রকাশিত হয়েছিল।
'কাজী নজরুলের গান ও আধুনিক বাংলা গানে পারদর্শী
শ্রীযুক্ত উমাপদ ভট্টাচার্য মহাশয় এবারকার বেতার আসরে যোগদান করেন।'
নজরুল গীতিকা
নজরুলের গান বিভিন্ন কাব্য ও সঙ্গীত সংকলনে স্থান পেলেও, নজরুলের অধিকাংশ গ্রন্থ
সরকার বাজেয়াপ্ত করেছিল। ফলে গানের বাণী সঙ্গীত পিপাসুদের কাছে
তাঁর অনেক গানের বানী অপ্রাপ্য হয়ে উঠেছিল।
তাই নজরুল স্বতন্ত্র সঙ্গীত-সংকলন প্রকাশে আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন। এই সূত্রে প্রকাশিত
হয়েছিল- নজরুলের বিভিন্ন ভাবাদর্শের সঙ্গীত-সংকলন 'নজরুল গীতিকা।া।
গ্রন্থটির প্রথম প্রকাশকাল:
২ সেপ্টেম্বর ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দ (ভাদ্র ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ)। প্রকাশক: শ্রীকালীকৃষ্ণ
চক্রবর্তী, শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তী এন্ড সন্স, ২১ নন্দকুমার চৌধুরী লেন, কলকাতা।
প্রিন্টার: শ্রীমনোরঞ্জন, কালিকা প্রেস, ২১ নন্দকুমার চৌধুরী লেন, কলকাত। পৃষ্ঠা
৪+১৫১। মূল্য দেড় টাকা।
এই গ্রন্থে মোট গানের সংখ্যা ছিল ১২৭টি। এর ভিতরে
নূতন গান ছিল ২৬টি। উৎসর্গ-এর গানটি ছাড়া গানগুলোকে ১০টি ভাগে
সাজানো হয়েছিল। এই ভাগগুলো হলো- ওমর খৈয়াম-গীতি, দীওয়ান-ই-হাফিজ গীতি, জাতীয় সঙ্গীত, ঠুংরী,
গজল, টপ্পা, বাউল-ভাটিয়ালী, ধ্রুপদ, হাসির গান ও খেয়াল। এ সকল পর্বে যে সকল নতুন গান রাখা হয়েছিল, তার তালিকা তুলে ধরা হলো।
-
উৎসর্গ: আমার গানের বুলবুলিরা
[তথ্য]
এর সাথে রচনার স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে-
কলিকাতা/ভাদ্র, ১৩৩৭।
-
পর্ব ১: ওমর খৈয়াম-গীতি।
এই বিভাগের গান সংখ্যা ৮ ৮টি। এর ভিতরে দ্বিতীয় ও তৃতীয়
গানটি উত্তরা পত্রিকার 'ভাদ্র ১৩৩৭' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
তবে এই গ্রন্থ প্রকাশের সময়ই প্রকাশিত হয়েছিল বলে, নূতন গান
হিসেবে উল্লেখ করা হলো।
- সৃজন-ভোরে প্রভু মোরে [ওমর খৈয়াম-গীতি। ১ ]
[তথ্য]
- পিও শরাব পিও [ওমর খৈয়াম-গীতি। ২]
[তথ্য]
গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল
উত্তরা পত্রিকায় (ভাদ্র ১৩৩৭) গানটি
প্রকাশিত হয়েছিল।
- কানন গিরি সিন্ধুপার [ওমর খৈয়াম-গীতি। ৩] [তথ্য]
গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল
উত্তরা পত্রিকায় (ভাদ্র ১৩৩৭) গানটি
প্রকাশিত হয়েছিল।
- আজ বাদে কাল আসবে কিনা [ওমর খৈয়াম-গীতি। ৪]
[তথ্য]
- তরুণ প্রেমিক প্রণয় বেদন [ওমর খৈয়াম-গীতি। ৫]
[তথ্য]
- যেদিন লব বিদায় [ওমর খৈয়াম-গীতি। ৬ ]
[তথ্য]
- কোন্ মাটিতে আমার কায়া [ওমর খৈয়াম-গীতি।৭]
[তথ্য]
- রে অবোধ শূন্য শুধু যেদিন লব বিদায় [ওমর খৈয়াম-গীতি। ৮]
[তথ্য]
পর্ব ২: দীওয়ান-ই-হাফিজ গীতি
গান সংখ্যা ৮। এর ভিতরে ১টি গান 'আরো নূতন নূতনতর শোনাও গীতি'- জয়তী
পত্রিকার 'শ্রাবণ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। ফলে এই পর্বের
যুক্ত হয়েছিল ৭টি নতুন গান।
- আরো নূতন নূতনতর শোনাও গীতি [গান-১৮১৯]
[তথ্য]
জয়তী পত্রিকার 'শ্রাবণ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল
- আমরা পানের নেশায় পাগল [দীওয়ান-ই-হাফিজ গীতি। ২]
[তথ্য]
- ভোরের হাওয়া ! ধীরে ধীরে [দীওয়ান-ই-হাফিজ গীতি। ৩]
[তথ্য]
- আজ সুদিনের আস্ল ঊষা [দীওয়ান-ই-হাফিজ গীতি। ৪]
[তথ্য]
- আস্ল যখন ফুলের ফাগুন [দীওয়ান-ই-হাফিজ গীতি। ৫]
[তথ্য]
- ঐ লুকায় রবি লাজে [দীওয়ান-ই-হাফিজ গীতি। ৬]
[তথ্য]
- দোষ দিও না প্রবীণ জ্ঞানী [দীওয়ান-ই-হাফিজ গীতি। ৭]
[তথ্য]
- চাঁদের মতন রূপ পেল [দীওয়ান-ই-হাফিজ গীতি। ৮]
[তথ্য]
পর্ব ৩: জাতীয় সঙ্গীত
এই বিভাগের গান সংখ্যা ১৪। এর ভিতরে ১৪টি গান পূর্বে
রচিত।
- দুর্গম গিরি কান্তার মরু [জাতীয় সঙ্গীত ১]
[তথ্য]
সর্বহারা
কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত '
কাণ্ডারী হুঁশিয়ারী
'
শিরোনামের এই গানটির সাথে রচনার স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে- 'কৃষ্ণনগর ৬ জ্যৈষ্ঠ
১৩৩৩' [বৃহস্পতিবার, ২০ মে ১৯২৬ ]।
- আমরা শক্তি আমরা বল
[জাতীয় সঙ্গীত ২]
[তথ্য]
সর্বহারা
কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত '
ছাত্রদলের গান'
শিরোনামের এই গানটির সাথে রচনার স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে-
'কৃষ্ণনগর ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৩'।
- টলমল টলমল পদভরে
[জাতীয় সঙ্গীত ৩]
[তথ্য]
গানটি 'আলেয়া' গীতিনাট্যে প্রস্তাবনা'র গান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। উল্লেখ্য, কল্লোল পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৬' সংখ্যার 'সাহিত্য-সংবাদ' বিভাগে' বিষয়ে
একটি তথ্য পাওয়া যায়।
- যে দুর্দিনের নেমেছে বাদল [জাতীয়
সঙ্গীত ৪]
[তথ্য]
'ছাত্র' পত্রিকার 'শ্রাবণ
১৩৩৬ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় গানটটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
- চল্ চল্ চল্ চল্ চল্ চল্ (ঊর্ধ্বগগনে) [জাতীয়
সঙ্গীত ৫] [তথ্য]
১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে
(ফাল্গুন ১৩৩৪) ঢাকায় মুসলিম সাহিত্য-সমাজের দ্বিতীয় বার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণে নজরুল ঢাকায় আসেন
এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হলের তৎকালীন হাউস টিউটর অধ্যাপক সৈয়দ আবুল হোসেনের বাসায় ওঠেন। এই বাসাতে নজরুল এই গানটি রচনা করেন।
- বাজলো কি রে ভোরের সানাই [জাতীয় সঙ্গীত ৬]
[তথ্য]
মোয়াজ্জিন পত্রিকার 'কার্তিক ১৩৩৫ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
- আসিলে কে গো অতিথি [জাতীয় সঙ্গীত ৭] [তথ্য]
- ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে
প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
- অগ্রপথিক হে সেনাদল
[জাতীয় সঙ্গীত ৮] [তথ্য]
শিখা (মুসলিম সাহিত্য সমাজের মুখপত্র) ও সওগাত পত্রিকার চৈত্র ১৩৩৩ (মার্চ-এপ্রিল ১৯২৭) সংখ্যায় গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
- জাগো অনশন বন্দী ওঠ রে যত
[জাতীয় সঙ্গীত ৯][তথ্য]
ফণি-মনসা প্রথম
সংস্করণ [শ্রাবণ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ (জুলাই ১৯২৭)]
'অন্তর-ন্যাশনাল সঙ্গীত'
শিরোনামে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটির সাথে রচনার স্থান ও
কালের উল্লেখ আছে- 'কলিকাতা। ১লা বৈশাখ ১৩৩৪'
(বৃহস্পতিবার ১৪ এপ্রিল ১৯২৭)।
গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল গণবাণী পত্রিকার '৮ই বৈশাখ ১৯৩৪' সংখ্যায়।
- কোন অতীতের আঁধার ভেদিয়া [জাতীয় সঙ্গীত ১০] [তথ্য]
ফণি-মনসা' কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত এই গানটির সাথে রচনার
তারিখ উল্লেখ আছে 'মাদারিপুর ২৯শে ফাল্গুন ১৩৩২'।
