নজরুলের শাক্তসঙ্গীত
নজরুলসঙ্গীতের বিষয়ভিত্তিক শ্রেণিকরণে, নজরলের রচিত
শাক্ত সঙ্গীত হলো- ভক্তি পর্যায়ের একটি উপবিভাগ। অষ্টাদশ
শতবাদীতে কবিরঞ্জন রামপ্রসাদ সেন
(১৭২০-১৭৭৫ খ্রিষ্টাব্দ)
শাক্তসঙ্গীতের
নবতর
ধারার শুভ সূচনা
করেন। মূলত তাঁর দ্বারাই বাংলাগানে
শাক্ত সঙ্গীত নামক নবতর ধারা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তাঁরই পথ
ধরে পরবর্তী সময়ে মহারাজ নন্দকুমার (১৭০৫-৭৫),
রঘুনাথ রায় (১৭৫০-১৮৩৬), পাঁচালিকার
দাশরথি রায় (১৮০৬-১৮৫৭
খ্রিষ্টাব্দ), রসিক
চন্দ্র রায় (১৮২০-৯৩), প্রমুখ
শাক্তসাধকবৃন্দ এই ধারাকে উজ্জীবিত করে রেখেছিলেন।
ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্থে
কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) এই ধারকে উৎকর্ষ ধারায়
পৌঁছে দিয়েছিলেন। বাণী ও সুরের বিচারে তাঁকে সর্বকালে শ্রেষ্ঠ শাক্তসঙ্গীত রচয়িতা
হিসেবে আখ্যায়িত করলে, বোধ করি তা অতিরঞ্জিত হয়ে না।
শাক্ত সঙ্গীতের মূল দেবী দুর্গা। কিন্তু দুর্গার স্বামী
হিসেবে দুর্গার শিবের অংশভাগী। তাই শিব-বন্দনাও শাক্ত-সঙ্গীতের অংশ হিসেবে বিবেচনা
করা হয়।
নজরুলের সঙ্গীত রচনার প্রথম পর্বের সূচনা হয়েছিল লেটো গানের মধ্য দিয়ে। এই পর্যায়ে
লেটো পালার জন্য রচনা করেছিলেন
ভক্তি-গীতি। এর অধিকাংশ ইসলামী গান ও রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক গান। আর প্রথম যুদ্ধের শেষে
পল্টন-ফেরত নজরুল ভক্তি পর্যায়ের প্রথম গান। এই গানের প্রভু কোনো বিশেষ ধর্মের মতের
নয়। মূলত ব্রিটিশ ভারতে পরাধীনতার গ্লানি থেকে উদ্ধারের জন্য প্রভুর কাছে ভক্তের
প্রার্থনা। তাই এই গানের পর্যায় বিশ্লেষণে বলা যেতে পারে- ভক্তি (সাধারণ, প্রার্থনা,
স্বদেশ)।
প্রকাশের বিচারে নজরুলের শাক্ত সঙ্গীতকে প্রধান
শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। ভাগ তিনটি হলো-
-
রেকর্ডে প্রকাশিত শাক্ত সঙ্গীত
-
শ্রীমন্ত
[শ্রুতি নাটক]। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর (আশ্বিন-কার্তিক ১৩৪২) মাসে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি নজরুলের রচিত শ্রীমন্তী নাটক প্রকাশ করেছিল। এই নাটকে দুটি শাক্ত সঙ্গীত অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
-
সুরথ-উদ্ধার। ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর
(কার্তিক-অগ্রহায়ণ ১৩৪৩) মাসে, রেকর্ডে মন্মথ রায়ের রচিত 'সুরথ উদ্ধার' নাটক
প্রকাশিত হয়েছিল। 'হিজ মাস্টার্স ভয়েস'-এর প্রচার পুস্তিকায় এই নাটকের গানের বাণী
মুদ্রিত হয়েছিল। এই নাটকে রটি নজরুলের রচিত শাক্ত-সঙ্গীত
ব্যবহৃত হয়েছিল।
-
বেতারে
প্রকাশিত শাক্ত-সঙ্গীত
-
আগমনী
:
নজরুল ইসলামের রচিত গীতিচিত্র।
১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে
৬ অক্টোবর (রবিবার ২০ আশ্বিন ১৩৪৭),
সন্ধ্যা ৭.২০টায়
কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে এই
গীতিচিত্রটি
প্রচারিত হয়েছিল। এর
বিষচয়বস্তু ছিল দুর্গার আগমনী
গান। এই গীতিচিত্রে মোট
