৪০ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স
নজরুল ইসলামের ৪০ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স শুরু হয়েছিল ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৬ বঙ্গাব্দ (বৃহস্পতিবার ২৫মে ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দ) থেকে। শেষ হয়েছিল ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৭ বঙ্গাব্দ (শুক্রবার ২৪ শে মে ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দ)


২৫-৩১ মে ১৯৩৯ (১১-১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৬)
এই মাসের ২৭শে মে (শনিবার ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৬), নজরুল ইসলামের রচিত কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত সাপুড়ে' নামক ছায়াছবিটি পূর্ণ থিয়েটার্স-এ মুক্তি পায়। নিউ থিয়েটার্স-এর ব্যানারে তৈরিকৃত এই ছায়াছবির  পরিচালক ছিলেন দেবকীকুমার বসু। এই ছবিতে মোট আটটি গান ব্যবহার করা হয়েছিল। এর ভিতরে ৭টি ছিল নজরুলের রচিত। অবশিষ্ট একটি গান রচনা করেছিলেন অজয় ভট্টাচার্য
১. হলুদ গাঁদার ফুল হলুদ গাঁদার ফুল [তথ্য]  (কোরাস)
২.আকাশে হেলান দিয়ে পাহাড় ঘুমায় ঐ [তথ্য]
৩. কলার মান্দাস বানিয়ে [তথ্য]
৪. কথা কইবে না কথা[ তথ্য]
৫. পিছল পথে কুড়িয়ে পেলাম [তথ্য]
৬. ফুটফুটে এ চাঁদ হাসেরে [তথ্য]
৭. আমার এই পাত্রখানি [তথ্য] [রচয়িতা: অজয় ভট্টাচার্য ]

জুন ১৯৩৯ (১৮ জ্যৈষ্ঠ -১৫ আষাঢ় ১৩৪৬)
১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ১১ জুন (রবিবার ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৬), কলকাতা বেতার কেন্দ্রের সান্ধ্য অনুষ্ঠান (৮.১৫-৮.২৯)  বিজন কুমার ঘোষ, দুটি গানটি পরিবেশন করেছিলেন। এই গান দুটির মধ্যে একটি গান ছিল নজরুলের রচিত। গান দুটি ছিল

এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গান

জুলাই ১৯৩৯ (১৬ আষাঢ়-১৫ শ্রাবণ ১৩৪৬)
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গান। এই মাসে বাতিলকৃত রেকর্ড আগষ্ট ১৯৩৯ (১৬ শ্রাবণ-১৪ ভাদ্র ১৩৪৬)
এই মাসের ২৯ তারিখে ((মঙ্গলবার, ১২ ভাদ্র ১৩৪৬) জগৎঘটকের রচিত 'ঝুলন' নামক একটি গীতি-আলেখ্য বেতারে প্রচারিত হয়েছিল।  এই গীত-আলেখ্যে নজরুলের রচিত মোট ৬টি গান ব্যবহৃত হয়েছিল। এর ভিতরে 'দোলে বন-তমালের ঝুলনাতে' এবং মম বন -ভবনে ঝুলন-দোলনা গানটি পূর্বে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি প্রকাশ করেছিল।
  • গগনে কৃষ্ণ মেঘ দোলে [তথ্য]
    এইচএমভি [সেপ্টেম্বর ১৯৪০ (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪৭)। এন ১৭৪৮২। শিল্পী: ইলা ঘোষ ও সুনীল ঘোষ
  • ঝুলনের এই মধু লগনে [তথ্য]
  • ঝুলনের হিন্দোলা দোলে [তথ্য]
  • দোলে বন-তমালের ঝুলনাতে [তথ্য] [পূর্বে প্রকাশিত]
  • বাদলা রাতে চাঁদ উঠেছে [তথ্য]
  • মন বনভবনে ঝুলন দোলনা [তথ্য]   [পূর্বে প্রকাশিত]
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ (১৫ ভাদ্র- ১৩ আশ্বিন ১৩৪৬)

এই মাসে রেকর্ডের প্রকাশিত গান

এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা

বেতার ও বেতারজগতে নজরুল অক্টোবর ১৯৩৯ (১৪ আশ্বিন-১৪ কার্তিক ১৩৪৬)
বেতার ও বেতার জগতে নজরুল

দুর্গা পূজারে পরে ২৮ অক্টোবর (শনিবার ১১ কার্তিক), নজরুল তাঁর অসুস্থ স্ত্রী প্রমিলা নজরুলের বাতের ব্যথা দূরীকরণে জন্য বীরভূমের বেলের ধরধম ঠাকুরের কাছ থেকে ঔষধ সংগ্রহের জন্য যান। যাওয়ার আগে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি টেলিগ্রাম করেছিলেন। উল্লেখ্য, তারাশঙ্কর ছিলেন টেলিগ্রাম এই সময় বীরভূম জেলার লাভপুর গ্রামের জমিদার পরিবারের সন্তান। এই সময় তারাশঙ্করের সন্তান মৃত্যুবরণ করেছিল। তারাশঙ্কর তাঁর 'একটি স্মরণী দিন' প্রবন্ধে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন-

'আমার মন সেদিন একটি বিশেষ কারণে খুব স্বাভাবিক ছিল না। ১৯৩৯ সালের অক্টোবর ঠিক পুজার পরেই । সেদিন বেলা বারটা-একটার সময়ে আমার একটি শিশু-সন্তান মারা গেল। কয়েক মাসের সন্তান। বেলা দুটো নাগাদ তার সৎকারের ব্যবস্থা করে শবটিকে শ্মশানে পাঠানো হল। বেলা তখন চারটে, একটি টেলিগ্রাম পেলাম
‌ -'আমি এবং নজরুল আজ তোমার ওখানে পৌঁচুচ্ছি।-নলিনী।'

এই প্রবন্ধ থাকে জানা যায়, শনিবার রাত নটায় রেলযোগে লাভপুর স্টেশনে পৌঁছেছিলেন। নজরুল স্থানীয় ডাকবাংলো বা স্টেশনের  ওয়েটিংরুমে থাকার জন্য তারাশঙ্করকে ব্যবস্থা করে দিতে বলেছিলেন। তারাশঙ্কর এঁদেরকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান।

২৮ অক্টোবর (রবিবার ১২ কার্তিক), সকালে ট্যাক্সি করে বেলের ধরধম ঠাকুরের মন্দিরে যান এবং দুপরের দিকে বেল থেকে লাভপুরে ফিরে আসেন। ফিরে এসে নজরুল তারাশঙ্করকে বলেন যে,- রাত্রে আসর পাতো। গান গাইব।'

বিকেলে তিনি ফুল্লরা মহাপীঠে যোগাসনে বসেন। তারাশঙ্কর তাঁর 'একটি স্মরণী দিন' প্রবন্ধে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন-

'বিকেলে আমাদের ওখানে ফুল্লরা মহাপীঠে গিয়ে দেবীর মন্দিরের সামনে নাটমন্দিরে পদ্মাসন হয়ে বসে কাজীসাহেব প্রাণায়াম যোগে জপ শুরু করলেন। দেখতে দেখতে মনে হল মানুষটা নিষ্পন্দ বা সমাধিস্থ হয়ে গেছে। কুম্ভকে এতক্ষণ অবস্থান খুব বড় যোগী ভিন্ন সম্ভবপর নয়। সমস্ত শরীরে ঘামের বন্যা বয়ে গেল। যখন জপ সেরে উঠলেন তখন চোখ ছুটি জবাফুলের মত লাল। এবং তখনও ঠিক জাগ্রত চেতনায় যেন ফেরেননি। সেই অবস্থাতেই একখানি গান রচনা করে সুর দিয়ে গেয়ে দেবতাকে এবং সমবেত লোকেদের শুনিয়ে বাড়ী ফিরলেন।'