- তোরা সব জয়ধ্বনি কর [জাতীয় সঙ্গীত ১১][তথ্য]
১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে ভারতজুড়ে চলছিল অসহযোগ আন্দোলন। এই সূত্রে ১৫-১৬ এপ্রিল
কংগ্রের বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল চট্টগ্রামে। এই সময় দেশবন্ধু
চিত্তরঞ্জন দাস কারাগারে ছিলেন। তাই তাঁর স্ত্রী বাসন্তী দেবী এই সম্মেলনের
সভাপতিত্ব করেন। এই সভায় ব্রিটিশদের সকল বিধিতে বাধা দেওয়ার নতুন অঙ্গীকার
ব্যক্ত করা হয়। কমিল্লায় বসে এই সংবাদ শুনে নজরুল উল্লসিত হন এবং এই গানটি রচনা
করেন।
- অমর কানন মোদের অমর কানন
[জাতীয় সঙ্গীত ১২][তথ্য]
গানটি ১৩৩২ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'ছায়ানট' কাব্যগ্রন্থে 'অমর-কানন' শিরোনামে
অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটির নিচে স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে- 'গঙ্গাজলঘাটী,
বাঁকুড়া/আষাঢ় ১৩৩২।
- জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা
[জাতীয় সঙ্গীত ১৩][তথ্য]
গানটি 'আলেয়া' গীতিনাট্যে ব্যবহৃত হয়েছিল। উল্লেখ্য, কল্লোল পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৬' সংখ্যার 'সাহিত্য-সংবাদ' বিভাগে' বিষয়ে
একটি তথ্য পাওয়া যায়।
- মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম
[জাতীয় সঙ্গীত ১৪][তথ্য]
১৩৩২ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত ছায়ানট কাব্যগ্রন্থে কবিতা হিসেবে ছায়ানট কাব্যে
'পাহাড়ী গান শিরোনামে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটির সাথে স্থান ও তারিখ উল্লেখ
আছে- হুগলি/আষাঢ়্ ১৩৩১।
পর্ব ৪: ঠুংরী
গান সংখ্যা ১৫। এর সবগুলো গান আগে রচিত
হয়েছিল।
- ভোরের হাওয়া এলে [ঠুংরী ১] [তথ্য]
'আলেয়া' গীতিনাট্যে হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। উল্লেখ্য, কল্লোল পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৬' সংখ্যার 'সাহিত্য-সংবাদ' বিভাগে' বিষয়ে
একটি তথ্য পাওয়া যায়।
- কোথা চাঁদ আমার
[ঠুংরী ২]
[তথ্য]
- আধো ধরণী আলো আধো আঁধার [ঠুংরী
৩][তথ্য]
'আলেয়া'
গীতিনাট্যে ব্যবহৃত হয়েছিল। উল্লেখ্য, কল্লোল পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৬' সংখ্যার
'সাহিত্য-সংবাদ' বিভাগে' বিষয়ে একটি তথ্য পাওয়া যায়।
- একডালি ফুলে ওরে [ঠুংরী
৪] [তথ্য]
১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে মন্মথ রায় 'ময়মনসিংহ গীতিকা' অবলম্বনে মহুয়া নামক
একটি নাটক রচনা করেছিলেন। এই নাটকটি ১৯২৯ বঙ্গাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর কলকাতায়
মনোমোহন থিয়েটারে প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে নজরুলের রচিত ও সুরোপিত মোট
১৫টি গান ব্যবহৃত হয়েছিল । এর আগে এই গানটি অন্য কোনো মাধ্যমে প্রচারিত বা কোনো
গ্রন্থাদিতে প্রকাশিত হয় নি। ধারণা করা হয়, এই নাটকের জন্যই ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে
তিনি এই গানটি রচনা করেছিলেন।
- নামহারা ঐ গাঙের পারে [ঠুংরী
৫][তথ্য]
১৩৩২ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'ছায়ানট' কাব্যে এই গানটি
অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটির নিচে রচনার স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে-' কুমিল্লা/জ্যৈষ্ঠ ১৩২৯'।
- তুমি আমায় ভালোবাস তাই তো আমি কবি [ঠুংরী
৬]
[তথ্য]
১৩৩০ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে 'দোলন-চাঁপা' কাব্যগ্রন্থে
অন্তর্ভুক্ত গানটির শিরোনাম ছিল 'কবি-রানি'। গানটির সাথে রচনার স্থান ও তারিখ
উল্লেখ ছিল না। প্রকাশের বিচারে বলা যায় গানটি ১৩৩০ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসের আগেই
রচিত হয়েছিল।
- আমি শ্রান্ত হয়ে আস্ব যখন
[ঠুংরী ৭] [তথ্য]
১৩৩০ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে 'দোলন-চাঁপা' কাব্যগ্রন্থে
অন্তর্ভুক্ত গানটির শিরোনাম ছিল 'আশা'। গানটির সাথে রচনার স্থান ও তারিখ
উল্লেখ ছিল না। প্রকাশের বিচারে বলা যায় গানটি ১৩৩০ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসের আগেই
রচিত হয়েছিল।
- আজ চোখের জলে প্রার্থনা মোর [ঠুংরী
৮] [তথ্য]
১৩৩০ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে 'দোলন-চাঁপা' কাব্যগ্রন্থে
অন্তর্ভুক্ত গানটির শিরোনাম ছিল 'আশা'। গানটির সাথে রচনার স্থান ও তারিখ
উল্লেখ ছিল না। প্রকাশের বিচারে বলা যায় গানটি ১৩৩০ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসের আগেই
রচিত হয়েছিল।
- ছাড়িতে পরান নাহি চায় [ঠুংরী
৯]
[তথ্য]
১৩৩৬
বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে
প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
- আঁধার রাতে কে গো একেলা [ঠুংরী
১০]
[তথ্য]
'আলেয়া' গীতিনাট হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। উল্লেখ্য, কল্লোল পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৬'
সংখ্যার 'সাহিত্য-সংবাদ' বিভাগে' বিষয়ে একটি তথ্য পাওয়া যায়।
- আমার কোন কূলে আজ ভিড়লো তরী
[ঠুংরী
১১]
[তথ্য]
রচনার স্থান ও তারিখ।
ঢাকা আষাঢ় ১৩৩৫।
- হাজার তারার হার হয়ে গো [ঠুংরী
১২]
[তথ্য]
নওরোজ পত্রিকার শ্রাবণ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ সংখ্যায়
প্রকাশিত হয়েছিল 'সারা ব্রিজ (সেঁতুবন্ধ) নাটক। এই নাটকের সাথে এই গানটিও মুদ্রিত হয়েছিল। সম্ভবত এই নাটকটি তিনি ১৩৩৪
বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে রচনা করেছিলেন।
- কেন দিলে এ কাঁটা যদি গো কুসুম দিলে [ঠুংরী
১৩]
[তথ্য]
নওরোজ পত্রিকার ' ভাদ্র ১৩৩৪' সংখ্যায় প্রকাশিত
হয়েছিল।
- সখি ব'লো বধুঁয়ারে নিরজনে (ব'লো বঁধুয়া রে)
[ঠুংরী
১৪][তথ্য]
সওগাত পত্রিকার 'চৈত্র ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ সংখ্যায় গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
- কি হবে জানিয়া বল [ঠুংরী
১৫]
[তথ্য]
নওরোজ পত্রিকার ' ভাদ্র ১৩৩৪' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
রচনার স্থান ও রচনাকাল উল্লেখ নেই । ধারণা করা হয়, নজরুল এই
গানটি রচনা করেছিলেন ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে।
পর্ব ৫: গজল
গান সংখ্যা ২৬টি। এর ভিতরে ২৫টি গানই পূর্বে
রচিত হয়েছিল।
- রেশমি চুড়ির শিঞ্জিনীতে [গজল
১]
[তথ্য]
রচনাকাল ও স্থানের উল্লেখ আছে- 'দৌলৎপুর/কুমিল্লা/বৈশাখ
১৩২৭'।
- বেসুর বীণায় ব্যথার সুরে [গজল
২] [তথ্য]
গানটি 'আলেয়া' গীতিনাট্যে ব্যবহৃত হয়েছিল। উল্লেখ্য,
কল্লোল পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৬' সংখ্যার 'সাহিত্য-সংবাদ' বিভাগে' বিষয়ে
একটি তথ্য পাওয়া যায়।
- দুলে আলো শতদল [গজল ৩]
[তথ্য]
গানটি 'আলেয়া' গীতিনাট্যে ব্যবহৃত হয়েছিল। উল্লেখ্য, কল্লোল পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৬'
