৩৬
বৎসর অতিক্রান্ত বয়স
১৩৪২ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ (জুলাই-আগষ্ট ১৯৩৪)
মাসে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত
নতুন গান।
এইচএমভি থেকে ৬টি রেকর্ডে (রেকর্ড
নম্বর এন ৭৩৯৫-এন ৭৪০০
পর্যন্ত ) মন্মথ
রায়ের রচিত লাইলী মজনু নাটকটি প্রকাশিত হয়েছিল। এই রেকর্ডগুলোতে নজরুলের রচিত
ও সুরারোপিত ১৩টি গান প্রকাশিত হয়েছিল।
গানগুলো হলো- "আমি [ধীরেন্দ্রনাথ
দাস] এ সময় কোলকাতা বেতারের নিয়মিত
কণ্ঠশিল্পী ছিলাম। প্রতি মাসেই একাধিকবার
আমাকে গান পরিবেশন করতে হতো। একদিনের কথা, আমি গান পরিবেশন
করে স্টুডিও থেকে বের হয়ে যাচ্ছি এমন সময় বেতার অফিসের ডিউটি অফিসার আমাকে ডেকে নিয়ে একটি এনভেলপ দিয়ে বললেন কয়েকদিন আগে চিঠিটি
বেতার অফিসের ঠিকানায় এসেছে। তাঁর হাত থেকে চিঠিটি নিয়ে আমি রাস্তায় গিয়ে
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাম গাড়ীতে বসে যেতে যেতে চিঠিটি খুলে পড়তে লাগলাম। রেডিওতে আমার গান শুনে কোন প্রেমিকা যুবতী আমার প্রেমে
পড়েছে ও আমাকে তার প্রেম নিবেদন করেছে। নানা সুন্দর সুন্দর কথায় ও
নানা রূপে। ইতিমধ্যে বার কয়েক ওলট পালট করে পত্রটি আমার পড়া হয়ে গেল। প্রেমিকা আমাকে না দেখেই আমার কণ্ঠের গান শুনে আমাকে সে কল্পনা
করে নিয়েছে আমার নাক কেমন, কেমন আমার চোখ, আমার গায়ের রঙইবা
কেমন, ইত্যাদি। তাছাড়া আমার উচ্চতা কত আরো কত কি। এ সবই তার
কল্পলোকের কল্পনা। তাই তার চিঠিতে আমার কাছে তার প্রেম নিবেদন করে
তার কল্পলোকের প্রেমিককে একবার দেখতে চায়। কোথায় কেমন করে সে
আমাকে দেখবে দুটো কথা বলবে এটাই তার প্রস্তাব। এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা
অক্টোবর ১৯৩৫ (১৪ আশ্বিন-১৪ কার্তিক ১৩৪২)
'...তাঁদের বাবা, ধীরেন দাস একদিন অনুপ কুমারকে কথায় কথায়
বলেছিলেন, একদিন বিশেষ কোন কাজে খুব সকালে গিয়েছিলেন গ্রামোফোন
কোম্পানীর রিহার্সেল অফিসে । তখন কাজী তাঁর কোন জরুরী কাজের জন্য ওখানে
ছিলেন। প্রতিদিনের মতো সকাল বেলা উড়িয়া ঠাকুর (পুরোহিত) এসেছে পূজা
করতে পুরোহিতের ডালিতে ছিল নানা রকমের ফুল। বিভিন্ন দেবতাকে বিভিন্ন
ফুলের পুজা করছেন। কাজীদা আপন মনে পুরোহিতের এই পূজা পর্ব প্রত্যক্ষ
করছেন। সব পুজার শেষে পুরোহিতের হাতের ডালিতে পড়ে আছে মাত্র একটি
রক্তজবা ফুল। এই ফুলটি পুরোহিত মা কালীর পায়ে দিয়ে পূজা পর্ব শেষ করে
চলে
গেল। হঠাৎ কাজীদা আমাকে জিজ্ঞনা করলেন, আচ্ছা ধীরু (নজরুল বাবাকে এই
নামেই ডাকতেন) সব দেবতাই যে কোন ফুলেই তুষ্ট, তবে কালী ঠাকরুণ কেন
শুধুই জবা ফুলে তুষ্ট হন। আমার উত্তরের অপেক্ষা না করেই কাজীদা হন হন
করে উঠে গেলেন ওপরে তার নিজের কামরায় । আমি অবাক হয়ে কিছু সময়
তার এই চলে যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলাম, কাজীদা
হঠাৎ এমন করে চলে গেলেন কেন? তারপর আমি আমার প্রয়োজনীয় কাজগুলো
প্রায় শেষ করেছি এমন সময় দেখলাম কাজীদা ওপর থেকে নিচে নেমে এলেন সোজা
আমার রুমে, আমার সামনে দীড়িয়ে বললেন, 'ধীরু, লিখে ফেলেছি।' কাজীদার
হাত থেকে কাগজটি নিয়ে দেখলাম একটি অপূর্ব গান (শ্যামা সঙ্গীত)। গানের
বাণী নিম্নরূপ: 'শ্যামা সঙ্গীত/দেশ মিশ্র দাদরা/ বল জবা বল...'