৬টি গান অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
-
দেবীস্তুতি:
নজরুল ইসলামের রচিত
গীতি-আলেখ্য।
১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ শে জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার
১৩ মাঘ ১৩৪৪), ৬.২১টা থেকে ৭.৫০টা পর্যন্ত, কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে নজরুলের রচিত 'দেবস্তুতি' নামক গীতি আলেখ্য
প্রচারিত হয়। এই অনুষ্ঠানের ব্যাখ্যা করেছিলেন নজরুল ইসলাম। সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন
নিতাই ঘটক। এতে যন্ত্রসঙ্গীতে ছিল বাসন্তী যন্ত্রীকুঞ্জ।
গীতি-আলেখ্যে নজরুলের রচিত মোট ১১টি গান প্রচারিত হয়েছিল।
-
বিজয়া
[শ্রুতি নাটক]।
কাজী
নজরুল ইসলামের রচিত
গীতি-আলেখ্য।
১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দ ২২ অক্টোবর
(রবিবার, ৫ কার্তিক ১৩৪৬), দুর্গা পূজার দশমী উপলক্ষে- কলকাতা-ক
এর প্রথম অধিবেশনে সকাল ৯টায় এটি প্রচারিত হয়েছিল 'বিজয়া
দশমী' নামে। রচনা এবং
প্রযোজনায় ছিলেন
কাজী
নজরুল ইসলাম। সহযোগী হিসেবে ছিলেন অমরেন্দ্রনাথ অধিকারী এবং
সুশীলরঞ্জন সরকার। এই গীতি-আলেখ্যে মোট ৬টি শাক্ত-সঙ্গীত
প্রচারতি হয়েছিল।
- মঞ্চ নাটক
- সতী:
মন্মথ রায়ের রচিত এই নাটকটি ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ এপ্রিল (বুধবার, ১৫
বৈশাখ ১৩৪৪), কলকাতার
নাট্যনিকেতন মঞ্চে অভিনীত হয়েছিল। এই নাটকে নজরুলের রচিত ১০টি গান ব্যবহৃত
হয়েছিল। এর ভিতরে শাক্ত-সঙ্গীত ছিল ৯টি।
-
গ্রন্থাদিতে প্রকাশিত শাক্ত-সঙ্গীত:
-
রাঙাজবা:
নজরুলের রচিতে শাক্ত-সঙ্গীতের সবচেয়ে বড় সংকলন । নজরুলের জীবদ্দশায় এই নামে কোনো গ্রন্থ প্রকাশিত হয় নি। নজরুলের অসুস্থ অবস্থায়
১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম দিকে নজরুলের শাক্ত সঙ্গীতের সংকলন হিসাবে গ্রন্থ প্রকাশের
উদ্যোগ নিয়েছিল হরফ প্রকাশনী। এই গ্রন্থে গানের সংখ্যা ১০০ থাকলেও, ৯৯টি গান
স্থান পেয়েছিল। কারণ, 'কেন আমায় আনিলি মাগো' গানটি দুইবার (গান সংখ্যা ৬৪ ও ৯৫)
অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
এছাড়া, অন্যান্য গীতি- সংকলনে বহু শাক্ত-সঙ্গীত
অন্তরভুক্ত হয়েছিল।
-
পত্রিকায় প্রকাশিত শাক্ত-সঙ্গীত: বেতার-জগৎ,
সঙ্গীতবিজ্ঞান প্রবেশিকা পত্রিকা ইত্যদিতে বহু শাক্ত সঙ্গীত প্রকাশিত হয়েছিল।
নজরুলের শাক্ত-সঙ্গীতের বিষয়-ভিত্তিক শ্রেণিকরণ১. আগমনী: শারদীয়া দুর্গা পূজার পূর্বে মহাদেবের পত্মী এবং গিরিরাজ হিমালয় ও মেনকার কন্যা উমার পিত্রালয়ে আগমন
উপলক্ষে পরিবেশিত গান। এ সকল গানে রয়েছে দেবীর যেমন-
- আনন্দ রে আনন্দ (দশ হাতে ঐ দশ দিকে মা ) [তথ্য]
- এবার নবীন-মন্ত্রে হবে জননী তোর উদ্বোধন
[তথ্য]
- এলো রে শ্রী দুর্গা [তথ্য]
- এলো শিবানী-উমা এলো [তথ্য]
- এসো আনন্দিতা ত্রিলোক-বন্দিতা [তথ্য]
- ওরে আলয়ে আজ মহালয়া (এলো মা আমার মা)
[[তথ্য]
-
জ্যোতির্ম্ময়ী মা এসেছে
[তথ্য]
- মা এসেছে মা এসেছে [তথ্য]
- মমা হবি না মেয়ে হবি
- মাগো তোমার অসীম মাধুরী [তথ্য]
২.