তারশঙ্করের বিবরণ অনুসারে একটি নতুন গান রচনার কথা জানা যায় বটে, কোন গানটি রচনা করেছিলেন তা জানা যায় নি। তারশঙ্কর রাতে গানের আসর পেতেছিলেন। রাত দুটো পর্যন্ত এই আসরে তিনি গান গেয়েছিলেন। আসরে নলিনী গান কয়েকটি হাসির গান গেয়েছিলেন। এই আসর স্থানীয় মুসলমানরা ইসলামী গানের আবদার করেছিলেন। মধ্যরাতে আসরের শেষে তিনি শ্যামা সঙ্গীত গেয়েছিলেন। সম্ভবত নজরুল ২৯ অক্টোবর (সোমবার ১৩ কার্তিক) লাভপুর থেকে কলকাতায় ফিরে এসেছিলেন।

[সূত্র: একটি স্মরণীয় দিন। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। সংকলন: নজরুল স্মৃতি। বিশ্বনাথ দে সম্পাদিত। সংশোধিত-পরিমার্জিত নতুন সংস্করণ ১লা বৈশাখ ১৩৬৭। সাহিত্যম, ১৮বি, শ্যামাচরণ দে স্ট্রীট্, কলিকাতা ১২। পৃষ্ঠা: ৩৬-৩৮]

এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গান

এই মাসে বাতিলকৃত রেকর্ড
  • যাক না নিশিগানে গানে (আজকে গানের বান ডেকেছে)[তথ্য]
    এইচএমভি। শিল্পী: রত্নমালা সেন। রেকর্ডটি বাতিল হয়েছিল।
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত গান
  • ভারতবর্ষ। কার্তিক ১৩৪৬।
    • নারায়ণী উমা খেলে হেসে হেসে [তথ্য]
  • প্রবর্তক। কার্তিক ১৩৪৬।
    • মা, আমার ভবের অভাব লয় হয়েছে [তথ্য]
নভেম্বর ১৯৩৯ (১৫ কার্তিক-১৪ অগ্রহায়ণ ১৩৪৬)
  • বেতার ও বেতার জগতে নজরুল
    • ২ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার, ১৯ কার্তিক ১৩৪৬)। কলকাতা ক। চতুর্থ অধিবেশন। রাত্রি ১০.১৫
      একক অনুষ্ঠান: শিল্পী: বিজন ঘোষ দস্তিদারের কণ্ঠে দুটি গান প্রচারিত হয়েছিল। গান দুটি হলো-
      • বন্ধু পথ চেয়ে চেয়ে [তথ্য]
      • সখি ফুল ফুটেছে [তথ্য]
        [সূত্র: The Indian Listener পত্রিকায় [Vol. IV. No 21, 22 October, 1939. Page 1487]
    • ৪ নভেম্বর (শনিবার, ২১ কার্তিক ১৩৪৬)। সন্ধ্যা ৭.২০
      হারামণি: দ্বিতীয় অনুষ্ঠান:
       আনন্দ ভৈরব।
      সংগঠনা: সুরেশ চক্রবর্তী, কাজী নজরুল ইসলাম
    • ১২ নভেম্বর (রবিবার, ২৬ কার্তিক ১৩৪৬)। সকল ৯.১৫
      সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
      উদাসী ভৈরবী। গীতি-আলেখ্য।
      পরিকল্পনা,গান রচনা ও সুরারোপ: কাজী নজরুল ইসলাম

      ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ১২ নভেম্বর (রবিবার, ২৬ কার্তিক ১৩৪৬) সকাল ৯.১৫টা হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি অবলম্বনে জগৎঘটক রচিত উদাসী ভৈরব নাটিকা প্রচারিত হয়েছিল। এই নাটকে ব্যবহৃত ৬টি নজরুলের গান ব্যবহার হয়েছিল। উল্লেখ্য এর প্রত্যেকটি গানের সুর ছিল নজরুল-সৃষ্ট রাগে নিবদ্ধ।

      এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৪০ বৎসর ৫ মাস
       
    • ২০ নভেম্বর (সোমবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৩৪৬)। সন্ধ্যা ৬.১০
      সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
       রক্তজবা। গীতিচিত্র
      রচয়িতা:
      অবিনাশ বন্দ্যোপাধ্যায়
      সঙ্গীত পরিচালনায় :
      কালিদাস গাঙ্গুলী ও নিতাই ঘটক
    • সঙ্গীত নির্দেশনা: মনোরঞ্জন সেন, সুরেন সেন এবং রণজিত গুহ।
    • শিল্পবৃন্দ: রেবা সোম, মালিনা বোস, আভা মুখোপাধ্যায়, গীতা মিত্র, উর্মিলা দাশগুপ্তা, নমিতা সাহা, ইলা ঘোষ, নমিতা ঘোষ, বেলা মুখোপাধ্যায় এবং অন্যান্য।
       
    • এই গীতিচিত্রে নজরুলের রচিত যে সকল গান ব্যবহৃত হয়েছিল, সেগুলো হলো-

      ১. বল্‌ মা শ্যামা বল্‌ তোর বিগ্রহ [তথ্য]
      ২.মা খড়গ নিয়ে মাতিস রণে (খড়গ নিয়ে) [তথ্য]
      ৩. আমার হৃদয় হবে রাঙা জবা [তথ্য]
      ৪. মহাবিদ্যা আদ্যাশক্তি পরমেশ্বরী কালিকা [তথ্য]
      ৫. আমার কালো মেয়ে রাগ করেছে [তথ্য]
      ৬. আমার মানস-বনে ফুটেছে রে [তথ্য]
      ৭. আমার মা যে গোপাল সুন্দরী [তথ্য]
      ৮. আমি মা ব'লে যত ডেকেছি [তথ্য]

  • ২৪ নভেম্বর (শুক্রবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৩৪৬)। সন্ধ্যা ৬.৪৫-৮.৪৫
    সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
    সিরাজদ্দৌলা (নাটক)
    গান, সুরারোপ ও সঙ্গীত পরিচালনা: কাজী নজরুল ইসলাম

    ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ নভেম্বর (শুক্রবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৩৪৬), সন্ধ্যা ৬.৪৫-৮.৪০ টায় কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে 'শ্রুতি নাটক' হিসেবে প্রচারিত হয়েছিল। মুখ্য ভূমিকায়  ছিলেন- নির্মলেন্দু লাহিড়ি, এস. চ্যাটার্জি, ভূপেন চক্রবর্তী, সরযূবালা, ঊষাবতী, নিভাননী। নাটকটি পরিচালনা করেছিলেন- বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র।
            [সূত্র: The Indian Listener, Vol. IV, No. 22] page 1578]

    বেতার নাটকে কোনো কোন গান ব্যবহৃত হয়েছিল, তা জানা সম্ভব হয় নি।
এই মাসে প্রকাশিত গানের তালিকা
  • টুইন। এফটি ১৩০৬৩। মতিলাল দত্ত
    • অনেক মানিক আছে শ্যামা [তথ্য]
    • আমায় (মোরে) আঘাত যত হানবি শ্যামা [তথ্য]
  • টুইন। এফটি ১৩০৬৫। মানু মিঞা
    • আমিনা-দুলাল নাচে হালিমার কোলে [তথ্য]
  • এইচএমভ। এন ১৭৩৮৪। শিল্পী মাধবী মুখোপাধ্যায়। সুর: নজরুল ইসলাম]
    • ব্রজে আবার আসবে ফিরে [তথ্য]
    • পরমাত্মা নহ তুমি [তথ্য]
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা
  • ভাণ্ডার। অগ্রহায়ণ ১৩৪৬
    • দুঃখ জয়ের নবীন মন্ত্র সমবায় সমবায়। সমবায় আন্দোলনের সমর্থনে রচিত
  • সঙ্গীতবিজ্ঞান প্রবেশিকা। অগ্রহায়ণ ১৩৪৬
    • বাদলা রাতে চাঁদ উঠেছে [তথ্য]
  • মোহাম্মদী। অগ্রহায়ণ ১৩৪৬
    • নাই হল মা জেওর লেবাস। মূল গান: নাই হল মা বসন ভূষণ [তথ্য]
ডিসেম্বর ১৯৩৯ (১৫ অগ্রহায়ণ-১৫ পৌষ ১৩৪৬)
এই মাসে চারটি নজরুলের সঙ্গীত-নির্ভর চারটি অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়। এগুলো হলো- হরপ্রিয়া, হারামণি, মেলবন্ধন ও কচুরীপানা (পল্লীমঙ্গল)- এ সকল অনুষ্ঠানে যে সকল নতুন গান প্রচারিত হয়েছিল। এ্ছাড়া বেতারে পৃথক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেছিলেন বিভিন্ন শিল্পীরা।
  • ১ ডিসেম্বর (শুক্রবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৩৪৬)।
    কলকাতা খ। চতুর্থ অধিবেশন। সন্ধ্যা: ৯.৩০। শিল্পী আব্বাস উদ্দীন।
    • পথ চলিতে যদি চকিত [কাব্য সঙ্গীত] [তথ্য]
    • আজি নদী না যাইও রে [ভাওয়াইয়া]
         [সূত্র: The Indian Listener, Vol. IV, No. 23, November 1939] page 1611]