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা
এই মাসে বাতিলকৃত রেকর্ড
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা
ডিসেম্বর ১৯৩৫ (১৫ অগ্রহায়ণ -১৫ পৌষ ১৩৪২)
এই মাসে বাতিলকৃত রেক্র্ডের গান
জানুয়ারি ১৯৩৬ (১৬ পৌষ-১৭ মাঘ ১৩৪২)
২১ জানুয়ারি (মঙ্গলবার ৭ মাঘ ১৩৪৪২), নজরুল তাঁর 'রুবাইয়াৎ-ই-হাফিজ'
অনুবাদ গ্রন্থের একটি কপি রবীন্দ্রনাথকে উপহার দেন। এর উৎসর্গ অংশে নজরুল লিখেছিলেন-
'শ্রীশ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের করকমলে। প্রণত ৭ই মাঘ, ১২৪২ সন।'
এই মাসে 'পাতালপুরী' নামক চলচ্চিত্র মুক্তি
পেয়েছিল।
সূত্র:
প্রচার
পুস্তিকা
এপ্রিল ১৯৩৬ (১৯ চৈত্র-১৭ বৈশাখ ১৩৪৩) ১৩৪৩ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা
নজরুল ইসলামের ৩৬ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স শুরু হয়েছিল ১১ জ্যৈষ্ঠ
১৩৪২ বঙ্গাব্দ (বৃহস্পতিবার ২৫মে ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দ) থেকে। শেষ হয়েছিল ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৩
বঙ্গাব্দ (২৩শে মে ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দ)
২৪-৩১ মে ১৯৩৫ (১১-১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪২)
নজরুলের ৩৬ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে শুরুতে পত্রিকায় তাঁর
প্রথম একটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল। যেমন-
জুন ১৯৩৫ (১৮ জ্যৈষ্ঠ-১৫ আষাঢ় ১৩৪২)
১৯৩৫ জুলাই (১৬ আষাঢ়-১৫ শ্রাবণ ১৩৪২)
এই মাসের ৩১ তারিখে (বুধবার ১৫ শ্রাবণ ১৩৪২), স্কুল
পাঠ্যগ্রন্থ মক্তব সাহিত্য প্রকাশিত হয়। এটি ছিল মূলত নজরুল
ওসলাম-কৃত নানা লেখকের রচনার সংকলন। প্রকাশক: খোন্দকার আব্দুল জব্বার, ২৫ এ
পঞ্চানন টোলা লেন, কলকাতা। মুদ্রাকর: এ সি সরকার
ক্লাসিক প্রেস ২১ পটুয়াটোলা লেন, কলকাতা। পৃষ্ঠা: ২১।
গ্রন্থ সূচি:
আগষ্ট ১৯৩৫ (১৬ শ্রাবণ-১৪ ভাদ্র ১৩৪২)
[বিরজাসুন্দরী দেবীকে লেখা পত্র]
[
খুল্লতাত কাজী কায়েম হোসেন-কে লেখা পত্র]
[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-কে লেখা পত্র]
সেপ্টেম্বর ১৯৩৫ (১৫ ভাদ্র-১৩ আশ্বিন ১৩৪২)
টুইন। এফটি ৪০৩৭। শিল্পী: দেবেন বিশ্বাস ও হরিমতি।
এফটি ৪০৪৫। চরিত্র রমা। শিল্পী হরিমতী।
টুইন। এফটি ৪০৪৬। শিল্পী: দেবেন বিশ্বাস ও হরিমতি।
এই মাসে এইচএমভি থেকে প্রকাশিত নতুন গানগুলো ছিল-
আমি কর্থ্য ভাষা (কর্থ্য ভাষা কইতে নারি) [তথ্য]
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২৮ আগষ্ট (বুধবার ১১ ভাদ্র ১৩৪২),