দুরগা বন্দনা:
এই জাতীয় গানে
দেবী দুর্গাকে বন্দনা করা হয়েছে। এই শ্রেণির গানে দুর্গা-বন্দনা উপস্থাপিত হয়েছে
দুটি ধারায়।
- প্রত্যক্ষ বন্দনা: দুর্গার বহুবিধ রূপ বর্ণার মধ্য দিয়ে এই শ্রেণির
গানে সরাসরি দুর্গা বন্দনা করা হয়েছে। এসকল গানে দুর্গাকে নানাবিধ নামে অভিহিত
করা হয়েছে। যেমন- কালী,
চণ্ডিকা, দুর্গা, নিশুম্ভ-বিনাশিনী,
শ্যামা, মহাকলি, মহাসরস্বতী, যোগমায়া,
রক্তদন্তিকা, হরপ্রিয়া।
- কে তোরে কি বলেছে মা [তথ্য]
- কে পরালো মণ্ডু-মালা [তথ্য]
- কে বলে মোর মাকে কালো [তথ্য]
- দেখে যা রে রুদ্রাণী মা সেজেছে [তথ্য]
- তোর কালো রূপ লুকাতে মা [তথ্য]
- নাচেরে মোর কালো মেয়ে
- মহাকালের কোলে এসে [তথ্য]
- মহাবিদ্যা আদ্যাশক্তি পরমেশ্বরী [তথ্য]
- মাগো আজো বেঁচে আছি
- মাত্ল গগন অঙ্গনে ঐ
[তথ্য]
- মায়ের অসীম রূপ (অসীম রূপ সিন্ধুতে
রে) [তথ্য]
- শ্মশান-কালীর নাম শুনে রে ভয় কে পায়] [তথ্য]
পরোক্ষ বন্দনা: এই শ্রেণির গানে শ্যামা বা দুর্গাকে বন্দনা করা হয়েছে-
দুর্গা-ভক্তির উপকরণাদির মাধ্যমে। এই বন্দনার মাধ্যম হিসেবে দেখা যায় ব্যক্তি,
ফুল ইত্যাদি ভিতরে রয়েছে যেমন-
- পুষ্প বন্দনা: বল্ রে জবা বল্ [তথ্য]
৩. বিজয়ার গান: শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়াতে দেবীর উদ্দেশ্যে রচিত
বিদায়ী গান
- এবার নবীন-মন্ত্রে হবে জননী তোর উদ্বোধন
[তথ্য]
- খড়ের প্রতিমা পূজিস রে তোরা (মাটির প্রতিমা)
[তথ্য]
- বিজয়োৎসব ফুরাইল মাগো
[তথ্য]
- মাকে ভাসায়ে জলে (মাকে ভাসায়ে ভাটির স্রোতে)
[তথ্য]
- মোরা মাটির ছেলে
[তথ্য]
- যাস্নে মা ফিরে,যাস্নে জননী
[তথ্য]
৪.পরমভক্তি: এই জাতীয় গানে ভক্ত দেবীর কাছে পরমভক্তিতে সমর্পিত।
শত-সহস্র আঘাত, দুঃখ-বেদনার মধ্যেও ভক্ত দেবী-ভক্তি থেকে বিচ্যুত হয় না। যেমন-
- মাগো আমি তান্ত্রিক নই [তথ্য]
- মোরে আঘাত যত আঘাত যত হান্বি শ্যামা
৫. প্রার্থনা:
সংসারের মোহ থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে- নিজের
অপারগতা প্রকাশ করে, দেবীর কাছে আত্মসমর্পণ করে মুক্তি প্রার্থনা করা হয়েছে এই
জাতীয় গানে। পরম দুঃখকে অবহেলা করে দেবীকে পাওয়ার আনন্দই যেন এই গানের ভক্তিরস।
এ ছাড়া এই জাতীয় গানে অতীতের কৃত্কর্মে জন্য অনুতপ্ত হয়ে, দেবীর কাছে ক্ষমা
প্রার্থনা করা হয় এই জাতীয় গানে।
- আঁধার ভীত এ চিত যাচে
[তথ্য]
