৪০ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স
নজরুল ইসলামের ৪০ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স শুরু হয়েছিল ১১ জ্যৈষ্ঠ
১৩৪৬ বঙ্গাব্দ (বৃহস্পতিবার ২৫মে ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দ) থেকে। শেষ হয়েছিল ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৭
বঙ্গাব্দ (শুক্রবার ২৪ শে মে ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দ)
২৫-৩১ মে ১৯৩৯ (১১-১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৬)
এই মাসের ২৭শে মে (শনিবার ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৬), নজরুল ইসলামের
রচিত কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত
সাপুড়ে'
নামক ছায়াছবিটি পূর্ণ থিয়েটার্স-এ মুক্তি পায়। নিউ
থিয়েটার্স-এর
ব্যানারে তৈরিকৃত এই ছায়াছবির
পরিচালক ছিলেন দেবকীকুমার বসু। এই ছবিতে
মোট আটটি গান ব্যবহার করা হয়েছিল। এর ভিতরে ৭টি ছিল নজরুলের
রচিত। অবশিষ্ট একটি গান রচনা করেছিলেন
অজয় ভট্টাচার্য ।
১. হলুদ গাঁদার ফুল হলুদ গাঁদার ফুল
[তথ্য]
(কোরাস)
২.আকাশে হেলান দিয়ে পাহাড় ঘুমায় ঐ
[তথ্য]
৩. কলার মান্দাস বানিয়ে
[তথ্য]
৪. কথা কইবে না কথা[
তথ্য]
৫. পিছল পথে কুড়িয়ে পেলাম
[তথ্য]
৬. ফুটফুটে এ চাঁদ হাসেরে
[তথ্য]
৭. আমার এই পাত্রখানি
[তথ্য]
[রচয়িতা:
অজয় ভট্টাচার্য ]
জুন ১৯৩৯ (১৮ জ্যৈষ্ঠ -১৫ আষাঢ় ১৩৪৬)
১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ১১ জুন (রবিবার ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৬), কলকাতা বেতার কেন্দ্রের সান্ধ্য অনুষ্ঠান
(৮.১৫-৮.২৯) বিজন
কুমার ঘোষ, দুটি গানটি পরিবেশন
করেছিলেন। এই গান দুটির মধ্যে একটি গান ছিল নজরুলের রচিত। গান
দুটি ছিল
- ওরে ব্যাকুল বেণুবন [তথ্য]
[নজরুলের রচিত]
- পতি তোমার রুদ্র ভোলা [রচয়িতা অজ্ঞাত]
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গান
- এইচএমভি । এন ১৭৩০৭। শিল্পী: যূথিকা রায় (রেণু)
- কহিস লো সখি মাধবে
মথুরায় [তথ্য]
- এইচএমভি । এন ১৭৩০৮। শিল্পী: যূথিকা রায় (রেণু)।
- তোরা বলিস্ লো সখি, মাধবে মথুরায়
[তথ্য]
- এইচএমভি । এন ১৭৩০৯। শিল্পী: পদ্মরাণী চ্যাটার্জী। সুর: কমল দাশগুপ্ত
- ওরে শুভ্রবসনা রজনীগন্ধা
[তথ্য]
- নিরুদ্দেশের পথে আমি হারিয়ে যদি যাই [তথ্য]
- টুইন। এফটি ১২৮৪২। গীতা বসু
- ওরে মথুরাবাসিনী মোরে বল [তথ্য]
- বনমালার ফুল জোগালি
[তথ্য]
সঙ্গীত বিজ্ঞান প্রবেশিকা পত্রিকার [জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৬ (মে-জুন ১৯৩৯) সংখ্যায় গানটি
প্রকাশিত হয়েছিল। এই স্বরলিপির পাদদেশে উল্লেখ আছে- 'এই গানখানি টুই রেকর্ডে
কুমারী গীতা বসু কর্তৃক গীত হইয়াছে।' বাস্তবে এই গানটি টুইন রেকর্ড কোম্পানি
থেকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের জুন (জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় ১৩৪৬) মাসে। সম্ভবত সঙ্গীত বিজ্ঞান প্রবেশিকা
পত্রিকাটি 'জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৬' বিলম্বে প্রকাশিত হয়েছিল এবং বিলম্বে প্রকাশিত এই
পত্রিকায় এই গানটি স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত হয়েছিল। রেকর্ড প্রকাশের বিচারে এই
গানটি নজরুলের ৪০ বৎসর ১ মাস বয়সে ও প্রকাশিত হয়েছিল বলে দাবি করা যায়।
জুলাই ১৯৩৯ (১৬ আষাঢ়-১৫
শ্রাবণ ১৩৪৬)
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গান।
- মেগাফোন। জেএনজি
৫৩৮০। সাপুড়ে ছায়াছবির গান। শিল্পী:
কানন
দেবী।
- আকাশে হেলান দিয়ে [তথ্য]
- কথা কইবে না বউ
[তথ্য]
- মেগাফোন। জেএনজি ৫৩৮১।
- গাগরি ভরণে চলে চপলা ব্রজনারী
[তথ্য]
- ছল্কে গাগরি গোরী ধীরে ধীরে যাও
[তথ্য]
- এইচএমভি। এন ১৭৩১৬। শিল্পী: ইন্দুবালা
- সখি আর অভিমান জানাব না [তথ্য]
- স্বপনে এসো নিরজনে প্রিয়া
[তথ্য]
- এইচএমভি। এন ১৭৩১৯। জ্ঞানেন্দ্রপ্রসাদ গোস্বামী
- পিউ পিউ বিরহী পাপিয়া বোলে
[তথ্য]
- মম মধুর মিনতি শোন ঘন শ্যাম
[তথ্য]
- এইচএমভি। এন ১৭৩২০।
- যারে হাত দিয়ে মালা দিতে পার নাই [নজরুল ইসলাম]
[তথ্য]। কথা ও সুর: কাজী নজরুল ইসলাম। শিল্পী: সন্তোষ সেনগুপ্ত।
রেকর্ড বুলেটিনে [জুলাই ১৩৩৯] রেকর্ড নম্বর ভুলক্রম 'এন ১৭৮২০' ছাপা হয়েছিল। এই
রেকর্ডের অপর পৃষ্ঠায় ছাপা হয়েছিল- নীহারবিন্দু সেনগুপ্তের রচিত গান - 'তোমার সাথে হ'ল আমার এই যে পরিচয়'। সুর
করেছিলেন শৈলেশ
দত্তগুপ্ত। শিল্পী ছিলেন সন্তোষ সেনগুপ্ত।
- হিন্দুস্তান। এইচ ১১৭৯৭। নারীকণ্ঠের সমবেত গান
এই মাসে বাতিলকৃত রেকর্ড
- এইচএমভি। কুমারী রত্নমালা সেন।
- স্বপন-বিলাসে চাঁদ যবে হাসে
[তথ্য]
আগষ্ট ১৯৩৯ (১৬ শ্রাবণ-১৪ ভাদ্র ১৩৪৬)
এই মাসের ২৯
তারিখে ((মঙ্গলবার, ১২ ভাদ্র ১৩৪৬) জগৎঘটকের রচিত
'ঝুলন' নামক একটি গীতি-আলেখ্য বেতারে
প্রচারিত হয়েছিল। এই গীত-আলেখ্যে নজরুলের রচিত মোট ৬টি গান ব্যবহৃত
হয়েছিল। এর ভিতরে 'দোলে বন-তমালের ঝুলনাতে'
এবং মম বন -ভবনে ঝুলন-দোলনা গানটি পূর্বে এইচএমভি রেকর্ড
কোম্পানি প্রকাশ করেছিল।
- গগনে কৃষ্ণ মেঘ দোলে
[তথ্য]
এইচএমভি [সেপ্টেম্বর ১৯৪০ (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪৭)। এন ১৭৪৮২। শিল্পী: ইলা ঘোষ ও
সুনীল ঘোষ
- ঝুলনের এই মধু লগনে
[তথ্য]
- ঝুলনের হিন্দোলা দোলে
[তথ্য]
- দোলে বন-তমালের ঝুলনাতে
[তথ্য]
[পূর্বে প্রকাশিত]
- বাদলা রাতে চাঁদ উঠেছে
[তথ্য]
- মন বনভবনে ঝুলন দোলনা
[তথ্য]
[পূর্বে প্রকাশিত]
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা
- মোহাম্মদী। ভাদ্র ১৩৪৬।
- কাবার জেয়ারত তুমি [তথ্য]
- সালাম,সালাম,জামালউদ্দীন [তথ্য]
সাইয়িদ জামাল উদ্দিন আফগানি (১৮৩৮/১৮৩৯-৯ মার্চ ১৮৯৭) ছিলেন ঊনবিংশ শতকের একজন ইসলামি আদর্শবাদী, ইসলামি আধুনিকতাবাদের অন্যতম জনক ও প্যান ইসলামিক ঐক্যের একজন প্রবক্তা।
তাঁর স্মরণে নজরুল 'জামালউদ্দীন' শিরোনামে একটি কবিতা রচনা করেছিলেন। নজরুল
ইনস্টিটিউট থেকে প্রকাশিত 'নজরুল সঙ্গীত সংগ্রহ'-এ এই কবিতাটি গান হিসেবে সংকলিত
হয়েছে। নজরুল-রচনাবলী
জন্মশরবর্ষ সংস্করণ নবম খণ্ডে (বাংলা একাডেমি ঢাকা। আশ্বিন ১৪২২/অক্টোবর
২০১৫। পৃষ্ঠা ৯৯) এটি 'অগ্রন্থিত কবিতা' অংশে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। মুদ্রিত
কবিতার নিচে লেখা আছে 'বুলবুল ১৩৩৪। বুলবুল পত্রিকার কোন সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল,
তার উল্লেখ নেই। তাই এই কবিতাটি কবির ২৮ বছরের রচনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ (১৫ ভাদ্র- ১৩ আশ্বিন ১৩৪৬)
এই মাসে রেকর্ডের প্রকাশিত গান
-
এইচএমভি। এন
১৭৩৪৪। পদ্মরাণী
- এ দেবদাসীর পূজা লহ [তথ্য]
- নাচো শ্যাম-নটবর কিশোর-মুরালীধর [তথ্য]
- এইচএমভি। এন ১৭৩৪৬। দীপালী তালুকদার
- আজো বোলে কোয়েলিয়া [তথ্য]
- রিনিকি ঝিনিকি ঝিনিরিনি রিনি
[তথ্য]
- এইচএমভি। এন ১৭৩৫০। মৃণালকান্তি ঘোষ
- মাকে আদর করে কালী বলি [তথ্য]
- ওরে আজই না হয় (কালী কালী বলতে হবে)
[তথ্য]
- টুইন। এফটি এফটি. ১২৫৮০। শিল্পী: আব্দুল লতিফ
- মরুর ধূলি উঠ্লো রেঙে
[তথ্য]
- টুইন। এফটি ১২৯৬৯। পারুল সোম
- আঁধার রাতের দেবতা মোর [তথ্য]
- কত দুরে তুমি, ওগো আঁধারের সাথী [তথ্য]
-
টুইন। এফটি ১২৯৭১। আব্বাসউদ্দিন আহমদ
- কারো ভরসা করিসনে তুই
[তথ্য]
- খোদা এই গরীবের শোন শোন মোনাজাত
[তথ্য]
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা
- মোহাম্মদী। আশ্বিন ১৩৪৬
- তৌহিদেরি মুর্শিদ আমার[তথ্য]
- সঙ্গীতবিজ্ঞান প্রবেশিকা। আশ্বিন ১৩৪৬
- সেদিন বলেছিলে এই সে ফুলবনে [তথ্য]
বেতার ও বেতারজগতে নজরুল
- একক অনুষ্ঠান। অণিমা মুখোপাধ্যায় [৪ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ (সোমবার, ১৮ ভাদ্র
১৩৪৬)]
অক্টোবর ১৯৩৯ (১৪ আশ্বিন-১৪ কার্তিক ১৩৪৬)
বেতার ও বেতার জগতে নজরুল
- ৭ অক্টোবর ১৩৩৯
(শনিবার, ২০ আশ্বিন ১৩৪৬)
সুরথ উদ্ধার।
The
Indian listener
পত্রিকার ৭ অক্টোবর ১৩৩৯ সংখ্যা থেকে অগ্রিম বেতার অনুষ্ঠানের
তালিকা থেকে জানা যায়- কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছিল মন্মথ রায়ের
'সুরথ উদ্ধার' নাটক। মূলত এই নাটকটি গ্রামোফোন রেকর্ড থেকে বাজিয়ে শোনানো
হয়েছিল।
- Calcutta 1.