সংখ্যার 'সাহিত্য-সংবাদ' বিভাগে' বিষয়ে একটি তথ্য পাওয়া যায়।
- পথে পথে ফের সাথে [গজল
৪]
[তথ্য]
উত্তরা পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৭ সংখ্যায় গানটি প্রথম প্রকশিত হয়েছিল।
- বউ কথা কও বউ কথা কও [গজল ৫]
[তথ্য]
১৯২৯
খ্রিষ্টাব্দে মন্মথ রায় 'ময়মনসিংহ গীতিকা' অবলম্বনে মহুয়া নামক একটি নাটক রচনা করেছিলেন। এই
নাটকটি ১৯২৯ বঙ্গাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর কলকাতায় মনোমোহন থিয়েটারে প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই
নাটকে নজরুলের রচিত ও সুরোপিত মোট ১৫টি গান ব্যবহৃত হয়েছিল । এর আগে এই গানটি
অন্য কোনো মাধ্যমে প্রচারিত বা কোনো গ্রন্থাদিতে প্রকাশিত হয় নি। ধারণা করা হয়,
এই নাটকের জন্যই ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি এই গানটি রচনা করেছিলেন।
- ফাগুন-রাতের ফুলের নেশায় [গজল ৬]
[তথ্য]
১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের জুন, (আষাঢ় ১৩৩৬) কলকাতার মনোমোহন থিয়েটার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের রচিত রক্তকমল নাটক
মঞ্চস্থ হয়। এই নাটকে প্রথম এই গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
- কেউ ভোলে না কেউ ভোলে [গজল
৭]
[তথ্য]
১৯২৯
খ্রিষ্টাব্দের জুন,(আষাঢ় ১৩৩৬) কলকাতার মনোমোহন
থিয়েটার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের রচিত
রক্তকমল নাটক মঞ্চস্থ হয়। এই নাটকে প্রথম এই গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
- মোর ঘুমঘোরে এলে মনোহর [গজল
৮]
[তথ্য]
১৯২৯
খ্রিষ্টাব্দের জুন,(আষাঢ় ১৩৩৬) কলকাতার মনোমোহন
থিয়েটার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের রচিত
রক্তকমল নাটক মঞ্চস্থ হয়। এই নাটকে প্রথম এই গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
- আজ বাদল ঝরে (আজি বাদল ঝরে) [গজল
৯]
[তথ্য]
১৩৩৬ বঙ্গাব্দের
অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে
প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
- বাগিচায় বুলবুলি তুই [গজল ১০][তথ্য]
গানটি কল্লোল পত্রিকার 'মাঘ ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
রচনার স্থান ও রচনাকাল উল্লেখ আছে - কৃষ্ণনগর, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৩৩৩'।
- আমারে চোখ ইশারায় [গজল ১১][তথ্য]
কল্লোল পত্রিকার 'চৈত্র ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় (মার্চ,
১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ) গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
- বসিয়া বিজনে কেন একা মনে [গজল ১২]
[তথ্য]
কল্লোল পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় (ফেব্রুয়ারি,
১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ) গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
- ভুলি কেমনে আজো যে মনে [গজল ১৩]
[তথ্য]
কল্লোল পত্রিকার 'জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় (ফেব্রুয়ারি, ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ) গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
- কে বিদেশী বন-উদাসী [গজল ১৪][তথ্য]
গানটি প্রথম
প্রকাশিত হয়েছিল
সওগাত পত্রিকার 'পৌষ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়।
- করুণ কেন অরুণ আখিঁ [গজল ১৫] [তথ্য]
বঙ্গবাণী পত্রিকার 'জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় (মে, ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ) গানটি
প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
- এত জল ও-কাজল চোখ [গজল ১৬] [তথ্য]
বঙ্গবাণী পত্রিকার 'জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় (মে, ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ) গানটি প্রথম প্রকাশিত
হয়েছিল।
- দুরন্ত বায়ু পূববইয়াঁ [গজল ১৭]
[তথ্য]
সওগাত পত্রিকার 'ফাল্গুন
১৩৩৩ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়
প্রকাশিত নাটকটির সাথে রচনার স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে- ' কৃষ্ণনগর,
১ পৌষ ১৩৩৩'।
- নিশি ভোর হল জাগিয়া [গজল ১৮] [তথ্য]
প্রগতি পত্রিকার 'চৈত্র ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
- নহে নহে প্রিয় এ নয় আঁখি-জল [গজল ১৯]
[তথ্য]
গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল কালিকলম পত্রিকার 'জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৫' সংখ্যায়। রচনার স্থান ও রচনাকাল উল্লেখ নেই ।
- এ আঁখি জল মোছ প্রিয়া
[গজল ২০] [তথ্য]
কল্লোল পত্রিকার 'জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ' (মে ১৯২৭) সংখ্যায় গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
- রুম্ ঝুম্ রুম্ ঝুম্ কে এলে নূপুর পায় [গজল ২১] [তথ্য]
১৩৩৫ বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসে প্রকাশিত হয়েছিল 'বুলবুল'
নামক সঙ্গীত-সংকলনে প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
- কেন আন ফুলডোর আজি বিদায় বেলা [গজল ২২][তথ্য]
১৩৩৫ বঙ্গাব্দের ১৯শে অগ্রহায়ণ, মুর্শিদাবাদের নিমতিতা'য় গানটি রচিত হয়েছিল।
- কেমনে রাখি আঁখি-বারি চাপিয়া
[গজল ২৩] [তথ্য]
সওগাত পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩৩৫ বঙ্গাব্দ ' সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়।
- মুসাফির, মোছ্ রে আঁখি -জল [গজল ২৪]
[তথ্য]
১৩৩৫ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসে প্রকাশিত হয়েছিল
'বুলবুল' নামক সঙ্গীত-সংকলনের দ্বিতীয় সংস্করণ।
- এ নহে বিলাস বন্ধু [গজল ২৫] [তথ্য]
১৩৩৫ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসে প্রকাশিত হয়েছিল 'বুলবুল' নামক সঙ্গীত-সংকলনের দ্বিতীয় সংস্করণ।
- রঙ-মহলের রঙ-মশাল মোরা
[গজল ২৬][তথ্য]
১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে ডিসেম্বর মনিমোহন থিয়েটারে মণিলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচিত 'জাহাঙ্গীর' নামক একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। ওই নাটকে বাদীগণের গান হিসেবে নজরুলের রচিত এই নতুন গানটি পরিবেশিত হয়েছিল।
পর্ব ৬: টপ্পা
গান সংখ্যা ৬টি। এই পর্বের সকল গানই পূর্বে প্রকাশিত হয়েছিল।
- আজি এ কুসুম-হার [টপ্পা-১][তথ্য]
গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল কল্লোল পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৫' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
- এই নীরব নিশীথ রাতে [টপ্পা-২] [তথ্য]
গানটির নিচে রচনা ও স্থানের তারিখ ছিল- 'কলিকাতা/ফাল্গুন ১৩২৭।
- কোন মরমীর মরম-ব্যথা আমার বুকে বেদনা হানে