- আমায় আর কত দিন মহামায়া
[তথ্য]
- আমার মুক্তি নিয়ে (মাগো আমার মুক্তি নিয়ে)
[তথ্য]
- আমি মুক্তা নিতে আসিনি মা [তথ্য]
- ওমা দুঃখ অভাব ঋণ যত মোর
[তথ্য]
- দুঃখ অভাব শোক দিয়েছ
[তথ্য]
- ভুল করেছি ও মা শ্যামা
[তথ্য]
- যে নামে মা ডেকেছিল
[তথ্য]
৬. অনুযোগ: যাপিত জীবনের বহু দুঃখের কারণ অজ্ঞাত থাকে। এই কারণ অনুসন্ধানে
ব্যর্থ হয়ে কখনো কখনো ভক্ত তার আরাধ্য প্রভুর কাছে অনুযোগ প্রকাশ করে থাকে। এই
জাতীয় শাক্তসঙ্গীতে এই অনুভাবের উপস্থাপন করা হয়েছে।
- ফিরিয়ে দে মা ফিরিয়ে দে [তথ্য]
৭. আত্মবোধন: এই জাতীয় গানে নিজের উপলব্ধিকে নিজেকে সংশোধনের জন্য নির্দেশিত
করে। এই শ্রেণির গানের বাণীর তুই, তোর ইত্যাদি হলো ভক্ত নিজেই। যেমন-
- দুর্গতি -নাশিনী আমার [তথ্য]
৮. শৈব-সঙ্গীত: শাক্ত সঙ্গীতের মূল দেবী দুর্গা। কিন্তু দুর্গার স্বামী
হিসেবে দুর্গার শিবের অংশভাগী। তাই শিব-বন্দনাও শাক্ত-সঙ্গীতের অংশ হিসেবে বিবেচনা
করা হয়। যেমনি-
- অরুণকান্তি কে গো যোগী ভিখারি [তথ্য]
- ওঁ শঙ্কর হর হর শিব সুন্দর [তথ্য]
- জয় উমানাথ শিব মহেশ্বর [তথ্য]
- জয় ভূতনাথ হে দেব প্রলঙ্কর [তথ্য]
- নাচিছে নটরাজ, শঙ্কর মহাকাল
[তথ্য]
৯.
হাস্যরসাত্মক শাক্তসঙ্গীত: এই জাতীয় গানে- সামাজিক ও পৌরাণিক নানা অসঙ্গতিকে ব্যঙ্গা
করে হাস্যরসোদ্দীপক রচিত কিছু শাক্তসঙ্গীতও রচনা করেন। যেমন-
নজরুলের শাক্তসঙ্গীতে ব্যবহৃত রাগ
শাক্তসঙ্গীতে রাগসমূহ:
নজরুলের রচিত শাক্তসঙ্গীতের সংখ্যা ২৩৮। এর ভিতরে
রাগের নাম পাওয়া যায় মোট ৫২টি এই রাগগুলো হলো-
এরমধ্যে ভৈরবী রাগে ৬টি, দেশ
রাগে ৫টি, বাগেশ্রী রাগে ৪টি, কাফি-সিন্ধুরাগে ৪টি, দরবাড়ী কানড়া, জৌনপুরী ও কৌশিক
কানাড়া রাগে ২টি করে এবং বাকি রাগগুলোতে ১টি করে গান পাওয়া যায়।
-
আনন্দ ভৈরব,
আশাবরী,
ইমন,
কাফি-সিন্ধু,
কামোদ,
কৌশিকী কানাড়া,
জৌনপুরী,
তিলং
দরবারী-কানাড়া,
দুর্গা,
দেশ,
দেশী, নটনারায়ণ,
নারায়ণী পঞ্চম,
বাগেশ্রী,
ভূপালী,
ভৈরব,
ভৈরবী,
বাগেশ্রী-বাহার, বেহাগ-কামোদ,
মালকোষ,
যোগিয়া
শিবমত ভৈরব,
শিবরঞ্জনী,
শিবমত ভৈরব, বঙ্গাল,
বারোয়া,
হাম্বীর।
নজরুলের শাক্তসঙ্গীতের তাল
নজরুলের রচিত শাক্ত সঙ্গীতের বর্ণানুক্রমিক তালিকা
- অনেক মানিক আছে শ্যামা
[তথ্য]
- অন্নপূর্ণা মা এসেছে
[তথ্য]
- অসুর বাড়ির ফেরত এ মা
[তথ্য]
- আঁধার ভীত এ চিত যাচে
[তথ্য]
- আজি নাচে নটরাজ