Transmisission II. 10.80
*Surath-Uddhar/A playlet by Manmatha Roy/Directed by Ahindra Chowdhuri
- ৮ অক্টোবর (রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৩৪৬)। প্রচার সন্ধ্যা
৭.১৫।
হারামণি: (প্রথম অনুষ্ঠান): আহির ভৈরোঁ (বেতার জগৎ)। এই অনুষ্ঠানের
মাধ্যমে নজরুল কলকাতা বেতারে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছিল এবং এই যোগাযোগ
অক্ষুণ্ণ ছিল ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। এরপর নজরুলের অসুস্থতার
জন্য এই যোগাযোগ ছিন্ন হয়েছিল।
সে সময়ে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বহু রাগ চর্চার অভাবে অপ্রচলিত রাগে পরিণত
হয়ে গিয়েছিল। ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের দিকে তিনি প্রথম অপ্রচলিত পটমঞ্জরী রাগে 'আমি
পথ-মঞ্জরি ফুটেছি আঁধার রাতে' এবং মনোরঞ্জনী রাগে '
জানি
পাব না তোমায় হে প্রিয় আমার'
রচনা করেছিলেন। গান দুটির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়- ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ জুলাই
(সোমবার ১১ শ্রাবণ ১৩৪৩) নজরুলের সাথে রেকর্ড কোম্পানির চুক্তিপত্রে। লুপ্তপ্রায়
রাগের সুরে গান রচনা করাটা ছিল, বিচ্ছিন্ন ঘটনার মতো। ফলে নজরুলে এই ধরনের গান
রচনায় কোনো ধারাবাহিকতা ছিল না। বেতারে 'হারামণি'র অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সেই
ধারাবাহিকতার সৃষ্টি হয়েছিল। তাঁর এই বিশেষ
উদ্যোগের
সহযোগী হিসেবে ছিলেন সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তী। সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তী এ সকল রাগের
ব্যাখ্যা দিতেন, আর নজরুল সে গুলোর প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি-সহ এবং সুরের কাঠামোর উপর নতুন
গান রচনা করতেন। এই সময় তিনি আমির খসরু
রচিত গ্রন্থাবলি এবং নবাব আলী রচিত 'মা'রিফুন্নাগমাত' গ্রন্থের প্রচুর সাহায্য
নিয়েছেন। এছাড়া সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তী'র কাছ থেকে সংস্কৃত ভাষায় রচিত রাগ বিষয়ক
গ্রন্থাদি থেকে তথ্যগত সাহায্য নিয়েছেন।
'হারামণি' প্রতি মাসে একবার হতো। এই ধারার প্রথম গানটি ছিল 'অরুণকান্তি কে গো যোগী
ভিখারী'। '
- অরুণকান্তি কে
গো যোগী ভিখারি [তথ্য]
Calcutta 1.
Transmisission II.
8.10 HARA-MONI, 1
*Revival of forgotten ragas: Aheer-Bhairav/By Qazi Nazrul Islam and
Suresh ch. Chakravarti
[The Indiann-Listener. 22 Sepetember
1939/Vol. IV Np. 19. Page 1379]
- ১৫ অক্টোবর (রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৩৪৬)। রাত্রি ৯.৩০-৯.৪৫।
একক গান: শিল্পী: পারুল সেন।
- আমি অলস উদাস আন্মনা [কাব্য]
[তথ্য]
- আমি গিরিধারী সাথে মিলিতে যাইব [ভজন] [তথ্য]
সূত্র:
[The
Indian-listener 1939, Vol IV, No 19. page 1407]
-
১৮ অক্টোবর (বুধবার, ১ কার্তিক ১৩৪৬)
দেবী দুর্গা
(নাটক)। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ অক্টোবর (বুধবার, ১
কার্তিক ১৩৪৬), মিনার্ভা থিয়েটারে মহেন্দ্রনাথ গুপ্তের এই নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে মোট ১২টি
নজরুলের গান ব্যবহৃত হয়েছিল। এই গানগুলো হলো-
- হে ঊষা ! অরুণিতে আকাশ
[তথ্য]
প্রথম অঙ্ক। প্রথম দৃশ্য। বেদগান
- ঢালো মদিরা মধু ঢালো
[তথ্য]
প্রথম অঙ্ক।
দ্বিতীয় দৃশ্য। নর্তকীদের গান
- পরমা প্রকৃতি দুর্গে শিবে
[তথ্য]
প্রথম অঙ্ক। চতুর্থ দৃশ্য। নর্তকীদের গান
- আয় ঘুম আয়! সাপিনীর দংশনে যেমন [তথ্য]
প্রথম অঙ্ক। চতুর্থ দৃশ্য। মায়াকন্যাদের গান
- সই চাঁদ কত দূরে
[তথ্য]
দ্বিতীয় অঙ্ক। প্রথম দৃশ্য। জন্মান্ধ রাজকন্যা
মিত্রবন্ধ্যার সখীগণের গান।
- জাগো দেবী দুর্গা চণ্ডিকা মহাকালী
[তথ্য]
দ্বিতীয় অঙ্ক। দ্বিতীয় দৃশ্য। আনন্দের গান।
- লহ লহ লহ মোহিনী মায়া আবরণ
[তথ্য]
দ্বিতীয় অঙ্ক। তৃতীয় দৃশ্য। মায়াকন্যাগণের গান।
- ভালোবাসি কলঙ্কী চাঁদ
[তথ্য]
দ্বিতীয় অঙ্ক। তৃতীয় দৃশ্য। মায়ার গান।
- মহুয়া মদ খেয়ে যেন বুনো মেয়ে
[তথ্য]
তৃতীয় অঙ্ক। প্রথম দৃশ্য। মায়ার গান।
- নিপীড়িতা পৃথিবীকে করো করো ত্রাণ
[তথ্য]
চতুর্থ অঙ্ক। প্রথম দৃশ্য। ধরিত্রীর গান।
- একাকিনী বিরহিনী জাগি [তথ্য]
চতুর্থ অঙ্ক। দ্বিতীয় দৃশ্য। ধরিত্রী র গান।
- এ দুর্দিন রবে না তোর [তথ্য]
চতুর্থ অঙ্ক। তৃতীয় দৃশ্য। ধরিত্রী র গান।
- ১৯শে অক্টোবর (বৃহস্পতিবার ২ কার্তিক ১৩৪৬)
।
মধুমালা:
নজরুলের রচিত একটি নাটক। কলকাতার
নাট্যভারতী রঙ্গমঞ্চে
নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে মোট ৩৮টি গান
ছিল। গানগুলো হল-
- জাগো বনলক্ষ্মী! জোছনা বিগলিত
[তথ্য]
মধুমালতী। প্রথম অঙ্ক। বন-বালিকাদের গান
- হে বিজয়ী! হে না -দেখা রূপের কুমার
[তথ্য]
মধুমালতী। প্রথম অঙ্ক। ঘুমপরি ও স্বপনপরির গান
- সুন্দর সুন্দর অপরূপ নন্দন
[তথ্য]
মধুমালতী। প্রথম অঙ্ক। ঘুমপরি, স্বপনপরির গান ও বনবিহারীগণের গান
- মোদের মর্দানা ঢঙ নাচা
[তথ্য]
মধুমালা। প্রথম অঙ্ক। অয়ষ্কান্তের গান।
- ঘুম আয় ঘুম, ঘুম ঘুম ঘুম
[তথ্য]
মধুমালা।প্রথম অঙ্ক। ঘুমপরি ও স্বপনপরির গান।
- এরি লাগি তপস্যা কি [তথ্য]
মধুমালা।প্রথম অঙ্ক। ঘুমপরি ও স্বপনপরির গান।
- যেন দুধ সাগরের ননী দিয়ে
[তথ্য]
মধুমালা। প্রথম অঙ্ক। ঘুমপরির গান।
- তুমি কে গো (কে কে কে) তুমি মোদের
[তথ্য]
মধুমালা। প্রথম অঙ্ক। বালিকাগণের গান।
- ওলো এক চাঁদকে সৃষ্টি করে
[তথ্য]
মধুমালা। প্রথম অঙ্ক। ঘুমপরীর গান।
- এতো একা চন্দ্রমণি
[তথ্য]
মধুমালা । প্রথম অঙ্ক। স্বপনপরির গান।
- আয় আয় মোর ময়ূর-বিমান
[তথ্য]
মধুমালা। প্রথম অঙ্ক। স্বপনপরীর গান।
- সোনার খাটে ঘুমায় কন্যা
[তথ্য]
মধুমালা। প্রথম অঙ্ক। স্বপনপরীর গান
- নিঝুমে নিদ্রা যায় রে মধুমালা
[তথ্য]
মধুমালা । দ্বিতীয় অঙ্ক। মাঝির গান।
- ভোরের তরুণ অরুণে আর পূর্ণিমার চাঁদে
[তথ্য]