    এই দিন 'বেতার জগৎ' পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এই পত্রিকায় নজরুলের রচিত কাফি ঠাটের অন্তর্গত রাগ নিয়ে একটি অনুষ্ঠান প্রচারের কথা জানানো হয়।  ভিত্তিক অনুষ্ঠান।এই 'হরপ্রিয়া (সঙ্গীতালেখ্য)' সম্প্রচারের বিষয় জানানো হয়েছিল যে,

    'হরপ্রিয়া (কাফি ঠাটের রাগ-রাগিণী)/রচনা ও সুর-সংযোজন: কাযী নজরুল ইসলাম। ব্যবস্থাপনা: মনোরঞ্জন সেন, নিতাই ঘটক প্রভৃতি'। সূত্র: বেতারে নজরুল: ব্রহ্মমোহন ঠাকুর।

    উল্লেখ্য, হরপ্রিয়া সম্প্রচারিত হয়েছিল ৫ ডিসেম্বর  (মঙ্গলবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৩৪৬), সন্ধ্যা ৭.০৫টায়।
  • ২ ডিসেম্বর (শনিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৩৪৬)।
    • কলকাতা ক। দ্বিতীয় অধিবেশন। দেশী গান। সকাল: ১০.৩০-১১.৩০
      • শিল্পী: ফুল কুমারী ও রতন মাঝি।
        • সোনার বরণ কন্যা গো [তথ্য]
        • কোন বিদেশীর নাইয়া তুমি [তথ্য]
    • কলকাতা ক। চতুর্থ অধিবেশন। সন্ধ্যা: ৮.৩০
      • শিল্পী: আঙুরবালা
        • তরুণ অশান্ত কে বিরহী[তথ্য]

       [সূত্র: The Indian Listener, Vol. IV, No. 23 November 1939] page 1615]
     

  • ৪ ডিসেম্বর (সোমবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৩৪৬)।
    • কলকাতা ক। চতুর্থ অধিবেশন। সন্ধ্যা: ৭.৪৫
      • পদ্মরাণী চট্টোপাধ্যায়
        • নিরুদ্দেশের পথে আমি হারিয়ে যদি যাই [তথ্য]
    • কলকাতা খ। চতুর্থ অধিবেশন  সন্ধ্যা ৯.;৩০
      • পদ্মরাণী চট্টোপাধ্যায়
        • ও বন্ধু দেখলে তোমায় [তথ্য]
        • নিশির নিশুতি যেন [তথ্য]
      • নীলিমা বন্দ্যোপাধ্যায়
        • ফুলবীথি এলে অতিথি [তথ্য]
        • তুমি কি নিশীথ চাঁদ [তথ্য]
           
  • ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৩৪৬)।
    কলকাতা ক। চতুর্থ অধিবেশন। সময় সন্ধ্যা: ৭.০৫।
    • হরপ্রিয়া (সঙ্গীতালেখ্য)। কাফি ঠাটের অন্তর্গত রাগে ভিত্তিক অনুষ্ঠান। ১লা ডিসেম্বর (শুক্রবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৩৪৬) তারিখে 'বেতার জগৎ' পত্রিকায় এই গীতি-আলেখ্য সম্পর্কে আগাম জানানো হয়েছিল। সেই বিচারে ধারণা করা যায়, এই গীতি আলেখ্যের সকল গান ডিসেম্বর মাসের আগেই রচিত হয়েছি। অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন মনোরঞ্জন সেন। নিতাই ঘটক ও অন্যান্য।

      এই গীতি-আলেখ্যে ব্যবহৃত হয়েছিল মোট ৬টি গান। কোনো গানেরই রচনাকাল সম্পর্কে সুষ্পষ্টভাবে জানা যায় নি। এর ভিতরে 'মুরলীধ্বনি শুনি ব্রজনারী' গানটি ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে (পৌষ-মাঘ ১৩৪৪), এইচএমভি  ইন্দুরানী সেনগুপ্তের কণ্ঠে প্রথম রেকর্ড করেছিল। রেকর্ডটি পরে বাতিল হয়ে যায়। বাকি ৫টি গান এই সঙ্গীতালেখ্যের সাথে প্রথম প্রচারিত হয়েছিল।

      এই গীতি-আলেখ্যটি প্রথম গ্রন্থভুক্ত হয়েছিল- বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত আব্দুল কাদির সম্পাদিত 'নজরুল রচনাবলী'র তৃতীয় খণ্ডের ১৯৯৩ সংস্করণে। হরপ্রিয়া নাটিকায় গান ও সংলাপ রয়েছে। এর ভিতরে গান রয়েছে ৬টি। এই গানগুলো হলো-
      1. জয় হরপ্রিয়া শিবরঞ্জনী [তথ্য]
      2. মুরালীধ্বনি শুনি ব্রজনারী [তথ্য]
      3. মেঘ বিহীন খর বৈশাখে [তথ্য]
      4. নীলাম্বরী শাড়ি পরি' নীল যমুনায় কে যায় [তথ্য]
      5. যখন আমার গান ফুরাবে [তথ্য]
      6. ঝর ঝর ঝরে শাওন ধারা [তথ্য]
  • হারামণি তৃতীয় অধিবেশন (লুপ্ত রাগের পুনরুদ্ধার-বিষয়ক সঙ্গীতানুষ্ঠান)
    সম্প্রচার সময়: ১৩ ডিসেম্বর (বুধবার ২৭ অগ্রহায়ণ ১৩৪৬)।
    সম্প্রচার: কলকাতা-ক। চতুর্থ অধিবেশন। সময়: সন্ধ্যা ৭.১৫ থেকে ৭.৩৫। হারামণি: ৩।
    রাগ বসন্তমুখারী
    পরিচালনা: কাজী নজরুল ইসলাম ও সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তী
      [সূত্র। The Indian Listener 22 november 1939- Vol-IV-23 । ১৩ ডিসেম্বর। পৃষ্ঠা: ১৫৫৯।

     

  • মেল-মেলন
    ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৮শে ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার ১২ পৌষ ১৩৪৬),  সন্ধ্যা ৭.২০টায় কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে এই গীতি-আলেখ্যটি প্রচারিত হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে মোট ৬টি গান প্রচারিত হয়েছিল। গানগুলো হলো-
    1. হে নট-ভৈরবী আশাবরি  [তথ্য]
    2. প্রদীপ কি জ্বলিল আবার [তথ্য]
    3. কার অনুরাগে শ্রী-মুখ উজ্জ্বল [তথ্য]
    4. শঙ্কর -রূপে শ্যামল আওল [তথ্য]
    5. নিত্য শুদ্ধ কল্যাণরূপে [তথ্য]
    6. মরালী গমনশ্রী মদ অলস চরণে [তথ্য]

      [সূত্র। The Indian Listener 7 December 1939- Vol-IV-24 । ১৩ ডিসেম্বর। পৃষ্ঠা: ১৫৫৯।