সাপ্তাহিক নাগরিক পত্রিকার ১৩৪২ সংখ্যার জন্য রবীন্দ্রনাথের কাছে নজরুল একটি
লেখা চেয়ে চিঠি লেখেন। এর উত্তরে রবীন্দ্রনাথ ১৫ ভাদ্র ১৩৪২ (রবিবার ১
সেপ্টেম্বর ১৯৩৫) 'তীর্থ-পথিক' শিরোনামের একটি কবিতা পাঠান। এই কবিতাটি নাগরিক
পত্রিকার ১৩৪২ বঙ্গাব্দের ২২ বর্ষ ১ম সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
৩ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার ১৭ ভাদ্র ১৩৪২), নজরুল কলকাতার ৩৯
সীতানাথ রোড থেকে পাবনা-নিবাসী কবি মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকীকে একটি চিঠি লেখেন।
মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা-কে লেখা পত্র]
এই মাসে সঞ্চিতা কাব্যগ্রন্থে সংকলিত 'বিদ্রোহী' 'কাণ্ডারী' 'হুঁশিওয়ার'
ও ধীবরের গান' প্রচার বন্ধ করার জন্য সরকার নির্দেশ জারি করে
১৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার ১ আশ্বিন ১৩৪২) নজরুলের সাথে
এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানির এই
চুক্তি হয়। এই সূত্রে চুক্তিতে যে সকল গান পাওয়া যায়, সেগুলো হলো-
১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত
রেকর্ড-কৃত গানের তালিকা
এই গানের রচনার উৎস সম্পর্কে জানা যায়- আসাদুল হকের রচিত 'নজরুলের শ্রুতিধর
ধীরেন দাস' গ্রন্থ থেকে। এই গ্রন্থের ৫৩ পৃষ্ঠায় ধীরেন দাসের স্মৃতিচারণ অনুসারে
উল্লেখ করা হয়েছে-
ট্রাম থেকে নেমে গেলাম গ্রামোফোন কোম্পানীতে দেখা হলো
কাজীদার সাথে। আমাকে দেখেই কাজীদা আমাকে বললেন, 'কি রে, কি হয়েছে
তোর? তোকে খুব উৎফুল্প মনে হচ্ছে? ব্যাপার কি?' ... 'আমি মুখে কিছু না বলে পকেটে রাখা পত্রটি
বের করে কাজীদার হাতে দিলাম। কাজীদা আমার হাত থেকে পত্রটি নিয়ে আদ্যপান্ত পড়লেন। কি ভাবলেন জানিনা। আমাকে হাত ধরে নিয়ে গেলেন
তিন তলার খাস কামরায়। কামরায় দরজা বন্ধ করে আমাকে পাশে বসিয়ে কি
যেন খসখস করে লিখে চললেন দ্রুত গতিতে। লেখার সাথে সাথে মাঝে মধ্যে
গুণগুণ করে সুর ভাজেন আবার লেখেন। শেষ পর্যন্ত রচনা করলেন একটি গান।
সুর, তাল,লয় সুসম সমন্বয়ে এনে পরে আমাকে গানটি শেখালেন। গানটি
শেখানোর পরে আমাকে বললেন, আমি যেন আমার আগামী বেতারের কোন
অনুষ্ঠানে এ গানটি প্রচার করি। সহজ সরল কথা মালায় ও অভিনব সুর
সংযোজনায় ভরপুর গানটি আমি কাজীদার নিকট থেকে শিখে নিলাম । আমি
আমার পরের বেতার অনুষ্ঠানে এই গানটি প্রচার করি।'
এই মাসে বাতিলকৃত রেকর্ড
এইচএমভি।
সুরেন্দ্র চক্রবর্তী
এইচএমভি।
মিস সত্যবতী
এই মাসে বাতিলকৃত রেকর্ড