মধুমালা (নাটক)। দ্বিতীয় অঙ্ক। স্বপনপরির গান।
- কি অনল জ্বলে লো সই [তথ্য]
মধুমালা। দ্বিতীয় অঙ্ক। ঘুমপরির গান।
- আমি হেরে এবার নেবো লো
[তথ্য]
মধুমালা। দ্বিতীয় অঙ্ক। ঘুমপরি ও স্বপনপরির গান।
- তোমার চন্দন-রঙ উত্তরীয়
[তথ্য]
মধুমালা । দ্বিতীয় অঙ্ক। মদনকুমার ও মধুমালার গান।
- আহা সুনীল নীরদে ঢাকিল অরুণ
[তথ্য]
মধুমালা। দ্বিতীয় অঙ্ক। মদনকুমার ও মধুমালার গান।
- পুব সাগরে ডুব দিয়ে ঐ
[তথ্য]
মধুমালা। দ্বিতীয় অঙ্ক। ঘুমপরির গান।
- তুমি যেয়ো না তুমি যেয়ো না
[তথ্য]
মধুমালা। দ্বিতীয় অঙ্ক। স্বপনপরির গান।
- ঘুম যবে ভাঙবে কন্যা
[তথ্য]
মধুমালা । দ্বিতীয় অঙ্ক। স্বপনপরির গান।
- কেউ বলতে পার কোথায় আমার
[তথ্য]
মধুমালা। তৃতীয় অঙ্ক। স্বপনপরির গান।
- এই কাঞ্চননগরের বাদ্শা
[তথ্য]
মধুমালা। তৃতীয় অঙ্ক। সেকেন্দার শা-এর গান।
- আমাদের ভাসালে অসীম আকাশে
[তথ্য]
মধুমালা। তৃতীয় অঙ্ক। ঘুমপরি ও স্বপনপরির গান।
- ওরে ও-পদ্মা নদী বলতে পারিস
[তথ্য]
মধুমালা। তৃতীয় অঙ্ক। মাঝিগণের গান।
- বোন রে বোন এ কোন্ রূপ দেখলি
[তথ্য]
মধুমালা। তৃতীয় অঙ্ক। অয়ষ্কান্তের গান।
- আমরা বনের পাখি [তথ্য]
মধুমালা । তৃতীয় অঙ্ক। নর্তকীদলের গান।
- মধুর মধুর ! আজি সকলি মধুর
[তথ্য]
মধুমালা। তৃতীয় অঙ্ক। নর্তকীদলের গান।
- ও বন-পথ! ওরে নদী
[তথ্য]
মধুমালা। তৃতীয় অঙ্ক। মদনকুমারের গান।
- ফুলের হাওয়া যা রে ছুটে
[তথ্য]
মধুমালা। তৃতীয় অঙ্ক। ঘুমপুরি ও স্বপনপরির গান।
- তুমি হেসে চলে গেলে বন্ধু
[তথ্য]
মধুমালা। তৃতীয় অঙ্ক। কাঞ্চনমালার গান।
- তুমি এতদিনে মরণ টানে টানলে
[তথ্য]
মধুমালা। তৃতীয় অঙ্ক। কাঞ্চনমালার গান।
- সাগর জলে খেলতে এলো
[তথ্য]
মধুমালা । তৃতীয় অঙ্ক। ঘুমপরি ও স্বজনপরির গান।
- বন্ধু বিদায়-যাই চলে যাই
[তথ্য]
মধুমালা। তৃতীয় অঙ্ক। স্বপনপরির গান।
- আমার পায়ের বেড়ি এই সোনার পুরী [তথ্য]
মধুমালা। তৃতীয় অঙ্ক। মধুমালার গান।
- নিশির পাহারা ভেঙে চোর এসেছে
[তথ্য]
মধুমালা । তৃতীয় অঙ্ক। সমবেত গান।
- অনেক জ্বালা দিয়েছে
[তথ্য]
মধুমালা। তৃতীয় অঙ্ক। নর্তকীর গান।
- ওগো বন্ধু! দাও সাড়া দাও [তথ্য]
মধুমালা। তৃতীয় অঙ্ক। কাঞ্চনমালার গান।
- ২২ অক্টোবর (রবিবার, ৫ কার্তিক ১৩৪৬)।
অনুষ্ঠান:
বিজয়া (সঙ্গীতালেখ্য)।
এবছরের দুর্গা পূজা হয়েছিল এই দিনেই।
সকাল ৯টায়
এই অনুষ্ঠানটি কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছিল। বেতার জগতে '১৬
অক্টোবর ১৯৩৯' (বুধবার ১ কার্তিক ১৩৪৬) সংখ্যায় এই অনুষ্ঠানের পরিচিতি অংশে উল্লেখ
করা হয়েছিল-
সকাল ৯টা বিজয়া দশমী (সঙ্গীতালেখ্য)
রচনা ও সংগঠন- কবি নজরুল ইসলাম
সহকারী-অমরেন্দ্র অধিকারী
ও
সুশীল রঞ্জন
সরকার
বিভিন্ন অংশে-
A.I.R
শিল্পীবৃন্দ
বিজয়াতে মোট ৬টি গান ব্যবহৃত হয়েছিল।
গানগুলো হলো-
- বিজয়োৎসব ফুরাইল মাগো
[তথ্য]
- যাস্নে মা ফিরে,যাস্নে জননী
[তথ্য]
- মাকে ভাসায়ে জলে (মাকে ভাসায়ে ভাটির স্রোতে)
[তথ্য]
- মোরা মাটির ছেলে
[তথ্য]
- খড়ের প্রতিমা পূজিস রে তোরা(মাটির প্রতিমা)
[তথ্য]
- এবার নবীন-মন্ত্রে হবে জননী তোর উদ্বোধন
[তথ্য]
দুর্গা পূজারে পরে ২৮ অক্টোবর (শনিবার ১১ কার্তিক), নজরুল
তাঁর অসুস্থ স্ত্রী প্রমিলা নজরুলের বাতের ব্যথা দূরীকরণে জন্য বীরভূমের বেলের ধরধম
ঠাকুরের কাছ থেকে ঔষধ সংগ্রহের জন্য যান। যাওয়ার আগে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়কে
একটি টেলিগ্রাম করেছিলেন। উল্লেখ্য, তারাশঙ্কর ছিলেন টেলিগ্রাম এই সময়
বীরভূম জেলার লাভপুর গ্রামের জমিদার পরিবারের সন্তান। এই সময়
তারাশঙ্করের সন্তান মৃত্যুবরণ করেছিল। তারাশঙ্কর তাঁর 'একটি স্মরণী দিন' প্রবন্ধে এ
প্রসঙ্গে লিখেছেন-
'আমার মন সেদিন একটি বিশেষ কারণে খুব স্বাভাবিক ছিল না।
১৯৩৯ সালের অক্টোবর ঠিক পুজার পরেই । সেদিন বেলা বারটা-একটার সময়ে আমার একটি
শিশু-সন্তান মারা গেল। কয়েক মাসের সন্তান। বেলা দুটো নাগাদ তার সৎকারের
ব্যবস্থা করে শবটিকে শ্মশানে পাঠানো হল। বেলা তখন চারটে, একটি টেলিগ্রাম পেলাম
-'আমি এবং নজরুল আজ তোমার ওখানে পৌঁচুচ্ছি।-নলিনী।'
এই প্রবন্ধ থাকে জানা যায়, শনিবার রাত নটায় রেলযোগে লাভপুর
স্টেশনে পৌঁছেছিলেন। নজরুল স্থানীয় ডাকবাংলো বা স্টেশনের ওয়েটিংরুমে থাকার
জন্য তারাশঙ্করকে ব্যবস্থা করে দিতে বলেছিলেন। তারাশঙ্কর এঁদেরকে নিজের বাড়িতে নিয়ে
যান।
২৮ অক্টোবর (রবিবার ১২ কার্তিক), সকালে ট্যাক্সি করে বেলের ধরধম ঠাকুরের মন্দিরে
যান এবং দুপরের দিকে বেল থেকে লাভপুরে ফিরে আসেন। ফিরে এসে নজরুল তারাশঙ্করকে বলেন
যে,- রাত্রে আসর পাতো। গান গাইব।'
বিকেলে তিনি ফুল্লরা মহাপীঠে যোগাসনে বসেন। তারাশঙ্কর তাঁর 'একটি স্মরণী দিন'
প্রবন্ধে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন-
'বিকেলে আমাদের ওখানে ফুল্লরা মহাপীঠে গিয়ে দেবীর
মন্দিরের সামনে নাটমন্দিরে পদ্মাসন হয়ে বসে কাজীসাহেব প্রাণায়াম যোগে জপ শুরু
করলেন। দেখতে দেখতে মনে হল মানুষটা নিষ্পন্দ বা সমাধিস্থ হয়ে গেছে। কুম্ভকে
এতক্ষণ অবস্থান খুব বড় যোগী ভিন্ন সম্ভবপর নয়। সমস্ত শরীরে ঘামের বন্যা বয়ে
গেল। যখন জপ সেরে উঠলেন তখন চোখ ছুটি জবাফুলের মত লাল। এবং তখনও ঠিক জাগ্রত
চেতনায় যেন ফেরেননি। সেই অবস্থাতেই একখানি গান রচনা করে সুর দিয়ে গেয়ে
দেবতাকে এবং সমবেত লোকেদের শুনিয়ে বাড়ী ফিরলেন।'
তারশঙ্করের বিবরণ অনুসারে একটি নতুন গান রচনার কথা জানা যায়
বটে, কোন গানটি রচনা করেছিলেন তা জানা যায় নি। তারশঙ্কর রাতে গানের আসর পেতেছিলেন।
রাত দুটো পর্যন্ত এই আসরে তিনি গান গেয়েছিলেন। আসরে নলিনী গান কয়েকটি হাসির গান
গেয়েছিলেন। এই আসর স্থানীয় মুসলমানরা ইসলামী গানের আবদার করেছিলেন। মধ্যরাতে আসরের
শেষে তিনি শ্যামা সঙ্গীত গেয়েছিলেন। সম্ভবত নজরুল ২৯ অক্টোবর (সোমবার ১৩ কার্তিক)
লাভপুর থেকে কলকাতায় ফিরে এসেছিলেন।