  • 'কচুরীপানা (জনকল্যাণমূলক ) অনুষ্ঠান
    ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে ডিসেম্বর (শনিবার, ১৪ পৌষ ১৩৪৬), বিকাল ৫টায়, এই অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয়েছিল- কলকাতা-ক এর চতুর্থ অধিবেশনে। এই অনুষ্ঠানে নজরুলের একটি গান পরিবেশিত হয়েছিল। গানটি হলো-
    • ধ্বংস কর এই কচুরী-পানা [তথ্য]
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গানের তালিকা
  • এইচএমভি। এন ১৭৪০২। সন্তোষ সেনগুপ্ত
    • ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয় [তথ্য]
    • তুমি আমার সকাল বেলার সুর [তথ্য]
  • এইচএমভি। এন ১৭৩৯৫। সত্য চৌধুরী
    • এবার নবীন মন্ত্রে হবে জননী [তথ্য]
  • এইচএমভি। এন ১৭৩৯৮। বীণা চৌধুরী
    • আমার মালায় লাগুক তোমার মধুর হাতের [তথ্য]
  • টুইন। এফটি ১৩০৯৫। শিল্পী: রমলা মজুমদার। সুর: শৈলেশ দত্তগুপ্ত ]
    • চৈতী চাঁদের আলো আজ ভালো নাহি লাগে [তথ্য]
    • সেদিনো বলেছিল সেই সে ফুলবনে [তথ্য]
  • টুইন: এফটি ১৩১০৭। আব্বাসউদ্দিন আহমদ
    • আল্লাহর নাম মুখে যার [তথ্য]
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা
  • সঙ্গীতবিজ্ঞান প্রবেশিকা। পৌষ ১৩৪৬
    • শ্যাম-সুন্দর-গিরিধারী [তথ্য]
      স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত হয়েছিল। [নমুনা]
      কথা ও সুর: কাজী নজরুল ইসলাম। স্বরলিপি: সঙ্গীতাচার্য শ্রীসত্যকিঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের ছাত্র শ্রীনীলমণি সিংহ।
  • চিত্রদীপ। হেমেন্দ্রকুমার রায় সম্পাদিত পত্রিকা
    • কবিতা [?
  • বেতার জগৎ পত্রিকার এই সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল । গানটি হলো-
    • যখন আমার গান ফুরাবে  [তথ্য]
১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে ২টি গান এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি রেকর্ড করেছিল। পরে এই রেকর্ড বাতিল করা হয়েছিল। নজরুল-সঙ্গীত গবেষকদের গ্রন্থাদিতে এই তথ্য পাওয়া গেলেও, কোন মাসে রেকর্ড হয়েছিল, তা জানা যায় নি। এসকল গ্রন্থাদির সূত্রে অনুমান করা যায় যে, এর ভিতরে ১টি গান নতুন ছিল।
  1. যূথিকা মাধবী মল্লিকা লহ [ তথ্য] [নতুন গান]
    এইচএমভি [১৯৩৯। শিল্পী: কুঞ্জলাল সিংহ। রেকর্ডটি বাতিল হয়ে গিয়েছিল]
  2. সখি ফুল ফুটেছে [তথ্য] [১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ২ নভেম্বর গানটি বেতারে প্রচারিত হয়েছিল]
    এইচএমভি [১৯৩৯। শিল্পী: বিজনবালা। রেকর্ডটি বাতিল হয়ে গিয়েছিল]
জানুয়ারি ১৯৪০ (১৬ পৌষ- ১৭ মাঘ ১৩৪৬)

বেতার ও বেতারজগতে নজরুল
এই মাসে নজরুলের সঙ্গীত-নির্ভর ৩টি অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়। এগুলো হলো- হারামণি, প্রবাহ ও নবরাগ। এ্ সকল অনুষ্ঠানে যে সকল নতুন গান প্রচারিত হয়েছিল, তার তালিকা দেওয়া হলো-

  • ৮ জানুয়ারি (সোমবার ২৩ পৌষ)। সময়: সন্ধ্যা ৮.২০
    সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
      হারামণি  ৪। সৌরাষ্ট্র ভৈরব।
    •  মদালস ময়ূর-বীণা কার বাজে [তথ্য]
       
  • ১০ জানুয়ারি (বুধবার ২৫ পৌষ)। সময়: সন্ধ্যা ৬.৫০
    সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
    প্রবাহ (জগৎ ঘটক রচিত)
    পরিচালনা: নজরুল ইসলাম
    সহকারী পরিচালক: কালিদাস গঙ্গোপাধ্যায়
    গান ও সুর: নজরুল ইসলাম
    গানগুলোর সন্ধান পাওয়া যায় নি।
     
  • ১৩ জানুয়ারি (শনিবার ২৮ পৌষ)। সময়: সন্ধ্যা ৭.২০
    সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
    নব রাগমালিকা । গীতিনাট্য
    অনুষ্ঠানটির রচনা ও প্রযোজনায় ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের বর্ণনায় ছিলেন অনিল দাস। আর সঙ্গীত পরিবেশন করেছিলেন গীতা মিত্র ও শৈল দেবী। এই গীতিনাট্যের পূর্ণবাণী-রূপ প্রকাশিত হয়েছিল ১৬ই জানুয়ারি। উল্লেখ্য এই গীতিনাট্যে মোট ছয়টি গান ব্যবহার করা হয়েছিল। গানগুলো হলো-

    ১. নির্ঝরিণী: রুম্‌ ঝুম্‌ রুমু ঝুম্‌ কে বাজায় জল ঝুমঝুমি [তথ্য]
    ২. বেণুকা: বেণুকা ও কে বাজায় মহুয়া বনে [তথ্য]
    ৩. মীণাক্ষী: চপল আঁখির ভাষায় [তথ্য]
    ৪. সন্ধ্যামালতী: শোন্‌ ও সন্ধ্যামালতী [তথ্য]
    ৫. বনকুন্তলা: বন-কুন্তল এলায়ে বন-শবরী ঝুরে [তথ্য]
    ৬. দোলন-চাঁপা: দোলন চাঁপা বনে দোল [তথ্য]

  • বেতার জগতের ১৬ জানুয়ারি (মঙ্গলবার ২ মাঘ ১৩৪৬), 'নবরাগ মালিকা' প্রকাশিত হয়।
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গানের তালিকা
  • এইচএমভি। এন ১৭৪০৪। আঙুরবালা
    • বন্ধু পথ চেয়ে চেয়ে [তথ্য]
    • সখি সাপের মণি বুকে করে [তথ্য]
  • এইচএমভি। এন ১৭৪০৬। জ্ঞান গোস্বামী
    • আজি নন্দলাল মুখচন্দ নেহারি  [তথ্য]
    • এ ঘনঘোর রাতে [তথ্য]
  • এইচএমভি। এন ১৭৪১৪। মৃণালকান্তি ঘোষ
    • এ কূল ভাঙে ও কূল গড়ে [তথ্য]
    • কাণ্ডারি গো কর কর পার [তথ্য]
  • টুইন। এফটি ১৩৪৯৬। শিল্পী: আব্বাস উদ্দীন
    • নাই হল মা বসন ভূষণ [তথ্য]