[টপ্পা-৩][তথ্য]
রচনার তারিখ 'বরিশাল আশ্বিন ১৩২৭' (অক্টোবর-নভেম্বর ১৯২০)
- আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন [টপ্পা-৩][তথ্য]
ছায়ানট -এর
প্রথম সংস্করণে [২২ সেপ্টেম্বর ১৯২৫, ৬ আশ্বিন ১৩৩২] গানটি
অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
আপন পিয়াসী
শিরোনামে। গানটির সাথে রচনার স্থান ও রচনাকাল উল্লেখ আছে- 'কলিকাতা/আষাঢ় ১৩৩১।
- আজ নতুন করে পড়ল মনে মনের মতনে [টপ্পা-৫]
[তথ্য]
গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল
বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকার
শ্রাব্ণ ১৩২৭ বঙ্গাব্দ সংখ্যায়। ধারণা করা হয়, গানটি রচিত হয়েছিল আষাঢ় মাসের
দিকে। এই সময় তিনি মুজফ্ফর আহমেদের সাথে কলকাতার 'বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির'র
অফিসে বাস করতেন।
- আদর-গরগর বাদর দরদর [টপ্পা-৬] [তথ্য]
১৩৩২ বঙ্গাব্দের প্রকাশিত 'ছায়ানট' কাব্যগ্রন্থে 'বাদল দিনে'
নামে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। গানটির নিচে রচনার স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে- 'কলিকাতা শ্রাবণ ১৩২৮'।
পর্ব ৭: কীর্তন
এই পর্বে পূর্বে রচিত ও প্রকাশিত ২টি গান
অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গান দুটি হলো-
- কেন প্রাণ ওঠে কাঁদিয়া
[কীর্তন ১] [তথ্য]
১৩৩৬ ব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে
প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
- আমি কি সুখে লো গৃহে রবো
[তথ্য]
১৩৩৬ বঙ্গাব্দের
অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে
প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
পর্ব ৮: বাউল-ভাটিয়ালি
গান সংখ্যা ৭টি। এর ভিতরে ৭টি গানই পূর্বে প্রকাশিত হয়েছিল।
- নিরুদ্দেশের পথে যেদিন [বাউল-১]
[তথ্য]
'ছায়ানট' কাব্যগ্রন্থে গানটির রচনার
তারিখ উল্লেখ আছে 'কলিকাতা/চৈত্র ১৩২৭'।
- ঐ ঘাসের ফুল [বাউল-২]
[তথ্য]
১৩৩২ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে 'ছায়ানট' কাব্যগ্রন্থের প্রথম সংস্করণে এই গানটি যখন
অন্তর্ভুক্ত হয়। এর শিরোনাম হয় 'অ-কেজোর গান'।
এই গ্রন্থে রচনাটির নিচে 'দেওঘর/ পৌষ
১৩২৭' লেখা আছে।
- কোন্ সুদূরের চেনা বাঁশি [বাউল-৩]
[তথ্য]
ছায়ানট কাব্যগ্রন্থে
গানটির রচনাকাল ও স্থানের উল্লেখ আছে
-'কলিকাতা/শ্রাবণ, ১৩২৮। কিন্তু গানটি ভারতী পত্রিকার 'বৈশাখ ১৩২৮
' সংখ্যার ৭০ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত হয়েছিল।
- আমার গহীন জলের নদী
[বাউল-৪][তথ্য]
১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯)
মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
-
আমার সাম্পান যাত্রী না লয়
(আমার
এ না' যাত্রী না লয়) [ভাটিয়ালী-১][তথ্য]
১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
-
পউষ এলো গো! [বাউল-৫][তথ্য]
গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল প্রবাসী পত্রিকার 'মাঘ ১৩২৯
বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়। এই সময় নজরুল ডিসেম্বর মাসে নজরুল প্রেসিডেন্সি জেলে
ছিলেন।
- বেলা শেষে উদাস পথিক ভাবে [বাউল-৬] [তথ্য]
গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল প্রবাসী পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩২৯' (ফেব্রুয়ারি ১৯২৩) সংখ্যায়। শিরোনাম:
'পথহারা' [পৃষ্ঠ: ৬৭৭] । এরপর
দোলন-চাঁপার
প্রথম সংস্করণ [আশ্বিন ১৩৩০ বঙ্গাব্দ (আগষ্ট ১৯২৪) গানটি
'পথহারা' শিরোনামে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
পর্ব ৮: ধ্রুপদ
গান সংখ্যা ৬টি। এর ভিতরে ১টি গান ছিল নতুন।
- আমি ছন্দ ভুল চির-সুন্দরের নাট-নৃত্যে গো [
তথ্য]
- হিন্দোলি' হিন্দোলি' ওঠে নীল
[তথ্য]
১৩৩৬ বঙ্গাব্দের
অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে
প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
- দুলে চরাচর হিন্দোল-দোল [তথ্য]
১৩৩৬ বঙ্গাব্দের
অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে
প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
- গরজে গম্ভীর গগনে কম্বু [তথ্য]
নওরোজ পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ সংখ্যা'য় প্রকাশিত হয়েছিল
'ঝিলিমিল' নামক একটি একাঙ্কিকা প্রকাশিত হয়েছিল। একাঙ্কিকাটির রচনাকাল ও স্থানের
উল্লেখ করা হয়েছিল- কৃষ্ণনগর, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৪।
- সাজিয়াছ যোগী বল কার লাগি [তথ্য]
১৩৩৫ বঙ্গাব্দে চৈত্র মাসে প্রকাশিত হয়েছিল 'বুলবুল' নামক সঙ্গীত-সংকলনের দ্বিতীয় সংস্করণ।
- কে শিব সুন্দর [তথ্য]
১৩৩৫ বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসে প্রকাশিত হয়েছিল
'বুলবুল' নামক সঙ্গীত-সংকলনে প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
পর্ব ৯: হাসির গান
গান সংখ্যা ৬টি। এর ভিতরে
৫টি ছিল নতুন
গান এই গ্রন্থে প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত
হয়েছিল। গানগুলো হলো-
- আমি তুরাগ ভাবিয়া মোড়গে চড়িনু [তথ্য]
জয়তী পত্রিকার শ্রাবণ ১৩৩৭ সংখ্যায় গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
- যদি শালের বন হতো[তথ্য]
- ডুবু ডুবু ধর্ম-তরী
[তথ্য]
- নাচে মাড়োবার বালা
[তথ্য]
- থাকিতে চরণ মরণে কি ভয়
[তথ্য]
- বদ্না গাড়ুতে গলাগলি করে
[তথ্য]
পর্ব ১০: খেয়াল গান
গান সংখ্যা ২৯টি। এর সকল গানই পূর্বে রচিত।
- ঝঞ্ঝার ঝাঁঝর বাজে ঝনঝন
[তথ্য]
গানটি 'আলেয়া' গীতিনাট্যে
ব্যবহৃত হয়েছিল। উল্লেখ্য, কল্লোল পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৬' সংখ্যার
'সাহিত্য-সংবাদ' বিভাগে' বিষয়ে একটি তথ্য পাওয়া যায়।
- নাইয়া কর পার [তথ্য]
১৩৩৬ বঙ্গাব্দের
অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে
প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
- মোরা ছিনু একেলা হইনু দুজন [তথ্য]
১৯২৯
খ্রিষ্টাব্দে মন্মথ
রায় 'ময়মনসিংহ গীতিকা' অবলম্বনে মহুয়া নামক একটি নাটক রচনা করেছিলেন। এই
নাটকটি ১৯২৯
বঙ্গাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর কলকাতায় মনোমোহন থিয়েটারে প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই
নাটকে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
- (ওগো) নতুন নেশায় আমার এ মদ [তথ্য]
১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে মন্মথ রায় 'ময়মনসিংহ গীতিকা' অবলম্বনে মহুয়া নামক একটি নাটক রচনা করেছিলেন। এই নাটকটি ১৯২৯ বঙ্গাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর কলকাতায় মনোমোহন থিয়েটারে প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
- খোলো খোলো খোলো গো দুয়ার
[তথ্য]
১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে মন্মথ রায় 'ময়মনসিংহ গীতিকা' অবলম্বনে মহুয়া