[সূত্র: একটি স্মরণীয় দিন। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংকলন: নজরুল স্মৃতি। বিশ্বনাথ দে সম্পাদিত। সংশোধিত-পরিমার্জিত নতুন সংস্করণ
১লা বৈশাখ ১৩৬৭। সাহিত্যম, ১৮বি, শ্যামাচরণ দে স্ট্রীট্, কলিকাতা ১২। পৃষ্ঠা:
৩৬-৩৮]
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গান
- হিন্দুস্থান। এইচ. ১১৭৯৭।
এটি ছিল নারীকণ্ঠের কোরাস গান। সুর করেছিলেন নজরুল ইসলাম। শ্রেণী-ঝুমুর (সাঁওতালী)।
- হলুদ গাঁদার ফুল, রাঙা পলাশ ফুল [তথ্য]
- এইচএমভি। অক্টোবর ১৯৩৯। এন ১৭৩৫৬। কে মল্লিক
- যার মেয়ে ঘরে ফিরল না [তথ্য]
- চুরি ক'রে এনো গিরি
[তথ্য]
- এইচএমভি। অক্টোবর ১৯৩৯। এন ১৭৩৬৩। যূথিকা রায়
- তুমি যদি রাধা হতে শ্যাম
[তথ্য]
- এইচএমভি। অক্টোবর ১৯৩৯। এন ১৭৩৬৩। শিল্পী: গিরীন চক্রবর্তী। সুরকার: গিরীন
চক্রবর্তী।
- শ্রান্ত-ধারা বালুতটে শীর্ণা-নদীর গান
[তথ্য]
- এইচএমভি। অক্টোবর ১৯৩৯। এন ১৭৩৬৮। রঞ্জিত রায়
- ওরে বাবা এর নাম নাকি পূজা [তথ্য]
- সবাইকে তুই বর দিলি মা [তথ্য]
- এইচএমভি। অক্টোবর ১৯৩৯। এন ১৭৩৭০। আঙুরবালা
- কালো পাহাড় আলো করে [তথ্য]
- নাচের নেশার ঘোর লেগেছে
[তথ্য]
- টুইন। এফটি ১৩০০৬। সিরাজুর রহমান
- ওরে ও চাঁদ উদয় হলি
[তথ্য]
- তোমায় যেমন করে ডেকেছিল
[তথ্য]
- টুইন। এফটি ১৩০১০। গোপাল ভট্টাচার্য
- কুঁজী নাচে কুঁজী নাচে
[তথ্য]
- বাঁকা শ্যাম হে
[তথ্য]
এই মাসে বাতিলকৃত রেকর্ড
- যাক না নিশিগানে গানে (আজকে গানের বান ডেকেছে)[তথ্য]
এইচএমভি। শিল্পী: রত্নমালা সেন। রেকর্ডটি বাতিল হয়েছিল।
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত গান
- ভারতবর্ষ। কার্তিক ১৩৪৬।
- নারায়ণী উমা খেলে হেসে হেসে [তথ্য]
- প্রবর্তক। কার্তিক ১৩৪৬।
- মা, আমার ভবের অভাব লয় হয়েছে
[তথ্য]
নভেম্বর ১৯৩৯ (১৫ কার্তিক-১৪ অগ্রহায়ণ ১৩৪৬)
- বেতার ও বেতার জগতে নজরুল
- ২৪ নভেম্বর (শুক্রবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৩৪৬)। সন্ধ্যা ৬.৪৫-৮.৪৫
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
সিরাজদ্দৌলা (নাটক)
গান, সুরারোপ ও সঙ্গীত পরিচালনা: কাজী নজরুল ইসলাম
১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ নভেম্বর (শুক্রবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৩৪৬), সন্ধ্যা ৬.৪৫-৮.৪০
টায় কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে 'শ্রুতি নাটক' হিসেবে প্রচারিত হয়েছিল। মুখ্য ভূমিকায়
ছিলেন- নির্মলেন্দু লাহিড়ি, এস. চ্যাটার্জি, ভূপেন চক্রবর্তী, সরযূবালা, ঊষাবতী,
নিভাননী। নাটকটি পরিচালনা করেছিলেন- বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র।
[সূত্র:
The Indian Listener, Vol. IV, No. 22] page 1578]
বেতার নাটকে কোনো কোন গান ব্যবহৃত হয়েছিল, তা জানা সম্ভব হয় নি।
এই মাসে প্রকাশিত গানের তালিকা
-
টুইন। এফটি ১৩০৬৩। মতিলাল দত্ত
-
অনেক মানিক আছে শ্যামা [তথ্য]
-
আমায় (মোরে) আঘাত যত হানবি শ্যামা [তথ্য]
-
টুইন। এফটি ১৩০৬৫। মানু মিঞা
- আমিনা-দুলাল নাচে হালিমার কোলে
[তথ্য]
-
এইচএমভ। এন ১৭৩৮৪। শিল্পী
মাধবী মুখোপাধ্যায়। সুর: নজরুল ইসলাম]
-
ব্রজে আবার আসবে ফিরে
[তথ্য]
- পরমাত্মা নহ তুমি
[তথ্য]
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা
-
ভাণ্ডার। অগ্রহায়ণ ১৩৪৬
-
দুঃখ জয়ের নবীন মন্ত্র সমবায় সমবায়। সমবায় আন্দোলনের
সমর্থনে রচিত
-
সঙ্গীতবিজ্ঞান প্রবেশিকা। অগ্রহায়ণ ১৩৪৬
-
বাদলা রাতে চাঁদ উঠেছে [তথ্য]
-
মোহাম্মদী। অগ্রহায়ণ ১৩৪৬
- নাই হল মা জেওর লেবাস। মূল গান: নাই হল মা
বসন ভূষণ
[তথ্য]
ডিসেম্বর ১৯৩৯ (১৫ অগ্রহায়ণ-১৫ পৌষ ১৩৪৬)
এই মাসে চারটি
নজরুলের সঙ্গীত-নির্ভর চারটি অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়। এগুলো হলো- হরপ্রিয়া,
হারামণি, মেলবন্ধন ও কচুরীপানা (পল্লীমঙ্গল)- এ সকল অনুষ্ঠানে যে সকল নতুন গান
প্রচারিত হয়েছিল। এ্ছাড়া বেতারে পৃথক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন
করেছিলেন বিভিন্ন শিল্পীরা।
-
হারামণি তৃতীয় অধিবেশন
(লুপ্ত রাগের পুনরুদ্ধার-বিষয়ক
সঙ্গীতানুষ্ঠান)
সম্প্রচার সময়: ১৩ ডিসেম্বর (বুধবার ২৭ অগ্রহায়ণ ১৩৪৬)।
সম্প্রচার: কলকাতা-ক। চতুর্থ অধিবেশন। সময়: সন্ধ্যা ৭.১৫ থেকে ৭.৩৫।
হারামণি: ৩।
রাগ
বসন্তমুখারী
পরিচালনা: কাজী নজরুল ইসলাম ও সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তী
[সূত্র। The Indian Listener
22
november 1939-
Vol-IV-23
। ১৩ ডিসেম্বর। পৃষ্ঠা: ১৫৫৯।
-
মেল-মেলন
১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৮শে ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার ১২ পৌষ ১৩৪৬), সন্ধ্যা
৭.২০টায় কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে এই গীতি-আলেখ্যটি প্রচারিত হয়েছিল।
এই অনুষ্ঠানে মোট ৬টি গান প্রচারিত হয়েছিল। গানগুলো হলো-
- হে নট-ভৈরবী আশাবরি [তথ্য]
- প্রদীপ কি জ্বলিল আবার [তথ্য]
- কার অনুরাগে শ্রী-মুখ উজ্জ্বল
[তথ্য]
- শঙ্কর -রূপে শ্যামল আওল
[তথ্য]
- নিত্য শুদ্ধ কল্যাণরূপে
[তথ্য]
- মরালী গমনশ্রী মদ অলস চরণে
[তথ্য]
[সূত্র। The Indian Listener
7 December 1939- Vol-IV-24 । ১৩ ডিসেম্বর। পৃষ্ঠা: ১৫৫৯।
- 'কচুরীপানা (জনকল্যাণমূলক )
অনুষ্ঠান
১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে ডিসেম্বর (শনিবার, ১৪ পৌষ ১৩৪৬), বিকাল ৫টায়,
এই অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয়েছিল-
কলকাতা-ক এর চতুর্থ অধিবেশনে। এই অনুষ্ঠানে
নজরুলের একটি গান পরিবেশিত হয়েছিল। গানটি হলো-
- ধ্বংস কর এই কচুরী-পানা
[তথ্য]
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গানের তালিকা
- এইচএমভি। এন ১৭৪০২। সন্তোষ সেনগুপ্ত
- ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয় [তথ্য]
- তুমি আমার সকাল বেলার সুর [তথ্য]
- এইচএমভি। এন ১৭৩৯৫। সত্য চৌধুরী
- এবার নবীন মন্ত্রে হবে জননী [তথ্য]