এই মাসের বাতিলকৃত রেক্ড

  • কলম্বিয়া। জানুয়ারি ১৯৪০। শিল্পী: বিমল ভূষণ। রেকর্ড প্রকাশিত হয় নি।
    • ভাদরের ভরা নদীতে ভাসায়ে [তথ্য]
    • হে ইন্দ্রানী এলে কার তরে [তথ্য]
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা
  • সঙ্গীতবিজ্ঞান প্রবেশিকা। মাঘ ১৩৪৬
    • ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয়ে [তথ্য]
  • ভারতবর্ষ। মাঘ ১৩৪৬।
    • আজকে গানের বান ডেকেছে (যাক না নিশিগানে গানে)  [তথ্য]
      নিতাইঘটক-কৃত স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত হয়েছিল।
  • পাঠশালা। মাঘ ১৩৪৬। তৃতীয় বর্ষ, পঞ্চম সংখ্যা(স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
    • জয় ব্রহ্ম বিদ্যা শিব -সরস্বতী [তথ্য]
ফেব্রুয়ারি ১৯৪০ (১৮ মাঘ -১৭ ফাল্গুন ১৩৪৬)
  • ৩ ফেব্রুয়ারি (শনিবার ২০ মাঘ)। সময়: সন্ধ্যা ৭.০৫
    সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
    কাবেরী তীরে (গীতিনাট্য)। এই মাসে বেতারে প্রচারিত হয়েছিল- 'কাবেরী তীরে', 'মহুয়া' (পুনঃপ্রচার) ও হারামণি নামক গীতিনাট্য ও সঙ্গীতালেখ্য। এছাড়াও তিনি 'কবিতার ছন্দ' শিরোনামে একটি বক্তৃতা দিয়েছিলেন। এর ভিতরে 'কাবেরী তীরে' গীতিনাট্যের ৬টি গানের  ৩টি গান ছিল নতুন। এছাড়া ৫টি গানের রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল।
    কাবেরী তীরে (গীতিনাট্য)
    নজরুল ইসলামের রচিত এই গীতিনাট্য সম্পর্কে বেতার জগতের ‌১লা ফেব্রুয়ারি ১৯৪০ (বৃহস্পতিবার, ১৮মাঘ ১৩৪৬) সংখ্যা'র অনুষ্ঠান সূচী থেকে জানা যায়-
    রচনা ও সংগঠন: কাজী নজরুল ইসলাম
    সঙ্গীত প্রয়োগ: সুরেন্দ্র লাল দাসের নেতৃত্বে বেতার যন্ত্রী সংঘ
    বিভিন্ন অংশে: শৈল দেবী ও বিমল মুখোপাধ্যায়।
    গীতিনাট্যটি ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ৩রা ফেব্রুয়ারি (শনিবার ২০শে মাঘ ১৩৪৬), সন্ধ্যা ৭.০৫টা প্রথম কলকাতা থেকে প্রচারিত হয়েছিল। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের '১৬ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার ৩ ফাল্গুন ১৩৪৬)' সংখ্যায়, বেতার জগতে সম্পূর্ণ গীতিনাট্যটি প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ৮ নভেম্বর  (শনিবার ২২ কার্তিক ১৩৪৮) বেতারে এটি পুনরায় প্রচার হয়েছিল। পরে ২৫শে বৈশাখ ১৩৬৫ (বৃহস্পতিবার, ৪ মে ১৯৫৮)] তারিখে প্রকাশিত 'শেষ সওগাত' কাব্যগ্রন্থে 'কাবেরী-তীরে' শিরোনামে প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।

    এই গীতিনাট্যের নাট্যাংশ কবিতার ছন্দে রচিত। নাট্যাংশ বাদ দিলে এতে মোট ৬টি গান পাওয়া যায়। এর ভিতরে ৩টি গান পূর্বে রচিত।
    1. ওগো বৈশাখী ঝড় [তথ্য]
    2. কাবেরী নদী জলে কে গো বালিকা [তথ্য]
    3. এসো চির-জনমের সাথি [তথ্য] [পূর্বে রচিত]
    4. নীলাম্বরী শাড়ি পরি' নীল যমুনায় কে যায় [তথ্য] [পূর্বে রচিত]
    5. রহি রহি কেন সেই মুখ মনে পড়ে [তথ্য]
    6. নিশি রাতে রিম্‌ ঝিম্‌ ঝিম্‌ বাদল নূপুর [তথ্য]
  • ৯ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার ২৬ মাঘ)। সময়: সন্ধ্যা ৭.০৫
    সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান: মহুয়া। নাটক। পুনঃপ্রচার। নাটকটি রচনা করেছিলেন মন্মথ রায়। বেতারে নাটকটির প্রথম প্রচারকাল ছিল  '১৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার ১ পৌষ ১৩৩৯)'। পুনঃপ্রচার খ্রিষ্টাব্দের ৯ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার ২৬ মাঘ ১৩৪৬) তারিখে নাট্যকার মন্মথ রায় রচিত সঙ্গীত বহুল নাটক 'মহুয়া' কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে সম্পরচারিত হয়েছিল। উল্লেখ্য, এই নাটকটি প্রথম বেতারে প্রচারিত হয়েছিল ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার, ১লা পৌষ ১৩৩৯) তারিখে,। পুনঃপ্রচারিত এই নাটকে কোনো নতুন গান ছিল না।
     
  • ১৪ ফেব্রুয়ারি (বুধবার ১ ফাল্গুন)। সময়: সন্ধ্যা ৭.২৫
    সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
    হারামণি: ৫। বিরাট ভৈরব।
    ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি (বুধবার ১ ফাল্গুন ১৩৪৬), সন্ধ্যা ৭.২৫ মিনিটে রাগভিত্তিক অনুষ্ঠান 'হারমণি'র পঞ্চম অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছিল। এ অনুষ্ঠানের বিষয় ছিল রাগ 'বিরাট ভৈরব'। রাগের ব্যাখ্যা করেছিলেন সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তী। এই অনুষ্ঠানে 'বিরাট ভৈরব' রাগে নজরুলের রচিত এই গানটির কোনো সন্ধান পাওয়া যায় নি। একটি গান, নজরুল নিজেই পরিবেশন করেছিলেন।
     
  • ১৭ ফেব্রুয়ারি (শনিবার ৮ ফাল্গুন)। সময়: সন্ধ্যা ৭.৪৫
    সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
    বক্তৃতা। বিষয়: কবিতার ছন্দ।
    এই অনুষ্ঠানে কোনো গান ছিল না।
১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ ফেব্রুয়ারি (শনিবারবার ১ ফাল্গুন ১৩৪৬), সন্ধ্যা ৭.৪৫ মিনিটে নজরুল 'কবিতার ছন্দ' শীর্ষক একটি বক্তৃতা দিয়েছিলেন।
এই মাসে রেকর্ডে-কৃত নতুন গানের তালিকা
  1. এইচএমভি। এন ১৭৪১৮। শিল্পী ভবতোষ ভট্টাচার্য
  2. এইচএমভি। এন ১৭৪১৯ শিল্পী শিল্পী: কে মল্লিক]
    • মাগো আমি আর কি ভুলি [তথ্য]
  3. এইচএমভি। এন ১৭৪২০। শিল্পী: গোপাল চন্দ্র সেন (অন্ধগায়ক)। সুর করেছিলেন নজরুল ইসলাম।
    • কত নিদ্রা যাও রে কন্যা [তথ্য]
    • গাছের তলে ছায়া আছে  [তথ্য]
এই মাসে রেকর্ডে মন্মথ রায়ের রচিত রেকর্ড নাটক ' কাফনচোরা' প্রকাশিত হয়। এইচএমভি থেকে প্রকাশিত এই রেকর্ড নম্বর ছিল ১৭৪২৫ থেকে ১৭৪২৯। এই রেকর্ডে নজরুলের রচিত ৫টি গান ব্যবহৃত হয়েছিল। গানগুলো হলো-

  1. এইচএমভি। এন ১৭৪২৫।
    • আকাশে ভাই চাঁদ উঠেছে [তথ্য]
  2. এইচএমভি। এন ১৭৪২৬।
  3. এইচএমভি। এন ১৭৪২৮।
    • প্রাণে জাগে হিন্দোল  [তথ্য]
  4. এইচএমভি। এন ১৭৪২৯।
    • মরণ ডাকে - আয় রে চলে [তথ্য]
মার্চ ১৯৪০ (১৭ ফাল্গুন-১৮ চৈত্র ১৩৪৬)
  • সভা-সমিতিতে নজরুল
    • ২২ মার্চ (শুক্রবার ৯ চৈত্র ১৩৪৬), সাপ্তাহিক নূর এবং সুলতান পত্রিকার সম্পাদক, কবি, ঔপন্যাসিক ইসমাইল হোসেন সিরাজীর স্মৃতি রক্ষার্থে কলকাতায় সিরাজী পাবলিক লাইব্রেরি ও ফ্রি রিডিং রুম প্রতিষ্ঠিত হয়। এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নজরুল ভাষণ দেন।  এই দিনই কলকাতার ২/১ ইউরোপিয়ান অ্যাসাইলাম লেনে বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য-সমিতির ঈদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন নজরুলে। এই অনুষ্ঠানে তিনি ভাষণ দেন।
       