এই গানটি রচনার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানা যায়- আসাদুল হকের রচিত 'নজরুলের
শ্রুতিধর ধীরেন দাস' গ্রন্থে। লেখক ধীরেন দাসের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র হিমাদ্রী
দাসের উদ্ধৃতিতে লিখেছেন-
['নজরুলের শ্রুতিধর ধীরেন দাস'।
আসাদুল হক। হাতে খড়ি/ঢাকা। জানুয়ারি ২০০৪।
পৃষ্ঠা: ৫৫।
শিল্পী: আবদুল লতিফ। রেকর্ডটি প্রকাশিত হয় নি।
এইচএমভি। শিল্পী:
কমল দাশগুপ্ত । রেকর্ডটি বাতিল হয়ে গিয়েছিল।
নভেম্বর ১৯৩৫ (১৫ কার্তিক -১৪ অগ্রহায়ণ ১৩৪২)
ভুল করে যদি ভালোবেসে থাকি
[তথ্য]
[নমুনা]
১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ১২ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার ২৬ অগ্রহায়ণ ১৩৪২)
টুইন রেকর্ড কোম্পানির সাথে নজরুলের গান রেকর্ডের বিষয় চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তিতে
যে সকল গান ছিল। সেগুলো হলো-
১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে
(অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৪২), এইচএমভি
রেকর্ড কোম্পানি থেকে বরদাপ্রসন্ন দাশগুপ্তের লেখা রেকর্ড নাটক 'সুভদ্রা'
প্রকাশিত হয়েছিল। রেকর্ড নম্বর এন ৭৪৪৯-৭৪৫৭। এই নাটকে নজরুলের ৬টি গান ছিল। এর
ভিতরে ১টি গান পূর্বে প্রকাশিত হয়েছিল। এই গানটি হলো-নমো নারায়ণ অনন্ত লীলা
নমো[তথ্য]। বাকি ৫টি গান ছিল নতুন। এই ৫টি গান হলো-
এন ৭৪৪৯। নাটিকা:
সুভদ্রা। নাট্যকার: বরদাপ্রসন্ন দাশগুপ্ত। চরিত্র: ঊর্বশী। শিল্পী:
আঙুরবালা]
এন ৭৪৫৪। নাটিকা: সুভদ্রা। নাট্যকার: বরদাপ্রসন্ন
দাশগুপ্ত। চরিত্র: বালকবেশী শ্রীকৃষ্ণ। শিল্পী: পদ্মাবতী]
এন ৭৪৫১। নাটিকা: সুভদ্রা। নাট্যকার: বরদাপ্রসন্ন
দাশগুপ্ত। চরিত্র: সহচরীগণের]
এন ৭৪৪৯। নাটিকা: সুভদ্রা। নাট্যকার: বরদাপ্রসন্ন দাশগুপ্ত।
কৃষ্ণকুমারীদের গান]
এন ৭৪৫৬। নাটিকা: সুভদ্রা। নাট্যকার: বরদাপ্রসন্ন
দাশগুপ্ত। উর্বশীর গান। শিল্পী: আঙুরবালা]
১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ২১ ডিসেম্বর শনিবার (৫ পৌষ ১৩৪২) এইচএমভি
রেকর্ড কোম্পানির সাথে নজরুলের গান রেকর্ডের বিষয় চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তিতে
যে সকল গান ছিল। সেগুলো হলো-
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গান
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা
[
কবি জসীমউদ্দীনকে লেখা পত্র]
১৭ জানুয়ারি (সোমবার ৩ মাঘ ১৩৪২), নজরুল গ্রামোফোন ক্লাব, ১০৬ আপার
সার্কুলার রোড, কলকাতা থেকে অতুলচন্দ্র দত্তকে রায় এ্যান্ড রায়চৌধুরীকে লেখা
চিঠিতে ১০০ টাকা হাওলাত দেওয়ার অনুরোধ করেন।