- এইচএমভি। এন ১৭৩৯৮। বীণা চৌধুরী
- আমার মালায় লাগুক তোমার মধুর হাতের [তথ্য]
- টুইন।
এফটি ১৩০৯৫। শিল্পী: রমলা মজুমদার। সুর: শৈলেশ দত্তগুপ্ত ]
-
চৈতী চাঁদের আলো আজ ভালো নাহি লাগে [তথ্য]
- সেদিনো বলেছিল সেই সে ফুলবনে [তথ্য]
- টুইন: এফটি ১৩১০৭। আব্বাসউদ্দিন আহমদ
- আল্লাহর নাম মুখে যার
[তথ্য]
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা
- সঙ্গীতবিজ্ঞান প্রবেশিকা। পৌষ ১৩৪৬
- শ্যাম-সুন্দর-গিরিধারী
[তথ্য]
স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত হয়েছিল।
[নমুনা]
কথা ও সুর: কাজী নজরুল ইসলাম। স্বরলিপি: সঙ্গীতাচার্য
শ্রীসত্যকিঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের ছাত্র শ্রীনীলমণি সিংহ।
- চিত্রদীপ। হেমেন্দ্রকুমার রায় সম্পাদিত পত্রিকা
- বেতার জগৎ পত্রিকার এই সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল । গানটি হলো-
- যখন আমার গান ফুরাবে
[তথ্য]
১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে ২টি গান এইচএমভি
রেকর্ড কোম্পানি রেকর্ড করেছিল। পরে এই রেকর্ড বাতিল করা হয়েছিল। নজরুল-সঙ্গীত
গবেষকদের গ্রন্থাদিতে এই তথ্য পাওয়া গেলেও, কোন মাসে রেকর্ড হয়েছিল, তা জানা যায়
নি। এসকল গ্রন্থাদির সূত্রে অনুমান করা যায় যে, এর ভিতরে ১টি গান নতুন ছিল।
- যূথিকা মাধবী মল্লিকা লহ
[ তথ্য]
[নতুন গান]
এইচএমভি [১৯৩৯। শিল্পী: কুঞ্জলাল সিংহ। রেকর্ডটি বাতিল হয়ে গিয়েছিল]
- সখি ফুল ফুটেছে
[তথ্য]
[১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ২ নভেম্বর গানটি বেতারে প্রচারিত
হয়েছিল]
এইচএমভি [১৯৩৯। শিল্পী: বিজনবালা। রেকর্ডটি বাতিল হয়ে গিয়েছিল]
জানুয়ারি ১৯৪০ (১৬ পৌষ- ১৭ মাঘ ১৩৪৬)
বেতার ও বেতারজগতে নজরুল
এই মাসে নজরুলের সঙ্গীত-নির্ভর ৩টি অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়। এগুলো
হলো- হারামণি, প্রবাহ ও নবরাগ।
এ্ সকল অনুষ্ঠানে যে সকল নতুন গান
প্রচারিত হয়েছিল, তার তালিকা দেওয়া হলো-
- বেতার জগতের ১৬ জানুয়ারি (মঙ্গলবার ২ মাঘ ১৩৪৬), 'নবরাগ
মালিকা' প্রকাশিত হয়।
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গানের তালিকা
- এইচএমভি। এন ১৭৪০৪। আঙুরবালা
- বন্ধু পথ চেয়ে চেয়ে
[তথ্য]
- সখি সাপের মণি বুকে করে
[তথ্য]
-
এইচএমভি। এন ১৭৪০৬। জ্ঞান গোস্বামী
-
আজি নন্দলাল মুখচন্দ নেহারি
[তথ্য]
-
এ ঘনঘোর রাতে [তথ্য]
-
এইচএমভি। এন ১৭৪১৪। মৃণালকান্তি ঘোষ
-
এ কূল ভাঙে ও কূল গড়ে
[তথ্য]
- কাণ্ডারি গো কর কর পার
[তথ্য]
- টুইন। এফটি ১৩৪৯৬। শিল্পী:
আব্বাস উদ্দীন
- নাই হল মা বসন ভূষণ
[তথ্য]
এই মাসের বাতিলকৃত রেক্ড
- কলম্বিয়া। জানুয়ারি ১৯৪০। শিল্পী: বিমল ভূষণ। রেকর্ড প্রকাশিত হয় নি।
- ভাদরের ভরা নদীতে ভাসায়ে
[তথ্য]
- হে ইন্দ্রানী এলে কার তরে
[তথ্য]
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা
- সঙ্গীতবিজ্ঞান প্রবেশিকা। মাঘ ১৩৪৬
- ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয়ে
[তথ্য]
- ভারতবর্ষ। মাঘ ১৩৪৬।
- আজকে গানের বান ডেকেছে (যাক না নিশিগানে গানে)
[তথ্য]
নিতাইঘটক-কৃত স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত হয়েছিল।
- পাঠশালা। মাঘ ১৩৪৬।
তৃতীয় বর্ষ, পঞ্চম সংখ্যা(স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
- জয় ব্রহ্ম বিদ্যা শিব -সরস্বতী
[তথ্য]
ফেব্রুয়ারি ১৯৪০
(১৮ মাঘ -১৭ ফাল্গুন ১৩৪৬)
- ৩ ফেব্রুয়ারি (শনিবার ২০ মাঘ)। সময়: সন্ধ্যা ৭.০৫
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
কাবেরী তীরে (গীতিনাট্য)। এই মাসে বেতারে প্রচারিত হয়েছিল- 'কাবেরী তীরে', 'মহুয়া' (পুনঃপ্রচার) ও হারামণি
নামক গীতিনাট্য ও সঙ্গীতালেখ্য। এছাড়াও তিনি 'কবিতার ছন্দ' শিরোনামে একটি বক্তৃতা
দিয়েছিলেন। এর ভিতরে 'কাবেরী তীরে' গীতিনাট্যের ৬টি গানের
৩টি গান ছিল নতুন।
এছাড়া ৫টি গানের রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল।
কাবেরী তীরে (গীতিনাট্য)
নজরুল ইসলামের রচিত এই
গীতিনাট্য সম্পর্কে বেতার জগতের ১লা ফেব্রুয়ারি ১৯৪০ (বৃহস্পতিবার, ১৮মাঘ
১৩৪৬) সংখ্যা'র অনুষ্ঠান সূচী থেকে জানা যায়-
রচনা ও সংগঠন: কাজী নজরুল ইসলাম
সঙ্গীত প্রয়োগ: সুরেন্দ্র লাল দাসের নেতৃত্বে বেতার যন্ত্রী সংঘ
বিভিন্ন অংশে: শৈল দেবী ও বিমল মুখোপাধ্যায়।
গীতিনাট্যটি ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ৩রা ফেব্রুয়ারি (শনিবার ২০শে মাঘ
১৩৪৬), সন্ধ্যা ৭.০৫টা প্রথম
কলকাতা থেকে প্রচারিত হয়েছিল। ১৯৪০
খ্রিষ্টাব্দের '১৬ ফেব্রুয়ারি
(শুক্রবার ৩ ফাল্গুন ১৩৪৬)' সংখ্যায়, বেতার জগতে
সম্পূর্ণ গীতিনাট্যটি প্রকাশিত হয়েছিল।
১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ৮ নভেম্বর (শনিবার ২২
কার্তিক ১৩৪৮) বেতারে এটি পুনরায় প্রচার হয়েছিল।
পরে ২৫শে বৈশাখ ১৩৬৫ (বৃহস্পতিবার, ৪ মে ১৯৫৮)] তারিখে প্রকাশিত
'শেষ সওগাত' কাব্যগ্রন্থে 'কাবেরী-তীরে' শিরোনামে প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
এই গীতিনাট্যের নাট্যাংশ কবিতার ছন্দে রচিত। নাট্যাংশ বাদ দিলে এতে মোট ৬টি গান
পাওয়া যায়। এর ভিতরে ৩টি গান পূর্বে রচিত।
- ওগো বৈশাখী ঝড়
[তথ্য]
- কাবেরী নদী জলে কে গো বালিকা
[তথ্য]
- এসো চির-জনমের সাথি
[তথ্য]
[পূর্বে রচিত]
- নীলাম্বরী শাড়ি পরি' নীল যমুনায় কে যায়
[তথ্য]
[পূর্বে রচিত]
- রহি রহি কেন সেই মুখ মনে পড়ে
[তথ্য]
- নিশি রাতে রিম্ ঝিম্ ঝিম্ বাদল নূপুর
[তথ্য]
- ৯ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার ২৬ মাঘ)। সময়: সন্ধ্যা ৭.০৫
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
মহুয়া। নাটক। পুনঃপ্রচার। নাটকটি রচনা করেছিলেন
মন্মথ রায়। বেতারে নাটকটির প্রথম প্রচারকাল ছিল '১৬ ডিসেম্বর
(শুক্রবার ১ পৌষ ১৩৩৯)'।
পুনঃপ্রচার