  • বেতারে নজরুল
    এই মাসে কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে সঙ্গীতের বাইরে দুটি অনুষ্ঠানে নজরুল অংশগ্রহণ করেছিলেন। এর ভিতরে একটি ছিল 'ভারতীয় বীরাঙ্গনা' নামক একটি বক্তৃতা। অপরটি ছিল 'ছন্দ শিক্ষা'  প্রসঙ্গে বর্ণমালা নিয়ে আলোচনা।

    এই মাসের ৪টি সঙ্গীত-সমৃদ্ধ-অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছিল কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে। এগুলো হলো- 'জিপ্‌সীদের সঙ্গে', 'হারামণি' (ষষ্ঠ অনুষ্ঠান), 'ইরানের স্বপ্ন' ও 'সারং রঙ'।  ঢাকা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছিল শচীন সেনগুপ্তের রচিত 'ঝড়ের রাতে' নামক নাটক। এছাড়া  এই নাটকের গানগুলোতে সুর করেছিলেন নজরুল ইসলাম।
     
  • ১ মার্চ (শুক্রবার ১৭ ফাল্গুন)। দুপুর ১.৩০
    সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
    বক্তৃতা। বিষয়: বীরাঙ্গনা।
    এই অনুষ্ঠানে কোনো গান ছিল না।
     
  • ২ মার্চ (শনিবার ১৮ ফাল্গুন)।
    সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
    জিপসীদের সঙ্গে(সঙ্গীতানুষ্ঠান)।
    ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ২ মার্চ (শনিবার ১৮ ফাল্গুন ১৩৪৬), সন্ধ্যা ৭.২৫টায় কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে এই দিন প্রচারিত হয়েছিল নজরুলের রচিত 'জিপসীদের সঙ্গে' নামক একটি সঙ্গীতালেখ্য। অনুষ্ঠানটির ধারা বর্ণনায় ছিলেন অনিল দাস। সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন সুরেন্দ্রলাল দাস। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে ছিলেন- গীতা মিত্র, শৈল দেবী. গিরীন চক্রবর্তী ও অন্যান্য। এই সঙ্গীতালেখ্য পূর্বে রচিত ৫টি গান ব্যবহৃত হয়েছিল। গানগুলো হলো-
    1. নিশি ভোর হল জাগিয়া [তথ্য]
    2. বেদিয়া-বেদিনী ছুটে আয় আয় আয় [তথ্য]
    3. রেশমি রুমালে কবরী বাঁধি [তথ্য]
    4. শুকনো পাতার নূপুর পায়ে [তথ্য]
    5. সাপুরিয়া রে! বাজাও বাজাও [তথ্য]
       
  • অন্নপূর্ণা
    ৩ মার্চ (রবিবার ১৯ ফাল্গুন ১৩৪৬) কলকাতার মিনার্ভা রঙ্গমঞ্চে মণিলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচিত 'অন্নপূর্ণা' নাটক মঞ্চস্থ হয়। নজরুল এই নাটকের সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন। এই নাটকে মোট ১৭টি গান ব্যবহৃত হয়েছিল। এর ভিতরে ১৪টি গান ছিল নজরুলের রচিত। এই গানগুলো হলো-
    1. অশিব শক্তি হতে হে শঙ্কর [তথ্য]
    2. আমি বুকের ভিতর থাকি [তথ্য]
    3. ওঁ শঙ্কর হর হর শিব সুন্দর [তথ্য]
    4. চঞ্চল মলয় হাওয়া শোন শোন [তথ্য]
    5. চিরদিন পূজা নিয়েছ দেবতা [তথ্য]
    6. জয় উমানাথ শিব মহেশ্বর [তথ্য]
    7. জয় মুক্তিদাত্রী কাশী বারানসী [তথ্য]
    8. বিশ্বে কামনার আগুন লাগাব [তথ্য]
    9. মহাদেবী উমারে আজি সাজাবো [তথ্য]
    10. যত ফুল তত ভুল কণ্টক জাগে [তথ্য]
    11. শোনো ডাকে রে ঐ ডাকে মোরে [তথ্য]
    12. সিদ্ধিদাতা, সিদ্ধিদাতা,সিদ্ধিদাতা [তথ্য]
    13. হে তরুণ,কেন এই অকরুণ খেলা [তথ্য]
    14. হে দেব অতিথি! [তথ্য]

     

  • ৫ মার্চ (মঙ্গলবার ২১ ফাল্গুন)। প্রচারের সময় জানা যায় নি
    সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান: ছন্দ শিক্ষা (বর্ণমালা)।
    এই অনুষ্ঠানে কোনো গান ছিল না।
     
  • ১১ মার্চ (সোমবার ২৭ ফাল্গুন)। সময়: সন্ধ্যা ৭.২০
    সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:  হারামণি
     ৬।
    রাগ 'শিবমত ভৈরব'।
    সংগঠক:
    কাজী নজরুল ইসলাম এবং সুরেশ চক্রবর্তী।
    গান: আঁধার ভীত এ চিত যাচে  [তথ্য]
     
  • ১৬ মার্চ (শনিবার ৩ চৈত্র)। সময়: সন্ধ্যা ৭.১৫
    সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
    ইরানের স্বপ্ন (সঙ্গীতানুষ্ঠান) পারস্য দেশীয় সুরের উপর রচিত গান দিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এর সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন সুরেন্দ্রলাল দাস। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে ছিলেন- গীতা মিত্র, শৈল দেবী. গিরীন চক্রবর্তী ও অন্যান্য। এই অনুষ্ঠানে মোট ৪টি নতুন গান ব্যবহৃত হয়েছিল। গানগুলো হলো-
    1. আয় ইরানী মেয়ে জংলা-পথ বেয়ে [তথ্য]
    2. ইরানের বুলবুলি কি এলে  [তথ্য]
    3. ইরানের রূপ-মহলের শাহজাদী শিঁরী [তথ্য]
    4. পরি' জাফরানী ঘাগরি [তথ্য] [পুরাতন গান]
    5. ফুলের জলসায় নীরব কেন কবি [তথ্য]
  • ২৬ মার্চ (মঙ্গলবার ১৩ চৈত্র)। সময়: সন্ধ্যা ৭.১৫
    সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
    ঢাকা বেতারকেন্দ্র থেকে শচীন সেনগুপ্তের রচিত ঝড়ের রাত (নাটক) প্রচারিত হয়। এই নাটকের গান রচনা করেছিলেন হেমেন্দ্র রায়। গানগুলোর সুর করেছিলেন নজরুল। 