[
অতুলচন্দ্র দত্তকে লেখা পত্র]
২৭ জানুয়ারি (সোমবার ১৩ মাঘ ১৩৪৪২), ফরিদপুর জেলা মুসলিম ছাত্র সম্মিলনীতে যোগ দিতে
আমন্ত্রিত হয়ে নজরুল ফরিদপুর শহরে আসেন। তাঁর আগমনে স্থানীয় ছাত্র-জনতার মধ্যে
বিপুল উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। ফরিদপুর টাউন হলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে নজরুল সভাপতিত্ব
করেন। সভায় বিভিন্ন বক্তা নজরুলে অভিনন্দন জানান। সভার শেষ পেয়ে সভাপতি হিসেবে
নজরুল 'বাংলার মুসলিমকে বাঁচাও' নামে এক লিখিত আবেগোচ্ছল ও অবিস্মরণীয় ভাষণ দেন।
এরপর ফরিদপুরে তিনি কয়েকদিন কাটান। এই সময় তিনি ফরিদপুরের কয়েকটি অনুষ্ঠানে গান
পরিবেশন করেন।
এই মাসে মন্মথ রায়ের রচিত 'নরমেধ' নামক একটি রেকর্ড প্রকাশ করেছিল টুইন রেকর্ড
কোম্পানি। এই নাটকে নজরুলের রচিত মোট ৫টি গান ব্যবহৃত হয়েছিল। এর ভিতরে '
তুমি দুখের বেশে এলে'
গানটি পূর্বে 'চন্দ্রবিন্দু' গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত অন্যান্য গান
এফটি ৪২০৯। চরিত্র: কুশধ্বজ। শিল্পী হরিমতী।
এফটি ৪২০৬। চরিত্র: নর্তকীর গীত।
এফটি ৪২০৬। চরিত্র: মণিমালা ও কুশধ্বজ। শিল্পী তারকবালা ও হরিমতী।
এফটি ৪২১০। শিল্পী: দেবেন বিশ্বাস
এফটি ৪২১১। সমবেত গান। শিল্পী: নরেশচন্দ্র মিত্র, ইন্দু সেন,
ধীরেন্দ্রনাথ প্রমুখ
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত গান
ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬
(১৮ মাঘ -১৬ ফাল্গুন ১৩৪২)
দক্ষিণ সমীরণ সাথে বাজো বেণুকা
[তথ্য]।
কথা ও সুর নজরুল ইসলাম। স্বরলিপি জগৎ ঘটক।
এই মাসে নজরুল বাসা বদল করে সীতানাথ রোডের বাসায় ওঠেন।
এই মাসে কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছিল 'জীবনস্রোত' নামক
গীতি-আলেখ্য।
১৯৩৬
খ্রিষ্টাব্দের ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দ (১৪ ফাল্গুন ১৩৪২)
তারিখে কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে
'জীবনস্রোত'
গীতি আলেখ্য অনুষ্ঠানে গানটি সম্প্রচারিত হয়েছিল। এই গীতি আলেখ্য সম্পর্কে ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের
২রা ফেব্রুয়ারি বেতার জগতে একটি পরিচিতি দেওয়া হয়েছিল। এই পরিচিতিতে বলা হয়েছিল-
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গানের তালিকা
'২৭শে ফেব্রুয়ারী রাত্রি ৮-০৬ মিনিটে
একটি অনুষ্ঠান হবে তার নতুনত্ব আপনাদের আকৃষ্ট করবে
বলে মনে হয়। এই অনুষ্ঠানটি রচনা করেছেন জগৎ ঘটক, সুর সংযোজন করেছেন নিতাই ঘটক