[তথ্য]
- আজও মা তোর পাইনি প্রসাদ
[তথ্য]
- আদরিণী মোর কালো মেয়ে রে
[তথ্য]
- আনন্দ রে আনন্দ (দশ হাতে ঐ দশ দিকে মা )
[তথ্য]
- আমায় আর কত দিন মহামায়া
[তথ্য]
- আমায় যারা ঘিরে আছে [তথ্য]
- আমায় যারা দেয় মা ব্যথা
[তথ্য]
- আমায় আঘাত যত হান্বি (আমায় দুঃখ যত)
[তথ্য]
- আমার অহঙ্কারের মূল কেটে দে (মা, মাগো-আমার)
[তথ্য]
- আমার আনন্দিনী উমা আজো
[তথ্য]
- আমার উমা কই গিরিরাজ
[তথ্য]
- আমার কালীবাঞ্ছা কল্পতরুর ছায়াতলে আয় রে
[তথ্য]
- আমার কালো মেয়ে রাগ করেছে
[তথ্য]
- আমার কালো মেয়ের পায়ের তলায়
[তথ্য]
- আমার ভবের অভাব লয় হয়েছে (মা, আমার)
[তথ্য]
- আমার মা আছে রে সকল নামে
[তথ্য]
- আমার মা যে গোপাল সুন্দরী
[তথ্য]
- আমার মানস-বনে ফুটেছে রে
[তথ্য]
- আমার মুক্তি নিয়ে (মাগো আমার মুক্তি নিয়ে)
[তথ্য]
- আমার শ্যামা মায়ের কোলে চড়ে
[তথ্য]
- আমি শ্যামা বলে ডেকেছিলাম
[তথ্য]
- আমার হাতে কালি মুখে কালি
[তথ্য]
- আমার হৃদয় অধিক রাঙা মা গো
[তথ্য]
- আমার হৃদয় হবে রাঙাজবা
[তথ্য]
- আমি কালী নামের ফুলের ডালি
[তথ্য]
- আমি কালি যদি পেতাম কালী
[তথ্য]
- আমি নামের নেশায়
[তথ্য]
- আমি বেলপাতা জবা দেব না
[তথ্য]
- আমি মা ব'লে যত ডেকেছি
[তথ্য]
- আমি, মুক্তা নিতে আসিনি মা
[তথ্য]
- আমি সাধ করে গৌরী মায়ের
- আয় অশুচি আয়রে পতিত
- আয় নেচে নেচে আয় রে বুকে
[তথ্য]
- আয় বিজয়া আয় রে জয়া
[তথ্য]
- আয় মা উমা! রাখবো এবার
[তথ্য]
- আয় মা চঞ্চলা মুক্তকেশী শ্যামা কালী
[তথ্য]
- আয় মা ডাকাত কালী
[তথ্য]
- আয় মুক্তকেশী আয় (মা)
[তথ্য]
- আয় সবে ভাই বোন
[তথ্য]
- আর লুকাবি কোথা মা কালী
[তথ্য]
- এই পৃথিবীতে এত শক্তির খেলা (পৃথিবীতে এত)
[তথ্য]
- এবার নবীন-মন্ত্রে হবে জননী তোর উদ্বোধন
[তথ্য]
- এলো রে এলো ঐ রণ-রঙ্গিণী
[তথ্য]
- এলো রে শ্রী দুর্গা
[তথ্য]
- এলো শিবানী-উমা এলো
[তথ্য]
- এসো আনন্দিতা ত্রিলোক-বন্দিতা
[তথ্য]
- এসো মা দশভুজা
[তথ্য]
- এসো মা পরমা শক্তিমতী
[তথ্য]
- ও মা তুই আমারে ছেড়ে আছিস্
[তথ্য]
- ও মা খড়্গ নিয়ে মাতিস রণে
- ও মা তোর ভুবনে জ্বলে এত আলো
[তথ্য]
- ও মা ত্রিনয়নী! সেই চোখ দে
[তথ্য]
- ও মা দনুজ-দলনী (হ্রীঙ্কার রূপিনী মহালক্ষী)
[তথ্য]
- ও মা দুঃখ অভাব ঋণ যত মোর
[তথ্য]
- ও মা নির্গুনের প্রসাদ দিতে
[তথ্য]
- ও মা বক্ষে ধরেন শিব যে চরণ (বক্ষে ধরেন)