নামক একটি নাটক রচনা করেছিলেন। এই নাটকটি ১৯২৯ বঙ্গাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর
কলকাতায় মনোমোহন থিয়েটারে প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে গানটি ব্যবহৃত
হয়েছিল।
- ভরিয়া পরান শুনিতেছি গান [তথ্য]
১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে মন্মথ রায় 'ময়মনসিংহ গীতিকা' অবলম্বনে
মহুয়া নামক একটি নাটক রচনা করেছিলেন। এই নাটকটি ১৯২৯ বঙ্গাব্দের ৩১শে
ডিসেম্বর কলকাতায় মনোমোহন থিয়েটারে প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে গানটি
ব্যবহৃত হয়েছিল।
- আজি ঘুম নহে, নিশি জাগরণ [তথ্য]
১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে মন্মথ রায় 'ময়মনসিংহ গীতিকা' অবলম্বনে মহুয়া নামক একটি নাটক রচনা করেছিলেন। এই নাটকটি ১৯২৯ বঙ্গাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর কলকাতায় মনোমোহন থিয়েটারে প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
- চাঁদ হেরিছে চাঁদ-মুখ তার [তথ্য]
গানটির নিচে রচনার স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে-' হুগলি/ফাল্গুন ১৩৩১'।
- আজকে দেখি হিংসা-মদের [তথ্য]
গানটির নিচে রচানার স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে-' কলিকাতা/আশ্বিন ১৩৩১'।
- পথের দেখা এ নহে গো বন্ধু
[তথ্য]
সিন্ধু-হিন্দোল' কাব্যে গানটির
রচনাকাল উল্লেখ আছে- হুগলি, ৩০শে কার্তিক ১৩৩২ ।
- পথিক ওগো চলতে পথে তোমায় আমায় [তথ্য]
'সিন্ধু-হিন্দোল' কাব্যে গানটির রচনাকাল উল্লেখ আছে- 'বরিশাল আশ্বিন ১৩২৭'।
- পরজনমে দেখা হবে প্রিয় [তথ্য]
১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
- মাধবী-তলে চল মাধবিকা-দল [তথ্য]
গানটি 'আলেয়া' গীতিনাট্যে ব্যবহৃত হয়েছিল।
- দেখা দাও দেখা দাও ওগো [তথ্য]
১৩৩৬ বঙ্গাব্দের
অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে
প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
- বাজায়ে জল-চুড়ি কিঙ্কিণী [তথ্য]
১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে
প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
- জাগো জাগো খোলো গো আঁখি [তথ্য]
১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত
'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
-
ওগো সুন্দর আমার [তথ্য]
১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত
'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
-
জনম জনম গেল আশা-পথ চাহি [তথ্য]
১৩৩৬
বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে
প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
সওগাত পত্রিকার 'অগ্রহায়ণ
১৩৩৬' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
-
এলে কি শ্যামল পিয়া (ওগো) [তথ্য]
১৩৩৬
বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে
প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
-
চল্ সখি জল নিতে [তথ্য]
১৩৩৬
বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে
প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
-
ঝরিছে অঝোর বরষার বারি [তথ্য]
১৩৩৬
বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে
প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
-
আসিলে কে অতিথি সাঁঝে [তথ্য]
গানটি 'আলেয়া' গীতিনাট্যে ব্যবহৃত হয়েছিল
-
ঘেরিয়া গগন মেঘ আসে [তথ্য]
১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে
প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
-
ঘোর তিমির ছাইল [তথ্য]
১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের জুন (আষাঢ় ১৩৩৬) কলকাতার মনোমোহন
থিয়েটার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের রচিত
রক্তকমল
নাটক মঞ্চস্থ হয়। এই নাটকে প্রথম এই গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
-
কার বাঁশরি বাজে মূলতানী সুরে [তথ্য]
১৩৩৬ বঙ্গাব্দের
অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে
প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
-
কে তুমি দূরের সাথী [তথ্য]
গানটি প্রথম
প্রকাশিত হয়েছিল কল্লোল পত্রিকার 'শ্রাবণ
১৩৩৬ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়।
-
আজি এ শ্রাবণ-নিশি কাটে কেমনে [তথ্য]
১৩৩৬ বঙ্গাব্দের
অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে
প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
-
স্মরণ পারের ওগো প্রিয় [তথ্য]
নওরোজ পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ সংখ্যা'য় প্রকাশিত হয়েছিল
'ঝিলিমিল' নামক একটি একাঙ্কিকা প্রকাশিত হয়েছিল। একাঙ্কিকাটির রচনাকাল ও স্থানের
উল্লেখ করা হয়েছিল- কৃষ্ণনগর, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৪। এই একাঙ্কিকাটির অংশ হিসেবে এই গানটি
প্রকাশিত হয়েছিল।
-
তুমি মলিন-বাসে থাক যখন [তথ্য]
১৩৩০ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে 'দোলন-চাঁপা' কাব্যগ্রন্থে
অন্তর্ভুক্ত গানটির শিরোনাম ছিল 'সাধের ভিখারিনী'।
উল্লিখিত গ্রন্থের গানগুলো ছাড়া এই মাসে জয়তী
পত্রিকার 'আশ্বিন ১৩৩৭' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল প্রকাশিত
হয়েছিল
প্রলয় শিখা কাব্যগ্রন্থের
প্রথম অশ্রু
নামক কবিতা।
অক্টোবর ১৯৩০ (১৪
আশ্বিন- ১৪ কার্তিক ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ)
এই মাসে নজরুল তাঁর নিষিদ্ধ কাব্যগ্রন্থ
প্রলয় শিখা এবং তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে এই
মাসের শুরু হয়েছিল। এই মামলা নিয়ে নজরুল অত্যন্ত উৎকণ্ঠার ভিতর দিয়ে ব্যস্ত সময়
কাটান। তিনি আইনজীবীদের সাথে কথা বলেন। এর সাথে ছিল তাঁর আর্থিক সমস্যা। ফলে এই মাসে
তাঁর রচনা থেমে গিয়েছিল।
প্রলয় শিখা-মামলা'র অগ্রগতি
- ১১ অক্টোবর (শনিবার ২৪ ভাদ্র ১৯৩০), চিফ সেক্রেটারি এক পত্রে পুলিশ
কমিশনারকে জানান যে- গভর্নর ইন কাউন্সিল ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪-ক ধারা অনুসারে
প্রলয় শিখার, মুদ্রক ও প্রকাশক কাজী নজরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করার প্রস্তাব
অনুমোদন করা হয়েছিল এবং এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য ইন্সপেক্টর জি এস
রায়কে ক্ষমতা অর্পণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল।
- ২৫ অক্টোবর (শনিবার ৮ কার্তিক ১৩৩৭) কলকাতা ডিক্টেটিভ ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর
জি এস রায় কলকাতার চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে নজরুলের বিরুদ্ধে
অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগের সূত্রে আদালত থেকে নজরুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি
পরোয়ানা জারি করা হয়।
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গানের তালিকা
-
এইচএমভি। অক্টোবর ১৯৩০ (আশ্বিন-কার্তিক ১৩৩৭) । রেকর্ড নম্বর
এন ৩১৩৫। শিল্পী আশ্চর্যময়ী দাসী।
- আমি কি সুখে লো গৃহে রবো
[তথ্য]
- কেন প্রাণ ওঠে কাঁদিয়া [তথ্য]
লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো- ইতিমধ্যে এইচএমভির রেকর্ডগুলো ছিল
'পি' সিরিজের। এই রেকর্ডটি ছিল 'এন' সিরিজের রেকর্ড।
নভেম্বর ১৯৩০ (১৫ কার্তিক- ১৪ অগ্রহায়ণ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ)
এই মাসে নজরুল তাঁর নিষিদ্ধ কাব্যগ্রন্থ
প্রলয় শিখা এবং তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে পুরো
মাস জুড়ে ব্যস্ত ছিলেন। এর ভিতরে তাঁর প্রথম নাটিকা সংকলন 'ঝিলিমিলি' প্রকাশিত
হয়েছিল। এছাড়া পত্রিকান্তরের প্রকাশিত হয়েছিল দুটি গান।
প্রলয় শিখা-মামলা'র অগ্রগতি
- ৬ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার ২০ কার্তিক ১৩৩৭) নজরুলকে গ্রেফতার করা হয়। চিফ প্রেসিডেন্সি
ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে বিচারের সময়ে আসামীপক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, নজরুল ইসলাম
উত্ত গ্রস্থের লেখক হলেও প্রকাশক বা মুদ্রাকর নন এবং তিনি
কাউকে বইটি প্রকাশ বা মুদ্রণ করতে দেন নি। ব্রজবিহারী বর্মণও বইটি প্রকাশ ও
মুদ্রণের দায়িত্ব স্বীকার করেন নি। সরকারপক্ষ বলেন যে, পুস্তকটি গ্রস্থকারের অজ্ঞাতে
প্রকাশিত হয়নি, তিনি বর্মণ পাবলিশিং প্রেসে প্রকাশের জন্য লেখাগুলি দিয়েছিলেন,
ওই প্রকাশকের কাছ থেকে আংশিকভাবে টাকা পেয়েছিলেন এবং মুদ্রিত বইয়ের এক শ কপি
গ্রহণ করেছিলেন। এই সময় নজরুলের জামিনের আবেদন করলে, আদালত ৫০০ টাকার জামিনে মুক্তি
দেওয়া হয়।
- ১৪ নভেম্বের (শুক্রবার ২৮ কার্তিক ১৩৩৭) কলকাতা চিফ প্রেসিডেন্সি
ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে বাজেয়াপ্ত প্রলয় শিখার মাধ্যমে নজরুলের বিরুদ্ধে
রাজদ্রোহ প্রজারের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি
হয়। এই সময় নজরুল নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন।
- ২১ নভেম্বর (শুক্রবার ৫ অগ্রহায়ণ ১৩৩৭) প্রলয় শিখা প্রকাশ এবং
নজরুলের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের শুনানি হয়। এই শুনানিতে সরকার পক্ষের ৪ জন
সাক্ষীর জেরার পর মামলটি ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতুবি করা হয়।
- ২৮ নভেম্বর (শুক্রবার ১২ অগ্রহায়ণ ১৩৩৭) কলকাতা চিফ প্রেসিডেন্সি
ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলার অন্যান্য সকল সাক্ষীদের শুনানি হয়। এদিন সাক্ষ্য
দিয়ে ছিলেন- বর্মন পাবলিশিং হাউস ও মহামায়া প্রেসের মালিক ব্রজবিহারী বর্মণ,
বৈতালিক পত্রিকার সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ ভৌমিক, মহামায়া প্রেসের কম্পোজিটর
মতিলাল দত্ত ও প্রলয় শিখা প্রকাশের ব্রজবিহারী বর্মণের সহযোগী দেবজ্যোতি বর্মণ।
এই মামলায় নজরুলের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট কেশব দত্ত।
নাট্য-সংকলন ঝিলিমিলি।
১৩৩৭ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসে প্রকাশিত হয়েছিল 'ঝিলিমিলি'
নামক নাট্যসংকলনের প্রথম সংস্করণ। এই সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল তিনটি নাটিকা। এগুলো হলো- ঝিলিমিলি, সেতুবন্ধ
ও শিল্পী। এর ভিতরে 'ঝিলিমিলি' নাটিকার নামে এই সংকলনের নামকরণ করা হয়েছিল। এই তিনটি
নাটিকাই পূর্বে প্রকাশিত হয়েছিল
- ঝিলিমিলি : প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল নওরোজ পত্রিকার 'আষাঢ়
১৩৩৪' সংখ্যায়। রচনার স্থান ও তারিখ ছিল- কৃষ্ণনগর,
২৫শে জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৪। এই গ্রন্থে ব্যবহৃত সবগুলো গানই পূর্বে রচিত। গ্রন্থের চারটি
গানই নওরোজ পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৪' সংখ্যায় ঝিলিমিলি
নাটক প্রকাশের সময় রচিত হয়েছিল নজরুলের ২৮ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে। গ্রন্থভুক্তির
সময় নতুন কোনো গান যুক্ত হয়নি। এই চারটি গান হলো-
- ঝরে ঝর ঝর কোন্ গভীর গোপন
[তথ্য]
- হৃদয় যত নিষেধ হানে
[তথ্য]
- শুকালো মিলন-মালা
[তথ্য]
- স্মরণ পারের ওগো প্রিয়
[তথ্য]
- সেতুবন্ধ: নাটিকাটির প্রথম ও দ্বিতীয় দৃশ্য প্রথম প্রকাশিত
হয়েছিল নওরোজ পত্রিকার 'শ্রাবণ ১৩৩৪' সংখ্যায়। এই
দুটি দৃশ্যে ৫টি গান নতুন ছিল। নজরুলের ২৮ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে। গানগুলো হলো-
- গরজে গম্ভীর গগনে কম্বু
[তথ্য]
- অধীর অম্বরে গুরু গরজন [তথ্য]
- হাজার তারার হার হয়ে গো [তথ্য]
- নমো হে নমো যন্ত্রপাতি [তথ্য]
- চরণ ফেলি গো মরণ-ছন্দে
[তথ্য]
১৩৩৭ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসে প্রকাশিত সংকলনে অন্তর্ভুক্ত 'সেতুবন্ধ'
নাটিকা'র তৃতীয় দৃশ্যে দুটি গান যুক্ত হয়েছিল।
গান দুটি হলো-
- নমো নমো নমঃ হিম-গিরি-সূতা
[তথ্য]
- হর হর শঙ্কর! জয় শিব শঙ্কর
[তথ্য]
- শিল্পী (নাটিকা):
সাপ্তাহিক সওগাত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
প্রকাশকাল জানা যায় নি। ১৩৩৭ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসে প্রকাশিত
'ঝিলিমিলি' নাট্যসংকলনের দ্বিতীয় সংস্করণে প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। এই নাটকে কোনো
গান ব্যবহৃত হয় নি।
বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রকাশিত নজরুল রচনাবলী তৃতীয় খণ্ডে
অন্তর্ভুক্ত ঝিলিমিলি নাট্যসংকলনে 'ভুতের ভয়' একটি
নাটিকা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই নাটকটির রচনাকাল এবং প্রকাশকাল সম্পর্কে কিছু জানা
যায় নি। এই গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণটি কবে
প্রকাশিত হয়েছিল, তা জানা যায় না।
এই মাসে প্রকাশিত দুটি গান
- পরজনমে দেখা হবে প্রিয় [তথ্য]
১৩৩৬
বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে
প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
এই মাসে উত্তরা পত্রিকার 'অগ্রহায়ণ ১৩৩৭' সংখ্যায় গানটি প্রকাশিত হয়েছিল।
- তিমির -বিদারী অলখ-বিহারী
[তথ্য]
জয়তী। 'কার্তিক-অগ্রহায়ণ, ১৩৩৭' সংখ্যা। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের ২৪শে ডিসেম্বর, মন্মথ রায় রচিত 'কারাগার' নাটকটি মঞ্চস্থ
হয়েছিল 'মনোমোহন থিয়েটারে। এটি ব্যবহৃত হয়েছিল 'ধরিত্রী' চরিত্রের গান হিসেবে।
শিল্পী ছিলেন নীহারবালা। গানটি পরে চন্দ্রবিন্দু গীতিগ্রন্থে
সংকলিত হয়েছিল।
ডিসেম্বর ১৯৩০ (১৫ অগ্রহায়ণ -১৬ পৌষ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ)
এই মাসে নজরুলের নিষিদ্ধ কাব্যগ্রন্থ