এবং প্রযোজনার ভার নিয়েছেন শ্রীসুরেশচন্দ্র চক্রবর্তী। এই অনুষ্ঠানটির নামকরণ
করা হয়েছে 'জীবনস্রোত'। জীবনস্রোতে গানের ভিতর দিয়ে যে দার্শনিকতার সূচনা করা
হয়েছে তা রসিক মনকে স্পর্শ করবে বলে আমার ধারণা।'
জীবনস্রোত গীতি-আলেখ্যের গানগুলো কে রচনা
করেছিলেন, এ বিষয়ে বেতার জগতের বিবরণ থেকে জানা যায় না।
প্রায়ই একই বিবরণ পাওয়া যায়, The Inidian Listener
পত্রিকার ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬ সংখ্যার ২৩২ পৃষ্ঠায়।
নাটকটির রচয়িতা
জগৎঘটকের কাছে রক্ষিত পাণ্ডুলিপি থেকে জানা যায় যে, এই গীতি আলেখ্যের গানগুলোর রচনা
করেছিলেন নজরুল ইসলাম। এ বিষয়ে ব্রহ্মমোহন ঠাকুর 'বেতারে নজরুল' গ্রন্থে উল্লেখ
করেছেন- 'নজরুল ঐ সময় গ্রামোফোন কোম্পানীর
Exclusive Cpmposer
ছিলেন। শর্ত ছিল গ্রামোফোন
কোম্পানী ছাড়া আর কোথাও নজরুল গান রচনা কিম্বা সুরারোপ করতে পারবেন না। আর সেই
কারণেই 'বেতার জগত'-এ নজরুলের নামের উল্লেখ নেই।
এই গীতি-আলেখ্যতে মোট ১২টি গান ব্যবহার করা হয়েছিল। এর
ভিতরে ৪টি গান সম্ভবত নজরুলের রচিত নয়। ষষ্ঠ গান 'অগ্নি-গিরি ঘুমন্ত উঠিল
জাগিয়া' পূর্বে ভারতবর্ষ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। অবশিষ্ট ৭টি
গান 'জীবন-স্রোত' গীতি আলেখ্যতে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। নিচে সকল গানের তালিকা তুলে
ধরা হলো।
অন্যের রচিত গান
মার্চ ১৯৩৬ (১৭ ফাল্গুন ১৮ চৈত্র ১৩৪২)
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গানের তালিকা।
১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ মারচ (সোমাবার ১০ চৈত্র ১৩৪২), কলকাতার রূপবাণী প্রেক্ষাগৃহে, 'পাতালপুরী'
নামক চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। এই ছবির পরিচালক ছিলেন শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়। এই ছবির জন্য কবি
৭টি সুরসহ গান রচনা করেন। এছাড়া এই ছবির ৮টি গানে
তিনি সুরারোপ করেছিলেন। এছাড়া নজরুল ইসলাম এই ছবির সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন।
নজরুলের রচিত ও সুরারোপিত ৭টি গান হলো-
৬ এপ্রিল (সোমবার ২৪ চৈত্র ১৩৪২),
নজরুল ৩৭/১ সীতানাথ রোড, কলকাতা থেকে হিজ
মাস্টার্স ভয়েস গ্রামোফোন কোম্পানির পক্ষ থেকে তাঁর এককালের শিক্ষক কবি কুমুদরঞ্জন
মল্লিককে চিঠি লেখেন।
[
কুমুদরঞ্জন মল্লিক-কে লেখা পত্র]
১-২৪ মে ১৯৩৬
(১৮ বৈশাখ-১০ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৩)
নজরুলের ৩৬ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সের শেষ
কয়েকদিনে রেকর্ড ও পত্রিকায় প্রকাশিত রচনাসমূহ