[তথ্য]
- ও মা যা কিছু তুই দিয়েছিলি
[তথ্য]
- ওঁ শঙ্কর হর হর শিব সুন্দর
[তথ্য]
- ওগো মাগো আজো বেঁচে আছি [তথ্য]
- ওরে আজই না হয় (কালী কালী বলতে হবে)
[তথ্য]
- ওরে আলয়ে আজ মহালয়া (এলো মা আমার মা)
[তথ্য]
- ওরে যোগ-সাধনা পরে হবে
[তথ্য]
- ওরে সর্বনাশী মেখে এলি
[তথ্য]
- ওরে হতভাগী রক্ত-খাগী
[তথ্য]
- কমলা রূপিণী শক্তি-স্বরূপিনী
[তথ্য]
- করুণা তোর জানি মাগো
[তথ্য]
- কালী কালী মন্ত্র জপি
[তথ্য]
- কালী সেজে ফির্লি ঘরে (ও মা)
[তথ্য]
- কি নাম ধরে ডাকব তোরে
[তথ্য]
- কী দশা হয়েছে মোদের
[তথ্য]
- কেঁদো না কেঁদো না মাগো
[তথ্য]
- কে এলি মা টুকটুকে লাল
[তথ্য]
- কে তোরে কি বলেছে মা
[তথ্য]
- কে পরালো মণ্ডু-মালা
[তথ্য]
- কে বলে মোর মাকে কালো
[তথ্য]
- কে সাজালো মা-কে আমার
[তথ্য]
- কেন আমায় আনিলি মাগো
[তথ্য]
- কোথায় গেলি মাগো আমার
[তথ্য]
- খড়ের প্রতিমা পূজিস রে তোরা (মাটির প্রতিমা)
[তথ্য]
- ঘর ছাড়াকে বাঁধতে এলি কে মা
[তথ্য]
- জগৎ জুড়ে জাল ফেলেছিস মা
[তথ্য]
- জয় উমানাথ শিব মহেশ্বর
[তথ্য]
- জয় দুর্গা,জননী,দাও শক্তি (ওম্ সর্বমঙ্গল)
[তথ্য]
- জয় দুর্গা,দুর্গতি নাশিনী
[তথ্য]
- জয় বিবেকানন্দ সন্ন্যাসী বীর
[তথ্য]
- জয় ভূতনাথ হে দেব প্রলঙ্কর
[তথ্য]
- জয় মহাকালী,জয় মধু-কৈটভ
[তথ্য]
- জয় রক্তম্বরা রক্তবর্ণা জয় মা
[তথ্য]
- জয় হরপ্রিয়া শিবরঞ্জনী
[তথ্য]
- জাগো দেবী দুর্গা চণ্ডিকা মহাকালী
[তথ্য]
- জাগো যোগমায়া জাগো
[তথ্য]
- জাগো শ্যামা জাগো শ্যামা
[তথ্য]
- জাগো হে রুদ্র, জাগো রুদ্রাণী
[তথ্য]
- জ্বালো দেয়ালী জ্বালো
[তথ্য]
- জ্যোতির্ম্ময়ী মা এসেছে
[তথ্য]
- তুই জগৎ-জননী শ্যামা (জগৎ-জননী শ্যামা)
[তথ্য]
- তুই পাষাণ গিরির মেয়ে
[তথ্য]
- তুই কালী মেখে জ্যোতি ঢেকে
[তথ্য]
- তুই বলহীনের বোঝা বহিস্
[তথ্য]
- (তুই) মা হ'বি না মেয়ে হ'বি [তথ্য]
- তোমার আঘাত শুধু দেখলো ওরা
[তথ্য]
- তোর কালো রূপ দেখতে মা গো
[তথ্য]
- তোর কালো রূপ লুকাতে মা
[তথ্য]
- তোর জননীরে কাঁদাতে
[তথ্য]
-
তোর নামেরই কবচ দোলে
[তথ্য]
-
তোর মেয়ে যদি থাকতো উমা
[তথ্য]
-
তোর রাঙা পায়ে নে মা শ্যামা
[তথ্য]
- তোরা মা বলে ডাক
[তথ্য]
- ত্রিংশ কোটি তব সন্তান ডাকে তোর
[তথ্য]
- ত্রিজগৎ আলোক'রে আছে
[তথ্য]
- ত্রিভুবনবাসী যুগল মিলন
[তথ্য]
- থির হয়ে তুই বস্ দেখি মা
[তথ্য]