খ্রিষ্টাব্দের ৯ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার ২৬ মাঘ ১৩৪৬) তারিখে নাট্যকার মন্মথ রায় রচিত সঙ্গীত বহুল
নাটক 'মহুয়া' কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে সম্পরচারিত হয়েছিল। উল্লেখ্য, এই নাটকটি প্রথম বেতারে
প্রচারিত হয়েছিল ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার, ১লা পৌষ ১৩৩৯) তারিখে,। পুনঃপ্রচারিত এই
নাটকে কোনো নতুন গান ছিল না।
- ১৪ ফেব্রুয়ারি (বুধবার ১ ফাল্গুন)। সময়: সন্ধ্যা ৭.২৫
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
হারামণি: ৫। বিরাট ভৈরব।
১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি (বুধবার ১ ফাল্গুন ১৩৪৬),
সন্ধ্যা ৭.২৫ মিনিটে
রাগভিত্তিক অনুষ্ঠান 'হারমণি'র পঞ্চম অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছিল।
এ অনুষ্ঠানের বিষয় ছিল রাগ 'বিরাট ভৈরব'। রাগের ব্যাখ্যা করেছিলেন সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তী।
এই অনুষ্ঠানে 'বিরাট ভৈরব' রাগে নজরুলের রচিত এই গানটির কোনো সন্ধান পাওয়া যায় নি। একটি গান,
নজরুল নিজেই পরিবেশন করেছিলেন।
- ১৭ ফেব্রুয়ারি (শনিবার ৮ ফাল্গুন)। সময়: সন্ধ্যা ৭.৪৫
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
বক্তৃতা। বিষয়: কবিতার ছন্দ।
এই অনুষ্ঠানে কোনো গান ছিল না।
১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ ফেব্রুয়ারি (শনিবারবার ১ ফাল্গুন ১৩৪৬),
সন্ধ্যা ৭.৪৫ মিনিটে নজরুল 'কবিতার ছন্দ' শীর্ষক একটি বক্তৃতা দিয়েছিলেন।
এই মাসে রেকর্ডে-কৃত নতুন গানের তালিকা
- এইচএমভি। এন ১৭৪১৮। শিল্পী ভবতোষ ভট্টাচার্য
- এইচএমভি। এন ১৭৪১৯ শিল্পী শিল্পী: কে মল্লিক]
- মাগো আমি আর কি ভুলি
[তথ্য]
- এইচএমভি। এন ১৭৪২০। শিল্পী: গোপাল চন্দ্র সেন (অন্ধগায়ক)। সুর করেছিলেন নজরুল
ইসলাম।
-
কত নিদ্রা যাও রে কন্যা [তথ্য]
- গাছের তলে ছায়া আছে
[তথ্য]
এই মাসে রেকর্ডে মন্মথ রায়ের রচিত রেকর্ড নাটক '
কাফনচোরা'
প্রকাশিত হয়। এইচএমভি থেকে প্রকাশিত এই রেকর্ড নম্বর ছিল ১৭৪২৫ থেকে ১৭৪২৯। এই
রেকর্ডে নজরুলের রচিত ৫টি গান ব্যবহৃত হয়েছিল। গানগুলো হলো-
- এইচএমভি। এন ১৭৪২৫।
- আকাশে ভাই চাঁদ উঠেছে
[তথ্য]
- এইচএমভি। এন ১৭৪২৬।
- স্বাগত হে অতিথি
[তথ্য]
- এলো মিলন-রাতি [তথ্য]
- এইচএমভি। এন ১৭৪২৮।
- প্রাণে জাগে হিন্দোল [তথ্য]
- এইচএমভি। এন ১৭৪২৯।
- মরণ ডাকে - আয় রে চলে [তথ্য]
মার্চ ১৯৪০ (১৭ ফাল্গুন-১৮ চৈত্র ১৩৪৬)
- সভা-সমিতিতে নজরুল
- ২২ মার্চ (শুক্রবার ৯ চৈত্র ১৩৪৬), সাপ্তাহিক নূর
এবং সুলতান পত্রিকার সম্পাদক, কবি, ঔপন্যাসিক ইসমাইল হোসেন সিরাজীর স্মৃতি
রক্ষার্থে কলকাতায় সিরাজী পাবলিক লাইব্রেরি ও ফ্রি রিডিং রুম প্রতিষ্ঠিত হয়।
এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নজরুল ভাষণ দেন। এই দিনই কলকাতার ২/১
ইউরোপিয়ান অ্যাসাইলাম লেনে বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য-সমিতির ঈদ সম্মেলনে
সভাপতিত্ব করেন নজরুলে। এই অনুষ্ঠানে তিনি ভাষণ দেন।
- বেতারে নজরুল
এই মাসে কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে সঙ্গীতের বাইরে দুটি
অনুষ্ঠানে নজরুল অংশগ্রহণ করেছিলেন। এর ভিতরে একটি ছিল 'ভারতীয় বীরাঙ্গনা' নামক একটি
বক্তৃতা। অপরটি ছিল 'ছন্দ শিক্ষা' প্রসঙ্গে বর্ণমালা নিয়ে আলোচনা।
এই
মাসের ৪টি সঙ্গীত-সমৃদ্ধ-অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছিল কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে। এগুলো
হলো- 'জিপ্সীদের সঙ্গে', 'হারামণি' (ষষ্ঠ
অনুষ্ঠান), 'ইরানের স্বপ্ন' ও 'সারং রঙ'। ঢাকা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত
হয়েছিল শচীন সেনগুপ্তের রচিত 'ঝড়ের রাতে' নামক নাটক। এছাড়া এই নাটকের গানগুলোতে সুর
করেছিলেন নজরুল ইসলাম।
- ১ মার্চ (শুক্রবার ১৭ ফাল্গুন)। দুপুর ১.৩০
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
বক্তৃতা। বিষয়: বীরাঙ্গনা।
এই অনুষ্ঠানে কোনো গান ছিল না।
- ২ মার্চ (শনিবার ১৮ ফাল্গুন)।
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
জিপসীদের সঙ্গে(সঙ্গীতানুষ্ঠান)।
১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ২ মার্চ (শনিবার ১৮ ফাল্গুন ১৩৪৬), সন্ধ্যা ৭.২৫টায় কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে এই দিন প্রচারিত হয়েছিল নজরুলের
রচিত 'জিপসীদের সঙ্গে' নামক একটি সঙ্গীতালেখ্য। অনুষ্ঠানটির
ধারা বর্ণনায় ছিলেন অনিল দাস। সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন সুরেন্দ্রলাল দাস।
কণ্ঠশিল্পী হিসেবে ছিলেন- গীতা মিত্র, শৈল দেবী. গিরীন চক্রবর্তী ও
অন্যান্য। এই সঙ্গীতালেখ্য পূর্বে রচিত ৫টি গান ব্যবহৃত হয়েছিল। গানগুলো হলো-
-
নিশি ভোর হল জাগিয়া
[তথ্য]
- বেদিয়া-বেদিনী ছুটে আয় আয় আয়
[তথ্য]
- রেশমি রুমালে কবরী বাঁধি
[তথ্য]
- শুকনো পাতার নূপুর পায়ে
[তথ্য]
- সাপুরিয়া রে! বাজাও
বাজাও [তথ্য]
-
অন্নপূর্ণা
৩ মার্চ (রবিবার ১৯ ফাল্গুন ১৩৪৬) কলকাতার মিনার্ভা রঙ্গমঞ্চে মণিলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচিত 'অন্নপূর্ণা'
নাটক মঞ্চস্থ হয়। নজরুল এই নাটকের সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন। এই নাটকে মোট ১৭টি গান
ব্যবহৃত হয়েছিল। এর ভিতরে ১৪টি গান ছিল নজরুলের রচিত। এই গানগুলো হলো-
- অশিব শক্তি হতে হে শঙ্কর
[তথ্য]
- আমি বুকের ভিতর থাকি
[তথ্য]
- ওঁ শঙ্কর হর হর শিব সুন্দর
[তথ্য]
- চঞ্চল মলয় হাওয়া শোন শোন
[তথ্য]
- চিরদিন পূজা নিয়েছ দেবতা
[তথ্য]
- জয় উমানাথ শিব মহেশ্বর
[তথ্য]
- জয় মুক্তিদাত্রী কাশী বারানসী
[তথ্য]
- বিশ্বে কামনার আগুন লাগাব
[তথ্য]
- মহাদেবী উমারে আজি সাজাবো
[তথ্য]
- যত ফুল তত ভুল কণ্টক জাগে
[তথ্য]
- শোনো ডাকে রে ঐ ডাকে মোরে
[তথ্য]
- সিদ্ধিদাতা, সিদ্ধিদাতা,সিদ্ধিদাতা
[তথ্য]
- হে তরুণ,কেন এই অকরুণ খেলা
[তথ্য]
- হে দেব অতিথি!