প্রলয় শিখা সংক্রান্ত মামলা আদালতের রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে ছ-মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত
হন, পরে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করে, জামিনে মুক্তি পান। এছাড়া এই মাসে মন্মথ রায়ের
রচিত কারাগার নাটক মঞ্চস্থ হয়। এতে নজরুলের গান যুক্ত করা হয়েছিল।
প্রলয় শিখা-মামলা'র অগ্রগতি
- ১১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার ২৫ অগ্রহায়ণ ১৩৩৭), কলকাতা চিফ প্রেসিডেন্সি
ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে প্রলয় শিখা কাব্যগ্রন্থ সংক্রান্ত সকল সওয়াল-জবাব সমাপ্ত হয়।
- ১৫ ডিসেম্বর (সোমবার ২৯ অগ্রহায়ণ ১৩৩৭) প্রলয়-শিখা
গ্রন্থের 'নবভারতের হলদিঘাট' 'যতীন দাস' ও 'জাগরণ' কবিতা তিনটি আপত্তিকর বিবেচিত
হওয়ায়, কলকাতা চিফ প্রেসিডেন্সি
ম্যাজিস্ট্রেটে বিচারক টি রক্সবার্গ ভারতীয় দণ্ডবিধি ১২৪-ক ধারা মোতাবেক নজরুলকে
অপরাধী সাব্যস্ত করে ছ-মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এরপর নজরুল এই রায়ের
বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি গ্রাহামের আদলতে আপিল করেন। এই আবেদন
গৃহীত হয় এবং তিনি জামিনে মুক্তি পান। এই সময় নজরুলের পক্ষের মূল আইনজীবীরা ছিলেন-
সন্তোষকুমার বসু। সহযোগী আইনজীবীরা ছিলেন- মণীনন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোলানাথ
রায়, দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, পরিমল মুখোপাধ্যায় ও রামদাস মুখোপাধ্যায়।
বিচারকদলের বিচারকররা ছিলেন- লর্ড উইলিয়ামস ও এস কে ঘোষ।
- ২০ ডিসেম্বর (শনিবার ৫ পৌষ ১৩৩৭) জেলে যাওয়ার আশঙ্কা নিয়ে হবীবুল্লাহ
বাহারকে একটি ছোট্ট পত্র লিখেছিলেন। চিঠিতে তিনি এ বিষয়ে একটি লাইন
লিখেছিলেন- 'জেলে গেলে দেখা কোরো সেখানে গিয়ে।'
[হবীবুল্লাহ বাহার-কে লেখা
পত্র]
২৪শে ডিসেম্বর
(বুধবার ৯ পৌষ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ),
মন্মথ রায়ের
নাটক
কারাগার,
মনোমোহন থিয়েটারে মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে মোট ৮টি গান ব্যবহৃত হয়েছিল। এর
ভিতরে প্রত্যেকটি গানের কথা ও
সুর রচনা করেছিলেন নজরুল। বাস্তবে ধরিত্রী চরিত্র ছাড়াও আরো দুটি নজরুলে গান
ব্যবহৃত হয়েছিল।
নিচে নাটকে ব্যবহৃত সমুদয় গানের তালিকা তুলে ধরা হলো-
- প্রস্তাবনা:
ধরিত্রীর গান:
- জাগো জাগো শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম-ধারী কাঁদে ধরিত্রী
[বাণী ও সুর নজরুল ইসলাম] [তথ্য]
- প্রথম অঙ্ক। দৃশ্য এক
- কঙ্কা ও পূজারীগণের গান: জয় জয় জয় ভগবান [বাণী: হেমেন্দ্রকুমার
রায়। সুর: নজরুল ইসলাম]
- কঙ্কণের গান: ফুল্-বাড়ীতে ফুট্ল যে ফুল [বাণী: হেমেন্দ্রকুমার
রায়। সুর: নজরুল ইসলাম]
- দ্বিতীয় অঙ্ক। দৃশ্য এক
- নর্তকীগণের গান: রূপ-সায়রে সোনার কমল [বাণী: হেমেন্দ্রকুমার
রায়। সুর: নজরুল ইসলাম]
- নর্তকীগণের গান: কেউ যাবনা স্বর্গে, রাজা [বাণী:
হেমেন্দ্রকুমার রায়। সুর: নজরুল ইসলাম]
- দ্বিতীয় অঙ্ক। দৃশ্য তিন
- সমবেত সঙ্গীত: অচেতন নারায়ণ [বাণী: হেমেন্দ্রকুমার রায়। সুর:
নজরুল ইসলাম]
- কঙ্কার ছড়াগান: আয় উড়ে আয় মৌমাঝি বৌ [বাণী: হেমেন্দ্রকুমার রায়।
সুর: নজরুল ইসলাম]
- তৃতীয় অঙ্ক। দৃশ্য এক
- নর্তকীগণের গান: সুন্দরী গো সুন্দরী [বাণী: হেমেন্দ্রকুমার রায়।
সুর: নজরুল ইসলাম]
- চন্দনার গান: আরতি নাও মরমের [বাণী: হেমেন্দ্রকুমার রায়।
সুর: নজরুল ইসলাম]
- তৃতীয় অঙ্ক। দৃশ্য দুই
- ধরিত্রীর গান: মন্দিরে মন্দিরে জাগো (বন্দীর মন্দিরে জাগো)
[তথ্য]
- তৃতীয় অঙ্ক। দৃশ্য চার
- ধরিত্রীর গান: কারা-পাষাণ ভেদি'জাগো নারায়ণ
[তথ্য]
জয়তী পত্রিকার 'পৌষ ১৩৩৭ সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। ডিসেম্বর
মাসের শুরুর দিকেই নজরুল গানটি রচনা করেছিলেন এই নাটকের জন্য।
- তৃতীয় অঙ্ক। দৃশ্য ছয়
- ধরিত্রীর গান: পূজা দেউলে মুরারি শঙ্খ নাহি বাজে
[তথ্য]
- তৃতীয় অঙ্ক। দৃশ্য সাত
- নর্কীদের গান: ঘুম ঘুম ঘুম ধরার আঁখি [বাণী: হেমেন্দ্রকুমার রায়।
সুর: নজরুল ইসলাম]
- চতুর্থ অঙ্ক। দৃশ্য দুই
- চন্দনার গান: অগ্নি-রাগে
গান ধ'রে
[বাণী: হেমেন্দ্রকুমার রায়। সুর: নজরুল ইসলাম]
- কঙ্কণ ও কঙ্কার গান: 'আজি শৃঙ্খলে বাজিছে মাভৈঃ'।
[তথ্য]
- চতুর্থ অঙ্ক। দৃশ্য চার
- ধরিত্রীর গান: নাহি ভয় নাহি ভয়
[তথ্য]
- পঞ্চম অঙ্ক। দৃশ্য এক
- চন্দনার গান: নীরন্ধ্র মেঘে মেঘে অন্ধ গগন
[তথ্য]
গানটি নাচঘর পত্রিকার ৩রা পৌষ ১৩৩৭ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। ডিসেম্বর
মাসের শুরুর দিকেই নজরুল গানটি রচনা করেছিলেন এই নাটকের জন্য।
মন্মথ রায় নাট্যগ্রন্থাবলী দ্বিতীয় খণ্ড [জগদ্ধাত্রী পূজা ১৩৫৮। ২৫শে
নভেম্বর ১৯৫১। কারাগার] থেকে
নাট্যকারের উক্তি থেকে জানা যায়- 'ধরিত্রীর গানগুলো
শ্রীযুক্ত নজরুল ইসলাম রচনা করিয়াছেন।' এই নাটকের পঞ্চম অঙ্কের, প্রথম দৃশ্যে
(এক) গানটি ব্যবহৃত হয়েছে 'চন্দনার গান' হিসেবে। সে বিচারে
ধরা যায় যে, গানটি নজরুলের নয়। কিন্তু নজরুলের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত তাঁর
রচিত
চন্দ্রবিন্দু'র প্রথম সংস্করণে [সেপ্টেম্বর ১৯৩১, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ।]
গানটি স্থান
পেয়েছিল। তাই নাট্যকারে উক্তিকে সত্য বলে মেনে নেওয়া যায় না।
- পঞ্চম অঙ্ক। দৃশ্য দুই
- ধরিত্রীর গান: তিমির -বিদারী অলখ-বিহারী
[তথ্য]
গানটি প্রথম
প্রকাশিত হয়েছিল 'জয়তী' পত্রিকার 'কার্তিক-পৌষ ১৩৩৭' সংখ্যায়। গানটির শিরোনাম
ছিল 'কারাগারে গান'। নভেম্বরের শেষের দিকে এই নাটকের জন্যই গানটি রচনা করেছিলেন।
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত গানের তালিকা
- কুসুম সুকুমার শ্যামল তনু
[তথ্য]
জয়তী পত্রিকার 'পৌষ ১৩৩৭' (ডিসেম্বর ১৯৩১) সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। গানটি পরে
মন্মথ রায়ের অপর একটি নাটক 'সাবিত্রী'র তৃতীয় অঙ্ক। তৃতীয় দৃশ্যে, শাশ্বতী ও আশ্রম বালিকাগণের গান
হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল।
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত গানের রেকর্ডের তালিকা
- এইচএমভি। ডিসেম্বর ১৯৩০ (১৫ অগ্রহায়ণ -১৬ পৌষ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ)। রেকর্ড নম্বর এন ৩২৬২। শিল্পী হরিমতি
- এ বাসি বাসরে আসিলে কে গো ছলিতে
[তথ্য]
- কে বিদেশী বন-উদাসী
[তথ্য]
জানুয়ারি ১৯৩১ (১৭ পৌষ-১৭ মাঘ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ)
এই মাসে নজরুলের রচিত কোনো নতুন রচনার সন্ধান পাওয়া যায় নি। মন্মথ রায়ের কারগার
নাটকের রচিত তিনটি গান পত্রিকায় এবং পূর্বে রচিত ৪টি গান সম্বলিত ২টি রেকর্ড
প্রকাশিত হয়েছিল।
- জয়তি পত্রিকায় পৌষ ১৩৩৭ সংখ্যায় প্রকাশিত কারাগার নাটকের ৩টি গান।
- কারা-পাষাণ ভেদি'জাগো নারায়ণ
[তথ্য]