- দীনের হতে দীন-দুঃখী অধম যেথা থাকে
[তথ্য]
- দুঃখ অভাব শোক দিয়েছ (ওমা)
[তথ্য]
- দুর্গতি -নাশিনী আমার
[তথ্য]
- দেখে যা রে রুদ্রাণী মা সেজেছে
[তথ্য]
- দেব আর্শীবাদ- লহ সতী পুণ্যবতী
[তথ্য]
-
দেবী তোমার চরণ কমল
[তথ্য]
- ধরো হাত নামিয়া এসো শিব-লোক
[তথ্য]
- নন্দলোক হতে (আনন্দলোক)আমি এনেছি
[তথ্য]
- নমো নমো নমো নমঃ হে নটনাথ
[তথ্য]
- নাচিছে নটরাজ, শঙ্কর মহাকাল
[তথ্য]
- নাচে নাচে রে মোর কালো মেয়ে
[তথ্য]
- নারায়ণী উমা খেলে হেসে হেসে
[তথ্য]
- নিপীড়িতা পৃথিবী ডাকে
[তথ্য]
- নিপীড়িতা পৃথিবীকে করো করো ত্রাণ
[তথ্য]
- নিশি কাজল শ্যামা
[তথ্য]
- নীলবর্ণা নীলোৎপল-নয়না
[তথ্য]
- নৃত্যকালী শঙ্কর সঙ্গে নাচে
[তথ্য]
- নৃত্যময়ী নৃত্যকালী নিত্য নাচে
[তথ্য]
- পরমা প্রকৃতি দুর্গে শিবে
[তথ্য]
- পাষাণী মেয়ে! আয়, আয় বুকে আয়
[তথ্য]
- পুণ্য মোদের মায়ের আসন
[তথ্য]
- প্রণমামী শ্রীদুর্গে নারায়ণী
[তথ্য]
- ফিরিয়ে দে মা ফিরিয়ে দে
[তথ্য]
- বরষ গেল আশ্বিন এলো উমা এলো কই [তথ্য]
- বল্ মা শ্যামা বল্ তোর বিগ্রহ
[তথ্য]
- বল্ রে জবা বল্
[তথ্য]
- বাজো বাঁশরি বাজো বাঁশরি বাজো [তথ্য]
- বাবার হলো বিয়ে [তথ্য]
- বিজয়োৎসব ফুরাইল মাগো
[তথ্য]
- বিরূপ আঁখির কি রূপই তুই আঁকলি [তথ্য]
- বুঝি চাঁদের আর্শিতে মুখ দেখেছে
[তথ্য]
- ব্রহ্মময়ী পরাৎপরা ভবভয় [তথ্য]
- ভবানী শিবানী কালী করালী মুণ্ডমালী [তথ্য]
- ভবানী শিবানী দশপ্রহরণধারিণী
[তথ্য]
- ভাগীরথীর ধারার মত সুধার সাগর
- ভিখারিনী করে পাঠাইলি মোরে
[তথ্য]
- ভুবনময়ী ভবনে এসো
[তথ্য]
- ভুবনের নাথ! এ নব ভবনে
[তথ্য]
- ভুল করেছি ও মা শ্যামা
[তথ্য]
- মহাকালের কোলে এসে
[তথ্য]
- মহাদেবী উমারে আজি সাজাবো
[তথ্য]
- মহাবিদ্যা আদ্যাশক্তি পরমেশ্বরী
[তথ্য]
- মা! আমি তোর অন্ধ ছেলে
[তথ্য]
- (মা) একলা ঘরে ডাক্ব না
- মা এলো রে মা এলো [তথ্য]
- মা এসেছে মা এসেছে
[তথ্য]
- মা কবে তোরে পারবো দিতে
[তথ্য]
- মা খড়গ নিয়ে মাতিস রণে (খড়গ নিয়ে)
[তথ্য]
-
মা তোর কালো রূপের মাঝে [তথ্য]
- মা তোর চরণ-কমল ঘিরে
[তথ্য]
- মা ব্রহ্মময়ী জননী তোর
[তথ্য]
-
মা, মাগো, মা তুমি করেছ মোর লাজ নিবারণ
[তথ্য]
-
মা মেয়েতে খেল্ব পুতুল
[তথ্য]
-
মাকে আদর করে কালী বলি
[তথ্য]
- মাকে আমার দেখেছে যে
[তথ্য]
- মাকে ভাসায়ে জলে (মাকে ভাসায়ে ভাটির স্রোতে)
[তথ্য]
- মাগো আমি আর কি ভুলি