[তথ্য]
- ৫ মার্চ (মঙ্গলবার ২১ ফাল্গুন)। প্রচারের সময় জানা যায় নি
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
ছন্দ শিক্ষা (বর্ণমালা)।
এই অনুষ্ঠানে কোনো গান ছিল না।
- ১১ মার্চ (সোমবার ২৭ ফাল্গুন)। সময়: সন্ধ্যা ৭.২০
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
হারামণি
৬।
রাগ 'শিবমত ভৈরব'।
সংগঠক: কাজী নজরুল ইসলাম এবং সুরেশ চক্রবর্তী।
গান: আঁধার ভীত এ চিত যাচে
[তথ্য]
- ১৬ মার্চ (শনিবার ৩ চৈত্র)। সময়: সন্ধ্যা ৭.১৫
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
ইরানের স্বপ্ন
(সঙ্গীতানুষ্ঠান) পারস্য দেশীয় সুরের উপর রচিত গান দিয়ে
অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এর সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন সুরেন্দ্রলাল দাস।
কণ্ঠশিল্পী হিসেবে ছিলেন- গীতা মিত্র, শৈল দেবী. গিরীন চক্রবর্তী ও
অন্যান্য। এই অনুষ্ঠানে মোট ৪টি নতুন গান ব্যবহৃত হয়েছিল। গানগুলো হলো-
- আয় ইরানী মেয়ে জংলা-পথ বেয়ে [তথ্য]
- ইরানের বুলবুলি কি এলে [তথ্য]
- ইরানের রূপ-মহলের শাহজাদী শিঁরী [তথ্য]
- পরি' জাফরানী ঘাগরি [তথ্য] [পুরাতন
গান]
- ফুলের জলসায় নীরব কেন কবি
[তথ্য]
- ২৬ মার্চ (মঙ্গলবার ১৩ চৈত্র)। সময়: সন্ধ্যা ৭.১৫
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান: ঢাকা বেতারকেন্দ্র থেকে শচীন সেনগুপ্তের রচিত ঝড়ের
রাত (নাটক) প্রচারিত হয়। এই নাটকের গান রচনা করেছিলেন হেমেন্দ্র রায়। গানগুলোর
সুর করেছিলেন নজরুল।
এই মাসে প্রকাশিত
রেকর্ডের গান
- টুইন। এফটি ১৩২১৭। শিল্পী:
আব্বাসউদ্দীন। সুরকার: নজরুল ইসলাম]
- আল্লাজী গো, আমি বুঝি না [তথ্য]
-
যে পেয়েছে আল্লার নাম সোনার কাঠি
[তথ্য]
- এইচএমভি। এন ১৭৪৩৩।
শিল্পী: মৃণালকান্তি ঘোষ।
- কেহ বলে তুমি রূপ সুন্দর
[তথ্য]
- গম্ভীর আরতি নৃত্যের ছন্দে
[তথ্য]
- এইচএমভি। এন ১৭৪৩৫।
দীপালি তালুকদার
- এ কি এ মধু শ্যাম বিরহে
[তথ্য]
-
দূর বেণুকুঞ্জে বাজে মুরালী [তথ্য]
- মেগাফোন। জেএনজি ৫৪৫৬। ভবানী দাস
- আমার মা যে গোপাল সুন্দরী [তথ্য]
- জয়তু শ্রীরামকৃষ্ণ নমো [তথ্য]
- মেগাফোন। জেএনজি ৫৪৬৪। কুসুম গোস্বামী
- মোর দুখ নিশি হবে মোর [তথ্য]
- সন্ধ্যা ঘনালো আমার বিজন ঘরে [তথ্য]
- পায়োনিয়ার। এনকিউ ১৪৭। বেচু দত্ত।
- ব্রজ-গোপী খেলে হোরি
[তথ্য]
- আজি মনে মনে লাগে হোরি
[তথ্য]
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত গান
এপ্রিল ১৯৪০ (১৯ চৈত্র ১৩৪৬-১৭
বৈশাখ ১৩৪৭)
বেতারে নজরুল এই মাসে
বেতারে নজরুলের সঙ্গীতবিষয়ক ৩টি অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছিল। এগুলো হলো-
সারঙ্গরঙ্গ, হারামণি সপ্তম পর্ব ও বাসন্তীকুঞ্জ।
- ৬ এপ্রিল (শনিবার ২৪ চৈত্র ১৩৪৬)। সময়: সন্ধ্যা ৭.১৫
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
সারঙ্গ রঙ্গ
(সঙ্গীতালেখ্য)এই অনুষ্ঠানে মোট সারঙ্গ অঙ্গের ৮টি বিভিন্ন রাগে নিবদ্ধ নজরুলের গান পরিবেশন করা হয়েছিল।
এর ভিতরে দুটি গান 'মেঘবিহীন খর বৈশাখে' ও অগ্নি-গিরি ঘুমন্ত উঠিল জাগিয়া'
পূর্বে প্রকাশিত হয়েছিল। অবশিষ্ট ৬টি গান এই অনুষ্ঠানে
প্রথম পরিবেশিত
হয়েছিল।
১. মেঘ-বিহীন খর বৈশাখে [তথ্য]
[রাগ: সামন্ত সারং]
২. অগ্নিগিরি ঘুমন্ত উঠিল জাগিয়া
[তথ্য]
[লঙ্কাদাহন
সারং]
৩. হংস-মিথুন ওগো যাও ক'য়ে যাও[তথ্য]
[বড়হংস
সারং]
৪.
বৃন্দাবনী কুঙ্কুম আবির রাগে যেন [তথ্য]
[বৃন্দাবনী
সারং]
৫.ধূলি-পিঙ্গল জটাজুট মেলে [তথ্য]
[শুদ্ধ
সারং]
৬. চৈতালি চাঁদিনী রাতে
চৈতালি চাঁদিনী রাতে
[তথ্য]
[মধুমাদ সারং
]
৭. বল্ রাঙা হংসদূতী তার বারতা [তথ্য][রক্তহংস
সারং]
৮. ভবনে আসিল
অতিথি সুদূর [তথ্য][গৌড়সারং
]
- ১০ এপ্রিল (বুধবার ২৮ চৈত্র ১৩৪৬)। সময়: সন্ধ্যা ৭.১৫
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
হারামণি
(৭)।
রাগ:
বঙ্গাল-ভৈরব
নৃত্যকালী শঙ্কর সঙ্গে
নাচে
[তথ্য]
- ২৭ এপ্রিল (বুধবার ১৪ বৈশাখ ১৩৪৭)। সময়: সন্ধ্যা ৭.১৫
কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছিল 'বাসন্তীকুঞ্জ' নামক সঙ্গীতানুষ্ঠান। কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে এই অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছিল- ১৯৪০
খ্রিষ্টাব্দের ২৭ এপ্রিল (শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৩৪৭), সন্ধ্যা ৭.১৫টায়।
উল্লেখ্য, ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি (মাঘ-ফাল্গুন ১৩৪১) মাসে এইচএমভি রেকর্ড
কোম্পানি থেকে বাসন্তিকা নামক একটি শ্রুতি নাটক এইচএমভি থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। এই
বেতার অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছিল রেকর্ডে প্রকাশিত 'বাসন্তিকা'র গানগুলো নিয়ে। এ
সম্পর্কে নজরুলে-সঙ্গীত গবেষক
আসাদুল হক তাঁর 'নজরুল যখন বেতার' গ্রন্থে লিখেছেন-
' এইচএমভি কর্তৃক ররের্ড-কৃত 'বাসন্তিকা' নাটকের গানগুলোই এ সঙ্গীতানুষ্ঠানে
ব্যবহৃত হয়েছিল।' কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, বাসন্তীকুঞ্জে অতিরিক্ত আরো একটি
গান ছিল। গানটি হলো- 'পরজনমে যদি আসি এ ধরায়'। এছাড়া রেকর্ড বুলেটিনে 'বন দেবী এস গহন বনছায়ে
[তথ্য]'
ছিল, কিন্তু রেকর্ড প্রকাশের সময় গানটি বাদ দেওয়া হয়েছিল। সম্ভবত এই গানটি
বাসন্তীকুঞ্জ থেকে বাদ পড়েছিল। সব মিলিয়ে বাসন্তীকুঞ্জের গানের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১টি।
এই সূত্রে এই অনুষ্ঠানের নতুন গান-
পরজনমে যদি আসি এ ধরায় [তথ্য]
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গানের
তালিকা
- মেগাফোন। জেএনজি ৫৪৭০। হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
- কহ প্রিয়ে, কেমনে এ রাতি কাটাই
[তথ্য]
- ছিটাইয়া ঝাল নুন এলো ফাল্গুন মাস
[তথ্য]
- সেনোলা। কিউএস ৪৫৬। গীতা মিত্র
- দোলন চাঁপা বনে দোলে [তথ্য]
- টুইন। এফটি ১৩২৫৬। পারুল সোম
- আমার আছে অসীম আকাশ [তথ্য]
-
টুইন। এফটি ১৩২৫৯। আশরাফ আলী
- আল্লাজী আল্লাজী রহম কর তুমি যে রহমান
[তথ্য]
- আল্লার নাম লইয়া বান্দা রোজ ফজরে উঠিও
[তথ্য]
- টুইন। এফটি ১৩২৬০। পরান রায়
- তিয়াসের জল লইয়া আমার আশায়
[তথ্য]
- টুইন। এফটি ১৩২৬১। গোলাম হায়দার অ্যান্ড পার্টি
- আল্লার নাম জপিও ভাই দিবসে ও রেতে
[তথ্য]
- ইয়া আল্লাহ্,তুমি রক্ষা কর
[তথ্য]
- এইচএমভি। এন ১৭৪৪৩। আব্বাসউদ্দীন
- গাঙে জোয়ার এলো ফিরে
[তথ্য]
- বন্ধু আজো মনে রে পড়ে
[তথ্য]
- এইচএমভি। এন ১৭৪৪৪। বীণা চৌধুরী
- তুই জগৎ-জননী শ্যামা (জগৎ-জননী শ্যামা)
[তথ্য]
- ত্রিজগৎ আলোক'রে আছে [তথ্য]
- এইচএমভি। এন ১৭৪৪৫। ইন্দুবালা
- সাঁঝের পাখিরা ফিরিল কুলায়
[তথ্য]