- পূজা দেউলে মুরারি শঙ্খ নাহি বাজে
[তথ্য]
- নাহি ভয় নাহি ভয়
[তথ্য]
রেকর্ডে প্রকাশিত ৪টি গান
- ১৪তম রেকর্ড
এইচএমভি। জানুয়ারি ১৯৩১ (১৭ পৌষ-১৭ মাঘ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ)। রেকর্ড নম্বর পি
১১৬৮২। শিল্পী ইন্দুবালা
- কেন আন ফুলডোর আজি বিদায় বেলা
[তথ্য]
- যাও যাও তুমি ফিরে
[তথ্য]
- ১৫তম রেকর্ড
এইচএমভি। জানুয়ারি ১৯৩১ (১৭ পৌষ-১৭ মাঘ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ)। রেকর্ড নম্বর পি
১১৬৮৭। শিল্পী কাশেম মল্লিক
- করুণ কেন অরুণ আখিঁ
[তথ্য]
- মুসাফির, মোছ্ রে আঁখি -জল
[তথ্য]
ফেব্রুয়ারি ১৯৩১ (১৮ মাঘ -১৬ ফাল্গুন ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ)
মন্মথ রায় এবং শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের নাটকের জন্য গান রচনা এবং নাটকের গানের সুর
করার সূত্রে কলকাতার থিয়েটার জগতে নজরুলের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই সূত্রে ১৯৩১
খ্রিষ্টাব্দের ২১শে ফেব্রুয়ারি (শনিবার ৯ ফাল্গুন ১৩৩৭), কলকাতার ম্যাডান থিয়েটার
লিমিটেড তাঁকে নিয়মিত বেতনভোগী সঙ্গীত নির্দেশক তথা 'সুর ভাণ্ডারী' হিসেবে দায়িত্ব
দিয়েছিল।
এই সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছিল নাচঘর পত্রিকার ১লা ফাল্গুন ১৩৩৭ এবং ২১ ফেব্তুয়ারি
১৯৩১ সংখ্যায়।
মার্চ
১৯৩১ (১৭ ফাল্গুন-১৭ চৈত্র ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ)
৫ই মার্চ (২১ ফাল্গুন ১৩৩৭)
গান্ধী-আরউইন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির
অন্যতম শর্ত ছিল সমস্ত রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়া। এই সূত্রে নজরুল প্রলয় শিখা
প্রকাশ-ঘটিত মামলা থেকে মুক্তি লাভ করেন।
১৪ মার্চ 'ক্রাউন টকি হাউস'-
ম্যাডান থিয়েটার কোম্পানির 'জলসা' নামক সবাক চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। উল্লেখ্য,
ভারতীয় প্রথম সবাক চলচ্চিত্র। এই ছবিতে নজরুল নারী কবিতা আবৃত্তি আবৃত্তি দুটি
ভূমিকায় কণ্ঠদান করেছিলেন। এছাড়া এই ছবিতে তিনি একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন। তবে কোন
গানটি গেয়েছিলেন তা জানা যায় নি।
'জলসা;' ছবির মুক্তি উপলক্ষে একটি প্রচার পুস্তিকা প্রকাশিত হয়েছিল। এই পুস্তিকর
একটি গান- নজরুলের রচিত বলে ধারণ কারা হয়। গানটি হলো-
ফুটল গোলাপ ফুলের কুঁড়ি দেখবি যদি আয় [তথ্য]
এই পুস্তিকায় কুশীলবদের তালিকা কবিতা আকারে মুদ্রিত হয়েছিল। ধারণা করা হয়- এটিও
ছিল নজরুলের রচিত। এই কবিতার ৭ম পঙ্ক্তিতে নজরুলের নাম পাওয়া যায়। কবিতাটি হলো-
অহীন্দ্র অমর দানী মাস্টার মোহন,
কুপার গোপাল চারু মুন্নী শ্যামধন,
দর্গাদাস নির্মলেন্দু জয়-নারায়ণ,
ক্ষীরোদ বিজয় মিস লাইট রমণ,
ফুলু ছায়া দাদা ভাই ন'বৎ রাজার,
সরযূ বালিকা-ছাত্রি ব্রজেন্দ্র নিশার,
শচীন নজরুল ইন্দু নরেশ ধীরাজ
সবাক চিত্রের পটে হয়েছে সিরাক।
২৫ মার্চ (বুধবার ১১ চৈত্র ১৩৩৭) হেমেন্দ্রকুমার রায়ের নাটক 'ধ্রুবতারা' প্রথম মঞ্চস্থ হয়।
উল্লেখ্য, যতীন্দ্রমোহন সিংহের উপন্যাস 'ধ্রুবতারা'-কে তিনি নাট্যরূপ দিয়েছিলেন। এই
নাটকে হেমেন্দ্রচন্দ্র ৬টি স্বরচিত গান ব্যবহার করেছিলেন। এর ভিতরে, ৪টি গানের সুর
করেছিলেন নজরুল।
এই মাসে প্রকাশিত রচনা-তালিকা
- শিশু জাদুকর। [কবিতা]
জয়তী পত্রিকার ফাল্গুন-চৈত্র ১৩৩৭ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। পুতুলের বিয়ে
গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
এপ্রিল
(১৮ চৈত্র ১৩৩৭-
১৭ বৈশাখ ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)
১১ এপ্রিল (শনিবার, ২৮ চৈত্র ১৩৩৭)
বাংলা সবাক
চিত্র 'জামাই ষষ্ঠী' মুক্তি পায়।
মূলত তিনি যুক্ত হয়েছিলেন
প্রশিক্ষক হিসেবে। তিনি চলচ্চিত্রের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সংলাপের জন্য শুদ্ধ
উচ্চারণ, কণ্ঠশিল্পীদের গানের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। এই ছবিতে
নজরুলের কোনো গান ব্যবহৃত হয় নি।
এই মাসেই নজরুলের সাথে
ম্যাডান থিয়েটার কোম্পানির বনিবনা না হওয়ায়- এই থিয়েটার ত্যাগ করেন।
এই মাসে জয়তী পত্রিকায় বৈশাখ ১৩৩৮
(এপ্রিল-মে ১৯৩১) সংখ্যায় দুটি গান প্রকাশিত হয়েছিল। গানটি হলো-
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গানের তালিকা
-
ভিয়েলাফোন। এপ্রিল ১৯৩১।
শিল্পী: বি
গোস্বামী
- টি ৬০০১।
- কে বিদেশী বন-উদাসী
[তথ্য]
- রুম্ ঝুম্ রুম্ ঝুম্ কে এলে নূপুর পায় [তথ্য]
- টি ৬০১৩।
- বউ কথা কও বউ কথা কও
[তথ্য]
- আজি ঘুম নহে, নিশি জাগরণ
[তথ্য]
- টি ৬০২৪।
- ফাগুন রাতে ফুলের নেশায়।
[তথ্য]
শিল্পী: মিস সত্যরানী
- আমার কোন কূলে আজ ভিড়লো তরী
[তথ্য]।
শিল্পী: উমাপদ ভট্টাচার্য
১-১০ মে ১৯৩১ (১৮ বৈশাখ-১০ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)
নজরুলের জীবনের ৩১তম অতিক্রান্ত বয়সের শেষ কয়েকদিনে তাঁর রচিত কোনো নতুন রচনার
সন্ধান পাওয়া যায় নি।
জ্যৈষ্ঠ মাসে সঙ্গীত-বিজ্ঞান প্রবেশিকা পত্রিকায় একটি গান স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত
হয়েছিল।
- সঙ্গীত-বিজ্ঞান প্রবেশিকা। জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৮।
সূত্র
- কাজী নজরুল। প্রাণতোষ ভট্টাচার্য। ন্যাশনাল বুক এজেন্সী প্রাইভেট
লিমিটেড। কলকাতা-১২। ১৩৭৩ বঙ্গাব্দ
- কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতিকথা। মুজফ্ফর আহমদ। ন্যাশনাল বুক এজেন্সি
প্রাইভেট লিমিটেড। ১২ বঙ্কিম চ্যাটার্জী স্ট্রীট, কলিকাতা-১২। প্রথম সংস্করণ
সেপ্টেম্বর ১৯৬৫।
- ঠাকুর-বাড়ির আঙিনায়। জসিম উদ্দিন। গ্রন্থপ্রকাশ। কলিকাতা।
- নজরুল-জীবনী। রফিকুল ইসলাম। নজরুল ইন্সটিটউট, ঢাকা। ২০১৫
খ্রিষ্টাব্দ।
- নজরুল তারিখ অভিধান। মাহবুবুল হক। বাংলা একাডেমী, ঢাকা। জুন ২০১০
খ্রিষ্টাব্দ।
- নজরুল যখন বেতারে। আসাদুল হক। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী। মার্চ ১৯৯৯।
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। প্রথম-দ্বাদশ খণ্ড [বাংলা
একাডেমী, ঢাকা]
- নজরুল সঙ্গীত নির্দেশিকা। ব্রহ্মমোহন ঠাকুর [কবি নজরুল ইনস্টিটিউট। আষাঢ়
১৪২৫/জুন ২০১৮]
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ (নজরুল ইনস্টিটিউট, ফেব্রুয়ারি ২০১২)।
- নাট্যকার নজরুল। অনুপম হায়াৎ। নজরুল ইন্সটিটিউট। জুন ১৯৯৭।
- বিদ্রোহী-রণক্লান্ত, নজরুল জীবনী। গোলাম মুরশিদ। প্রথমা, ঢাকা।
ফেব্রুয়ারি ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ।
- কারাগার। মন্মথ রায়
নাট্যগ্রন্থাবলী। দ্বিতীয় খণ্ড। মনমথন প্রকাশন। ২২১ সি, বিবেকানন্দ রোড। কলিকাতা
-৭০০০০৬। ১৯৫৮। পৃষ্ঠা: ৩৫-১২২।
- মহুয়া। মন্মথ রায়
নাট্যগ্রন্থাবলী। চতুর্থ খণ্ড। মনমথন প্রকাশন। ২২১ সি, বিবেকানন্দ রোড। কলিকাতা
-৭০০০০৬। ১৯৫৮। পৃষ্ঠা: ১৭৭-২৫৪।