[তথ্য]
- মাগো আমি তান্ত্রিক নই
[তথ্য]
- মাগো আমি মন্দমতি তবু যে সন্তান
[তথ্য]
- মাগো কে তুই,কার নন্দিনী
[তথ্য]
- মাগো চিন্ময়ী রূপ ধরে আয়
[তথ্য]
- মাগো তোমার অসীম মাধুরী [তথ্য]
- মাগো তোরি পায়ের নূপুর বাজে
[তথ্য]
- মাগো ভুল করেছ [তথ্য]
- মাগো মহিষাসুর সংহারিণী
[তথ্য]
- মাত্ল গগন অঙ্গনে ঐ
[তথ্য]
- মাতৃ নামের হোমের শিখা [নজরুল ইসলাম]
[তথ্য]
- মায়ের অসীম রূপ (অসীম রূপ সিন্ধুতে রে)
[তথ্য]
- মায়ের আমার রূপ দেখে যা
[তথ্য]
- মায়ের চেয়েও শান্তিময়ী
[তথ্য]
- মোরে আঘাত যত আঘাত যত হান্বি শ্যামা
- মাগো আজো বেঁচে আছি
- মাগো আমি তান্ত্রিক নই
[তথ্য]
- মাগো তোমার অসীম মাধুরী
[তথ্য]
- মোর আদরিণী কালো মেয়ে
[তথ্য]
- মোরা মাটির ছেলে
[তথ্য]
- মোরে মায়া ডোরে বাঁধিস যদি ম
[তথ্য]
- যাস্নে মা ফিরে,যাস্নে জননী
[তথ্য]
- যার মেয়ে ঘরে ফিরল না
[তথ্য]
- যারা আজ এসেছে (ওরা আমার কেহ নয়)
[তথ্য]
- যে কালীর চরণ পায় রে
[তথ্য]
- যে নামে মা ডেকেছিল
[তথ্য]
- যোগী শিব শঙ্কর
[তথ্য]
- রক্ষাকালীর রক্ষা কবচ
[তথ্য]
- রাঙা জবার বায়না ধ'রে
[তথ্য]
- রোদনে তোর বোধন বাজে
[তথ্য]
- লুকোচুরি খেলতে হরি
[তথ্য]
- শক্তের তুই ভক্ত শ্যামা (তোরে) যায় না পাওয়া কেঁদে
[তথ্য]
- শঙ্কর অঙ্গলীনা যোগ মায়া
[তথ্য]
- শঙ্কর সাজিল প্রলঙ্কর সাজে
[তথ্য]
- শঙ্কাশূন্য লক্ষ কন্ঠে বাজিছে শঙ্খ ঐ
[তথ্য]
- শিব অনুরাগিণী গৌরী জাগে
[তথ্য]
- শূন্য বুকে ফিরে আয় ফিরে আয় উমা [তথ্য]
- শ্মশান-কালীর নাম শুনে রে ভয় কে পায়]
[তথ্য]
- শ্মশান চণ্ডাল, শ্মশান চণ্ডাল শোন, বলি গো তোমারে
[তথ্য]
- শ্মশানে জাগিছে শ্যামা
[তথ্য]
- শ্যামা তুই বেদেনীর মেয়ে
[তথ্য]
- শ্যামা তোর নাম যার জপমালা
[তথ্য]
- শ্যামা নামের ভেলায় চ'ড়ে
[তথ্য]
- শ্যামা নামের লাগল আগুন
[তথ্য]
- শ্যামা বড় লাজুক মেয়ে (আমার শ্যামা বড়)
[তথ্য]
- শ্যামা বলে ডেকেছিলাম
[তথ্য]
- সংসারেরি দোলনাতে মা
[তথ্য]
- সতী মা কি এলি ফিরে
[তথ্য]
- সন্ধ্যার আঁধার ঘনাইল মাগো [তথ্য]
- সর্বনাশী! মেখে এলি একোন চুলার ছাই
- সুরধূনী-ধারার মত (ভাগীরথীর ধারার মত)
[তথ্য]
- সৃজন ছন্দে আনন্দে নাচো নটরাজ
[তথ্য]
- সোনার আলো ঢেউ খেলে যায়
[তথ্য]
- হর হর শঙ্কর! জয় শিব শঙ্কর
[তথ্য]
- হে পরমাশক্তি পরা প্রেমময়ী তোমারি
[তথ্য]
- হে মরণ -লক্ষ্মী! খোলো অবগুণ্ঠন
[তথ্য]