- এইচএমভি। এন ১৭৪৪৭। সুধা বন্দ্যোপাধ্যায়
- ওগো দেবতা তোমার পায়ে
[তথ্য]
- মোরে ভালবাসায় ভুলিও না
[তথ্য]
- এইচএমভি। এন ১৭৪৪৮। জগন্ময় মিত্র
এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা
- ভারতবর্ষ। বৈশাখ ১৩৪৭
- অগ্নিগিরি ঘুমন্ত উঠিলে[তথ্য]
জগৎঘটককৃত স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত হয়েছিল [নমুনা]
১-২৪ মে ১৯৪০ (১৮ বৈশাখ- ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৭)
১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ২৪শে মে (১০ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৭) -পর্যন্ত কলকাতা বেতারকেন্দ্রের
বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। এ অনুষ্ঠানগুলো হলো- এগুলো হলো- সুগোপন (নাটিকা),
রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন উপলক্ষে স্বরচিত কবিতা পাঠ,
নব রাগমালিকা (দ্বিতীয় পর্ব) এবং জাগো সুন্দর চির কিশোর (শিশুদের জন্য সঙ্গীতালেখ্য),
বাংলার গ্রাম। এছাড়া
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত হয়েছিল -টি গান।
- বেতারে প্রচারিত অনুষ্ঠান ও তার গান
- সুগোপন নাটিকা
৩ মে (শুক্রবার ২০ বৈশাখ ১৩৪৭) দুপুর ১.৩০ টায়,
সুগোপন নাটিকা প্রচার হয়েছিল।
তবে এই নাটকটি উদ্ধার করা সম্ভব হয় নি।
- ৮ মে (বুধবার ২৫
বৈশাখ ১৩৪৭)। সময়: সন্ধ্যা ৬.০০
কবিতা পাঠ (রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন উপলক্ষে স্বরচিত কবিতা পাঠ)।
এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের ভিতরে ছিলেন- কুমুদরঞ্জন মল্লিক, যতীন্দ্রমোহন
বাগচী, করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়, কালিদাস রায়, রাধারাণী দেবী ও নরেন্দ্র
দেব।
- ১১ মে (শনিবার ২৮ বৈশাখ ১৩৪৭)। সময়: সন্ধ্যা ৭.০৫
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
নবরাগ মালিকা (দ্বিতীয় পর্ব)। এই অনুষ্ঠানের ৫টি
গানই ছিল নতুন।
-
১২ মে (রবিবার, ২৯ বৈশাখ
১৩৪৭),
এই দিন কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে ১টি
পরিবেশিত হয়েছিল। শিল্পী ছিলেন মৃণালকান্তি ঘোষ। গানটি হলো-
-
আমায় নহে গো-ভালোবাস শুধু
[তথ্য]
- ২৪ মে (শুক্রবার ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৭)। প্রচার সময়: জানা যায় নি।
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান:
জাগো সুন্দর চির কিশোর
(নাটিকা)।
কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে ছোটদের আসর অনুষ্ঠানে এই নাটিকাটি প্রথম প্রচারিত হয়। এই
নাটিকায় দুটি গান ব্যবহৃত হয়েছিল। এর ভিতরে 'চল্ চল্ চল্ চল্ চল্ চল্
(ঊর্ধ্বগগনে)' গানটি ছিল আগের রচিত। অবশিষ্ট
'জাগো সুন্দর চিরকিশোর' গানটি এই নাটকের জন্য রচিত হয়েছিল।
-
জাগো সুন্দর চিরকিশোর [তথ্য]
-
চল্ চল্ চল্ চল্ চল্ চল্ (ঊর্ধ্বগগনে)
[তথ্য]
- বেতার। ঢাকা বেতার কেন্দ্র।
[৩১ মে ১৯৪০ (শুক্রবার, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৭)। রাত ৮.০৫টা। শিল্পী হেমন্ত
মুখোপাধ্যায়
- চৈতী চাঁদের আলো আজ ভালো নাহি লাগে
[তথ্য]
মে মাসের ১৮ (বৃহস্পতিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৬) তারিখে এইএচএমভি রেকর্ড কোম্পানি
জগন্ময় মিত্রে কণ্ঠে নজরুলে রচিত একটি গানের রেকর্ড করে। গানটি হলো-
- শাওন রাতে যদি স্মরণে আসে মোরে [তথ্য]
এই গানটি রচনা এবং
জগন্ময় মিত্রের সুরারোপের বিষয়ে জানা যায়, জগন্ময় মিত্রের
রচিত 'শাওন রাতে যদি স্মরণে আসে মোরে' গ্রন্থে [প্রতিভাস। কলকাতা, ৭ ফেব্রুয়ারি
১৮৮৫। পৃষ্ঠা: ৩২-৩৩]
উল্লেখ্য, ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের শেষের
কাজী নজরুল ইসলাম-এর সাথে জগন্ময় মিত্রের পরিচয় পরিচয় হয়েছিল। গ্রন্থ
মতে- এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি রেকর্ড কর্মকর্তা হেমচন্দ্র সোম, নজরুলের সাথে
তাঁর পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। প্রথম পরিচয় প্রসঙ্গে জগন্ময় মিত্র লিখেছেন-
'...কাজীদা জিজ্ঞাসা করলেন, 'কিছু ঠিক করেছিস কী
গাইবি? একটু ইতস্তত করে বললাম, "আমি দু-একটা গান লিখে সুর করেছি।" কাজীদা
বললেন, আচ্ছা শোনা"
জগন্ময় তার লেখা সুরে গানটি শোনালেন। গানটি
হলো- যদি বাসনা মনে দিবে দহন জ্বালা/তবে মনের কোণে কেন বাসিলে ভালো। নজরুল গানটি
শোনার পর সুরের প্রশংসা করলেও বাণীর প্রশংসা করতে পারেন নি। তারপর নজরুল তিনি
গানটি কয়েকবার জগন্ময়ের কাছে শুনে, সেই সুরের উপর 'শাওন রাতে স্মরণে আসে মোরে'
গানটি রচনা করেছিলেন। এই গানটির সুর সম্পর্কে জগন্ময় লিখেছেন- 'আমার গুরু
ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায় একবার একটা গান আমাদের গেয়ে শুনিয়েছিলেন। সেটি হলো- 'আজি
ঝরলা' । রাগের নাম বলেছিলেন, যতদূর মনে আছে 'ঝঞ্ঝা-মল্লার।' অর্থাৎ মল্লার
ঘরের কোনো একটি রাগ। ঝঞ্ঝা-মল্লার নামটা ঠিক শুনেছিলাম কি না, এখন সন্দেহ পোষণ
করি। কারণ, এ নাম আর কোনো জায়গায় শুনতে পাইনি...।' কবি নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট
থেকে প্রকাশিত নজরুল-সংগীত সংগ্রহ [জুন ২০১৮, পৃষ্ঠা ৪]-এ গানটির শিরোনামে রাগ
'চর্জ্যু কি মল্লার' উল্লেখ আছে।
জগ্মময় মিত্রের উল্লেখিত গ্রন্থ থেকে জানা যায় গানটি রেকর্ড করা হয়েছিল
'১৮-৫-৩৯' তারিখে। গানটি রেকর্ড হয়েছিল আগে, কিন্তু রেকর্ডে প্রকাশিত হয়েছিল পরে।
কারণ, রেকর্ডের এই গানের জুড়ি গান ছিল- অজয় ভট্টাচার্যের লেখা 'সন্ধ্যা যখন নামে
গোপন পায়'। একই রেকর্ডে দুই রচয়িতার গান প্রকাশিত হলে- স্বত্বাধিকারের অর্থ
ভাগাভাগি হতো। এই অসুবিধা দূর করার জন্য রেকর্ডে কোম্পানি নজরুলের রচিত অপর একটি
গান 'গুনগুনিয়ে ভ্রমর এলো
[তথ্য]' রেকর্ড করে ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে। আর উভয় গান মিলে
রেকর্ডি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে।
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গান
- টুইন। এফটি ১৩২৯৫। কুমারী গীতা বসু
-
তুমি কেন এলে পথে
[তথ্য]
- যবে ভোরের কুন্দকলি মেলিবে আঁখি
[তথ্য]
- সেনোলা। কিউএস ৪৭০। কমলা দেবী
-
তুমি পিরিতি কি কর হে শ্যাম
[তথ্য]
- হলুদ বাটিতে হলুদ বরণ গৌর মনে
[তথ্য]
- মেগাফোন। জেএনজি ৫৪৭১। অনন্তবালা
- আল্লা নামে বরকতে ভাই
[তথ্য]
- মেগাফোন। জেএনজি ৫৪৭৩। ভবানীচরণ দাস
- আর কত দুখ্ দেবে
[তথ্য]
- হরি হে তুমি তাই দূরে থাক সরে
[তথ্য]
- এইচএমভি। এন ১৭৪৬০। রঞ্জিত রায় ও কুমারী স্বর্ণ বসু
- আমার বিছানা আছে (বিছানা আছে বালিস আছে)
[তথ্য]
- এইচএমভি। এন ১৭৪৬৪। শীলা সরকার
- তুমি সারা জীবন দুঃখ দিলে
[তথ্য]
- হে পাষাণ দেবতা [তথ্য]