এই মাসে প্রকাশিত রেকর্ডের গান

  • টুইন। এফটি ১৩২১৭। শিল্পী: আব্বাসউদ্দীন। সুরকার: নজরুল ইসলাম]
    • আল্লাজী গো, আমি বুঝি না  [তথ্য]
    • যে পেয়েছে আল্লার নাম সোনার কাঠি [তথ্য]
  • এইচএমভি। এন ১৭৪৩৩। শিল্পী: মৃণালকান্তি ঘোষ।
    • কেহ বলে তুমি রূপ সুন্দর [তথ্য]
    • গম্ভীর আরতি নৃত্যের ছন্দে [তথ্য]
  • এইচএমভি। এন ১৭৪৩৫। দীপালি তালুকদার
    • এ কি এ মধু শ্যাম বিরহে [তথ্য]
    • দূর বেণুকুঞ্জে বাজে মুরালী [তথ্য]
  • মেগাফোন। জেএনজি ৫৪৫৬।  ভবানী দাস
    • আমার মা যে গোপাল সুন্দরী [তথ্য]
    • জয়তু শ্রীরামকৃষ্ণ নমো [তথ্য]
  • মেগাফোন। জেএনজি ৫৪৬৪। কুসুম গোস্বামী
    • মোর দুখ নিশি হবে মোর  [তথ্য]
    • সন্ধ্যা ঘনালো আমার বিজন ঘরে [তথ্য]
  • পায়োনিয়ার।  এনকিউ ১৪৭। বেচু দত্ত।
    • ব্রজ-গোপী খেলে হোরি [তথ্য]
    • আজি মনে মনে লাগে হোরি [তথ্য]
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত গান
এপ্রিল ১৯৪০ (১৯ চৈত্র ১৩৪৬-১৭ বৈশাখ ১৩৪৭)
বেতারে নজরুল এই মাসে বেতারে নজরুলের সঙ্গীতবিষয়ক ৩টি অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছিল। এগুলো হলো- সারঙ্গরঙ্গ, হারামণি সপ্তম পর্ব ও বাসন্তীকুঞ্জ।
  • ৬ এপ্রিল (শনিবার ২৪ চৈত্র ১৩৪৬)। সময়: সন্ধ্যা ৭.১৫
    সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
    সারঙ্গ রঙ্গ (সঙ্গীতালেখ্য)এই অনুষ্ঠানে মোট সারঙ্গ অঙ্গের ৮টি বিভিন্ন রাগে নিবদ্ধ নজরুলের গান পরিবেশন করা হয়েছিল। এর ভিতরে দুটি গান  'মেঘবিহীন খর বৈশাখে' ও অগ্নি-গিরি ঘুমন্ত উঠিল জাগিয়া' পূর্বে প্রকাশিত হয়েছিল। অবশিষ্ট ৬টি গান এই অনুষ্ঠানে প্রথম পরিবেশিত হয়েছিল।
    ১. মেঘ-বিহীন খর বৈশাখে [তথ্য] [রাগ: সামন্ত সারং]
    ২. অগ্নিগিরি ঘুমন্ত উঠিল জাগিয়া [তথ্য] [লঙ্কাদাহন সারং]
    ৩. হংস-মিথুন ওগো যাও ক'য়ে যাও[তথ্য]  [বড়হংস সারং]
    ৪. বৃন্দাবনী কুঙ্কুম আবির রাগে যেন [তথ্য] [বৃন্দাবনী সারং]
    ৫.ধূলি-পিঙ্গল জটাজুট মেলে [তথ্য]  [শুদ্ধ সারং]
    ৬. চৈতালি চাঁদিনী রাতে  চৈতালি চাঁদিনী রাতে [তথ্য] [মধুমাদ সারং ]
    ৭. বল্‌ রাঙা হংসদূতী তার বারতা [তথ্য][রক্তহংস সারং]
    ৮. ভবনে আসিল অতিথি সুদূর [তথ্য][গৌড়সারং ]


    • ১০ এপ্রিল (বুধবার ২৮ চৈত্র ১৩৪৬)। সময়: সন্ধ্যা ৭.১৫
      সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
      হারামণি  (৭)।
      রাগ:  বঙ্গাল-ভৈরব
      নৃত্যকালী শঙ্কর সঙ্গে নাচে [তথ্য]
       
    • ২৭ এপ্রিল (বুধবার ১৪ বৈশাখ ১৩৪৭)। সময়: সন্ধ্যা ৭.১৫
      কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছিল 'বাসন্তীকুঞ্জ' নামক সঙ্গীতানুষ্ঠান। কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে এই অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছিল- ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ এপ্রিল (শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৩৪৭), সন্ধ্যা ৭.১৫টায়।

      উল্লেখ্য, ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি (মাঘ-ফাল্গুন ১৩৪১) মাসে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে বাসন্তিকা নামক একটি শ্রুতি নাটক এইচএমভি থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। এই বেতার অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছিল রেকর্ডে প্রকাশিত 'বাসন্তিকা'র গানগুলো নিয়ে। এ সম্পর্কে নজরুলে-সঙ্গীত গবেষক আসাদুল হক তাঁর 'নজরুল যখন বেতার' গ্রন্থে লিখেছেন- ' এইচএমভি কর্তৃক ররের্ড-কৃত 'বাসন্তিকা' নাটকের গানগুলোই এ সঙ্গীতানুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়েছিল।' কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, বাসন্তীকুঞ্জে অতিরিক্ত আরো একটি গান ছিল। গানটি হলো- 'পরজনমে যদি আসি এ ধরায়'। এছাড়া রেকর্ড বুলেটিনে 'বন দেবী এস গহন বনছায়ে [তথ্য]' ছিল, কিন্তু রেকর্ড প্রকাশের সময় গানটি বাদ দেওয়া হয়েছিল। সম্ভবত এই গানটি বাসন্তীকুঞ্জ থেকে বাদ পড়েছিল। সব মিলিয়ে বাসন্তীকুঞ্জের গানের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১টি।

      এই সূত্রে এই অনুষ্ঠানের নতুন গান- পরজনমে যদি আসি এ ধরায় [তথ্য]
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গানের তালিকা
  • মেগাফোন। জেএনজি ৫৪৭০। হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
    • কহ প্রিয়ে, কেমনে এ রাতি কাটাই [তথ্য]
    • ছিটাইয়া ঝাল নুন এলো ফাল্গুন মাস [তথ্য]
  • সেনোলা। কিউএস ৪৫৬। গীতা মিত্র
    • দোলন চাঁপা বনে দোলে [তথ্য]
  • টুইন। এফটি ১৩২৫৬। পারুল সোম
    • আমার আছে অসীম আকাশ [তথ্য]
  • টুইন। এফটি ১৩২৫৯। আশরাফ আলী
    • আল্লাজী আল্লাজী রহম কর তুমি যে রহমান  [তথ্য]
    • আল্লার নাম লইয়া বান্দা রোজ ফজরে উঠিও [তথ্য]
  • টুইন। এফটি ১৩২৬০। পরান রায়
    • তিয়াসের জল লইয়া আমার আশায়  [তথ্য]
  • টুইন। এফটি ১৩২৬১। গোলাম হায়দার অ্যান্ড পার্টি
    • আল্লার নাম জপিও ভাই দিবসে ও রেতে  [তথ্য]
    • ইয়া আল্লাহ্‌,তুমি রক্ষা কর [তথ্য]
  • এইচএমভি। এন ১৭৪৪৩। আব্বাসউদ্দীন
    • গাঙে জোয়ার এলো ফিরে [তথ্য]
    • বন্ধু আজো মনে রে পড়ে  [তথ্য]
  • এইচএমভি। এন ১৭৪৪৪। বীণা চৌধুরী
    • তুই জগৎ-জননী শ্যামা (জগৎ-জননী শ্যামা) [তথ্য]
    • ত্রিজগৎ আলোক'রে আছে [তথ্য]
  • এইচএমভি। এন ১৭৪৪৫। ইন্দুবালা
    • সাঁঝের পাখিরা ফিরিল কুলায়  [তথ্য]
  • এইচএমভি। এন ১৭৪৪৭। সুধা বন্দ্যোপাধ্যায়
    • ওগো দেবতা তোমার পায়ে [তথ্য]
    • মোরে ভালবাসায় ভুলিও না [তথ্য]
  • এইচএমভি। এন ১৭৪৪৮। জগন্ময় মিত্র
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা
  • ভারতবর্ষ। বৈশাখ ১৩৪৭
    • অগ্নিগিরি ঘুমন্ত উঠিলে[তথ্য]
      জগৎঘটককৃত স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত হয়েছিল [নমুনা]
১-২৪ মে ১৯৪০ (১৮ বৈশাখ- ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৭)
১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ২৪শে মে (১০ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৭) -পর্যন্ত কলকাতা বেতারকেন্দ্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। এ অনুষ্ঠানগুলো হলো- এগুলো হলো- সুগোপন (নাটিকা), রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন উপলক্ষে স্বরচিত কবিতা পাঠ, নব রাগমালিকা (দ্বিতীয় পর্ব) এবং জাগো সুন্দর চির কিশোর (শিশুদের জন্য সঙ্গীতালেখ্য), বাংলার গ্রাম। এছাড়া এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত হয়েছিল -টি গান।
  • বেতারে প্রচারিত অনুষ্ঠান ও তার গান
    • সুগোপন নাটিকা
      ৩ মে (শুক্রবার ২০ বৈশাখ ১৩৪৭) দুপুর ১.৩০ টায়, সুগোপন নাটিকা প্রচার হয়েছিল। তবে এই নাটকটি উদ্ধার করা সম্ভব হয় নি।
       
    • ৮ মে (বুধবার ২৫ বৈশাখ ১৩৪৭)। সময়: সন্ধ্যা ৬.০০
      কবিতা পাঠ (রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন উপলক্ষে স্বরচিত কবিতা পাঠ)। এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের ভিতরে ছিলেন- কুমুদরঞ্জন মল্লিক, যতীন্দ্রমোহন বাগচী, করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়, কালিদাস রায়, রাধারাণী দেবী ও নরেন্দ্র দেব।
       
    • ১১ মে (শনিবার ২৮ বৈশাখ ১৩৪৭)। সময়: সন্ধ্যা ৭.০৫
      সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
      নবরাগ মালিকা (দ্বিতীয় পর্ব)। এই অনুষ্ঠানের ৫টি গানই ছিল নতুন।
    • ১২ মে (রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৩৪৭),
      এই দিন কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে ১টি পরিবেশিত হয়েছিল। শিল্পী ছিলেন মৃণালকান্তি ঘোষ। গানটি হলো-
      • আমায় নহে গো-ভালোবাস শুধু  [তথ্য]
         
    • ২৪ মে (শুক্রবার ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৭)। প্রচার সময়: জানা যায় নি।
      সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
      জাগো সুন্দর চির কিশোর (নাটিকা)।
      কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে ছোটদের আসর অনুষ্ঠানে এই নাটিকাটি প্রথম প্রচারিত হয়। এই নাটিকায় দুটি গান ব্যবহৃত হয়েছিল। এর ভিতরে 'চল্‌ চল্‌ চল্‌ চল্‌ চল্‌ চল্‌ (ঊর্ধ্বগগনে)' গানটি ছিল আগের রচিত। অবশিষ্ট 'জাগো সুন্দর চিরকিশোর'  গানটি এই নাটকের জন্য রচিত হয়েছিল।
      • জাগো সুন্দর চিরকিশোর [তথ্য]
      • চল্‌ চল্‌ চল্‌ চল্‌ চল্‌ চল্‌ (ঊর্ধ্বগগনে) [তথ্য]
         
    • বেতার। ঢাকা বেতার কেন্দ্র। [৩১ মে ১৯৪০ (শুক্রবার, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৭)। রাত ৮.০৫টা। শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
      • চৈতী চাঁদের আলো আজ ভালো নাহি লাগে [তথ্য]

মে মাসের ১৮ (বৃহস্পতিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৬) তারিখে এইএচএমভি রেকর্ড কোম্পানি জগন্ময় মিত্রে কণ্ঠে নজরুলে রচিত একটি গানের রেকর্ড করে। গানটি হলো-

  • শাওন রাতে যদি স্মরণে আসে মোরে [তথ্য]
    এই গানটি রচনা এবং জগন্ময় মিত্রের সুরারোপের বিষয়ে জানা যায়, জগন্ময় মিত্রের রচিত 'শাওন রাতে যদি স্মরণে আসে মোরে' গ্রন্থে [প্রতিভাস। কলকাতা, ৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৮৫। পৃষ্ঠা: ৩২-৩৩]

    উল্লেখ্য, ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের শেষের কাজী নজরুল ইসলাম-এর সাথে জগন্ময় মিত্রের পরিচয় পরিচয় হয়েছিল।  গ্রন্থ মতে- এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি রেকর্ড কর্মকর্তা হেমচন্দ্র সোম, নজরুলের সাথে তাঁর পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। প্রথম পরিচয় প্রসঙ্গে জগন্ময় মিত্র লিখেছেন-

    '...কাজীদা জিজ্ঞাসা করলেন, 'কিছু ঠিক করেছিস কী গাইবি? একটু ইতস্তত করে বললাম, "আমি দু-একটা গান লিখে সুর করেছি।" কাজীদা বললেন, আচ্ছা শোনা"

    জগন্ময় তার লেখা সুরে গানটি শোনালেন। গানটি হলো- যদি বাসনা মনে দিবে দহন জ্বালা/তবে মনের কোণে কেন বাসিলে ভালো। নজরুল গানটি শোনার পর সুরের প্রশংসা করলেও বাণীর প্রশংসা করতে পারেন নি। তারপর নজরুল তিনি গানটি কয়েকবার জগন্ময়ের কাছে শুনে, সেই সুরের উপর 'শাওন রাতে স্মরণে আসে মোরে' গানটি রচনা করেছিলেন। এই গানটির সুর সম্পর্কে জগন্ময় লিখেছেন- 'আমার গুরু ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায় একবার একটা গান আমাদের গেয়ে শুনিয়েছিলেন। সেটি হলো- 'আজি ঝরলা' । রাগের নাম বলেছিলেন, যতদূর মনে আছে 'ঝঞ্ঝা-মল্লার।'  অর্থাৎ মল্লার ঘরের কোনো একটি রাগ। ঝঞ্ঝা-মল্লার নামটা ঠিক শুনেছিলাম কি না, এখন সন্দেহ পোষণ করি। কারণ, এ নাম আর কোনো জায়গায় শুনতে পাইনি...।' কবি নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট থেকে প্রকাশিত নজরুল-সংগীত সংগ্রহ [জুন ২০১৮, পৃষ্ঠা ৪]-এ গানটির শিরোনামে রাগ 'চর্জ্যু কি মল্লার' উল্লেখ আছে।

    জগ্মময় মিত্রের উল্লেখিত গ্রন্থ থেকে জানা যায় গানটি রেকর্ড করা হয়েছিল '১৮-৫-৩৯' তারিখে। গানটি রেকর্ড হয়েছিল আগে, কিন্তু রেকর্ডে প্রকাশিত হয়েছিল পরে। কারণ, রেকর্ডের এই গানের জুড়ি গান ছিল- অজয় ভট্টাচার্যের লেখা 'সন্ধ্যা যখন নামে গোপন পায়'। একই রেকর্ডে দুই রচয়িতার গান প্রকাশিত হলে- স্বত্বাধিকারের অর্থ ভাগাভাগি হতো। এই অসুবিধা দূর করার জন্য রেকর্ডে কোম্পানি নজরুলের রচিত অপর একটি গান 'গুনগুনিয়ে ভ্রমর এলো [তথ্য]' রেকর্ড করে ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে। আর উভয় গান মিলে রেকর্ডি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে।

ই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গান
  • টুইন। এফটি ১৩২৯৫। কুমারী গীতা বসু
    • তুমি কেন এলে পথে [তথ্য]
    • যবে ভোরের কুন্দকলি মেলিবে আঁখি [তথ্য]
  • সেনোলা। কিউএস ৪৭০। কমলা দেবী
    • তুমি পিরিতি কি কর হে শ্যাম [তথ্য]
    • হলুদ বাটিতে হলুদ বরণ গৌর মনে [তথ্য]
  • মেগাফোন। জেএনজি ৫৪৭১। অনন্তবালা
    • আল্লা নামে বরকতে ভাই [তথ্য]
  • মেগাফোন। জেএনজি ৫৪৭৩। ভবানীচরণ দাস
    • আর কত দুখ্‌ দেবে [তথ্য]
    • হরি হে তুমি তাই দূরে থাক সরে [তথ্য]
  • এইচএমভি। এন ১৭৪৬০। রঞ্জিত রায় ও কুমারী স্বর্ণ বসু
    • আমার বিছানা আছে (বিছানা আছে বালিস আছে) [তথ্য]
  • এইচএমভি। এন ১৭৪৬৪। শীলা সরকার
    • তুমি সারা জীবন দুঃখ দিলে  [তথ্য]
    • হে পাষাণ দেবতা [তথ্য]